হত্যা
স্ত্রীকে হত্যা করে পাহাড়ে আত্মগোপন, অবশেষে স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে স্ত্রীকে খুন করে রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ে আত্মগোপন করা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার এস এস আবদুস সাত্তার (৭০) চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়ার পাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দীর্ঘ ২৩ দিন রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন রিকশাচালক সাত্তার।
পুলিশ জানায়, গত ৭ মে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় স্বামী। গুরুতর আহতাবস্থায় স্ত্রী রেজিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই রেজিয়া বেগম মারা যান।
পর দিন মায়ের হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তাদের মেয়ে কামরুন নাহার রুমা।
সোমবার সকালে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া রিকশাচালক স্বামী এস এস আবদুস সাত্তারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাদিকে ধর্ষণ ও দুই নাতিকে হত্যা মামলায় বাচ্চু মৃধা (৫৮) নামের এক আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামিরা উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
এছাড়া এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খোকন খানকে বেসকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত বাচ্চু মৃধা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা এলাকার মৃত বাকের মৃধার ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত খোকন খান একই উপজেলার সমাদ্দারখালী এলাকার মৃত আছমত খানের ছেলে।
হত্যার শিকার মিরাজুল (৯) ও মো. ইমন ওরফে রিয়াজুল ইসলাম (৭) মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের লোকমান হোসেন বাবুর ছেলে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১১ সেপ্টম্বর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের ফরহাদ মৃধার বসত ঘরের বারান্দায় দাদির সঙ্গে মিরাজুল ও রিয়াজুল ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১১টার দিকে বাচ্চু মৃধাসহ কয়েকজন এসে তাদের দাদিকে ধর্ষণ করেন। আসামিদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বিষয়টি টের পেয়ে মিরাজুল ও রিয়াজুলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দাদিকে মেরে ফেলছে বলে চিৎকার করে তারা। তখন আসামিরা মিরাজুল ও রিয়াজুলকে মেরে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। তাদের দাদিকেও মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় হত্যাকারীরা। পরের দিন হত্যার মৃত দুই শিশুর বাবা লোকমান হোসেন বাবু বাদী হয়ে বাচ্চু মৃধাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৫ সালের ১০ জুলাই মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। পরবর্তীতে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্য প্রমাণের বিরুদ্ধে আদালত এই মামলায় বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি খোকন খানকে খালাস প্রদান করেন।
এদিকে খোকনকে খালাস প্রদানের ফলে আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী লোকমান হোসেন বাবু।
তিনি বলেন, বাচ্চুর সাথে খোকনও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। খোকনকে কেন আদালত খালাস দিল আমি জানি না। খোকনের শাস্তির জন্য উচ্চাদালতে আপিল করার কথা বলেন তিনি।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখ মনিরুজ্জামান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রনজিৎ কুমার মন্ডল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এই রায়ে খুশি।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার সাঁথিয়ায় রুহুল আমিন (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।রবিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আতাইকুলার স্বরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন স্বরগ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে এবং পেশায় কৃষি কাজ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন। তিনি জানান, স্কুলের সামনের রাস্তায় একদল দুর্বৃত্ত রুহুল আমিনের ওপর অতর্কিতে হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এসময় গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
ফরিদপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
ফরিদপুরের নগরকান্দা বাজারের লোহা ও সুতা (হার্ডওয়্যার) ব্যবসায়ী বাবু মোল্লাকে (৩৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরকান্দা-চর ছাগলদী সড়কের পরিত্যক্ত ইট ভাটার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নগরকান্দা বাজারের ব্যবসায়ী নিহত বাবু মোল্লা কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের চর ছাগলদী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা জিলু মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে বাবু মোল্লা তার দোকান বন্ধ করে চর ছাগলদী গ্রামে তার বাড়ি ফিরছিলেন। নগরকান্দা পৌর এলাকার নগরকান্দা-চর ছাগলদী সড়কের এমো মিয়ার পরিত্যক্ত ইটের ভাটার সামনে পৌঁছালে বাবু মোল্লাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা বাবু মোল্লাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
চুয়াডাঙ্গায় ঠিকাদারকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৩৫ বছর বয়সী এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যম জামালপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ হারুন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানার মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে।
অভিযুক্ত সালাউদ্দিন (৩৮) হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মধ্যম জামালপুরের অলি আহম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ফুটপাতের হকারকে কুপিয়ে হত্যা
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, হারুনের সঙ্গে এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে চালক। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়।
জোরাগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাতেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
রৌমারীতে মা ও শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২ আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মা ও শিশুকে গলা কেটে হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্তসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার দুপুরে রৌমারী অফিসার্স ক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের এ তথ্য জানান জামালপুর র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নিহত হাফসা আক্তার হারেনার উকিল বাবা ও উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়াকান্দা গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে জফিয়াল (২৮) এবং নিহতের দেবর একই এলাকার চাঁন মিয়া (৪৩)।
র্যাব-১৪ জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আসামি জাকির হোসেন ওরফে জফিয়ালকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত নিহত হারেনার দেবর চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর নামক এলাকায় বাবার বাড়ির পাশের ধান খেতে হাফসা আক্তার হারেনাকে আহত অবস্থায় ও তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু সন্তান হাবিবের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মা হাফসার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত হাফসার বাবা বাদি হয়ে রৌমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, মা ও ছেলেকে গলাকেটে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজন আসামিকে হস্তান্তর করেন র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর। আসামি দুজনকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর শফিকুল গাজীর (৪৫) বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে উপজেলার পার্শেমারী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত আশরাফুন্নেছা বেগম (৩০) একই গ্রামের শফিকুল গাজীর প্রথম স্ত্রী।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মশিউর রহমান জানান, শফিকুল গাজীর দুই স্ত্রী। মাঝেমধ্যে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। দ্বিতীয় বউয়ের পরামর্শে তিনি প্রথম স্ত্রীকে চার মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে। এরপর সোমবার তাকে মারধর করে চলে যায়। রাতে আবারও প্রথম স্ত্রী আশরাফুন্নেছার কাছে যায় শফিকুল।
তিনি জানান, সোমবার গভীর রাতে তাকে প্রথমে মারধর করে এরপর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। এলাকাবাসীকে তিনি এভাবেই হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এলাকাবাসী স্বামী শফিকুল গাজীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হুমায়ুন কবির (২৪) হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান মন্ডল এই রায় দেন। এসময় অভিযুক্ত দণ্ডিতরা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
হত্যার শিকার হুমায়ুন কবির ফুলবাড়ী উপজেলার গড়পিংলাই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি মুদি দোকানদার ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণী আটক
মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ (১২ বছর) আগে ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট রাতে হুমায়ুন কবিরকে হত্যা করে ইটভাটায় ইট চাপা দিয়ে রাখে হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় পরদিন ২১ আগস্ট ফুলবাড়ী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম বাবু।
চাচা সাইফুল ইসলাম তার সম্পত্তি ভাতিজা হুমায়ুন কবিরকে লিখে দেয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেন চাচি নার্গিসের পরিবারের স্বজনরা। অভিযুক্তদের মধ্যে চাচির সহোদর রেজাউল করিম বাবু'র আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং ১৬ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রেজাউল করিম বাবু, শরিফুর ইসলাম এবং আতোয়ার রহমান আতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করেন বিচারক। এছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে গোলাম রব্বানী, একরামুল, সাহেদ আলী এবং জাহাঙ্গীর আলমকে। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডিতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
খুলনা পাবলিক কলেজের ছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যার দায়ে ১৭ আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে যে সব আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে সাব্বির হাওলাদার (১৬), বিএম মাজিব হাসান রয়েল (১২), শাহারিয়ার জামান তুর্য্য (১৭), রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত (১২), ফাহিম ইসলাম মনি (১৪), সানি ইসলাম ওরফে আপন (১৩), জিসান খান (১৫), তারিন হাসান ওরফে রিজভী (১৩), শাকিব খান শিমুল (১৭), অন্তর কুসার দাস (১৫), মো.হাকিম (১৭), সৈকত (১৬), শেখ সাকিব (১৭), আসিফ প্রান্ত আলিফ (১৫), শেখ তামিম (১৬), সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল (১২), মোস্তফিজুর রহমান নাঈম (১৪)।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কনসার্ট দেখার জন্য কলেজের উদ্দেশে রওনা হয় রাজিন। রাতে অনুষ্ঠানস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে আসামি তামিমের সঙ্গে রাজিনের হাতাহাতি হয়। রাত ৯টার দিকে রাজিনকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে নিয়ে গিয়ে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। একপর্যায়ে সাব্বির বলে আমার কাছে চাকু আছে। অনেকদিন চাকুটি রক্ত খায় না। এরপর মামলার অন্যান্য আসামিরা রাজিনের হাত চেপে ধরে। আর সাব্বির চাকু দিয়ে রাজিনের পেটে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আসামিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পরে স্থানীয়ার গুরুতর আহত রাজিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ছয় জন আসামির নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০ জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নরসিংদীতে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় মা, ছেলে ও মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের বাবলা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের রাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৬), তার ১২ বছর বয়সী ছেলে রাব্বি শেখ ও সাত বছরের মেয়ে রাকিবা শেখ।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টয়লেট থেকে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, রবিবার সকালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরে তাদের তিন জনের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে থানার পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যমুনায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, কে বা করা হত্যা করেছে তা পরে বলা যাবে।