খুলনা
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, পথচারীদের দুর্ভোগ
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের কাজ চলায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর নতুন বিআইডিসি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খানা খন্দে কারণে বর্ষায় মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে এবং কাদা মাটির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর এই কারণে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাময়িকভাবে সড়কটির বিভিন্ন বড় বড় গর্তগুলো ইটের টুকরো দিয়ে সংস্কার করলেও ভারি যানবহন চলাচলের সময়ে আবারও গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে সড়কে চলাচলে প্রায় সময়ে ইজিবাইক, অটোরিকশসহ ছোট ছোট যানবহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন: কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী!
স্থানীয় বাসিন্দা ইমন মোল্লা জানান, খুলনার মধ্যে ব্যস্ততম একটি সড়ক হচ্ছে এই নতুন রাস্তা থেকে বিআইডিসি সড়ক। তবে বর্তমান সময়ে সড়কটির মধ্য খানে কাটা থাকায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এই বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে সড়ক জুড়ে পিচলা কাদামক্ত হয়ে আছে। সড়কটি আগে ভালোই ছিল। তবে সড়কটি খুড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করার জন্য পুরো সড়ক গর্তে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকমল আহসান বলেন, ‘এই বিআইডিসি সড়কটি একটি গুরুত্বপুর্ণ সড়ক। বাজার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাটকলসহ এখানে তিনটি তেলের ডিপো রয়েছে। যার কারণে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ট্যাংক লড়ি ও বিভিন্ন যানবহন চলাচল করে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহের জন্য জ্বালানি তেলবহনকারী যান এই রুট ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পাটকল শ্রমিকরা এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। যে কারণে সড়কটি সব সময়ে ব্যস্ত থাকে অথচ বর্তমানে সড়কটি অবস্থা খুবই বেহাল দশা।
আরও পড়ুন: মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কটিতে ধুলো বালি উড়তে থাকে। আমরা এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করারা জন্য মেয়রের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ (পিন্টু) বলেন, বিআইডিসি সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বর্ষার পানিতে যা করব, সেসব নষ্ট হয়ে যাবে। তবে একটু বর্ষা কমলে সাময়িকভাবে সংস্কার করা হবে। সড়কটি নতুনভাবে স্থায়ী সংস্কারের জন্য মেয়র খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো!
এ ব্যাপারে কেসিসির প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সড়কটি বেহাল ছিল তবে কিছুদিন আগে ইট দিয়ে রোলিং করেছি তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি। দ্রুত সংস্কার করার জন্য বিষয়টি নিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে নতুন দরপত্র করে একটি মডেল সড়ক তৈরি করা হবে।’
গতি ফিরছে বাণিজ্যে, বদলে যাচ্ছে মোংলা বন্দর
শ্রমিক অসন্তোষ, কয়েকদিন পর পর ধর্মঘট, দিনের পর দিন জাহাজশূন্য পশুর চ্যানেল, কর্মহীন শ্রমিকের আত্মহত্যা এসব ভয়ংকর ঘটনা এখন অতীত। বর্তমানে সেই পশুর চ্যানেলে সারি সারি জাহাজ। সেখানে কাজ করছে অসংখ্য শ্রমিক। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় সর্বোচ্চ জাহাজ আগমনও রেকর্ড গড়েছে। সংকট কাটিয়ে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। বন্দরের সুবিধাদি বৃদ্ধির জন্য ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এদিকে, পদ্মা সেতু ও খুলনা-মোংলা রেলসেতু এবং রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক দেশের শিল্প-বাণিজ্যের সম্ভাবনার নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে গোটা বন্দর এলাকা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত মোংলা বন্দর ৪৯৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে। এ সময় বন্দরে তিন হাজার ৭০০টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে।
পড়ুন: লকডাউনে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক
তিনি জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোংলা বন্দর ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এ বছর বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে ৪৮২টি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৬২৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০৯ কোটি ৩৩ লাখ লাখ টাকা নিট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৭৮০টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৩৩ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৯১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১৭ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এই বছর বন্দরটিতে বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে ৯০৩টি।
পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, ২০০৯ সালের শুরুতেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে কার্যক্ষম ও কর্মচঞ্চল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে এ বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসমূহের নির্দেশনা, বন্দর উপদেষ্টা কমিটি ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সুপারিশ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনায় মোংলা বন্দর ধীরে ধীরে গতিশীলতা অর্জন করতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা বন্দরের নাব্য সংকট কাটিয়ে উঠেছি। এখন বন্দরের হারবাড়িয়ায় ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। আগামী বছরের প্রথম থেকেই বন্দরের মূল জেটিতেও এসব জাহাজ ভিড়তে পারবে।’
মোংলা বন্দরের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৫০টির অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে।
পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
তিনি বলেন, মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদানে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে ৭০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল স্থাপন, তিনটি কার ইয়ার্ড নির্মাণ, ১০টি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক জলযান ক্রয়, ৬২টি বিভিন্ন ধরনের লাইটেড বয়া, দুটি রোটেটিং বিকন, ছয়টি জিআরপি লাইট টাওয়ার সংগ্রহ ও স্থাপন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, একটি স্টাফিং-আনস্টাফিং শেড, একটি ওয়েব্রিজ মোবাইল স্ক্যানার সংগ্রহ। এছাড়া রুজভেল্ট জেটির বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে মোংলা বন্দরে ১০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসবের বাইরে বন্দরের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম সংগ্রহ পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, বর্জ্য নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ থেকে পিপিপি’র আওতায় মোংলা বন্দরের দুটি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণকাজও শেষ করা হবে ২০২১ সালের মধ্যে। চলমান এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে আট হাজার কোটি টাকা।
করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস (৪৫) বিদেশগামীদের করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা প্রবাসীদের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ নমুনা পরীক্ষার ফি নেয়া ও ল্যাব ইনচার্জেরও দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি ২০২০ সালে ২ জুলাই থেকে প্রতিদিন যতজন পরীক্ষা করাতেন, তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন।
এ বিষয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে প্রকাশের কাছে লিখিত হিসাব চাওয়া হলে প্রকাশ কুমার বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপর চলতি বছরের ২২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কমিটি ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যে পরিমাণ টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার’ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
তদন্ত কমিটি মৌখিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রকাশ কুমার হিসাবে গড়মিল রয়েছে বলে স্বীকার করেন। এরপর তাকে শোকজ করা হয় এবং লিখিতভাবে হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার তার হিসাব ও টাকা জমা দেয়ার শেষ দিন ধার্য্য ছিল। ওই দিন দুপুরে অফিসে বসে হিসাব করার একপর্যায়ে প্রকাশ কুমার কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেনি।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন আবু ত্ব-হা : পুলিশ
সিভিল সার্জন জানান, আত্মসাত করা টাকার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আইনজীবীকে দিয়ে মামলার এজাহার লেখানো হচ্ছে, লেখা শেষ হলে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, প্রকাশ কুমার দাশ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
খুলনায় কথিক চিকিৎসককে কারাদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তন্ময় অধিকারী (২৭) নামে এক কথিত চিকিৎসককে আটক করে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাব।
সোমবার রাতে উপজেলার ডুমুরিয়া বাজারে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াদুদ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
র্যাব জানায়, গত বছর তৎকালিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জিব দাশ ওই কথিক চিকিৎসককে ভুয়া চিকিৎসা দেয়া ও প্রেসক্রিপশনে শিশু ও মহিলা বিশেষজ্ঞ লেখায় ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে চেম্বার বন্ধ করে দেন। পরে সঞ্জিব দাশ বদলি হয়ে গেলে তন্ময় আবারও ডুমুরিয়া বাজারের মনোয়ারা সুপার মার্কেটে চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করে। কয়েক মাস আগে এক অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান সহকারি কমিশনার ভূমি মো. মনিরুজ্জামান তন্ময়কে সতর্ক করে দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
কিন্তু তন্ময় অধিকারী চেম্বার পরিবর্তন করে ডুমুরিয়া থানা সড়কের রাজ মেডিকেল হলের নামে চেম্বারের ঠিকানায় রোগী দেখতে থাকেন। র্যাব ৬ এর গোয়েন্দা ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করে সত্যতা পায়। সেই সূত্র ধরে সোমবার অভিযানের মা্যেমে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খুলনায় বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৪
খুলনায় একটি বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় চার সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পূর্ব জিলেরডাঙ্গা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক চালক রাকিব শেখকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা-নাতি নিহত
নিহত ব্যাক্তিরা হলেন, সিএনজি চালক ডুমুরিয়ার শরাফপুরের জাকারিয়া সরদারের ছেলে ইলিয়াস সরদার (৪৫), রুদাঘরা গ্রামের মহিউদ্দিনের মেয়ে রেশমা খাতুন (৩২), একজন নারী (৩৫) ও একজন পুরুষের (৪৫) পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকাল ৬টায় ডোবার ভেতর থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানির নিচ থেকে সিএনজি উদ্ধার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক চার ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিকাল ৬ টার পর সড়ক খুলে দেয়া হয়।
খুলনায় যুবকের লাশ উদ্ধার
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গুপ্তমারি গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহত আইয়ুব আলী মোল্লা ওই উপজেলার বিরাট গ্রামের মোনতাজ আলী মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বটিয়াঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূর ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন গুপ্তমারী গ্রাম থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে তার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তার মা- বাবা কেউ নেই। তাকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটি এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) জাহিদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। রাতে ওই যুবককে খুন করে লাশ ওখানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।
খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
খুলনায় অনুমোদনহীভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা এবং সনদ না থাকা সত্ত্বেও ডা. শব্দ ব্যবহার করার অপরাধে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত পূর্ব রূপসা বাজারের অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক মো. এবিএম আতাউর রহমান (৪৫) মৃত ওয়াজোদ আলীর ছেলে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি দল এই অভিযান চালায়।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
র্যাব জানায়, খুলনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় র্যাব খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন ৩নং নৈহাটী ইউনিয়নের বাঘমারা সাকিনস্থ পূর্ব রুপসা বাজারে মেসার্স মাদারীপুর মেডিকেল হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় অনুমোদনহীভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা এবং সনদ না থাকা সত্ত্বেও ডা. শব্দ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে এবিএম আতাউর রহমান এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
পড়ুন: অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্যের গাড়িচালকের ৩০ বছর কারাদণ্ড
কলেজছাত্র হত্যা: ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনার ৩৪ ইউপির ২১টিতে নৌকার প্রার্থী জয়ী
খুলনার পাঁচ উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের মধ্যে ২১টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি আটটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান, বাগালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আবদুস সামাদ গাজী, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ শিকারী, মহারাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. নুরুল ইসলাম সরদার, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আছের আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ
দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাব্বির আহমেদ, দাকোপ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিনয় কৃষ্ণ রায়, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মিহির মন্ডল, সুতারখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মাসুম আলী ফকির, কামারখোলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন কুমার মন্ডল, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র জালাল উদ্দিন গাজী, বাজুয়াইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মানস কুমার রায়, বানিশান্তা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সুদেব কুমার রায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখ যুবরাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র আসলাম হালদার, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ মো. আসাবুর রহমান, আমীরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জি এম মিলন নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নারী নিহত, আহত ৪
দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মফিজুল ইসলাম, বারাকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গাজী জাকির হোসেন, দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. হায়দার আলী মোড়ল, সেনহাটী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিয়া গাজী, আড়ংঘাটা ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম ফরিদ আকতার, যোগীপোল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন নির্বাচিত হয়েছেন।
পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আবদুল মান্নান গাজী, রাড়লী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, গড়ইখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুস সালাম, গদাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, চাঁদখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহজাদা মো. আবু ইলিয়াস, দেলুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রিপন কুমার মন্ডল, লতা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কাজল কান্তি বিশ্বাস, লস্কর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কে এম আরিফুজ্জামান, কপিলমুনি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. কওছার আলী জোয়াদ্দার নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটের ৬৫ ইউনিয়নে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ শুরু
কয়রা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হযরত আলী জানান, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ায় কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নং কয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেয় হলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় কৃষিবিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। ইতোমধ্যে কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী, শাকসবজিসহ অনেক ফসলের লবণাক্ততাসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবনে করতে সক্ষম হয়েছে।
এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উপকূলবর্তী বিপুল এলাকার সকল চাষিদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে। চাষিরা এসব ফসলের চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় নতুন করে কৃষিবিপ্লব ঘটবে।
রবিবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ঘেরের আইলে আগাম সীম চাষ, অফসিজন তরমুজ ও মরিচ চাষ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষির উন্নয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহবান কৃষিমন্ত্রীর
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ‘দেশের প্রায় ২৫% এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততার কারণে এ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হতো। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকতো। এই প্রতিকূল ও বিরূপ পরিবেশে বছরে কীভাবে দুইবার বা তিনবার ফসল চাষ করা যায়- সেলক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে আসছি। ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। এটিকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে এ এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়।’
সেচের পানি সমস্যা দূর করতে খুলনা, বাগেরহাটে ছয় শতাধিকের বেশি খাল খনন এবং পুন:খনন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নায়ায়ণ চন্দ্র চন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, ব্রির ডিজি ড. শাহজাহান কবীর, বারির ডিজি নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো: হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগের আহবান কৃষিমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, উপকূলীয় এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর, এর মধ্যে চাষযোগ্য ২১ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর। আর লবণাক্ত এলাকার পরিমাণ ১০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর। এছাড়া লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতিবছর শুষ্ক মওসুমে উপকূলীয় এলাকায় ৫ লক্ষাধিক হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়।
খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
খুলনা, ১১ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- খুলনা নগরীতে ট্রেনের ধাক্কায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছেন।
নগরীর ফুলবাড়ি গেট সংলগ্ন রেলক্রসিং এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ভোলা মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ জানান, দুপুর ১টার দিকে আনোয়ার হোসেন ভোলা ফুলবাড়িগেট বাজারের ভেতরে একটি গলি হয়ে রেলক্রসিংয়ের উত্তর পাশে একটি গ্যারেজের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
পরবর্তীতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের পরিবারকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান এসআই আসাদ।
আরও পড়ুন: ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের