আসামি
জেম হত্যা মামলায় পৌর মেয়রসহ আসামি ৬৮ জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৌর মেয়রসহ ৬৮ জানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠকে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আটক, ককটেল উদ্ধারের দাবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের ভাই মুনিরুল ইসলাম শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে জেলা কৃষক লীগের সম্মেলন এবং গত সংসদ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খায়রুল আলম জেম জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া তিনি জেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যও ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, জেম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর এলাকার বটতলা হাটের মিরপাড়ার রবু কন্ট্রাকটারের ছেলে মোখলেসুর রহমানকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটন এবং মেসবাউল হক টুটুলকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর জেলা কৃষক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রথম দফা তার সঙ্গে বর্তমান পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের দ্বন্দের সূত্রপাত হয় এবং পরবর্তীতে সদ্য শেষ হওয়া সংসদ উপনির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আরেক দফা দ্বন্দের জেরে খাইরুল আলম জেমকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
সেই সূত্র ধরেই তার ভাইকে ইফতার কিনতে যাবার সময় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজহারে ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়মোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াকালে তার মৃত্যু হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। খুব শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
সাভারে শার্টের বোতামের সূত্র ধরে আসামি শনাক্ত করল পুলিশ
সাভারে শার্টের একটি বোতামের সূত্র ধরে চাঞ্চল্যকর হনুফা আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচনের পর মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার সাভার থানা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি জানান, হনুফা আক্তারকে গত বুধবার বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাগনী বাড়ি গ্রামে সন্ধ্যার পর নিজ বসত ঘরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধারকালে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা একটি বোতাম ও হ্যান্ড গ্লাভসের বৃদ্ধাঙ্গুলির অংশ বিশেষ জব্ধ করে।
আরও পড়ুন: সাভারে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত ৫
পরবর্তীতে তদন্তকালে সহোদর ভাই মোহাম্মদ আলীর শার্টের একটি বোতাম ছেড়া দেখতে পায় পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় থাকায় তাকে আটক করে বোতামের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী জানান যে বাবার প্রায় ২০ বিঘা জমি তিনি জীবিত থাকাকালে জালিয়াতি করে নিজ নামে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মামলার মাধ্যমে বাবা কটু ফকির আদালতের মাধ্যমে জমি ফিরে পান। এ জমি বোন হনুফাকে কটু ফকির জীবিত থাকাকালে প্রায় ১২ বছর পূর্বে ২০ বিঘা জমি লিখে দেন। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
সেই জমির অর্ধেক ফেরৎ চেয়ে না পেয়ে তাকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে মোহাম্মদ আলী।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হারুন অর রশিদ তুষার বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
সাভারে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জে জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে আসামির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জালাল আড়াইহাজার থানার একটি জালিয়াতি মামলার আসামি।
গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে আড়াইহাজার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর আদালতে হাজির করে। এ সময় আসামি পক্ষের উকিল জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
জামিন পাওয়ার পরই আদালত প্রাঙ্গণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জালাল। পরে তার ছেলে পুলিশের সহায়তায় তাকে শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, আসামিকে আড়াইহাজার থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
তিনি আরও বলেন, পরে বের হয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে তার ছেলের সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও লেগুনা ঠিক করে দেই। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মাদারীপুরে রাজীব নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
এ সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পথে পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েকজন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেন।
এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সময় পথেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ চার আসামির দুই বছর কারাদণ্ড
রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই মামলায় অপর চার আসামির দুই বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পাননি হেলেনা জাহাঙ্গীর
মামলার অপর চার আসামি হলেন-জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।
সোমবার রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্য তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইনজীবী আবদুর রব।
২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন।
মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা।
প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনও বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল আদালত দন্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের মামলার রায় ২০ মার্চ
জামিন পেলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর, মুক্তিতে ‘বাধা নেই’
১৭ মামলার আসামি পোড়া মাসুদের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা থেকে ১৭ মামলার আসামি এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের স্বেতী নারায়নপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৭ মামলার আসামি মাসুদ আলম প্রকাশ পোড়া মাসুদ (৩৮) নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মুরাইম গ্রামের আমিন উদ্দিন বেপারি বাড়ির নুরুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ধানখেত থেকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাসুদ আলম বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ইউএনবি কে নিশ্চিত করে জানান, আমরা প্রথমে লাশটি উদ্ধার করি। পরে জানতে পারি লাশটি মাসুদ আলমের।
তার নামে মাদকসহ নানা অপরাধের মোট ১৭টি মামলার তথ্য পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, মাসুদ আলম কিভাবে মারা গেছেন, নাকি মেরে ফেলা হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হোটেল থেকে তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
মাগুরায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর নদী থেকে মাদরাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২০০২ সালে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চার খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৩ আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৪ এপ্রিল রায় দেবেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ।
এর আগে ২০১৭ সালের ৪ মে চাঞ্চল্যকর এই চার খুন মামলায় ২৩ আসামির ফাঁসির রায় দেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আবুল বাশার কাশু, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আবু কালাম, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, জহির উদ্দিন, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই, খোকন, আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
আরও পড়ুন: নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
রায় ঘোষণার দিন মে এ মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার কাশুসহ ১৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।
বাকি চার পলাতক আসামি হলেন-আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর সোমবার শুনানি শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ বিলুপ্ত সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুর নির্দেশে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আ. বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক ও কবির হোসেনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত আ. বারেকের বাবা আজগর আলী মেম্বার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ২১ জনকে সাক্ষী এবং ২৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৪ মে রায় দেন নিম্ন আদালত।
চার খুনের মামলার প্রধান আসামি সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুসহ মোট ১৯ জন কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জ থেকে রাজস্ব আদায় না করায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ
ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকে দুদকের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া ইস্যুতে সংঘর্ষ: মামলার আসামি ৮২০০, গ্রেপ্তার ৮১
পঞ্চগড়ে শুক্রবার (৩ মার্চ)আহমদিয়া সম্প্রদায়ের(কাদিয়ানি) ‘সালানা জলসা’ অনুষ্ঠানে পুলিশ ও মুসলিম ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮১ জনকে।
এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় পুলিশ চারটি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দু’টি এবং আহমদিয়া মুসলিম জামায়াত আরেকটি মামলা করে।
পুলিশ জানায়, গুজব ছড়ানো, হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৩১ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৮ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজনগর এলাকার ফজলে রাব্বি(২৮) ও তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতমেরা এলাকার রাব্বি ইমনকে(২৬) আটক করা হয়।
আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান হত্যার ঘটনায় পঞ্চগড় পৌরসভার রাজনগড় এলাকার ইসমাইল হোসেন ঝানু (২৫) ও পৌরসভার তুলারডাঙ্গা এলাকার রাসেল হোসেনকে(২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ও র্যাবের দায়ের করা মামলায় ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণী অনুযায়ী, র্যাব-১৩-এর পক্ষে উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান, শামসুজ্জোহা সরকার, আলতাফ হোসেন ও ডিএডি আবদুস সামাদ বাদী হয়ে গত ৪ মার্চ রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাগুলো করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
প্রকৌশলী জাহিদ হাসানের বাবা ওসমান আলী আহমদিয়া মুসলিম জামাতের পক্ষে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কারও নাম না থাকলেও অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জাহিদ হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র্যাবের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসপি বলেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত করছি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করছি। হামলাকারী যেই হোক না কেন, তাদের রেহাই দেয়া হবে না। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’
এর আগে, শুক্রবার পঞ্চগড় জেলা শহরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠান বন্ধের দাবিতে মুসলিম ভক্তদের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
পরে শনিবার একটি স্বার্থান্বেষী মহল জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায় যে, আহমদীয়া সম্প্রদায়ের(কাদিয়ানি) কয়েকজন সদস্য দুই মুসলমানকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
গুজবের পর, লাঠি ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত কিছু যুবক রাস্তা অবরোধ করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দোকান ও বাড়িঘর লুট করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ১০
অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রিভিউ খারিজ, ২ আসামির ফাঁসি বহাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের পর এখন তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে এই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর এক আসামি আব্দুস সালামের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়েছে। ফলে তার ওই সাজা বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
রায় ঘোষণার সময় সর্বোচ্চ আদালতে অধ্যাপক তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ ও আইনজীবী কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রিভিউ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অবন্তী নুরুল। আর আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
সে মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে খালাস দেন। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল আলম বাদে অপর তিন দণ্ডিত আপিল বিভাগে (রিভিউ) আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা: আপিলে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের অভিযান: আসামির রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশের অভিযানকালে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার দাবি করছে, পুলিশের হাত থেকে বাচঁতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছেন মো. নাছির উদ্দিন (৫৫) নামে চুরির মামলার ওই আসামি।
তবে পুলিশ দাবি করছে, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার শহীদ নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
মৃত নাছির বায়োজিদ বোস্তামি থানার পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
জেলার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাছিরের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় দায়ের করা গরু চুরির মামলা রয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম আসায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা টিম অভিযান চালায়।
চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত এসপি ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মুখপাত্র আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ডিবির দল নাছিরের বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে চিৎকার করে আশেপাশের লেকজন জড়ো করে। এসময় তার সহযোগীরা ডাকাত ভেবে পুলিশকে পাথর মারে। পরে তারা পুলিশের পরিচয় পায়।
আরিফ হোসেন আরও বলেন, ঘটনার সময় আসামি নাছির তার ঘরের ভিতরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, অভিযানের সময় পুলিশ নাছিরের ঘরের দরজা ভাঙতে গেলে নাছির জানালা দিয়ে পালিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরে সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, নাছির হার্টে অ্যাটাকে মারা গেছে। তার পরিবার ও এলাকার একটা পক্ষ এ ঘটনা ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়া নাছিরের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আমরা পায়নি। তার লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পৃথক গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু