হত্যা
ভোলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
ভোলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. রাসেল (১৯) নামে এক জেলেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইলিশা মাছ ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেলের বাড়ি পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালুপুর গ্রামে। তার বাবার নাম তোফাজ্জেল হোসেন ভাণ্ডারী।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হত্যা, আটক ৩
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে স্থানীয় আকতার মাঝির নৌকায় রাসেল ও রিয়াজ জাল বুনতে বসেন। জাল বোনার একপর্যায়ে সিগারেট নিয়ে রাসেল ও রিয়াজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিয়াজ তার হাতে থাকা জাল কাঁটার ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে হত্যা করেন রাসেলকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা ইলিলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, রাসেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিয়াজকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
চুয়াডাঙ্গায় 'মেয়ের ছুরিকাঘাতে' বাবা খুন, স্ত্রী-মেয়ে আটক
কুমিল্লায় প্রতিশোধ নিতে পানিতে চুবিয়ে চাচাতো ভাইকে হত্যা
কুমিল্লার বরুড়ায় এক যুককের বিরুদ্ধে পানিতে চুবিয়ে আপন চাচাতো ভাইকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জামায়াত আমির-সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৫
নিহত ইব্রাহিম খলিল (৭) বরুড়া পৌরসভার পাঠানপাড়া এলাকার মাসুদ রানার ছেলে।
অভিযুক্তের নাম আল আমিন (২৫)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন জানান, তার চাচা মাসুদ রানা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। সেখানে তাকে চাকরি দেন। কিন্তু পছন্দ না হওয়ায় ওই কাজে অপারগতা প্রকাশ করেন সে। এ নিয়ে চাচার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। চাচা তাকে থাপ্পড় মারে। এই ক্ষোভে সে চাচাতো ভাই ইব্রাহিম খলিলকে বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। সেখানে একটি গর্তের পানিতে চুবিয়ে শিশুটিকে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কচুপাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরদিন মাটি খুঁড়ে লাশ চাপা দেয়।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
নরসিংদীতে নৌকা ঘাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
ফতুল্লায় এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবিরাজের নাম আল আমিন ভাণ্ডারি (৪৮)। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ পুকুরিয়ার হারুনুর রশীদের ছেলে।
নিহত আল আমিন ভান্ডারি তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম স্ত্রীর এক ছেলেকে নিয়ে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার মৃত তৈয়ুবআলী মেম্বারের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের ভাই আলিম শেখ জানান, তার বড় ভাই নিহত আল আমিন ভাণ্ডারি কবিরাজি করলেও এক সময় জাহাজে বাবূ্র্চি হিসেবে কাজ করতেন। তিন বছর আগে তিনি জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নোয়াখালী তার শ্বশুড় বাড়ি এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। দেড় বছর আগে তিনি ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় এসে বসবাসের পাশাপাশি কবিরাজি শুরু করেন। জাহাজে চাকরির সময়ে একই জাহাজে কর্মরত হাফেজ মাস্টার নামে একজনের সঙ্গে তার ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফেজ মাস্টার প্রায় সময় তার ভাইয়ের কাছে আসতেন এবং রাতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হাফেজ মাস্টার তার ভাইয়ের কাছে আসেন। সঙ্গে একটি কালো ব্যাগও ছিল। তখন তার ভাই আল আমিন ভাণ্ডারি স্ত্রী ও ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমানোর জন্য বলেন। ভোর ৪টার দিকে আল আমিন ভাণ্ডারি তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ভাত ও সেমাই রান্না করে নিয়ে আসতে বলেন। রান্না করা ভাত ও সেমাই খেয়ে আল আমিন ভাণ্ডারি নিজ রুমের দরজা লাগিয়ে হাফেজ মাস্টারকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। সকাল ৮টার দিকে আল আমিনের স্ত্রী দরজা খোলা দেখতে পেয়ে উঁকি মেরে দেখেন নিহতের রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পড়ে রয়েছে। তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকা হাফেজ মাস্টার ৪টার পরে কোনো এক সময় তার ভাইকে গলাকেটে পালিয়ে গেছেন। হাফেজ মাস্টার সঙ্গে করে নিয়ে গেছে তার ভাইয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, নিহতের পূর্ব পরিচিত হাফেজ মাস্টার রাত ১০টার দিকে বাসায় আসেন। পরে রাত ১টার দিকে তাকে নিয়ে নিহতের শ্বাশুড়িকে গ্রামের বাড়ি নেয়াখালীতে যাওয়ার জন্য পঞ্চবটী বাসট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেন। সেখান থেকে তারা নদীর ঘাটে যান। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় এসে স্ত্রীকে বলেন তিনি অসুস্থবোধ করছেন এবং মাথা ঝিমুনি দিচ্ছে। তিনি ভাত খেয়ে মেহমান হাফিজের জন্য খাবার নিজ রুমে স্ত্রীকে দিয়ে আসতে বলেন। স্ত্রী খাবার দিয়ে এসে দরজার বাইরে সিঁড়িতে বসে থাকলে তাকে গালমন্দ করে শালিকার ঘরে পাঠিয়ে দেন। পরে তিনি দরজা লাগিয়ে দেন। আল আমিন ভাণ্ডারির তৃতীয় স্ত্রী রোকসানা। গত রমজান ঈদের পর রোকসানাকে বিয়ে করেন আল আমিন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আযম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত খুনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কিশোরগঞ্জে হওয়া মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১টার দিকে কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাশিদুল আমিন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদ কিশোরগঞ্জ কারাগারে
এর আগে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী কোর্ট উপপরিদর্শক অজিত কুমার সরকার আসামি বিএনপি নেতা চাঁদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অপরদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন বিএনপি নেতা চাঁদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কিশোরগঞ্জে করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদকে সোমবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠনোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চাঁদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদ কিশোরগঞ্জ কারাগারে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কিশোরগঞ্জে করা মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে ১ নং আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাশেদুল আমিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
চলতি বছরের ২৪ মে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু এই মামলাটি করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি, মানহানি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদকে প্রধান আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহরে গত ১৯ মে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ জেলার পুঠিয়া এলাকায় প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে বলে বক্তব্য দেন, তা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্য মর্যাদাহানিকর এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী কোর্ট উপপরিদর্শক অজিত কুমার সরকার জানান, আবু সাইদ চাঁদকে আদালতে হাজিরের পর বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার আসামির পক্ষে জামিন আবেদন জানিয়ে আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
গুম ও হত্যার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গুম ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বিদেশি বন্ধু ও তাদের প্রতিনিধিদের সহানুভূতি পাওয়ার আশায় গুম-হত্যার ঘটনা নিয়ে অবিরাম মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের ‘অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
তিনি এ দাবিকে ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে বলেন, বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে গুম নিয়ে যেসব বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে আসছেন, তা বাস্তবতা বর্জিত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের নিখোঁজের জন্য প্রথমে আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হলেও পরে দেখা গেছে জামাল উদ্দিন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার।
একইভাবে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের পর সরকারকে দোষারোপ করার অপচেষ্টা করা হলেও পরে দেখা গেছে বিএনপি নেতা ভারতে আত্মগোপন করে আছেন বলে মন্তব্য করেন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, এমনকি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়েও বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ইলিয়াস আলীকে জোর করে গুম করেছে বিএনপি নেতারা- যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি গুম নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সরকারকে দোষারোপ করছে। কিন্তু তাদের নিখোঁজ হওয়ার নাটকের পেছনের গল্প আজ মানুষের অজানা নয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কিছু বড় শক্তি বাংলাদেশে তাদের অনুগত সরকার চায়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে ঘটে যাওয়া গুম ও হত্যার বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করেন।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুন-গুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং আওয়ামী লীগই বারবার হত্যা, অভ্যুত্থান, গুম ও ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
কাদের বলেন,‘আমরা উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। যেখানে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালে হত্যার মূল হোতাদের সম্পর্কে জনগণের জানা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টারমাইন্ড (কুশিলব) চিহ্নিত করা উচিত...আমাদের জানতে হবে পর্দার আড়ালে থেকে কারা সাহায্য করেছিল এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ছিল।’
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া গেলেও কয়েকজন খুনি এখনো পলাতক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুনিদের চিহ্নিত করেছি যারা এখনও পলাতক রয়েছে এবং আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হৃদয়ে রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে। আমরা তা দেখতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য দুষ্কৃতীরা বারবার টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর আরেকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাই এটা সম্ভব করেছে।
আইজিপি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানব উন্নয়নের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রয়োজন। তাই, তিনি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।’
আইজিপি বলেন, তারা স্মার্ট পুলিশ গড়তে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের রসদসহ সবকিছু দিয়েছেন। আমরা ইতো্মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছি। আমরা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে এই দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবারো পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো অপকর্ম এবং দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখতে প্রস্তুত রয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজশাহীতে স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
রাজশাহীর তানোরে পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মুন্ডমালা পৌরসভার পাঁচন্দর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিপা খাতুন (২৬) ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদ (৭) একই মহল্লার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। নিপা মুন্ডমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর মহল্লার আব্দুর রহিমের মেয়ে।
অভিযুক্ত স্বামী আলিউল (৩০) পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মোহাম্মদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় 'মেয়ের ছুরিকাঘাতে' বাবা খুন, স্ত্রী-মেয়ে আটক
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, তানোর থানা পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে নিহত স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার ও অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে নিপা তার ছেলে নূরকে নিয়ে পাঁচন্দর মহল্লায় বাবার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছিল। আলিউল শনিবার বিকালে ধারালো ছুরি হাতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে।
আলিউল পালানোর সময় মহল্লাবাসী তাকে আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী আদিয়া খাতুনকে (২৩) গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী নুর কামাল (২৪) পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ আলীখালি ২৫ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
নিহত আদিয়া খাতুন টেকনাফ ২৫ নম্বর ক্যাম্পের ছামসু আলমের মেয়ে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জুবায়ের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের একটি টিম যায়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে এনজিও এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান, তিনি আগেই মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া একই সঙ্গে কিশোরীর লাশ লুকিয়ে রাখার দায়ে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়জুন্নেসা এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি খোকন (৩৫) সিরাজদিখান উপজেলার বাবুল মিয়ার ছেলে ও একটি দর্জির দোকানের মালিক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লাবলু মোল্লা জানান, খোকন কৌশলে মেয়েটিকে তার দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এরপর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেন।
২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট চাঁন সুপার মার্কেটে পোশাক তৈরি করতে খোকনের দোকানে যায় ওই কিশোরী। এ সময় তাকে দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন খোকন। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লদীতে লাশ ফেলে দেন।
গত ৩১ আগস্ট স্থানীয়রা কিশোরীর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধারের পর সন্দেহজনকভাবে খোকনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ