হত্যা
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ার কল্যাণপুর গ্রামে এক কৃষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুফল বিশ্বাস (৩৬) ওই গ্রামের অনিল বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহতের পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সুফল পাট জাগ দেওয়ার কাজ করছিলেন। এসময় ওই গ্রামের রোস্তম শেখ এবং তার দুই ছেলে তমাল ও রুবেল হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে সুফলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে মারা যান।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঢাকার উত্তরায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
রাজধানীর উত্তরায় বৃহস্পতিবার(১৭ আগস্ট) রাতে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত লিমন (১৮) ওই এলাকার বাসিন্দা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লিমনের বন্ধু মো. লিয়ন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লিমনসহ পাঁচ বন্ধু ৫ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে হাঁটতে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা, আহত ১
হঠাৎ লিমনের সঙ্গে তার এক বন্ধু ওবায়দুল (১৮) তালা ঝগড়া করে। তবে ওবায়দুল স্থান ত্যাগ করে মমিনুল ও শাহজালালের সঙ্গে ফিরে এসে লিমনকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ২
দিনাজপুরে মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ২
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই মামার বিরুদ্ধে।বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ৬ নম্বর অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবু হোসেন লিমন (২৫) একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
চিরিরবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম বাবি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের দুই মামাকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পরিবারের সদস্যরা জানান, লিমন দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। তিনি প্রায়ই বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি করতেন, আসবাবপত্র ভাংচুর করতেন এবং মাদকের টাকার জন্য তার বাবা-মাকে মারধর করতেন। এতে হতাশ হয়ে লিমনের বড় মামা হায়দার আলী (৫৫) ও ছোট মামা হাসমত আলী হাসু (২৬) তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘তারা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে আড়াল করতে চেয়েছিল’। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শেষে এর আসল ঘটনা জানতে পেরেছে বলেও জানান এসআই।
এসআই আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দু’জনকে আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা, আহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক যুবকের পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) একজন গুরুতর আহত হন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জনি মিয়া (৩৫) ওই এলাকার মো. মকসেন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা করে। এসময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং সঙ্গে থাকা আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এজন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আইনটি পাস করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার আইনজীবী সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করবো না বরং বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে ষড়যন্ত্র করার জন্য আজকের দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ দিনে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, তার পরিবারের অন্য ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। খুনিরা জানতেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে চাননি, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদের আমরা আজ জীবিত পেতাম না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দু’জন খুনির একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে সে দেশে অবস্থানকারী কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর
ধর্মের নামে নিরাপরাধ মানুষ হত্যার অনুমতি দেয় না ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আলেম-উলামাদের ধর্মীয় কুসংস্কার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে তার সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কেউ ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শিশুদের বিপথগামী করতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘ধর্ম, কুসংস্কার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা বিশেষ করে আপনাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমাদের বাচ্চারা ভুল পথ অনুসরণ না করে।’
আরও পড়ুন: পাবনার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে বাড়ি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
রবিবার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার জন্য দেশের ইসলামিক স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানান।
সন্তানরা কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেলামেশা করে তা দেখার জন্য মা-বাবা ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের গুটিকয়েক মানুষের সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার কারণে শান্তির ধর্ম ইসলামের বদনাম হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা ইসলামের নামে পরিচিত হবে এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, মুষ্টিমেয় কিছু লোক আমাদের ধর্মকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ব্যবহার করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন না যে তাদের কে শিখিয়েছে কেউ মানুষকে হত্যা করলে সে স্বর্গে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এটা কোরানের কোথাও লেখা নেই এবং নবী (সা.)ও বলেননি। বিদায়ী হজের ভাষণে তিনি মুসলমানদের সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান। এটি ইসলামের মর্মকথা।’
তিনি বলেন, বিচার দিবসে একমাত্র আল্লাহই সর্বোচ্চ বিচারক হবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের পেছনে কোনো বৈশ্বিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আল্লাহ কাউকে চূড়ান্ত বিচারের দায়িত্ব দেননি। রাসুল (সা.) কাউকে বলেননি। তাহলে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে বেহেশতে যাবে কীভাবে? বলা হয়, আপনি যদি নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেন তবে আপনি নরকে যাবেন।’
তিনি বলেন, ইসলামে আত্মহত্যা করা মহাপাপ। ইসলামে বলা হয়, যদি তুমি আত্মহত্যা কর তাহলে বেহেস্তে যেতে পারবে না।
তরুণ শিশু-কিশোরদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তারা বিশ্বাস করে আত্মঘাতী হামলায় মানুষ হত্যা করে তারা স্বর্গে যাচ্ছে। তাদের অবশ্যই এই পথ থেকে বাধা দিতে হবে।’
ধর্মের নামে সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা সব ধর্মের লেবাস ব্যবহার করে। ‘সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী। তাদের কোনো ধর্ম নেই, দেশ নেই। সন্ত্রাসবাদই তাদের ধর্ম।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ধর্মবিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার প্রমুখ, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী এবং চট্টগ্রামের মাওলানা সালাহউদ্দিন নানোপুরী প্রমুখ।
সবাইকে ধন্যবাদ দেন দ্বিনি সেবা ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এম আবুল কালাম আজাদ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচজনের মধ্যে পাঁচটি পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০০ বার পেছালো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
সোমবার (৭ আগস্ট) আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
শেরে বাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান। এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় লোকজন। শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর থানাধীন মজলিশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আসাদ উদ্দিন মোল্লা (৬৫)। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কালুয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কড্ডা এলাকা থেকে শনিবার দিবাগত রাতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে ধরতে কারখানা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন আসাদ উদ্দিন মোল্লা।
তাঁর ছোট নৌকাটি মজলিশপুর এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন দেখতে পান। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে নৌকাটি থামাতে বলেন। তুরাগ নদে কিছুটা স্রোত থাকায় নৌকা থামাতে সময় লেগে যায়।
এ সময়ে তাঁরা ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আসাদ উদ্দিনের নৌকায় উঠে যায়। এতে আসাদের নৌকাটি ডুবে যায়। পরে লোকজন আসাদ উদ্দিনকে ধরে ওপরে উঠিয়ে নিয়ে পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গাজীপুর সদর মেট্রো থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই গাজীপুর সদর থানার পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
নাটোরে ইপিজেডের নারী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
নাটোরের বড়াইগ্রামে ইপিজেডের এক নারী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েনবাজারের মেরিগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ফারজানা আক্তার প্রিয়া (৩৫) একই উপজেলার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি কারখানার কর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১৯ বছরের ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কয়েনবাজারে লেগুনা থেকে নেমে মেরিগাছা গ্রামের মাঝ রাস্তায় দুর্বৃত্তরা তাকে ভ্যান থেকে টেনে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে জিজ্ঞাবাদের জন্য ভ্যান চালক মনিরকে আটক করে।
ওসি জানান, এ বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য রাজশাহী সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় স্ত্রীসহ ২ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পী (৩৩) হত্যা মামলায় স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৭) ও হুমায়ুন রশিদ (২৮) নামে দুইজনেক ফাঁসি এবং অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আসামি জাকির হোসেন ওরফে মোল্লা জাকিরকে (৩৫) খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী রাশেদা বেগম কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মণ্ডল পাড়ার জাকির হোসেনের মেয়ে এবং হুমায়ুন রশিদ পটিয়া থানার শোভনদণ্ডী এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।
রায় ঘোষণার আগে আসামি আল আমিন ও পারভেজকে কারাগার থেকে আদালত হাজির করানো হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাদেরকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত তিন আসামি হলেন- আল আমিন (২৮), আকবর হোসেন ওরফে রুবেল ওরফে সাদ্দাম (২৩) এবং মো. পারভেজ ওরফে আলী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বলেন, পাঁচজন আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন ও আকবর হোসেন পলাতক রয়েছে।
রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন রশিদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.পারভেজ আলী এবং খালাস পাওয়া জাকির মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
পরে হুমায়ুন রশিদ ও মো.পারভেজ আলীকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। বাকি আসামি তিন আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাপ্পী ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বারের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। তার বাবার নাম আলী আহমেদ। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন বাপ্পী। হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত তিনি অবিবাহিত ছিলেন বলে জানতেন আত্মীয়-স্বজনরা।
২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরের চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার হাত-পা ও মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং স্পর্শকাতর অঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর বাপ্পীর বাবা আলী আহমেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে টানা অভিযান চালিয়ে ঘটনার দুদিন পর ২৭ নভেম্বর কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে রাশেদা বেগমসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট অধিগ্রহণ করে পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এরপর তিনি তদন্ত করে বের করেন হত্যার নেপথ্যের কাহিনি।
যে বাড়ি থেকে বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সে বাড়ির কেয়ারটেকার ওই সময়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে ওই নারী (রাশেদা) তার স্বামীসহ থাকবেন বলে বাসা ভাড়া নেন। ঘটনার রাতে ওই বাসায় থাকতে যান বাপ্পি। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানান, দেলোয়ার নামে এক ইয়াবা পাচারকারীর স্ত্রী ছিলেন রাশেদা বেগম। স্বামীর মামলার সূত্র ধরে আইনজীবী বাপ্পীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ বলেন, বাপ্পি হত্যা মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। আদালত সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ