আসামি
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আরিফ শিকদার হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি হৃদয় হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ জয়শ্রী সমাদ্দার আসামি হৃদয়ের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বেলতলা গ্রামের শ্যালো মেশিন ঘরে আরিফকে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলায় পোচ দেয়। এ সময় আরিফের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হৃদয়কে ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়।
পরে তদন্ত শেষে সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হাসান আদালতে হৃদয়কে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আজ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার রাতে জেলার সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. রাসেল ২০০৭ সালে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং এলাকায় গলা কেটে দুই ভাইসহ তিনজন হত্যাকাণ্ডের মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সোমবার দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
তিনি জানান, ২০০৭ সালে ৭ জানুয়ারি লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজার থেকে ব্যবসার কাজ শেষে কাঁচামাল ও পান ব্যবসায়ী দেবনাথের ছেলে উত্তম দেবনাথ ও পরীক্ষিত দেবনাথ এবং অপর পান ব্যবসায়ী সামছুল হকের ছেলে বাচ্চু মিয়া বাড়ি ফেরার পথে রাসেল ও তার সহযোগীরা তাদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় ভুক্তভোগীরা তাদের চিনতে পারায় পাশের মাঠে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই কবির হোসেন লাকসাম থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক নাহার বেগম শিউলি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
আসামিদের মধ্যে রাসেল ও স্বপন পলাতক ছিল।
এ মামলার অন্য তিন আসামি আবদুর রহমান, ফারুক হোসেন ও শহীদুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ: মোহাম্মদপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফায়ার সার্ভিস মোড়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. হাসান আলী (২৫) আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে এবং পেশায় চা শ্রমিক।
এর আগে আটোয়ারী উপজেলার মালগোবা একই গ্রামের সমিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম (২০) ও পুরাতন আটোয়ারীর মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, বিয়ের কথা বলে গত ৬ আগস্ট গভীর রাতে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে আটোয়ারী উপজেলার পূরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দর পাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে প্রেমিক হাসান আলী, রাজু ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. সবুজ, আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল,নজরুল ইসলাম ও অমর মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর বাবা আটোয়ারী থানায় সাত জনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ হাসানের বন্ধু রাজু ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মামলার প্রধান আসামি হাসানসহ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছর কারাদণ্ড
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাত আসামিকে ২২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউছুপ এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিয়া (৩৩), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির মিন্টু (৩৫), মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৪), রুহুল আমিনের ছেলে ওসমান গনি (৩৬), কসবা গ্রামের জাফর আলী জমাদ্দার বাড়ির নুরুল হুদার ছেলের সাখাওয়াত হোসেন (৩০) ও সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৬)।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ আহম্মদ হাজারী ও আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে পাহাড়কাটার অভিযোগে ৬ জনের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কৌঁসুলি ফরিদ আহম্মদ হাজারী বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাত আসামির প্রত্যেককে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এছাড়া পলাতক দুজন গ্রেপ্তার হলে বা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে তখন থেকে তাদের রায় কার্যকর হবে। এছাড়া অন্যরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে একটি গুলিসহ দেশীয় বন্দুক, একটি গুলিসহ একনলা বন্দুক, একটি গুলিসহ দেশি পাইপগান, দুটি ছুরি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, চোরা ও রামদা রাখার অপরাধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করে।
২০১৪ সালের ২৯ মে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন সাত জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে তিনটি হত্যা মামলার আসামি ও বালু ব্যবসায়ী আখের আলীর (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ওমরপুর এলাকার একটি ধান খেত থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আখের আলী বগুড়া সদরের সাবগ্রাম চান্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে। আখের আলীর নামে তার আপন বড় ভাই রাশেদ, যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার নামে ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরও ৭-৮ টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে ওমরপুর এলাকায় একটি ধান খেতে স্থানীয় লোকজন গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, আখের আলী সরাসরি রাজনীতি না করলেও সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। এক সময় তিনি শ্রমিক লীগ সাতমাথা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আখের আলী। নিজের বড় ভাই রাশেদের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ভাবীকে বিয়ে করতে ভাইকে খুন করে। পরে আখের আলীর ভয়ে তার ভাবী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
বর্তমানে তিনি লেবানলে শ্রমিকের কাজ করেন। আখের আলীর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তাদেরও ঘনিষ্ঠতা ছিল। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আখের আলীর একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। ছয় মাস আগে জামিনে জেলখানা থেকে বের হন আখের আলী। এরপর গত ছয় মাসে তার নামে কোন অভিযোগ এলাকায় নেই। রবিবার সন্ধ্যার পর সাবগ্রামের পাশে ফনির মোড় এলাকার বাপ্পী নামের এক বালু ব্যবসায়ীর মোটর সাইকেল চেয়ে নেন আখের আলীর। লাশ উদ্ধারের পর সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে আখের আলীর ঘনিষ্ঠ জন কেউ ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করেছে। তার নামে তিনটি হত্যাসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:বাগান থেকে হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার!
মানিকগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে প্রাইভেটকারের তেলের ট্যাঙ্কির ভেতর থেকে ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের তিন সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা এ রায় ঘোষণা করেন। একই রায়ে আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জাকির উদ্দিন মুন্না, মো. জাহির ও মো. ফারুক। এদের মধ্যে ফারুক ছাড়া বাকি দুইজন পলাতক।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণের বারসহ রোহিঙ্গা মা-ছেলে আটক
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। আসামি জাকির উদ্দিন মুন্না ও মো. জাহির জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর ফারুক রায় ঘোষণার সময় আদালতের হাজতে ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২৩ জুন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার একটি প্রাইভেট কারের তেলের ট্যাঙ্কের ভেতরে রাখা ১২০টি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গঠন করে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা আন্তর্জাতিক চোরাচালান দলের সদস্য। স্বর্ণের বারগুলো প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় নেয়ার পথে পুলিশ স্বর্ণের বারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে ১৭ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
আসামি ধরতে গিয়ে গাজীপুরে ২ পুলিশ অবরুদ্ধ
গাজীপুরের শ্রীপুরে মারামারির মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে শ্রীপুর মডেল থানার দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আসামি ও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আসামি কালাম, বয়স ৪৮ একই এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যরা হলেন-শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন ও আব্দুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগে পুলিশের এসআই ক্লোজড, সোর্স আটক
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, আসামি কামাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার সংবাদ পেয়ে রাতে শ্রীপুরের কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকায় যায় দুই পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয় লোকজন এসআই মো. মামুন ও আব্দুর রাজ্জাকের ওপর ক্ষুব্দ হয়ে তাদের ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে একটি দোকানে ওই ২ পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় থানায় ফোন দিলে পুলিশ ফোর্স নিয়ে দোকানের শাটার ভেঙে তাদের উদ্ধার এবং কালামকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ, ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর
আসামি কামালের বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি মনিরুজ্জামান।
গাজীপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
চলন্ত বাসে স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ জন রবিবার গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, গাজীপুর জেলা বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজিব (২৩), মো. শাহিন মিয়া (১৯) এবং মো. সুমন হাসান (২২)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডা. আ ন ম আল মামুন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। কপালে আঘাতের কারণে আমরা তার মাথার এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
পুলিশ জানায়, নওগাঁ থেকে এক দম্পতি শনিবার ভোরে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এসে নামেন। পরে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শ্রীপুরের মাওনার উদ্দেশে রওনা দেন। বাসটি ঢাকা ও ময়মনসিংহ মহাসড়কে চান্দনা চৌরাস্তায় পৌঁছালে তাকওয়া পরিবহনের আরও তিনজন স্টাফ ওঠেন।
বাসটি হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে দম্পতি ছাড়া বাকি সব যাত্রী নেমে যাওয়ায় বাসটি খালি হয়ে যায়। বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর পাঁচ পরিবহন শ্রমিক দম্পতির নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
এরপর চলন্ত বাসের ভেতর ওই নারীকে পাঁচ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় পৌঁছালে ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীর স্বামী শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে আটক এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি মনিরুজ্জামান।
বাগান থেকে হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার!
মাদারীপুরের রাজৈরে শাহিন (২৭) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার চৌরাশির একটি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শহিন উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মস্তফা শেখের ছেলে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, শনিবার, ৬ আগস্ট পরিবারের লোকরা বেড়াতে যাওয়ায় শাহীন ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিল।পরদিন সকালে চৌরাশি এলাকার একটি বাগানে এলাকার লোক শাহীনের ক্ষত -বিক্ষত গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
শাহিন ২০১৯ সালে রাজৈরের মুরগী ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার ৬ নং আসামি ছিল। ঢাকায় বর্তমান রং মিস্ত্রির কাজ করতো। কয়েক দিন আগে মামলার হাজিরা দিতে দেশে আসছিল।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাইনদ্দিন (৪৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে মাঝির লাশ উদ্ধার
হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় ৩ মামলা, আসামি ৮০০
জেলার রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ৮০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
শনিবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. খতিবর রহমান থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু হয়। উক্ত মামলায় আসামি ৩৫০ জন। পরে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ৪৫০ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে ভোট গ্রহণের পর আসার পথে মীরডাঙ্গী বাজারের দক্ষিণে পুলিশের ওপর হামলা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই বিলাশ চন্দ্র রায় ২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় রাণীশংকৈল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহাদুল জামান আলী ২৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে আর একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসারের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিবেসে রুজু করা হয়েছে বলে জানান এসপি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। বেশিরভাগ লোক দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন।
তবে পুলিশ সুপার জানান, যারা এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত নন তাদের কোনো ভয় নেই।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশের ছোড়া বুলেটের আঘাতে রানীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী গুচ্ছ গ্রামের মোহাম্মদ বাদশার আট মাসের কন্যা শিশু সুরাইয়া মারা যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রামকৃষ্ণ বর্মণ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পীরগঞ্জ সার্কেল) আহসান হাবীবসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।