হত্যা
শরীয়তপুরে স্কুলছাত্র হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরের জাজিরায় অপহরণের পর এক স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় সাত আসামির মধ্যে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস এবং একজনের রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
নিহত স্কুল ছাত্রের নাম শাকিল মাদবর। সে উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়লকান্দির এলাকার ছালাম মাদবরের ছেলে এবং স্থানীয় আ্যাম্বিশন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নাম ইমরান মোড়ল ও সাকিব বাবু।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আক্তার মাদবর, সজিব মাঝি, মহসিন হাওলাদার ও স্বপন সরদার।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্র হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
আর আসামি বাবু ফরাজীর উচ্চ আদালতে আপীল থাকায়, তার রায় স্থগিত রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আপীল নিস্পত্তি হলে বাবু ফরাজীর রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।
জানা যায়, ক্রিকেট খেলার নাম করে ২০২০ সালের ২৫ জুন শাকিল মাদবরকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবীতে শাকিলকে হত্যা করে পদ্মা সেতুর ৩৯ নং পিলারের নিকট মাটিতে পুঁতে রাখে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শাকিলের বাবা ছালাম মাদবর জাজিরা থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিলকে ক্রিকেট খেলতে ডেকে নেয়া সাকিব বাবুকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব বাবুর দেখানো জায়গা থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সাত জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা হয়। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ উভয়ই এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
মামলার বাদী ছালাম মাদবর বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে অন্যান্যদের আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় আজ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে, অন্যান্যদের খালাস দিয়েছেন আদালত। আমি এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছি। আমি উচ্চ আদালতে যাবো।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, একটি লোমহর্ষক ঘটনা ছিল। আাসমিরা মুক্তিপনের দাবীতে শাকিল মাদবর নামে এক কিশোরকে অপহরণ করে হত্যা পরবর্তী লাশ গুম করে। সেই মামলায় আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেই অন্যান্যরা আসামি হয়েছে। আজ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে অপর চার জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি বাবু ফরাজীর পক্ষে উচ্চ আদালতে আপলীল থাকায় তার রায় স্থগিত রাখা হয়েছে। বাদী উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আমি তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুরাদ বলেন, আমার আসামি ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেব।
আরও পড়ুন: খুলনায় শহীদুল হত্যায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চালককে হত্যা, অটোরিকশা ছিনতাই
গাজীপুরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের মৃত হারেছ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চালককে হত্যা পর অটোরিকশা ছিনতাই
স্থানীয় ও পুলিশ জনায়, উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘর থেকে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে স্বজনরা খালি ঘরে চালকের লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে দেখে ফেলায় আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
সিলেটে কলেজছাত্র হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কলেজছাত্র সোহেল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোমিনুন নেসা এ রায় দেন।
নিহত সোহেল আমিন সিলাম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল কাইয়ুম আনা মিয়ার ছেলে। তিনি মদনমোহন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রফিক বক্স। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার টিলাপাড়া গ্রামের মৃত তছির বক্সের ছেলে রফিক বক্স। এসময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিক বক্সের স্ত্রী সাথী বেগমকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের কলেজছাত্র সোহেল আমিন এশার নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি রফিক বক্স ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সোহেল আমিনকে হত্যা করে। দীর্ঘবিচার শেষে রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন আদালত।
মামলা পরিচালনাকারী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জোবায়ের বখত বলেন, আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একজন কলেজছাত্রকে হত্যা করে। আদালত প্রকৃত দোষী রফিক বক্সকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অপর আসামি তার স্ত্রীকে খালাস প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: কারাগারে আশিষ চৌধুরী
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক আগামি ১০ এপ্রিল জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
এর আগে দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামীম হোসেন সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আশিষ রায় চৌধুরীকে আদালতে হাজির করেন।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা: ২৪ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম আশরাফ চৌধুরী জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানির জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই জানিয়ে ১০ এপ্রিল জামিন শুনানির প্রার্থনা করেন।
আদালত নিবেদন মতে জামিন শুনানির তারিখ ১০ এপ্রিল ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে র্যাব-১০ এর অভিযানে রাজধানীর গুলশান থেকে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে (৬৩) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২২ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ বোতল সোডা ওয়াটার, একটি আইপ্যাড, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, দুটি আইফোন ও নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার রাতে র্যাব-১০ এর ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ মার্চ
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস সিলেন্ডার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লার ইসদাইর রেললাইন সংলগ্ন রাজ্জাকের ভাঙারি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম (৩০) মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার পাড়াগাঁও গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার ঋণ শোধ করতেই নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যা
এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- আলী ও অসিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম।
নিহতের স্ত্রী সুরমী জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেউ একজন ফোন করে জানান যে তোমার স্বামীকে রাজ্জাকের ভাঙারির দোকানে রাজ্জাকসহ কয়েকজন মিলে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে পাই।
আরও পড়ুন: নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
খুলনায় শহীদুল হত্যায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
খুলনা নগরীর জোড়াগেট এলাকার আলোচিত শহীদুল হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. মুরাদ হোসেন গাজী।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সুমন মল্লিক ও আশিকুর রহমান আশিক (মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি ) কালু ওরফে ছোট কালু ও মো. তালেব হাওলাদার (যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি)। এদের মধ্যে তালেব বাদে সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
আদালত সূত্র জানায়, সাইদুল জোড়াগেট এলাকার হাজেরা বেগমের ছেলে। পেশায় একজন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ছিল। গত ২০১৭ সালের ১১ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মা আটজনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান দুই আসামি বাবু ওরফে গুড্ডু বাবু ও আল মাহমুদ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় তাদের নাম বাদ দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলনা থানার ইন্সপেক্টর সৈয়দ মেশারেফ হোসেন একই বছরের ২২ আগস্ট সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মুন্সীগঞ্জে জমি পাহাড়ায় থাকা ঘুমন্ত যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত ১
মুন্সীগঞ্জে চরাঞ্চলের আলুর জমি পাহারা দিতে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় কয়েকজন দুর্বৃত্তের হামলায় এক যুবক নিহত ও তার বন্ধু আহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার সুমার ঢালিকান্দিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত যুবকের নাম মিজান খাঁ (২১)। তিনি সুমার ঢালীকান্দি গ্রামের আকবর খাঁর ছেলে। আর আহত যুবকের নাম আব্দুর রহমান।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার চরাঞ্চল সুমার ঢালিকান্দিতে জমি থেকে তোলা আলুর নিরাপত্তায় স্তূপের পাশেই ঘুমিয়ে ছিলেন দুই বন্ধু। রাত দেড়টার দিকে আকস্মিক হামলা চালায় মিজি গ্রুপ। বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিজান খাঁ। মাথায় কোপের আঘাতে আহত আব্দুর রহমানকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, পুলিশ ক্লু-পেয়েছেন, আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা কমপক্ষে পাঁচজন ছিল।
নিহতের খালাতো ভাই ও জমির মালিক সুমন ঢালী জানান, মিজান গত ছয় মাসধরে তার সঙ্গে কৃষি কাজ করতেন। গত দুই মাস আগে জমিতে ঔষধ ছিটানোর সময় পাশের জমির মালিক সুপার মিজির সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তার ধারণা।
আরও পড়ুন: রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা: আপিলে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা!
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা: আপিলে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার আসামিপক্ষের আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।এর আগে হাইকোর্টও একই রায় দিয়েছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত অধ্যাপক ড.তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো.জাহাঙ্গীর আলম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল থাকা দুই আসামি হচ্ছেন- মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
এর আগে ১৬ মার্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ এপ্রিল দিন রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, শুধুমাত্র প্রমোশনের জন্য একজন শিক্ষককে হত্যা একটি জঘন্যতম ঘটনা। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, আসামিরা এখন চাইলে এ রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। তারপর রিভিউ খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন। সেটিও নাকোচ হলে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার এহসান ই সিদ্দিকী। পরে এহসান এ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, আসামিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করা হবে।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ বছর ধরে এর জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছি, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় কার্যকর হলে পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট হবো।
হত্যাকাণ্ডের সময়কার ঘটনা উল্লেখ করে সুলতানা আহমেদ বলেন, খুনি আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তা আমাদের চিন্তার বাইরে। সে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা মস্তিস্কে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাড়ির ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। সবচেয়ে বড় কথা তার সাজা কার্যকর হোক।
এ রায়ে আদালতে উপস্থিত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী ও মেয়ে শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের লাশ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।
এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেন।
২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাবির ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৫টায় উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আতিকুর রহমান সুমন (২৮) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলিপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, বাঘাউড়া গ্রামের বাজারে সুমনের একটি ফার্নিচারের দোকান আছে। তিনি ওই গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। সোমবার ভোরে সেহেরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেন তিনি। খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কে বা কারা তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
শ্রীপুরে পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১
গাজীপুরের শ্রীপুরে অপু দেওয়ান নামে এক শ্রমিককে পায়ুপথে বায়ু ঢুকিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার শ্রীপুরের মাধখোলা এলাকার আনোয়ারা মান্নান টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনায় রাজু নামে অপুর এক সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত অপু মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান পূর্ব শিয়ানদি গ্রামের পলাশ দেওয়ানের ছেলে। সে স্থানীয় মাস্টারবাড়ি এলাকার সামাদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই কারখানায় কাজ করতো। বর্তমানে তার লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল রয়েছে।
পুলিশ জানায়, অসাবধানতাবশত পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্ত রাজু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অপু মারা যান। এ ঘটনায় রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে একজন আটক রয়েছে।