উদ্বোধন
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ১১ নভেম্বর
আগামী ১১ নভেম্বর (শনিবার) মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য তারা প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিভিত্তিক অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট (৬০০ মেগাওয়াট) চলতি বছরের ২৯ জুলাই জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'এখন প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটটি সংযুক্ত করা হচ্ছে।’
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) দুটি ইউনিট বিশিষ্ট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করেছে।
জাইকা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের সুবিধার্থে একটি গভীর সমুদ্র বন্দরও নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে কয়লা খালাসের জন্য জেটির কাজ প্রায় শেষ। জেটিতে জাহাজও চলাচল শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি গভীর সমুদ্র বন্দরও উদ্বোধন করবেন।
পূর্ণ সক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ১৩ হাজার ১০৪ টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এর জন্য কয়লা সরবরাহ জেটি এবং সাইলো (বিশাল সিলিন্ডার) নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ি চ্যানেলে টাগশীপ ডুবি, চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
৬০ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা বিশাল সাইলোতে রাখা হয়েছে। ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বৃহৎ জাহাজ সরাসরি কয়লা জেটিতে প্রবেশ করতে পারে। আর বৃহৎ জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই দিন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছর আজীবন ছাই সংরক্ষণের জন্য দুটি পৃথক অ্যাশপন্ড রাখা হয়। একটির আয়তন ৯০ একর, অন্যটির আয়তন ৬০০ একর। কয়লা সংরক্ষণের জন্য ৮০ একর জমিতে কয়লা ইয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে এ প্রকল্পের জন্য একটি ঋণ চুক্তি সই হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার সহায়তা রয়েছে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেটি নির্মাণ ও ভৌত অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে।
সিপিজিসিএলের কর্মকর্তারা জানান, পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬৪ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ প্রথম আসে চলতি বছরের ২৩ জুন।
আরও পড়ুন: খরচ বেড়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের
ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানার উদ্বোধন ১২ নভেম্বর
আগামী ১২ নভেম্বর নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে কারখানা প্রাঙ্গণে শনিবার (৪ নভেম্বর) সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাড়বে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম।
২০১৮ সালের অক্টোবরে নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গত ২১ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
এর বার্ষিক সার উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ লাখ টন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে এবং সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হলে দৈনিক ২৮০০ টন (বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন) গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরু্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের বিভিন্ন প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট, ইউরিয়া প্ল্যান্ট ও ইউটিলিটি দৃশ্যমান।
এছাড়া, পিডিবি থেকে পাওয়ার রিসিভিং, ইমাজেন্সি ডিজেল জেনারেটরের লোড টেন্ট সম্পন্ন হয়েছে, কুলিং ওয়াটার সিস্টেমে ওয়াটার ফ্ল্যাশিং ও কেমিক্যাল ক্লিনিং, নাইট্রোজেন ইউনিটের ইন্সট্রুমেন্ট এয়ার কম্প্রেসারের প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল সেবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এই অংশের কার্যক্রম উপলক্ষে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এর ফলে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সেবা চালু হবে।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আজ মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ৩টি স্টেশন- ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিলে মেট্রোরেল ৪ ঘণ্টা চলবে। বাকি স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তিনি এমআরটি নর্দার্ন রুটের নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৭টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীরা মাত্র ৩৮ মিনিটে যাতায়াত করতে পারবেন।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পটিকে সহায়তা করার জন্য ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার অবশিষ্ট অর্থ প্রদান করেছে।
প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
আরও পড়ুন: ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী আজ মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন
আজ (শনিবার) মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন এবং মেট্রোরেলে মতিঝিল যাবেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ৩টি স্টেশন- ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিলে মেট্রোরেল ৪ ঘণ্টা চলবে। বাকি স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তিনি এমআরটি নর্দার্ন রুটের নির্মাণ কাজও উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন ৪ নভেম্বর, বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল
৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৭টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো- বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল।
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীরা মাত্র ৩৮ মিনিটে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথভাবে উদ্বোধন করা ভারতের সহায়তায় ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প এই উপ-অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণকে উপকার করবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমি ১ নভেম্বর যৌথভাবে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছি। আমি আশা করি এই প্রকল্পগুলো উভয় দেশ এবং এই উপ-অঞ্চলের জনগণের উপকার করবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'গ্লোবাল স্টার': মোমেন
প্রকল্প ৩টি হলো- ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার আখাউরা-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন; এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ৫ বছরের মেয়াদে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের নতুন আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের প্রার্থিতা সমর্থন করায় ভারত সরকার ও নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেখ হাসিনার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ নেপালের একমাত্র প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেই সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের একে অপরের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ।’
সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অবস্থা নিয়ে দু'জনেই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সিরাজ-উদ-দৌলা খান ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ নভেম্বর করার একটা সম্ভাব্য সময় থাকলেও একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ উদ্বোধন করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর।
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তার একদিন আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ রেলপথ।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
এনায়েতউল্লাহ খানকে সভাপতি করে ইন্টারন্যাশনাল সিকিপারস সোসাইটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধন
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্বব্যাপী মহাসাগর ও জলবায়ু রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সিকিপারস সোসাইটি।
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রধান সম্পাদক ও কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতউল্লাহ খানকে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ইন্টারন্যাশনাল সিকিপারস সোসাইটি, এশিয়ার সভাপতি জুলিয়ান চ্যাং বলেন, ‘আমরা ইন্টারন্যাশনাল সিকিপারস সোসাইটি, বাংলাদেশ নামে একটি চ্যাপ্টার চালু করেছি। বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি হিসেবে খানের নিয়োগ কার্যকর হবে চলতি বছরের ২০ অক্টোবর থেকে।’
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় বিশ্ব সংবাদ সংস্থার সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন এনায়েতউল্লাহ খান
জুলিয়ান চ্যাং তার চিঠিতে লিখেছেন, এই চ্যাপ্টারটি ইন্টারন্যাশনাল সিকিপারস সোসাইটি, এশিয়ার একটি চ্যাপ্টার। এই চ্যাপ্টারের সমস্ত বিষয় আন্তর্জাতিক সিকিপারস সোসাইটি, এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবে। সেই সঙ্গে এসব বিষয়ের অনুমোদনও দেবে আন্তর্জাতিক সিকিপারস সোসাইটি, এশিয়া।
১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সিকিপারস সোসাইটি বিশ্বব্যাপী মহাসাগর ও জলবায়ু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনআইসি সদস্য হলেন এনায়েতউল্লাহ খান
ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিসা’ ও ‘মাস্টারকার্ডের’ মতো আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে স্থানীয় মুদ্রা কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করেছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কার্ড চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্ডের উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতায় এই ৩ ব্যাংককে টাকা পে কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'দ্য ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ' ব্যবহারের মাধ্যমে 'টাকা পে' জাতীয়ভাবে একই সেবা প্রদান করবে।
প্রাথমিকভাবে, কার্ডটি দেশের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘টাকা-রুপি’ কার্ড চালু করবে যা প্রতিবেশি দেশ ভারতে কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভিসা ও মাস্টারকার্ড পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করা হয়।
এই মাধ্যমগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ কার্ড 'টাকা পে' একই সেবা দেবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলে এটি বিদেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমবে। কারণ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সার্ভিস চার্জবাবদ অনেক অর্থ খরচ করতে হয়।
শুরু থেকেই দেশের সব এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস এবং অনলাইন প্লাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এটি ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ভবিষ্যতে টাকা পে ক্রেডিট কার্ডও আসবে।
এই কার্ডের নিরাপত্তার জন্য ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখন সব ব্যাংকের কার্ডে বাড়তি নিরাপত্তাসহ নতুন ইএমভি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইএমভি প্রযুক্তির সঙ্গে টাকা পে কার্ডও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্যারিস ভিত্তিক কনসালটেন্সি ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশগুলোতেও তাদের কারেন্সি কার্ড রয়েছে। ভারতের কার্ড 'রুপি', পাকিস্তানের 'পাকপে', শ্রীলঙ্কার 'লঙ্কাপে', সৌদি আরবের 'মাদা'।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টাকা পে'র ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রাহক টাকা পে কার্ড ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গণভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইসলামের প্রকৃত বার্তা ছড়িয়ে দিতে সরকারের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৩ এর ষষ্ঠ পর্বে তিনি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন করেন।
মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াইজান এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানস্থলে তিনটি প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মদিনায় মসজিদে নববীর ইমামকে সঙ্গে নিয়ে প্যান্ডেলগুলো পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও ইমাম উভয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশস্থলে সমবেত ইমামদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কথা বলেন।
তিনি জাতীয় ইমাম কাউন্সিলে যোগ দিতে আসায় ইমামদের ধন্যবাদ জানান এবং দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, সরকার দেশের যে উন্নয়ন করছে তা যেন অব্যাহত থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে ধন্যবাদ জানান।
সোমবার মসজিদগুলো উদ্বোধনের ফলে এ ধরনের মডেল মসজিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০টিতে।
সরকার সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় ধাপে ১৬ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ১৭ এপ্রিল এবং পঞ্চম ধাপে ৩০ জুলাই ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের প্রকৃত বাণী ছড়িয়ে দেয়ার কর্মসূচির আওতায় এসব মসজিদ ও কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হবেই: আনোয়ারায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠান ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজাখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে।
২০১৭ সালে সরকার দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও পৌরসভায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তরিকত ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী, মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিলউদ্দিন সরকার সালেহী, মাওলানা এহসানুল হক আল মোজাদ্দেদী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
বার কাউন্সিলের ১৫ তলা ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫ তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন।
১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবনটিতে পর্যাপ্ত অফিস স্পেস, মিটিং রুম, দু’টি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, প্রদর্শনী স্থানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আইন ও বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় বার কাউন্সিল ভবনে ৫টি ট্রাইব্যুনাল কক্ষ, মাল্টিপারপাস হল এবং পৃথক প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবনের উদ্বোধন শনিবার
এছাড়া, এখানে টিভি লাউঞ্জ, কিচেন ও ডাইনিং হলসহ শতাধিক আইনজীবীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভবন উদ্বোধনের পর তিনি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সারা দেশের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণকারী আইনজীবীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন