খুলনা
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রায় বনবিভাগ ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ক্ষুদ্রচাকশ্রী গ্রামের পলাশ কুমার দাস এবং পিরোজপুর নাজিরপুরে মো. মিলন।
আরও পড়ুন: ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
এ সময় তাদের কাছ থেকে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
খুলনায় রং মিস্ত্রিকে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ইমন শেখ নামে এক রং মিস্ত্রিকে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলি জব্দসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন, নাজমুস সাকিব জাকারিয়া, রিয়াজ, বুলু পাটোয়ারী, আকাশ হাওলাদার ও আপন খাঁ।
এদিকে ইমন হত্যার ঘটনায় তার বাবা সানোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার রাতেই ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমে পাঁচজনকে আটক করে। এসময় তাদের একজনের কাছ থেকে একটি কালো রঙের ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৭ বছর পর গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে রং মিস্ত্রি নিহত
খুলনা নগরীর গোবরচাকা এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইমন শেখ (২২) নামের এক রং মিস্ত্রি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার গোবরচাকা গাবতলার মোড়ের তালুকদার লেনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন পেশায় একজন রং মিস্ত্রী। তার বাবার নাম সানোয়ার হোসেন। তারা গোবরচাকা নবীনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল কাঠমিস্ত্রির
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালুকদার লেনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইমন। এ সময় ৫/৬টি মোটরসাইকেলে ১০/১২ জন এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিবিদ্ধ ইমনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
খুলনায় ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা অঞ্চলের নদ-নদীতে জোয়ারের চাপ বেড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), খুলনার তথ্যানুযায়ী, জেলার ৫টি নদীর ৮টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
পাউবো জানায় যে বেতনা খোলপেটুয়া, রূপসা, পশুর, শিবসা, ইছামতি নদীর আটটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে কপোতাক্ষ, শিবসা ও পশুরসহ বিভিন্ন নদীর তীরে ভাঙন, তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নিমজ্জিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিনে ভারি বৃষ্টিতে ও এলাকায় বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারে পানিবৃদ্ধির কারণে ভদ্রা নদীর তীরে তিলডাংগা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে ওয়াবদা রাস্তায় ভাঙন দেখা যায়। এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ওয়াবদা রাস্তা ভেঙে ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমি খবর পেয়েছি। অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি উনারা তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চক্রবর্তী, মিঠুন চক্রবর্তী, উৎপল রায়, সাধন রায়, ঠাকুর দাস হালদার জানান, চুনকুড়ি নদীতে পানিবৃদ্ধির কারণে ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। ছাগল ও গবাদি পশু নিয়ে তারা বিপদে পড়েছে। এছাড়া ঘরে পানি ওঠায় রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষ দাস ও নারায়ণ দাস বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাস আসলে খুবই কষ্টে থাকতে হয়। মাঝে মাঝেই পানি উঠে যায়। নদীর তীরে উঠা নামার এ রাস্তাটা যদি একটু উঁচু করে বাঁধ দেওয়া থাকতো, তাহলে আমরা কিছুটা শান্তিতে পার হতে পারতাম।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
অন্যদিকে জানা যায়, সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্পট ও বনের অভ্যন্তরে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিন যাবত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন ও বনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
এদিকে, সুন্দরবনের কটকা ও কচিকালী এলাকা বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন হওয়ায় সেখানেও ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরও।
অপরদিকে, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন উপকূলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় ২/৩ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পানিতে ভিজে ছুটির দিনে আগত দর্শনার্থীরা বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন। তবে এ জলোচ্ছ্বাসে বনের এ কেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, বনের অভ্যন্তরে পানি আরও বেশি হলেও তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হবেনা বন্যপ্রাণীর। কারণ ঝড়-জ্বলোচ্ছাসে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য বনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়ায় বন্যপ্রাণী সেসব টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে।
পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মধুসূদন মল্লিক বলেন, খুলনার নদ-নদীতে পানির চাপ বেশি রয়েছে। জেলার চারটি পয়েন্টে নিয়মিত পানির চাপ মাপা হয়। গত তিন দিন প্রতিটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউব, খুলনা ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে গত তিন দিন ধরে নদ-নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার কিছু নদীতে পানির চাপ সামান্য কমেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
খুলনায় পৌনে ৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ২
নগরীর মোহাম্মদ নগরে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব- ৬।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার আলী খানের ছেলে আব্দুর রহিম খান (৪৭) এবং বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রানা মজুমদার (৪৮)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
সোমবার (২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, লবনচরা থানার মোহাম্মদ নগর এলাকার মেইন রোড সংলগ্ন একটি বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি আভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জাল টাকা, তিনটি মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত মালামালসহ আসামিদের লবনচরা থানায় হস্তান্তর করে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: আরও ২ আদিবাসী যুবক গ্রেপ্তার
খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী
খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন সড়কসহ কয়েকটি স্থানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙনের কারণে বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি এবং এলাকায় বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে ভদ্রা নদীর তীরে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে ওয়াবদা রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় ওয়াবদা রাস্তা ভেঙ্গে ভেতরে পানি প্রবেশ করে এলকার হাজার হাজার বিঘা জমির চলতি মৌসুমের আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে যাওয়াসহ পুকুরের মাছ ভেসে যেতে পারে এবং এলাকার মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে পারে বলে তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী জালাল উদ্দীন জানান।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে গুরুত্বপূর্ণ পাগলার বাজার
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তৎক্ষণাৎ দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানসহ নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীকে মুঠোফোনে জনানো হয়েছে।
নির্বাহী অফিসার অফিসিয়াল কাজে বাইরে যাওয়ার কারণে ভাঙন এলাকা আজ পরিদর্শন করবেন উপজেলা চেয়ারম্যান, এমনটাই জানা গেছে।
এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি খবর পেয়েছি, অফিসিয়াল কাজে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোডের প্রকৌশলীসহ ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি উনারা তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
খুলনা থেকে ১৫ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ
বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনার ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।
জানা গেছে, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধর্মঘটে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি এটিকে ফরমূলা গেজেট উল্লেখ করে বলেন, গেজেটটি ভুলে ভরা। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
২৬ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের প্রস্তুতি খুলনা জেলা বিএনপির
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরীতে রোডমার্চ করবে বিএনপি। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা দলটির।
রোডমার্চের জন্য অনুষ্ঠানস্থল নির্ধারণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলার শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
খুলনা মহানগরীর প্রবেশপথগুলোতে দুই শতাধিক তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্বলিত বিপুল সংখ্যক পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
এ ছাড়া নগরীর জিয়া হলে অনুষ্ঠেয় রোডমার্চে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সকাল থেকে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়েছে। নগর ও জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে ১০ লাখেরও বেশি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জড়ো হবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
খুলনা বিভাগীয় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে ‘দেশবাসীকে দুঃশাসন থেকে বাঁচাতে’ তারা এই রোডমার্চ করতে যাচ্ছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শাহিফকুল ইসলাম তুহিন বলেন, বিগত বিভাগীয় ও যুব সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তারা ‘অবৈধ সরকারের’ সঙ্গে নেই।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোড মার্চটি ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা শহরের জিয়া হলে গিয়ে শেষ হবে।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য জনগণ নিজেরাই এই রোডমার্চে যোগ দেবে।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে ৫ রোড মার্চ
বাংলাদেশে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
বাংলাদেশে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সিএমএ) পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে আইসিএমএবির খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিল ও ব্যবসা প্রশাসন ডিসিপ্লিন।
আরও পড়ুন: সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
সিএমএ পেশাজীবীদের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ধারাবাহিক প্রচেষ্টা হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় সেমিনারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মো. আক্তারুজ্জামান অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা ব্যাখ্যা করেন, কেন সারা বিশ্বে সিএমএ পেশার এত চাহিদা এবং তারা কীভাবে প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সহায়তা করে।
আইসিএমএবির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া মাসুদ সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন খুলনা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে আর্থিক ও ব্যয় নিরীক্ষা বাস্তবায়নের দাবি আইসিএমএবির
দেশের ব্যবসা উদ্যোগের ৯৯.৮৪ শতাংশই সিএমএসএমই
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মোংলার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। ইতোমধ্যে এই রেলপথের কাজ ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে খুঁটিনাটি কাজ; যা চলতি মাসেই শেষ হওয়ার আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন- মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কারণ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মাসে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেইসঙ্গে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই পথ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছি। সেভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
২০১১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সেইসঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। আশা করছি, এবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’
মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে জানিয়ে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ মিঠু বলেন, ‘বর্তমান সরকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের জন্য যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এতে গার্মেন্টস পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহন করা যাবে, তেমনি রপ্তানিও করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বেড়ে যাবে।’
একই কথা বলেছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চিংড়ি ও গার্মেন্টস পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল