আসামি
ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
বরিশালে ধর্ষণ মামলায় ইমদাদুল বেপারি নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রবিবার আসামির উপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইমদাদুল বেপারি বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর গ্রামের হানিফ বেপারির ছেলে বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ মে রাত সাড়ে ১১টায় মুলাদীর ষোলঘর এলাকায় বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে আসামি ইমদাদুল। এসময় বাদীর ১৮ বছরের ঘুমন্ত কিশোরী মেয়ের মুখে কাপড় (গামছা) গুঁজে জোর করে ধর্ষণ করে আসামি ইমদাদুল। এই ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুন কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইমদাদুলকে একমাত্র আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ২২ জুন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মুলাদী থানা মামলা রেকর্ড করে।
ওই বছরের ২৮ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুলাদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুদ্দিন ইমদাদুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
পাবনায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সিলেটে ২ নারীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান।বৃহস্পতিবার দুপুরে মখলিছ (৫৫) নামের ওই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এবং তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮) কে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মখলিছ গোয়াইনঘাট উপজেলার পাংথুমাই গ্রামের আছকর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহালসিলেটের গোয়াইনঘাটের মালেকা বেগম (৫০) ও হাসিনা বেগম (৪৫) নামে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মখলিছ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় হয়।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জুলহাজ তনয় হত্যা: ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডতিনি জানান, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল গোয়ইনঘাট উপজেলার পিয়াইন নদীর তীরে মুর্তা বেতের বাগানের জায়গার বিরোধ নিয়ে উপজেলার পাংথুমাই গ্রামের জমসু মিয়ার স্ত্রী মালেকা বেগম (৫০) ও আজির উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মখলিছ। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী রাহেলা বেগম।তিনি বলেন, এই মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার মখলিছকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া তার স্ত্রী রাহেলা বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। উল্লেখ্য জরিমানা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, মালেকা বেগম ও হাসিনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত হাসিনা বেগমের ছেলে আব্দুস সবুর চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোয়াইনঘাট থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন। তদন্তে অপর দুইজনের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: দুই আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ
এদিন এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠনের সময় কিছু অংশ বাদ গিয়েছিল। আমরা আদালতে বিষয়টি অবহিত করি। আদালত পুনরায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি পক্ষের সাক্ষীদের রিকল করবে না বলে জানান।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলা: বিচারকের প্রতি আসামিপক্ষের অনাস্থা
এর আগে ২৩ আগস্ট আদালত আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষী শেষে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছিলেন।
এদিন আসামি ইসতিয়াক আহম্মেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেন রাসেল মিয়া। এছাড়া আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের পক্ষে সাক্ষী দেন তার বাবা রুহুল আমিন, তার আত্মীয় সিদ্দিক মিয়া ও রাজিব মোল্লা।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের আবরার হত্যা মামলায় ২৫ আসামির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
নেত্রকোণায় চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারসহ আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় দোকানের সিন্দুক ভেঙে চুরি যাওয়া ৩ লাখ টাকা উদ্ধারসহ আসামি মো. শফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল পূর্বধলা উপজেলার নাগাইন গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। সে নেত্রকোণা শহরের ছোট বাজারস্থ ‘নেত্রকোণা হার্ডওয়্যার’ নামে এক দোকানে কাজ করতো।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নেত্রকোণা পৌরসভাধীন ছোট বাজারস্থ নেত্রকোণা হার্ডওয়্যার নামীয় দোকানে সিন্দুক ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা চুরি করে করে নিয়ে যায় শফিকুল।
আরও পড়ুন: কবরের কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে গাজীপুরে যুবক আটক
এ ঘটনায় শনিবার দোকানের মালিক হারুন্নাহার কাইয়ুম বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে ওসি খন্দকার শাকের আহমেদের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুজ্জামান ঘটনায় জড়িত আসামিকে শনাক্ত পূর্বক গ্রেপ্তার অভিযানে নামে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কম্পিউটার ল্যাব থেকে র্যাম ও প্রসেসর চুরি
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে শফিকুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতে, পূর্বধলা থানাধীন নাগাইল এলাকা হইতে চুরি হওয়া টাকার মধ্যে নগদ ২ লাখ ৩৪ হাজার নয় শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
রিফাত হত্যা মামলার আসামি মুসা বন্ড গ্রেপ্তার
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি মুছা বন্ডকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টায় বরগুনার মাছ বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুসা বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি এলাকার কামাল খানের ছেলে।
রিফাত হত্যা মামলা থেকে খালাস পেলেও মুসা বন্ডের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: মিন্নিসহ ২ জনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া ওই মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ডের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন মুছা। এছাড়াও তিনি বন্ড বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রিফাত হত্যা হওয়ার পর থেকেই মুসা ভারতসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের পর মুসা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এ মামলার বিচার কাজ চলাকালীন পর্যন্ত তিনি ভারতে পালিয়ে ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের আগে মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মুসার বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়। সেসব মামলায় মুসার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি বরিশাল কারাগারে
তিনি আরও বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় মুসা বেকসুর খালাস পেলেও এ মামলা চলাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু মামলায় তিনি খালাস পাওয়ার পরও সেই সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র বরগুনা থানায় আসেনি তাই তাকে এ মামলাসহ অন্য চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
আগামীকাল শনিবার মুসাকে বরগুনার আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান ওসি ।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসি
ইউএনও’র বাসায় হামলা: ১২ আ’লীগ নেতাকর্মীর জামিন
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে এই মামলায় আরও ৯ আসামির জামিন হয়। এনিয়ে এ মামলার ২১ আসামির জামিন আবেদনই মঞ্জুর হলো।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার জেনারেল রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির জামিন চেয়ে গত ২৯ আগস্ট আবেদন করা হয়। তখন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মো. আনিছুর রহমান। তিনি জামিন আবেদন গ্রহণ করেন, ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। আজ শুনানি শেষে আবেদন করা ১২ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা
জামিন প্রাপ্তরা হলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, রূপাতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবু, লিটন ঘোষ, মো. রাকিব, শুভ হাওলাদার, শাহিনুল ইসলাম শাহিন, শুভ ঘোষ, মো.অলিউল্লাহ, মিরাজ গাজী ও হারুন অর রশিদ।
আরও পড়ুন: বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস জানান, এর আগে ২৫ আগস্ট দুই মামলায় গ্রেপ্তার ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এতে ইউএনও ও পুলিশের করা হামলা ও মামলায় গ্রেপ্তার ২১ আসামির মধ্যে দুই জন ছাড়া অন্য সবাই জামিন পেয়েছে। বাকী দুইজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তারা জামিন পাননি।
কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজলুর রহমান তন্ময় ওরফে তাপস মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
আসামি ফজলুর রহমানের বাড়ি ঢাকার দোহার থানার লোটাখোনা গ্রামে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত সোয়া ১১টার দিকে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সোয়া ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা'
উল্লেখ্য, ঢাকার ধানমন্ডি থানায় করা এক হত্যা মামলায় আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া অপর এক মামলায় অস্ত্র আইনে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ছিলেন তিনি।
জুলহাজ-তনয় হত্যা: ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বি তনয়কে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অন্য দুজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, মো. আসাদুল্লাহ এবং আকরাম হোসেন ওরফে আবির।
আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম বর্তমানে পলাতক।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাব্বিরুল হক চৌধুরী এবং জুনায়েদ আহমেদ জোনায়েদকে খালাস দেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জুলহাজ মান্নান বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তনয় লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪
ঘোড়ার মাংস হালাল: আদালত
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চৌধুরী হাটে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
আদালতের বিচারক মামলার এজাহারকারী ও বোদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিপন কুমার বসাক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলামকে তিরস্কার করেছেন। একই সঙ্গে বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান ও বোদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুস সোবহানকে দ্বায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মতিউর রহমান এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল সত্ত্বেও বিনা অপরাধে মো. সানাউল্লাহ (৩২) ও হামিদুর রহমানের (৩৩) বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (গ) ও পেনাল কোডের ২৭৩ ধারায় এজাহার দায়ের করা হয়। আদালত এজাহার দায়েরর জন্য এসআই লিপন কুমার বসাক এবং মামলার তদন্তে গাফিলতি পরিলক্ষিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল ইসলামকে তিরস্কার করেন। ভবিষ্যতে মামলা তদন্তকালে নিজ দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়া ও কুকুর উপহার দিল ভারত
আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, আসামিদ্বয় ঘোড়ার মাংস হালাল মনে করে খাওয়ার জন্য ঘোড়া জবাই করেছিলেন। সহি বুখারীসহ একাধিক হাদিস শরীফে ঘোড়ার মাংস হালাল মর্মে উল্লেখ আছে। সেহেতু আসামিদ্বয় মাংস খাওয়ার উদ্দ্যেশে ঘোড়া জবাই করে কোনও অন্যায় করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয় না। মামলার প্রতিবেদনে এ নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য না থাকায় আদালত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চৌধুরী হাটে ঘোড়া জবাই করার অভিযোগে মো. সানাউল্লাহ (৩২) ও হামিদুর রহমান (৩৩) নামে দুই যুবককে আটক করে। এ সময় ৩৫ কেজি ঘোড়ার মাংসও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘোড়ার পিঠে চড়ে ‘ভিক্ষা’ করেন বাচ্চা
জব্দকৃত মাংস থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বাকি মাংস বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহারিয়ার রহমানের উপস্থিতিতে মাটি চাপা দেয়া হয়। পরদিন বোদা থানার এসআই লিপন কুমার বসাক বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে পাঠায়। সাতদিন হাজতবাসের পর ২৯ ডিসেম্বর আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্ত হন। ওই দিনই আদালত ঘোড়ার মাংস হালাল নাকি হারাম তা ব্যাখাপূর্বক বাদীসহ সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহারিয়ার রহমানকে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম চলতি বছরের ৩০ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সিলেটে বিএনপি নেতা এমরান আহমদ চৌধুরী গ্রেপ্তার
সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাওলানা রশিদ আহমদের জানাযা থেকে ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি একটি মারামারি মামলার আসামি ছিলেন।