হত্যা
ড. জাফর ইকবাল হত্যা চেষ্টা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে শেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. এম এ মামুন।আদালতের বিশেষ পিপি মুমিনুর রহমান টিটু সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্নের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী ২১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা চালায় ফয়জুর নামের এক যুবক। ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সে। আহত অবস্থায় জাফর ইকবালকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।
এতে ফয়জুরকে প্রধান আসামি করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
ওইদিন ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর শিক্ষার্থীরা গণপিটুনি দিয়ে ফয়জুরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত হিসেবে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরি ও ফয়জুরের বাইসাইকেল উদ্ধার করে। পরে ৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ফয়জুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। তার আগে ২৬ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
শফিউদ্দিন হত্যা: কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ মার্চ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আগামী ২০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন এই দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাদিয়া আফরিন শিল্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাদিয়া আফরিন বলেন,‘আসামিদের উপস্থিতির জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিলো। আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটনকে হাজির করা হয়নি। এছাড়া আসামি আদনান সিদ্দিকী, ফারুক আব্বাসী পক্ষ সময়ের আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য শুরুর এই দিন ধার্য করেন বিচারক।’
আরও পড়ুন: জায়েদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত
ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও সেলিম খানের পক্ষে কোন পদক্ষেপ নেননি তাদের আইনজীবীরা। বাকি দুই আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী পতালক আছেন।
নথি সূত্রে জানা যায়, মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে দীর্ঘদিন বিচার কাজ স্থগিত ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: জাপা নেতা রুহুল আমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেন। আসামিরা হলেন, আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল৷
মাগুরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা: গ্রেপ্তার ৩
মাগুরার শ্রীপুরে সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এক যুবককে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তখলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- জোয়ারদার আবু দাউদ, ফারুক শেখ, ও তরিকুল ইসলাম।
নিহত রাজু শেখ (৩০) তখলপুর গ্রামের আক্তার শেখের ছেলে এবং বর্তমান ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনের সমর্থক।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ২০ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুখদেব রায় জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের লোকজন রাজু শেখের ওপর অতর্কিত হামলা করে কুড়াল দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হলে পথিমধ্যে রাত সোয়া এগারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলা: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই গ্রেপ্তার
খুলনায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার খড়িয়া ভড়েঙ্গার চকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুখেন্দ্র নাথ (৩৫) ওই এলাকার মৃত গোষ্ট বিহারী সরদারের ছেলে।
স্থানীরা জানায়, সুখেন্দ্র খড়িয়া ভড়েঙ্গার চক এলাকায় নিজ মাছের ঘেরে যাচ্ছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুক, হাতসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ঘেরের পানিতে ফেলে দেয়। পানিতে ভারি কিছু ফেলার শব্দে আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সুখেন্দ্র মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তার মরদেহ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
নাটোরের লালপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে যুবককে ৪ দফা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নরসিংদীতে এক যুবককে চার দফা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত মন্টি দত্ত (৩৮) নরসিংদী শহরের উত্তর কান্দাপাড়া পাতিলবাড়ি রোড এলাকার মৃত নিরঞ্জন দত্তের ছেলে।
নিহত মন্টির পরিবারের সদস্য ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, রবিবার সকালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে মন্টির কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে শাকিল ওই সময় মন্টিকে কয়েকটি চড় মারেন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সকালের ঘটনার বিষয় নিয়ে ফখরুলের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ফখরুল তার সঙ্গীয় ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে আবার পিটিয়ে মন্টির মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে প্রতিশোধ নিতে মন্টি লোক জড়ো করছেন এমন খবর পেয়ে ফখরুল ও তাঁর সহযোগীরা পুনরায় পাতিলবাড়ি রোড এলাকায় গিয়ে তাঁকে চতুর্থ দফায় মারধর করে।
নিহত মন্টির স্ত্রী তৃণা দত্ত বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে খবর পেয়ে তাঁর স্বামী মন্টি দত্তকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। রবিবার রাত আটটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা লোপা চৌধুরী বলেন, ওই যুবককে জ্ঞানহীন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর লাশ রাতেই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক
চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাচাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা মামলায় আদালত তিন ভাতিজাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় দেন।
নিহত চাচা নূরুল হুদা চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চকরিয়া থানার বদরখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার নূরুল আজিজের তিন ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইউনুছ মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তাফা কাইয়ুম।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যা: স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন- একই এলাকার নূরুল আজিজের ছেলে মো. সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন সাফায়াত নামে একজন। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া বাকিরা পলাতক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন বদরখালী বাজারের চায়ের দোকানে বসে টিভি দেখছিলেন নূরুল হুদা। এসময় টিভির খবর দেখে তিনি ‘একে একে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’ বলে মন্তব্য করেন। এ মন্তব্য শুনে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়া। পরে অন্য আসামিদের নিয়ে অটোরিকশায় করে তাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান। ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত রায় দেন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে হত্যা: স্বামীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেকে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত কিশোর ইব্রাহীম (১৭) মারা গেছে। শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের (ঢামেক) চিকিৎসক ইব্রাহীমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পারভীন ও ইয়াসিন নামের দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত ইব্রাহীম সদর থানার আলীরটেকের ক্রোক্রেরচর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইব্রাহিম ও তার বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ শাওন ও তার বন্ধুদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ওয়াজ মাহফিলে ইব্রাহীমকে দেখতে পেয়ে প্রতিপক্ষের সদস্যরা ইব্রাহীমকে এলোপাথারি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ শাওনের মা পারভীন একটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ইব্রাহীমের মাথায় আঘাত করে বলে জানায় এলাকাবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় ইব্রাহীমকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) আনা হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রের্ফাড করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে শনিবার সকালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সবাইকে শান্ত হওয়ার জন্য আহ্বান করেন এবং ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: রামুতে গ্রামের হেডম্যানকে কুপিয়ে হত্যা
আলীরটেক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রওশন আলী জানান, এর আগেও এলাকাতে কিছু ছেলে নানা ভাবে অশান্তির সৃষ্টি করেছে। আমি বেশ কয়েকবার তাদের সর্তক করেছি। আমি প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এতে ইব্রাহীম নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।পারভীন ও ইয়াসিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, কিশোরকে কুপিয়ে জখম
লক্ষ্মীপুরে মাকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আল্লামা হযরত শেখ অছিয়র রহমান ফারুকী (রহ.) এতিমখানা ও হেফজখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইফতেখার মালিকুল মাশফিক (৭) একই উপজেলার ফকিরাখালীর আব্দুল মালেকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
এদিকে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদসারা ঘিরে রেখেছেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, সকালে মাদরাসায় এক ছাত্রের গলাকাটা লাশের খবর পেয়ে পুলিশের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তারা সেখানে গেছেন। শিশুটিকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ংওয়ান কর্মকর্তার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ৫টি বনবিড়াল পিটিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গায় মা ও বাচ্চাসহ পাঁচটি বনবিড়াল হত্যা করেছে এলাকাবাসী। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রামের মাদরাসাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
দীননাথপুর গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের বাড়ির রান্নাঘরে খড়ির ভিতরে চারটি বাচ্চাসহ মা বনবিড়াল অবস্থান করছিল। সেগুলো দেখে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নূরী বেগম স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়দের চার বাচ্চাসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা করে পাশেই মাটি চাপা দিয়ে দেয় তারা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তালগাছ পড়ে নারীর মৃত্যু
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী সংগঠন ‘কেয়ার ফর আনক্লেইমড বিস্ট' এর সভাপতি স্কুল শিক্ষক বখতিয়ার হামিদ।
তিনি জানান, ঘটনা শোনার পর সংগঠনের একজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা জাকির হোসাইন বলেন,বন বিড়ালগুলো পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি আমি জেনেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন: মিলছে না ন্যায্যমূল্য, লোকসানে চুয়াডাঙ্গার পান চাষিরা
চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে ২ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
টাকা ও স্বর্ণ লুট করতেই মা-মেয়েকে হত্যা করেন জোবায়ের: পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণ লুট করতেই মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত যুবক আল জোবায়ের (২৬)। তার বরাত দিয়েই নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের পুলিশের কাছে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জোবায়েরের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম নূর মহসিনের আদালতে অভিযুক্ত জোবায়েরকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে অভিযুক্ত জোবায়েরকে আসামি করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত রুমা চক্রবর্তীর স্বামী রামপ্রসাদ চক্রবর্তী।
গ্রেপ্তার জোবায়ের শহরের পাইকপাড়ার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে জোবায়েরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মসজিদে নামাজরত মুসল্লিকে হামলা: আসামি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু বলেন, ‘জোবায়েরকে আমরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, তার নিজের চলার জন্য টাকা দরকার। এ কারণে নিতাইগঞ্জের সবচেয়ে বড় বাড়িটি তিনি টার্গেট করেন। ছয়তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে কলিংবেল বাজিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ফ্ল্যাটের কেউ দরজা খোলেননি। তখন পাশের রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে কলিংবেল চাপেন তিনি। ওই ফ্ল্যাটের দরজা খুললে ভেতরে ঢুকে রুমা চক্রবর্তীর গলা চেপে ধরেন জোবায়ের। এ সময় রুমার গলার মালা ছিনিয়ে নেন। এরপর ছুরি মেরে রুমাকে হত্যা করেন। রুমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ঋতু চক্রবর্তী এগিয়ে এলে তাকেও ছুরি মেরে হত্যা করেন জোবায়ের।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জোবায়ের বলেছেন যে পাশের রুমে রামপ্রসাদ চক্রবর্তীর ছেলের বউ শীলাকে বঁটি দিয়ে কোপাতে গেলে তিনি ধাক্কা দেন। এতে জোবায়ের ঘরের মেঝেতে থাকা রক্তে পা পিছলে পড়ে যান। তখন শীলা দৌড়ে বঁটি নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসেন। জোবায়েরও নিচে নেমে আসেন। শীলার হাতে বঁটি ও নিচে অনেক লোক দেখে জোবায়ের আবার ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। ’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন,এ ঘটনায় অভিযুক্ত জোবায়েরকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের একটি বহুতল ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে ঢুকে মা ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এসময় অভিযুক্ত জোবায়েরের ব্যাগ থেকে দুটি সোনার মালা ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়। জোবায়ের ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। পরে আর্থিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৬ ভাই নিহতের মামলায় পিকআপ মালিক গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করায় গ্রেপ্তার ১