হত্যা
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ৬০ বছরের নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ৬০ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুতে রাখা হয় তারই ঘরের মেঝেতে।
নিখোঁজের সাত মাস পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রবিবার এ তথ্য জানান বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মুদি দোকানির গায়ে আগুন
সাত মাস আগে নিখোঁজ হন জেলার বাকেরগঞ্জের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর স্ত্রীরিজিয়া বেগম। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই হাওলাদার মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে বরিশাল জেলা পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন- একই ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মো. ফয়সাল ও মৃত কালাম হাওলাদার কালুর ছেলে লালচাঁন।
পুলিশ সুপার বলেন, রিজিয়া বেগম একাই বসবাস করতেন। প্রায় সাত মাস আগে নিখোঁজ হন তিনি। গত ১৩ এপ্রিল রিজিয়ার ছেলে রাসেল বাড়ি এলে ঘরের ভেতরে মাটির স্তুপ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা আদালতের নির্দেশে ঘরের ভেতর থেকে রিজিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন প্রতিনিয়ত ওই নারীর ঘরে ও আশপাশে মাদক সেবন করতেন। এতে বাধা দেওয়ায় ঘটনার দিন অর্থাৎ প্রায় সাত মাস আগে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করেন ফয়সাল ও লালচাঁন। এরপর রিজিয়ার ঘরেই মাটি খুঁড়ে তাকে চাপা দেন তারা।
তিনি বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন দুইজনেই মাদকাসক্ত। গ্রেপ্তার দুইজনকে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন, প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চাঁদপুরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা নায়েরগাও উত্তর ইউনিয়নের বকচর গ্রামে স্ত্রী খাদিজা আক্তার নামে এক নারীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রবিবার ( ১৪ এপ্রিল) জামাতা ইব্রাহিম ও মেয়ের শ্বাশুড়িকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহত খাদিজার বাবা খোকন মিয়া।
ইব্রাহিম প্রধান একই (বকচর) গ্রামের আব্দুল মোতালেব প্রধানের ছেলে।
এ ঘটনায় শ্বাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় দিনমজুর স্বামী ইব্রাহিম প্রধান পলাতক রয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা ইউএনবিকে জানান, ঈদুল ফিতরের দিন(১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম প্রধান শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী খাদিজা আক্তারের শরীরে শ্যালো মেশিনের ডিজেল ঢেলে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় খাদিজার চিৎকারে ছুটে এসে প্রতিবেশী মনির ও মহসিন পাটের বস্তা ভিজিয়ে আগুন নেভায়। এরই মধ্যে শরীরের অনেকাংশই পুড়ে যায়। পরে খাদিজাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত দেড়টায় মারা যায় খাদিজা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিষয়টি গোপন করে ১৩ এপ্রিল তড়িঘড়ি করে তার লাশ দাফন করা হয়।
ভিকটিম খাদিজা ইব্রাহিমের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগে ইব্রাহিম আরও ২টি বিয়ে করেছেন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের কারণে আগের দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। খাদিজার দুটি ছেলে রয়েছে। ৪ বছর আগে খাদিজার সঙ্গে ইব্রাহিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম ও তার মা যায়েদা যৌতুকের জন্য খাদিজাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
খাদিজার বাবা খোকন মিয়া জানান, ‘বিয়ের পর থেকেই ইব্রাহিম খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। এসব নিয়ে অনেকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। আমার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে গেছে।’
প্রতিবেশীরা জানায়, ইব্রাহিমের নির্যাতনে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে গেছে।
এ বিয়য়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
ময়মনসিংহে ঈদগাহ মাঠে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ঈদগাহ মাঠে শাহজাহান মিয়া (১৯) নামে এক পোশাকশ্রমিককে গত্যা করা হয়েছে।
ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শাহজাহান উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আবদুর রশিদ মাস্টার ও নূরুল ইসলামের বংশের লোকজনের মধ্যে বিরোধ বহু দিনের পুরোনো ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলামের বংশের লোকজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালের পোস্টার টানায় এলাকায়। কিন্তু এলাকায় থাকলে ফয়সালের নির্বাচন করা যাবে না বলে হুমকি দেয় রশিদ মাস্টারের লোকজন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার উচাখিলা বাজারের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন উজানচর উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও খুৎবা শেষে দোয়ার আগ মুগূর্তে নূরুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিদ মাস্টারের ছেলে নাতি পিহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, দুই বংশের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। বুধবারও উচাখিলা বাজারে মারামারি হয়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রশিদ মাস্টারের লোকজন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ তৈরি হয়। ঈদের জামাত শেষে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্তত ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে হত্যা
বগুড়ার কাহালুতে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেদোয়ান ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাতানজো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ৩ মোটরশ্রমিক নিহত
নিহত রেদোয়ান ওই গ্রামের সাদ মিয়ার ছেলে এবং দূর্গাপুর এনায়েতউল্লাহ দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাহালু থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল আলম বলেন, নিজ গ্রামের পাতানজো জামে মসজিদে তারাবির ৮ রাকাত নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিল রেদোয়ান। এই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার পর ধান খেতে ফেলে রেখে যায়।
তিনি আরও বলেন, রাত ১০টার দিকে তারাবির নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রেদোয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অজ্ঞাত নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি
বোনের প্রেমিকাকে হত্যা: ভাইসহ দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় বোনের প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিঞার ছেলে মো. শামীম মিয়া এবং একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ফয়সাল রাজনগর এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ফয়সালের সঙ্গে শামীম মিয়ার বোনের প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সালকে হত্যা করে লাশটি বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিতে পুঁতে রাখে শামীম। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়াকে আটক করে। আসামিদের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ১৩ জুন নিহত ফয়সলের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে মো. শামীম মিয়াসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার জানান, মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে আসামি শামীম মিয়া ও তার মামাতো ভাই দুলাল মিয়াকে আটক করে আদালতে পাঠান। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামি শামীম মিয়া ও দুলাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে এবং রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার ও মো. নূরুল ইসলাম।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এই রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট। এছাড়া রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্রকে হত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
নাটোরের নলডাঙ্গায় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে হিমেল নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে নিখোঁজ হন হিমেল। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনের একটি ভুট্টাখেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
হিমেল নলডাঙ্গার পাটুল হাপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই বন্ধু পার্থ, মেহেদী হাসান, সুজন ও শিমুল (বয়সে তাদের বড়) মিলে অপহরণ করে হিমেলকে হত্যা করে লুকিয়ে রেখেছিল লাশ।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় হিমেলের বাবা স্থানীয় টিসিবি ডিলার ফারুক সরদার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযানে নেমে আটক করে পার্থ, মেহেদী হাসান, সুজন ও শিমুলকে। উদ্ধার করে হিমেলের সাইকেল, লাশ ও হত্যাকাণ্ডের আলামত।
এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনের একটি ভুট্টাখেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, আ. গফুর, সোহাগ, তৌফিকুল ইসলাম, জুয়েল ওরফে বখতিয়ার ও হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। এদিকে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে যায়।
১১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে দিবাগত রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে আসেন না তিনি। পরদিন সকালে ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
জমিতে পানি দেওয়ার দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ
বগুড়া সদরে ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে আব্দুল করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত করিম ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে চুপ থেকে বিএনপি-জামায়াত গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর জাহিদ জানান, ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বগারপাড়া গ্রামের আলাল মিঞার সঙ্গে করিমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। করিম সকালে শ্যালক খায়রুলকে নিয়ে নতুন ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ করতে গেলে আলাল ও তার অজ্ঞাত দুই সহযোগী তাদের বাধা দেন।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে করিম জমির মধ্যে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করিমকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে আলাল ও তার সহযোগীরা পলাতক৷
এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাক্কায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে করিম মারা গেছেন। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
বাগেরহাটে সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে হত্যা, আটক ১
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সাড়ে ৩ বছর বয়সের এক শিশুকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রাম থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। বিকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানায়।
শিশু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক কিশোরকে আটক করেছে।
খবর পেয়ে ওই রাতে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত শিহাব শেখ বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে।
আটক কিশোর একই উপজেলার হিজলা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শরবত পান করে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি পরিবারের ৪ জন
রাসেলুর রহমান জানান, সাড়ে তিন বছর বয়সের শিশু শিহাব বুধবার বিকালে তাদের পার্শ্ববর্তী হিজলা গ্রামে নানা মো. মানু শিকদারের বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় কিশোরটি শিশুটিকে ধরে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে ঘরে ফেলে রাখে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, শিশু হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সে।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।
শাহিদা বেগম বালিয়াকান্দির বংকুর গ্রামের মৃত আশরাফ সানার স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ি বিক্রি করা নিয়ে ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে শাহিদা ও তার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ঘর থেকে লোহার রড নিয়ে এসে শাহিদা বেগমকে মারতে যান আশরাফ। তখন শাহিদা বেগম লোহার রডটি আশরাফের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে তাকেই মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আশরাফ সানার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে আফরোজা বেগম বাদী হয়ে থানায় মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড