জরিমানা
এডিস নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির অভিযানে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৬ নির্মাণাধীন ভবন ও বাসা-বাড়িকে ৫ লাখ ৯০০ টাকা জরিমানা করেছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলো পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ রোগী হাসপাতালে
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর ধানমন্ডি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর কমলাপুর ও মতিঝিলে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩ এর রহমতবাগ ও চকবাজারে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫ এর অভয়দাস লেনে শাহিন রেজা, অঞ্চল-৫ এর ওয়াসা রোড, নতুন রাস্তা ও পশ্চিম মীরহাজারিবাগে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৮ এর ডেমরার কবরস্থানের ৪ নং গলি কাজী হাফিজুল আমিন এবং অঞ্চল-১০ এ বিকাশ বিশ্বাস এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) মধ্যে অঞ্চল-১ এর মেরীনা নাজনীন ধানমন্ডির ১৩,১৪,১৫ ও ২৭ নং রোডে, অঞ্চল-৩ আনিক বাবর আলী মীর ছোট দায়রা শরীফে, অঞ্চল-৪ এর আনিক মো. হায়দর আলী ওয়ারীর শাহজাহানপুর লেনে, অঞ্চল-৭ এর আনিক ড. মোহাম্মদ মাহে আলম দক্ষিণ মান্ডায় এবং অঞ্চল-৯ এর আনিক মো. খায়রুল হাসান যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৩ এর আনিক বাবর আলী মীর অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, আজ রহমতবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানকালে ৩৭/১ ছোট দায়রা শরীফ হোল্ডিং সম্বলিত একটি বহুতল ভবনের ছাদে মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবনের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো এ সময় ৮৮৫টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩৬টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িকে ৩৬ মামলায় সর্বমোট ৫ লাখ ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও এ সময় এডিস মশার লার্ভা প্রজনন উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করায় মোট ২২টি বাসা ও নির্মাণাধীন ভবনকে সতর্ক করা হয়।
এডিসের লার্ভা বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৪৬ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে করোনায় মৃত্যু ৫, বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে ৪৩৮ মামলা
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা জরিমানা ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিচ্ছেন।
জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ উপক্ষো করে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছে।
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের ১৩তম দিনে বুধবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
বাগেরহাটে লকডাউন অমান্যে ৭৮ জনের শাস্তি
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ১০ জনকে কারাদণ্ড ও ৬৮ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আর পড়ুন: ঝিনাইদহে বেশি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা
জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর পাশাপাশি ৬৮ জনের কাছ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
বাগেরহাটে লকডাউনে ৬৩ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া একজনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই বললেই চলে। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ উপক্ষো করে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছে। অনেকেই আবার আড্ডা দিচ্ছে অলিগলিতে।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে লকডাউন অমান্যে ৭১ জনের জরিমানা
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের নবম দিনে শনিবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন জেলার সকল উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ঝিনাইদহে বেশি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা
ঝিনাইদেহর শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে বেশি দামে সার বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঝিনাইদহ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও শৈলকূপা উপজেলায় বাজার তদারকি করার সময় এই জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
ঝিনাইদহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, শৈলকুপার ভাটই বাজারে বাংলা টিএসপি প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে, মরক্কো টিএসপি প্রতি কেজি ২৮ টাকা দরে (সরকার নির্ধারিত মূল্য ২২ টাকা) এবং ডিএপি সার প্রতি কেজি ২০ টাকা (সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৬ টাকা) দরে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ সময় মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়।
তিনি জানান, পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হাটে বাজারে সার্বক্ষণিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে মানুষকে অনুরোধ করা হয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাস্কবিহীন ব্যক্তিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে লকডাউন অমান্যে ৪৯ মামলা, জরিমানা
অভিযানের সময় ঝিনাইদহ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক শেখ মো. সরুজ্জামান, নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. রাসেল ও ক্যাব সদস্য শুভ কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত ৪১ জনকে জরিমানা করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ অমান্য করায় সিলেটে ৯২ যানবাহন জব্দ
এদিকে দ্বিতীয় দফায় কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিন বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। তবে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মানুষ নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে। অলিগলিতে চলছে মানুষের আড্ডা।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলায় ১১টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান চালাকালে ৪১ জনকে অর্থদন্ড এবং ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন এবং মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
এডিস নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির অভিযানে ৩ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটির ১১ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বোম্বে সুইটসসহ ২৩ ভবনকে তিন লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর সিদ্ধেশ্বরীতে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর খিঁলগাওয়ে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩ এর আজিমপুরে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫ এর মানিকনগরে মুহাম্মদ হাসানাত মোর্শেদ ভূঁইয়া, অঞ্চল-৬ এর ইমামবাগ ও জোরভিটায় শাহীন রেজা, অঞ্চল-৮ এর ডগাইর পশ্চিম পাড়ায় কাজী হাফিজুল আমিন, অঞ্চল-৯ এর মাতুয়াইলে বিকাশ বিশ্বাস এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর এলিফ্যান্ট রোডে মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৪ এর ইমামগঞ্জে মো. হায়দার আলী এবং অঞ্চল-১০ এর কদমতলি এলাকায় মো. মামুন মিয়া এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো এ সময় ৩৯৪টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং বম্বে সুইটসসহ মোট ২৩টি প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে সর্বমোট তিন লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-১০ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘আজকের অভিযানে আমরা বোম্বে সুইটসের কারখানার বেজমেন্টে মশার লার্ভা পেয়েছি। তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৪৩আগামীকালও ডিএসসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।অভিযানের পাশাপাশি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
লকডাউনে ট্রলারে পিকনিক, খাবার গেল এতিমখানা-মাদ্রাসায়
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারের চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে ট্রলারে বনভোজনের (পিকনিক) আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ ভঙ্গের অপরাধে মামলা ও জরিমানাও করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা হক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচটি মামলায় ১১হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন। আয়োজকদের পাঁচজনকে জরিমানা করা হয় ।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
রবিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের বোয়ালজুড়ি খালে অভিযান চালিয়ে সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও পিকনিকের সব খাদ্যসামগ্রীও জব্দ করা হয়। জব্দ করা খাবার পরে এলাকার এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেটু কুমার বড়ুয়া, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনবি কে জানান, লকডাউন চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে জনসমাগম করায় তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিনা প্রয়োজন কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।
একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এক রাতে চারটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সেই নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব বাল্যবিয়ে বন্ধ করাসহ বর ও কনের অভিভাবকদের মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবেন না মর্মে মুচলেকাও নেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪), এরপর মাইঝাইল গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৫), পরে আটারদাগ গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) ও শোলাকুড়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর (১০) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দুইবার একরাতে সাত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছিলেন আনিসুর রহমান। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর ও চৌহালীতে একই পদে কর্মকালীন প্রায় দুই শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে একাধিকবার পুরষ্কৃতও হয়েছেন।
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে একসপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে এবং ৭০৯ জনকে জরিমানা করেছে।
১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
অভিযান চলাকালে মাস্ক ব্যবহার না করা এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ৭০৯ জনের কাছে থেকে তিন লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে। অনেকেই আবার আড্ডা দিচ্ছেন অলিগলিতে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিধিনিষেধ বাড়লো, নতুন শনাক্ত ৬৯
তবে লকডাউনের ৮ম দিন বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শহর থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ মানিকগঞ্জে লকডাউন আমান্যে ৪৯ মামলা, জরিমানা
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গত একসপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ৭০৯ জনকে অর্থদন্ড এবং ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময়ে ৬৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।