আসামি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ৩২ দিন পর ওই আসামিকে ফের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দুর্গম চর বাড়ীনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ৮০০ গ্রাম হেরোইন ও ১টি হ্যান্ডকাপ জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যুবলীগকর্মীর মৃত্যু: গ্রেপ্তার ৫
গ্রেপ্তার মাসুম ওরফে মাসুদ রানা (২৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোদালকাটি জেলেপাড়া গ্রামের নাজিবুল ইসলামের ছেলে এবং তার সহযোগী ইলিয়াস (২৪) রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বাড়ীনগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে।
সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল নিয়ে সোমবার (২৬জুন) ভোর ৫টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দুর্গম চর বাড়ীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদ রানা ও তার সহযোগী ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
তিনি আরও জানান, গত ২৪ মে রাতে মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মাসুদ রানাকে বিজিবির সহায়তায় গ্রেপ্তার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। পরে মাসুদ রানাকে সঙ্গে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ দল। অভিযানে ১ কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।
রবিবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসে মো. আমজাদ ও তার সহযোগীরা বাঘেরপাড়া এলাকার মো. মঈনুদ্দিনকে অপহরণ করে প্রেমছড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় যেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য ড. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাস, সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সোমবার (১৯ জুন) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টা: রাস্তায় লাফিয়ে পড়া সেই নারী পোশাককর্মীর মৃত্যু
মারা যাওয়া আসামিরা হলেন- মৃত লোকমান আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৭০) ও আব্দুর রহিমের ছেলে জুয়েল (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রবিবার রাত ৮টার দিকে ওই দুই বন্দিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী মো. নয়ন কাজী জানান, বিচারাধীন জুয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মারা যান।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপারেশন থিয়েটারে রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসককে মারধর
রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সাংবাদিক রব্বানী হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার ৯ আসামিকে শনিবার জামালপুরের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
রবিবার আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, নয় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাঠাটি এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
তিনি বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্যও ছিলেন।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সমর্থক নাদিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও সংঘর্ষ: দুই মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি
চট্টগ্রাম বিএনপির সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশে আসার পথে ছাত্রলীগ-যুবদলের সংঘর্ষের জেরে জামালখান এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
নগরীর চকবাজার থানা ও কোতোয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ ও এক ছাত্রলীগ কর্মী বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। দুই মামলায় মোট ৫৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেনসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরানুস সাজ্জাদ বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
অপরদিকে, ছাত্রলীগ-যুবদলের সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় মামলা করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী সাফায়েত হোসেন রাজু। এতে নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, গতকাল বুধবার জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, সেকশন ১৫ (৩) এবং পেনাল কোড ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪২৭/৫০৬ এবং ১৮৬০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে ঘটনার পর জামালখান মোড় এবং রাতে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাসেদুরকে আটক করা হয়েছিল। বাকিদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, কলেজ রোডে নাশকতার ঘটনায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। তার নাম সাফায়েত হোসেন রাজু। তিনি ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ের পাশাপাশি সরকারি কমার্স কলেজে অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, দুই মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আটক করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকালে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে নগরীর কাজীর দেউড়ি চত্বরে ‘দেশ বাঁচাতে তরুণ্যে সমাবেশের’- আয়োজন করে।
বিকাল ৩টার দিকে চান্দগাঁও থেকে সমাবেশে আসা সময় চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা যুবদল ও ছাত্রদলের বাসে হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে পাথর নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে যুবদল-ছাত্রদল সমর্থকরা মিছিল নিয়ে কাজীর দেউড়ি যাওয়ার পথে জামালখান এলাকায় সৌন্দর্য বর্ধনে নির্মিত ডা.খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেওয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থিরচিত্র সম্বলিত ট্যাম্পার্ড, গ্লাস ও ম্যুরাল ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
রাজধানীতে টিপু-প্রীতি খুন: ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় দুই আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৩ জুন) তাদের আগাম জামিনের জন্য আবেদন করা হলে বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকার্ট বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে তা বাদ দেন।
দুই আসামি হলেন- মো. সোহেল ও শামসুল হায়দার উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, আসামিদের আগাম জামিন না দিয়ে আবেদন কার্যতালিকা থেকে ডিলিট করে জামিন আবেদন ফেরত দেন।
এর আগে গত ৫ জুন এ মামলায় ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযুক্ত দাখিল করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তদন্তে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলেও এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। বাকি ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুন মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
গত বছর ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচাবাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
টিপু-প্রীতি হত্যা: বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলার আলম খাঁ হত্যা মামলায় শাহিন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোষের নামে আসামিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও সেই তথ্য আদালতে গোপন করার দায়ে মামলার বাদি আনজুয়ারাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে। আর আনজুয়ারা একই গ্রামের আলম খাঁর স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের আলম খাঁর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন শাহিন। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামিদের মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটের ওসমানীনগরে আবদাল মিয়া (২৪) নামের এক মাইক্রোবাসচালককে হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১ মে) সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার কাগজপুর গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া, কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ি এলাকার রহমত উল্ল্যার ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও সিলেটের বালাগঞ্জ জামালপুরের তোরাব আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে আলীউর রহমান লিখন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ২০১ ধারায় আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৭৯ ধারায় তিন আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি আবু তালেব ওরফে ল্যাংড়া তালেবকে হত্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের বখত বলেন, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ওসমানীনগরের কাগজপুর গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে আবদাল মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে পরিকল্পিতভাবে দণ্ডিত আসামি ডালিম মিয়া তাকে গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেন। তার মাইক্রোবাসটি (লাইটেস) বিক্রির জন্য বের করে আনলেও সেটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানিতে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট মোতাহির আলী ও সৈয়দ তারেক আহমদ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেলো আসামি!
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে গেছে চুরির মামলার আসামি। রবিবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া আসামি চঞ্চল ইলিয়াস ওরফে ইমরান (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আফজালের ছেলে।
আরও পড়ুন: হাতকড়াসহ আসামি পলায়নের ঘটনায় বরিশালে ২ পুলিশ বরখাস্ত
তার বিরুদ্ধে গাবলতলী মডেল থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। শনিবার জেলার গাবতলী উপজেলার চকবোচাই এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার।
তিনি জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় আরও একটি মামলা করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিবার দুপুরে গাবতলী থানা থেকে পাঁচ জন আসামি বহনকারী গাড়ী আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। তখন আসামিদের নামানোর পর কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় ইমরান হাতকড়া রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ওই আসামির পেছনে ধাওয়া করেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবহেলা থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারীর মৃত্যু
রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীনই আট বিচারপতির বেঞ্চ ২১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্য করে আইনগত কোনো বাধা থাকল না। এখন তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবেন।
অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে অ্যাডভোকেট শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিয়ম অনুসারে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ রায় রাজশাহীর আদালতে পাঠানো হবে। রাজশাহীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন। এরপর তা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে তাদের ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রিভিউ খারিজ, ২ আসামির ফাঁসি বহাল
জানা যায়, এর আগে গত ২ মার্চ অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামিসহ দণ্ডিত তিনজনের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যদের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
শিক্ষক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছরের ৫ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র, পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সালাম ও নাজমুলের যাবজ্জীবন বহাল থাকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর এবং যাবজ্জীবন সাজা পুনর্বিবেচনা চেয়ে সালাম পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। চেম্বার আদালত হয়ে এই রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে ওঠে। শুনানি শেষে গত ২ মার্চ আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তার ছেলে মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। আসামি সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত