জরিমানা
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে একসপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে এবং ৭০৯ জনকে জরিমানা করেছে।
১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
অভিযান চলাকালে মাস্ক ব্যবহার না করা এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ৭০৯ জনের কাছে থেকে তিন লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে। অনেকেই আবার আড্ডা দিচ্ছেন অলিগলিতে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিধিনিষেধ বাড়লো, নতুন শনাক্ত ৬৯
তবে লকডাউনের ৮ম দিন বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শহর থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ মানিকগঞ্জে লকডাউন আমান্যে ৪৯ মামলা, জরিমানা
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গত একসপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ৭০৯ জনকে অর্থদন্ড এবং ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময়ে ৬৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে গ্রেপ্তার ৪৬৭
লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানী থেকে ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনের ’ ষষ্ঠদিনে মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় ১০৮৭টি গাড়িকে জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ৪৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউন লঙ্ঘনের জন্য ৩০৫ জনের কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮০ টাকা আদায় করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
এই সময়ে ট্র্যাফিক বিভাগ লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য যানবাহন থেকে জরিমানা হিসাবে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ২৫ টাকা আদায় করে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় ১ জুলাই থেকে সরকার সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। চলমান ‘কঠোর লকডাউন’ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
লকডাউন লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৯৬ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনকে অর্থদণ্ড এবং ৯ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার অপরাধে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
এদের মধ্যে একজনকে ১৫ দিন এবং আটজনকে তিন দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারকরা। এসময় ৯৬ জনকে ৭১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে বাগেরহাটে লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। শহর থেকে শুরু করে সড়ক-মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে বিভিন্ন অলিগলিতে মানুষজন ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. শাহীনুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা তাদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করছেন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, জেলার সর্বত্রই পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। জেলার প্রবেশদ্বারে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ নানা ভাবে কাজ করছে।
লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বরিশালে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
গত চার দিনে বরিশাল জেলায় ৪৯৯ জনকে ৭ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, বরিশালে কঠোর লকডাউন অমান্য করায় গত রবিবার চতুর্থ দিনে বরিশাল জেলায় ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫০টি মামলায় ১৫০ জনকে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করে।
এর আগে গত ৩ জুলাই লকডাউনের তৃতীয় দিনে বরিশালে ২১ ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮০ মামলায় ১৮০ জনকে ৩ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করে। এছাড়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বরিশালে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৫০ টাকা এবং লকডাউনের প্রথম দিন ১ জুলাই ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউন: বাগেরহাটে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৪৯ জনের জরিমানা
আর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
কুমিল্লা নগরীতে সরকার ঘোষিত প্রথম সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহন চলাচল। সরকারি বিধিনিষেধ না মানায় জেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছেন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৭ দিন
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলার নির্বাহী প্রশাসন ৩৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ না মানায় ২৬৮টি মামলায় ২৭৯ জনকে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন অমান্য করায় বরিশালে ৪৯৯ জনকে জরিমানা
এসময় ১৯২ জনকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার প্রদান করা হয়।
সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীতে ও উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশি টিম টহল দিতে দেখা গেছে। দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজধানীতে ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪৯৬টি গাড়িকে জরিমানাসহ মোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১২ লাখ ৮১হাজার টাকা। সাতদিনের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য ১৬১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে। এই সময় ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করে চলাচলকারী গাড়ির কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা আদায় করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কাবস্থান থাকা সত্ত্বেও লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা আগের তিনদিনের তূলনায় বেশি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১ জুলাই থেকে সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। এটি চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন : ভোলায় ৪৩৮ জনকে জরিমানা
লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
শেরপুরে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে তৃতীয় দিনেও মাঠে বেশ তৎপর ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার দুপুরে শহরের মোবারকপুর এলাকায় বিধিনিষেধ অমান্য করে চালু রাখায় নুরানী তালিমুল কোরআন মোয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে একটি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসাথে মাদ্রাসাটি খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এর পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেরপুর সদর এসিল্যান্ড তনিমা আফ্রাদ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় মাদ্রাসাটির দায়িত্বরত হারুন-অর-রশীদকে দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের ২৬৯ ধারা অনুয়ায়ী ১০ দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের জন্য মাদ্রাসাটি সিলগালা ঘোষণা করা হয়। অভিযানে সহায়তা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা আক্তার, শেরপুরে সেনাবাহেনীর দায়িত্বরত মেজর মো. ইমতিয়াজ কবির।
আরও পড়ুন: বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
স্থানীয়রা জানান, চট্রগ্রাম থেকে পরিচালিত নুরানী তা’লীমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশ-এর সিলেবাসে শহরের মোবারকপুর এলাকায় এ মোয়াল্লেম কেন্দ্রটি ২ বছর ধরে চলছে। ভয়াবহ করোনার মাঝেও সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাদ্রাসাটি চালু রাখা হয়। সেখানে একটি কক্ষে ছোট ছোট শিশুদের এবং আরেকটি বড় হলরুমে প্রায় শতাধিক বয়স্ক ব্যক্তিকে নুরানী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদাত পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্য করে অযথা ঘুরাফেরা ও মাস্ক না পড়ার দায়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ জনকে আটক করা হয়। এদিন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি দল শহরের আনাচে-কানাচে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরে মোটর সাইকেল টহলের মাধ্যমে করোনা সচেতনা সৃষ্টি ও লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকরের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান, খাবার গেল এতিমখানায়
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করার দায়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৩৩টি অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে ১৩১টি মামলায় ৮০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবারও লকডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, ২ প্ল্যাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেইসাথে পুলিশের টিমও কাজ করছে। অপ্রয়োজনে যাতে কেউ বাইরে বের হতে না পারে, সেই দিক নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
লকডাউন লঙ্ঘন : ভোলায় ৪৩৮ জনকে জরিমানা
ভোলায় লকডাউন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭৮ জনকে ৬০ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনে মোট ৪৩৮ জনকে জরিমানা করা হলো।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় তাদের জরিমানা করা হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান সাংবাদিকদের জরিমানার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৫টি মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, ভোলার প্রতিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় জনসাধারণকে সচেতন করতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা চালাতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে বিয়ে করে জরিমানা গুনলেন বর
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, লকডউন বাস্তবায়নে নৌ-বাহিনীর দুটি টিম, বিজিবির দুটি, র্যাবের একটি ও আনসারের দুটি টিম মাঠে কাজ করছে। একইসাথে ভেদুরিয়া ও ইলিশা ঘাটে অবৈধভাবে নৌপথে যাত্রী পারাপার বন্ধে কাজ করছে কোস্টগার্ডের দুটি দল। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই ১৯-২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়ে আসছে বলে জানানো হয় ।
লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
মহা ধুমধামের সাথে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। বিশাল প্যান্ডেল বানানো হয়েছে, সেই সাথে আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করাও শেষ। সকাল থেকে চলছে রান্না বান্না। কিন্তু বাদ সাধলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। করোনাকালীন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় বিয়ের অনুষ্ঠান ভেঙে দিলেন তিনি। পাশাপাশি বর ও কনে পক্ষকে জরিমানাও করলেন।
শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বর ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে করে জরিমানা গুনলেন বর
জানা গেছে, উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বটিনা বানিয়াপাড়া গ্রামের ভাগীরথ বর্মনের ছেলের সাথে শ্রী ইলেকশনের মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার রাতে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা মেয়ে পক্ষের। বরের বাড়িতে মহা ধুমধামের সাথে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে ইউএনও জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর ও কনের বাড়িতে ছুটে যান তিনি এবং বিধিনিষেধ অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় প্যান্ডেল ভেঙে দেন। সেই সাথে করোনাকালীন বিধিনিষেধ অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় ছেলের বাবা ভগীরথকে ৫ হাজার টাকা ও কনের বাবা শ্রী ইলেকশনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লকডাউনে বিয়ে করে জরিমানা গুনলেন বর
বিয়ে করে কনেকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্ত বাদ সাধলো পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি আটকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে খবর দেয়।অবশেষে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনে তিনি কনেকে নিয়ে বাড়ি যেতে পারলেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিয়ের সাতদিনের মাথায় আত্মহত্যা !
বরপক্ষের লোকজনের দাবি, লকডাউন ঘোষণার আগেই বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। তারিখ পেছাতে না পারায় তারা সীমিত পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বর-কনেবাহী একটি মাইক্রোবাস হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ গাড়িটি আটকায়। গাড়ির ভেতরে বর ও কনে দেখে খবর দেয়া হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: সালিশে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে: সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার মামলা
বরপক্ষের লোকজন জানান, লকডাউনে সবধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা আছে সেটা তারা জানতেন। কিন্তু বিয়ের তারিখ আগেই নির্ধারিত থাকায় বিশেষ অসুবিধার কারণে তারা তারিখ পরিবর্তন করতে পারেননি। তাই সীমিত পরিসরে শুধু একটিমাত্র মাইক্রোবাস নিয়ে তারা কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। এরমধ্যেই তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে।