ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাবিতে ভর্তির সময় বৃদ্ধি, ক্লাস শুরু ২১ ডিসেম্বর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি প্রক্রিয়া ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে একাডেমিক কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং ১ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
ডেপুটি রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম বলেন, সম্প্রতি বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এখন বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স পেয়ে তারা নিয়মিত ভর্তি বাতিল করছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে তাই ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ২১ ডিসেম্বর থেকে প্রথম বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফ
তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে আবাসিক হলগুলোতে উঠে পড়া শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হলগুলিতে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ এবং পূর্ব অনুমতি ছাড়া সেখানে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেনো নেয়া উচিত নয় তা জানতে চেয়ে ছাত্রদের কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ৭ অক্টোবরের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করে বিভিন্ন হলগুলিতে শিক্ষার্থীদের থাকতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনার অন্তত একটি ডোজ নেওয়ার শর্তে পাচঁ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে মাস্টার্স এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
ঢাবিতে পড়ার স্বপ্নভঙ্গ তিথির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নে অনেক রাত নিদ্রাহীন থেকেছে গোপালগঞ্জের তিথি রায়। তবে যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি সে। তাইতো স্বপ্ন ভাঙার নিদারুণ কষ্টে কেন্দ্রের বাইরে কান্নায় ভেঙে পরে তিথি। শেষমেশ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে কেন্দ্র ত্যাগ করে তিথি ও তাঁর স্বজনরা।শনিবার (২রা অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু রাস্তায় প্রচন্ড যানজটের কারণে ভর্তিচ্ছু তিথি কেন্দ্রের গেটে এসে পৌঁছায় ১১ টা ২৫ মিনিটে। ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী এত দেরি করে আসায় তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি সেখানে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষাতাঁর অভিভাবক এবং আশেপাশের কয়েকজন ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষকদের বোঝাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।এসময় তিথির মা গীতা রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের পর থেকে দিন-রাত পড়াশোনায় ব্যস্ত থেকেছে তিথি। আজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে খুব সকালে গোপালগঞ্জ থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। কিন্তু বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদি এলাকায় যানজটে আটকে পরার কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যার্থ হন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিতএ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.খোরশেদ আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তিথি রায় পরীক্ষা শুরুর অনেক পরে উপস্থিত হয়। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে জানালে তারা মেয়েটিকে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হল
করোনা টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ নেয়ার শর্তে ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলগুলো পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন।
শনিবার ঢাবির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় সেমিনার কক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাবির প্রো উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘আত্মহত্যা’ কেন বাড়ছে
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আইডি এবং টিকার কমপক্ষে একটি ডোজের প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন থাকবে, যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হবে।
টিকা পাওয়ার পর আবাসিক হলগুলো প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যায়ক্রমে খোলা হবে।
সিন্ডিকেট বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ভিড় করা যাবে না এবং তথাকথিত 'গণ রুম' রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী টিকা কর্মসূচির আওতায় আসার পর সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ ঠিক করা হবে।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুন:নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ক- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ আগস্ট শুক্রবার, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৭ আগস্ট শনিবার, গ- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ আগস্ট শুক্রবার, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৪ আগস্ট শনিবার এবং চ- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৩১ জুলাই শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। চ - ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (অংকন)-এর তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইট ডাউন: ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন স্থগিত
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন।
পুন:নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ১০ জুলাই ২০২১ তারিখ হতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত ডাউনলোড করা যাবে।
উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষার অন্যান্য নির্দেশনা ও শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
সংস্কারের পর কেমন রূপে ফিরবে টিএসসি?
টিএসসি নামে অধিক পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। এবছর ঢাবির শতবর্ষপূর্তী উপলক্ষে টিএসসির মূল স্থাপনা ঠিক রেখে নতুনভাবে সংস্কার করা হবে।
ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত অধিদপ্তরের তৈরি নতুন নকশার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। যদিও এর কাজ শুরু হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর।
উল্লেখ্য, এর আগে গণপূর্ত অধিদপ্তর পুরো টিএসসি ভেঙে নতুনভাবে করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এই নিয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিলে সেই পরিকল্পনা বাদ দেয়া হয়।
এরপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর মূল স্থাপনা ঠিক রেখে সংস্কারের নতুন নকশা তৈরি করে, যা উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি সভার মাধ্যমে গৃহীত হয়।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ, টিএসসি এবং শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি সংস্কারের পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমরা টিএসসিকে আধুনিক ভাবে তৈরি করতে চাই।’
দেখতে কেমন হবে নতুন টিএসসি ভবন?
নতুন খসড়া নকশা অনুযায়ী, টিএসসির মূল স্থাপনা ঠিক রেখে পূর্বের সুইমিং পুলের জায়গা দশতলা নতুন একটি ভবন তৈরি করা হবে।
টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর ইউএনবিকে বলেন, ‘বর্তমান স্থাপনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন স্থাপনাটি তৈরি করা হবে। টিএসসি-ভিত্তিক সংগঠনগুলো জন্য আধুনিক প্রযুক্তিসহ আলাদা রুমের ব্যবস্থা, রিহার্সালের জন্য আলাদা জায়গা, ইনডোর খেলার সুবিধা, আলাদা ক্যাফেটেরিয়া, দু’টি অডিটোরিয়াম, ব্যায়ামাগার, শিক্ষকদের লাউঞ্জ, দুই-তলা গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থাসহ আরও নানান উন্নত সুবিধা এই ভবনটিতে রাখা হচ্ছে।’
তিনি জানান, নতুন ভবনের প্রবেশ গেইট হবে টিএসসির পশ্চিম দিক দিয়ে। এছাড়া নির্মাণ কাজ শুরু হবে টিএসসির পেছন দিক থেকে, যেখানে পুরনো সুইমিং পুলের অবস্থান।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা এই নতুন নকশা বা কাজের সাথে জড়িত নয়। প্রধানমন্ত্রী যেমন নির্দেশনা দিবেন, সেইভাবে কাজ করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান বলেন, ‘ঢাবির চাহিদামতো আমরা নতুন নির্মিতব্য এই ভবনে সকল সুবিধা যোগ করেছি। দু’টি সম্মেলন কক্ষ, লেকচার হলসহ অন্যান্য সুবিধা সম্বলিত নতুন ভবনের নকশায় সন্তুষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’
তিনি জানান, পুরনো স্থাপনাটুকুতে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করা হবে।
এর আগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর টিএসসি পরিচালক ঢাবির প্রকৌশল বিভাগের কাছে চাহিদাপত্র জমা দেন, যা পরবর্তীতে গণপূর্ত অধিদপ্তরে পাঠানো হয়।
ঢাবির উপ-উপাচর্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ইউএনবিকে বলেন, ‘নতুন নকশা অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই নকশা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তার অনুমতি পাওয়ার পরপর ই কাজ শুরু করা হবে।’
নতুন ভবন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মাহির কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ হলে টিএসসি। যখন এটি তৈরি করা হয়েছিল তখন শিক্ষার্থী ছিল বর্তমানের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে নতুন ভবন তৈরির পরিকল্পনাটি একটি মহৎ উদ্যোগ।’
তবে টিএসসি বর্তমান সৌন্দর্য্য অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান মাহি।
আরও পড়ুন: টিএসসি সম্প্রসারণ: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত চেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী এবং সমাজতান্ত্রিক বাম ছাত্র জোটের সভাপতি সালমান সিদিক্কি বলেন, ‘টিএসসিতে আধুনিক সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আধুনিকায়নের বিপক্ষে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঢাবির ইতিহাস এবং সৌন্দর্য বিনষ্ট না হয়।’
এই বাম ছাত্র নেতা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ আগে সেসকল বিষয় নিয়ে কাজ করা।
এক নজরে টিএসসি
টিএসসিকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধুনিক স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা।
গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস ষাটের দশকের শুরুতে টিএসসির নকশা করেছিলেন। পরবর্তীতে ষাটের দশকের শেষ দিকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের দশকের (১৯৫৮-৬৮) অংশ হিসেবে এর নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়।
ডক্সিয়াডিস টিএসসির নকশা করার ক্ষেত্রে এ দেশের সংস্কৃতি ও আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেছিলেন। গম্বুজ আকৃতির এই টিএসসি কমপ্লেক্স সারা ঢাকা শহরের মধ্যেই এক অন্যন্য স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানেই প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
এর আগেও বেশ কয়েকবার টিএসসির সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেয়া হলেও সমালোচনার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে মূল স্থাপনা ঠিক রেখে টিএসসি সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্প এখনও আলোর মুখ দেখতে পায়নি।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে গুগলের নতুন ডুডল
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল হোম পেজে নিয়মিত গ্রাফিকের পরিবর্তে বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিশেষ ডুডল বের করে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে।
গুগলের বিশেষ ডুডলে তুলে ধরা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ, প্রতীক ও রং তুলি। বিশেষ এই ডুডলে ক্লিক করলেই পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শন করছে গুগল।
আরও পড়ুন: এবারও মহামারিতে উত্তাপ ছড়াতে পারল না পহেলা বৈশাখ উদযাপন
দেশে কিংবা বিদেশে, বিশ্বব্যাপী সকল বাঙালি একে অপরের সমৃদ্ধি কামনা করে প্রথাগত উপায়ে 'শুভ নববর্ষ'-র সাথে আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়।
ঢাকার রমনা পার্কে একটি প্রাচীন বটতলায় ভোর হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি উজ্জ্বল আনন্দময় শোভাযাত্রা।
বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য এবং মানুষের পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলে বর্ণীল মুখোশ পরে ও নানা প্রাণীর বিশাল প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: পহেলা বৈশাখ উদযাপনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা
বাঙালিদের একত্র করে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গোটা দেশ রাস্তায় শোভাযাত্রা, মেলা এবং বড় বড় কনসার্টের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করে।
কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর টানা দ্বিতীয় বারের মতো অনেকটাই বর্ণহীনভাবে পালিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। এই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশাল জনসমাগম এড়ানোর জন্য নানা কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
দিনটি ডিজিটালি উদযাপনের জন্য সকল টেলিভিশন চ্যানেল সকালে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে।
আজকের অ্যানিমেটেড ডুডলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো নানা প্রাণীর রঙিন চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উদযাপন: দারাজের ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইন
গুগল ডুডল হলো গুগলের হোমপেজে লোগোর একটি বিশেষ, অস্থায়ী পরিবর্তন যা বিশেষ বিশেষ দিন, উৎসব কিংবা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে উদযাপনের জন্য তৈরি। ১৯৯৮ সালে ডুডল প্রথম পরিচিতি লাভ করে।
লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ অব্যাহত
পুলিশ হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো শনিবার প্রতিবাদ করেছে।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুরু, আবেদন শুরু ৮ মার্চ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অধীনে প্রথম বর্ষ সম্মান ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুরু, আবেদন শুরু ৮ মার্চ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অধীনে প্রথম বর্ষ সম্মান ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরগুলোতে ২১ মে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে।