হত্যা
ফেনীতে প্রবাসী হত্যা, পলাতক স্ত্রী চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার
ফেনীতে এক প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পলাতক স্ত্রীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেফতারের সময় প্রবাসীর দুই সন্তানকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
নিহত ওই প্রবাসী সোহেল (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তার স্ত্রীর নাম রোকেয়া আক্তার শিউলী (২৮)।
শনিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ নুরুল আবছার। রবিবার সকালে র্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
একটি সূত্রে জানা গেছে, ফেনী থেকে পালিয়ে রামগড় দিয়ে শিউলী দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চলে আসে। শনিবার দিনভর ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘরে ভাড়া বাসা খুঁজতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে র্যাব-৭ এর একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য শুক্রবার ফেনী শহরের সুফি সদর উদ্দিন সড়কে চৌধুরী সুলতানা ভবনে প্রবাসী স্বামী মো. সোহেলকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার পর দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায় বলে রোকেয়া আক্তার শিউলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসী সোহেল (৩৫) পরিবার নিয়ে ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহেল প্রায় ১২ বছর ধরে দুবাই ছিলেন। আট বছর আগে দেশে ফিরে তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের শিউলি আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপর আবার দুবাই চলে যান। এক মাস আগে দুবাই থেকে তিন মাসের ছুটিতে দেশে আসেন সোহেল।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সোহেলকে কুপিয়ে হত্যার পর দুই সন্তান রিহান (৭) ও জান্নাতকে (৪) নিয়ে পালিয়ে যান রোকেয়া আক্তার। গভীর রাতে বের হওয়ার সময় বাসার দারোয়ানকে জানান, তার বাবা মারা গেছেন, সেখানে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র অফিসে হামলা: গ্রেপ্তার ২১
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সোর্সকে ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাকিমপুর থেকে মনিরুল ইসলাম মনি নামের এক পুলিশ সোর্সের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববতী পুকুরপার থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
নিহত মনিরুল ইসলাম মনি (৪০) আলমডাঙ্গা উপজেলার খাশকররা ইউনিয়নের হাকিমপুর মাঝপাড়ার মৃত আকছেদ আলীর ছেলে। নিহত মনি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
নিহত মনির স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে তার স্বামী মনিরকে মোবাইল ফোনে কেউ কল করে। তার পরপরই মনি বাইরে বের হয়ে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তাকে খুঁজতে বের হই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১ টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিবারের লোকজন মনিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাছিমা খাতুন আরও বলেন, তার স্বামী মনি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছে।
আরও পড়ুনঃ কাজী আরেফ হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রওশন গ্রেপ্তার
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আহসানুল হক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মনির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, মনির প্রতিবেশী মুঞ্জুর আলী জানান, রাত সাড়ে ১০ কি ১১ টা বাজে। এ সময় ঠাস করে কিসের যেন শব্দ হয়। বাইরে বের হয়ে দেখি মনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
এদিকে, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড় থেকে মনিরুল ইসলাম মনি নামের একজনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মূলত দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর উলচাপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
নিহত শাহীন মিয়া (২৫) শহরের পশ্চিম মেড্ডা মৌবাগ এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ছিনতাইকারীর গুলিতে বিয়ানীবাজারের যুবক নিহত
নিহতের পরিবার জানায়, রাতে শাহীন তার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে উলচাপাড়া যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় শাহীন তার বাবাকে ফোন করলে পরিবারের লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ছিনতাই হওয়া ট্রাক কুষ্টিয়ায় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কাজী আরেফ হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রওশন গ্রেপ্তার
জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রওশন ওরফে উদয় মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে রাজশাহী শহরের বড়ালীপাড়া থেকে র্যাবের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি এএনএম ইমরান খান বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ আ’লীগে যোগ দিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জাসদের অর্ধশত নেতা কর্মী
খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল রাজশাহী শহরে অভিযান চালিয়ে ৫৭ বছর বয়সী রওশন ওরফে উদয়কে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রওশন বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন জেলায় পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ফেনীতে ডিবির ওসিসহ ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, স্বর্ণের বার উদ্ধার
মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে আমরা দায়রা জজ আদালতে আপিল সংক্রান্ত মিস মামলা করেছি। তবে সেখানেও জামিন মেলেনি।
আরও পড়ুনঃ মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে জামিনের বিরোধীতা করে। আদালত শুনানি শেষে বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা।
আরও পড়্রুনঃ মিতু হত্যা: ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তার
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মদ শাকিল ও মো. সাহাব উদ্দিন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।
আরও পড়ুনঃ মিতু হত্যা: পলাতক ৩ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলা তদন্ত করার জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর কাছে হস্তান্তর করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির শোকাবহ দিন: খুলনার মেয়র
১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত শোকাবহ একটি দিন বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়।’
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
রবিবার খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল খালেক বলেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভারত ফেরত এক কোটি নাগরিকদের পুনর্বাসন করাসহ বহু কাঙ্খিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে তিনি দেশে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদবুদ্ধ করতে শিশুদের অংশগ্রহণে প্রতিবছর এই দিনে যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় করোনা সংক্রমণের কারণে সে আয়োজন সম্ভব না হওয়ায় সিটি মেয়র দুঃখ প্রকাশ করেন।
কেসিসি’র ক্রীড়া ও সংস্কৃতি স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেয়র প্যানেলের সদস্য মো. আলী আকবর টিপু ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আজমুল হক প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ কমিশন: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে যে কমিশন গঠন করা হবে তা অবশ্যই নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সকলের পরিচয়, সকলের ন্যাক্কারজনক কাজ সাক্ষ্যপ্রমাণসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হবে।’
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ জনসম্মুখে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ইনডেমনিটি নামক কালো আইন দ্বারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে তার পিতা-মাতাসহ আপনজনদের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণ ক্ষ্যান্ত হবে না।
আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরহংকার, সাদামাটা মানুষ। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মতো আমাদেরকে চলতে হবে। তার আদর্শ ধারণ করতে হবে। ব্যক্তি শেখ মুজিব কি জিনিস ছিলেন সেটাও ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শদীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সলিসিটর রুনা নাহিদ সহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
কুমিল্লায় ১৯ দিনের শিশুকন্যা হত্যায় মা কারাগারে
কুমিল্লার মুরাদনগরে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় শ্বশুর-শাশুড়ীর মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে ১৯ দিনের কন্যা শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে এক মা। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বাইড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার টনকি ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের একটি খাল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত রহিমা আক্তার রত্না (২০) ওই গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের স্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ছোটমণি নিবাসে বালিশচাপা দিয়ে শিশু হত্যা: আয়ার দায় স্বীকার
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা রহিমা আক্তার রত্নাকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বাইরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে প্রবাসী মজিবুর রহমানের সাথে এক বছর আগে বিয়ে হয় রাহিমা আক্তার রত্নার (২০)। গত ২৫ জুলাই ২০২১ একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন রহিমা।
আরও পড়ুনঃ মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যার অভিযোগে ২ কিশোর আটক
পুলিশ জানায়, রহিমা কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় তার শ্বশুর-শাশুড়ী প্রায়ই মানসিক নির্যাতন করতো। এদিকে সাংসারে আর্থিক অনটনের কারনেও মানসিকভাবে কষ্ট দিতো। এমতাবস্তায় মানসিক কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গত ১২ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে রহিমার শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর বাড়ির পাশে জমিতে কৃষি কাজে গেলে এই সুযোগে রাহিমা তার ১৯ দিনের শিশু কন্যাকে বাড়ির পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে রহিমার শাশুড়ি জমি থেকে ফিরে তার নাতনীকে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার, সাব-ইন্সপেক্টর শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে পুলিশের সন্দেহ হলে ঘটনাস্থলের পাশের খালে জাল ফেলে তল্লাশি চালিয়ে খাল থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশ শিশুটির মা রাহিমা, দাদী রহিমা, দাদা বাচ্চু মিয়া, ননদ হালিমাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় মা রাহিমা আক্তার রত্না নিজে পানিতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি জানায় যে, শিশুটি জন্মের পর থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন মানসিক অত্যাচার, শ্বশুর শাশুড়ির নানান কথাবার্তা ও আর্থিক দৈন্যতার কারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে শিশুটিকে খালে ফেলে দেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় নিহতের দাদা বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানায় ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মা রহিমাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াকে জড়ানো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা: ফখরুল
বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে সরকার।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) মনে করি সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ইতিহাস মিথ্যা ও বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের অপপ্রচার শুধুমাত্র ঘটনা গোপন করার চেষ্টা।’
আরও পড়ুনঃ কল কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন এবং এর প্রমাণ জনগণের সামনে প্রকাশ করা হবে।
পদ্মা সেতুর নিচে বারবার জাহাজ ধাক্কা খাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ধরনের ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট থেকে ফেরি চলাচল আগে সরানো উচিত ছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। নদীতে স্রোত খুবই শক্তিশালী এবং এই সময়ে জাহাজগুলো কিছুটা অন্যদিকে যেতে পারে।’
‘পরিস্থিতি শাসক দল এবং তাদের দলের লোকদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে। তারা সংকটের কথা উল্লেখ করে একসঙ্গে একটি নতুন ফেরি টার্মিনাল তৈরির চেষ্টা করতে পারে। এটি তাদের নতুন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সুযোগ দেবে,’ বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ জনসম্মুখে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার রাতে যাত্রীদের পদ্মা নদী পার হতে শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া ফেরি টার্মিনাল ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি সংকটই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে যানবাহন ফেরানোর কারণ।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
শুক্রবার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা কমাতে শিমুলিয়া বা বাংলাবাজার ফেরি টার্মিনালের যে কোনো একটিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হতে পারে।
গত দুই মাসে জেলায় এ ধরনের অন্তত পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের এক বিএনপির নেতাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও দুইজন। শুক্রবার ৮ টার দিকে স্থানীয় আন্ডারচর ইউনিয়ন এর তালতলা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই আমিনুল হক জানান হারুনুর রশীদ মোল্লা আন্ডারচর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। কিছু দিন আগে হারুন এর ছেলে সজিবের সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের অস্ত্রধারী ক্যাডার।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ১৪ লাখ ছাড়াল
ওই ঘটনার জের ধরে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর থেকে সজিবকে খুঁজতে থাকে। এই খবর পেয়ে সজিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ মোল্লা সজীবের সন্ধানে স্থানীয় চৌকিদার বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় তালতলা নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী যুবকেরা প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং পরে গুলি করে মারাত্মক আহত করে।
এ সময় তার সাথে থাকা ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে (২৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সন্ত্রাসীরা। অস্ত্রধারী যুবকেরা ঘটনা স্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা আহত দের দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
আমিনুল হক আরও জানান নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা ২০১১ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে আন্ডারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৬ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তার এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ক্ষমতাশীল দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে বলে তার বড় ভাইয়ের ধারণা।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হক জানান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা এবং কেনো এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।