জরিমানা
সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)একটি চলন্ত গাড়িতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও করার জন্য তার সিটবেল্ট খুলে জরিমানা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ৪২ বছর বয়সী সুনাক উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ড সফরের সময় একটি সরকারি গাড়ির পিছন থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি বার্তা রেকর্ড করার সময় "আইন লঙ্ঘন" করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ জানান, ল্যাঙ্কাশায়ারে চলন্ত গাড়িতে এক যাত্রীর সিটবেল্ট পরতে না পারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সুনাকের নাম উল্লেখ না করে পুলিশ সদস্যে বলেছে, তারা লন্ডন থেকে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে শর্তসাপেক্ষে জরিমানার প্রস্তাব দিয়েছে।
সিটবেল্ট পরতে ব্যর্থ হলে ৫০০ পাউন্ড (৬২০ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে, যদিও এই ধরনের অপরাধের জন্য নির্দিষ্ট জরিমানার নোটিশ সাধারণত ১০০ পাউন্ড (১২৪ ডলার) হয় যদি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা হয়।
শর্তসাপেক্ষ প্রস্তাবের অর্থ হল জরিমানা করা ব্যক্তি যদি অপরাধ স্বীকার করে তবে তাকে আদালতে যেতে হবে না। তবে সুনাককে কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
সুনাকের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি স্বীকার করেছেন যে এটি ভুল ছিল এবং তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি অবশ্যই নির্ধারিত জরিমানা মেনে চলবেন।
রাজনৈতিক জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো সুনাককে জরিমানা করা হলো।
উল্লেখ্য, গত বছর তিনি অর্থমন্ত্রী প্রধান থাকাকালীন সরকারি অফিসের অভ্যন্তরে সংক্ষিপ্ত ভাবে পার্টিতে যোগ দিয়ে মহামারী লকডাউন এর নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য তাকে ৫০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল। 'পার্টিগেট' কেলেঙ্কারির দায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জনসনসহ কয়েক ডজন কর্মকর্তাকে জরিমানা করা হয়েছে।
সুনাক গত অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং কয়েক বছর ধরে জনসনকে একাধিক কেলেঙ্কারির কারণে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং তার উত্তরসূরি লিজ ট্রাসকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
ঋষি সুনাকই হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এর মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড মালিককে এ অর্থদণ্ড দেয়ার কথা জানান ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১৪০টি ইটভাটার ৯৪টি অনুমোদনহীন
তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়া মলানী আরাজি ঝাড়গাঁও গ্রামে ওই ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন মালিক আব্দুস সোবহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে ইটভাটা ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে গেলে সোবহান দোষ স্বীকার করে ইটভাটা বন্ধের কথা জানান।
এরপর তাকে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৫ ও ১৮ ধারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একইসঙ্গে চিমনি অপসারণসহ ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড নামের ওই ইটভাটার অবস্থান। সেটি পুরোপুরিভাবে অবৈধভাবে চলছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইটভাটা মালিককে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ওভার রেট, ভারতকে গুনতে হল জরিমানা
প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ এখনও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ওভার রেটের কারণে দলটিকে তাদের ম্যাচ ফি’র ৮০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
সোমবার বিকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচ রেফারিদের এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলের রঞ্জন মাদুগাল সময় বিবেচনায় গত খেলায় ৪৬ ওভার করতে চার ওভার পিছিয়ে থাকায় এই জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী সময়ের বিচারে প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফি’র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশের ইনিংসের সিংহভাগ ম্যাচে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও, ভারত শেষ পর্যন্ত এক উইকেটে পরাজিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের কারণে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
সাকিব পাঁচ ও এবাদত চারটি উইকেট নেন। অন্যদিকে মেহেদীর অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে। কারণ হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট, প্রয়োজন ৫১ রান। এই লক্ষ্যকে তাড়া করেই জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।
অন্যদিকে ভারতের হয়ে মোহাম্মদ সিরাজ তিন উইকেট নিলেও হারের স্বাদ নিতে হয়।
সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় ৭ ডিসেম্বর এবং চট্টগ্রামে ১০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতকে ১ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে: সাকিবের স্পিন দক্ষতায় ১৮৬ রানে অল-আউট ভারত
সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইমন (৬) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার অন্য দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তরুণীকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-বেলকুচি উপজেলার চক মকিমপুর গ্রামের সোহেল (২৮), কাউছার (৩০), হীরন (৩২), আল-আমিন (৪০) ও ওসমান (৩৮)।
সেইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আলহাজ ও গোলামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
উক্ত আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজ করনী লকেট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. চাঁন মিয়া ও মোছা. মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের সাত দিন পর ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একই উপজেলার মাইঝাইল গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে শিশু ইমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বেলকুচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত চলাকালে আসামি আল-আমিন ও মো. ওসমান জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার পৃথক দু’টি স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, জীবননগর উপজেলার চ্যাংখালী সড়কের তরফদার নিউ মার্কেটের মেসার্স গাজী স্টোর সরকার নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে চিনি বিক্রি করছিল। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলী আজগরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সহজ ডটকমের রিট
এছাড়া, মেসার্স সাজ ঘর কসমেটিকস-এ অভিযান চালিয়ে আমদানিকারকের স্টিকারবিহীন অবৈধ বিদেশি কসমেটিকস, মেয়াদ উত্তীর্ণ কসমেটিকস ও চকলেট বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আশরাফুল আলমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জীবননগর উপজেলা উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি দল।
এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: পণ্য, সেবা ক্রয়ে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযোগ করার উপায়
ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
মশক নিধন অভিযান: দ্বিতীয় দিনে জরিমানা ১০ লাখ ৩০ হাজার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও জরিমান করেছে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৫টি মামলায় এ জরিমানা আদায় করে।
আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করবে সংস্থাটি।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন আগারগাঁও এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় অপর একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১১ ও ১৩ নং ওয়ার্ডস্থিত কল্যাণপুর নতুন বাজার, পূর্ব মনিপুর এলাকায় অভিযানকালে প্রায় ১০৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানেএকটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
এছাড়াও অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১৩ নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকয় তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত-এর অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নব্বই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন রূপনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন কুড়িল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন-এর অভিযানে বাসা বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিস বিরোধী অভিযানে ছয়টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
বিশেষ মশক নিধন অভিযান: ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে বুধবার (১৯ অক্টোবর) থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০টি মামলায় মোট ছয় লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন মগবাজার এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
অভিযান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মো. সেলিম রেজা বলেন, 'বর্তমানে পুরো দেশেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে অক্টোবর মাসেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, কিছুক্ষণ পরেই আবার রোদ হচ্ছে। এসব কারণেও ডেঙ্গুর রোগের বাহক এডিস মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হতে পারি। আমাদের সবাইকে এডিস মশা নিধনে সচেতন হতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত মশা নিধনে কাজ করছে। নগরবাসীকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কারও বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্ভব। মূলত বাসাবাড়িতেই এডিস মশার জন্ম হয়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মো. সেলিম রেজা বলেন, 'ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দৈনন্দিন মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ফলে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে। বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন ও সাবধান করা হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কাউন্সিলরবৃন্দ এই প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পুরো অভিযানটি ততত্ত্বাবধান করছেন।'
এসময় মগবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে পাঁচটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন কাওরানবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী, রুপনগর ও শাহআলী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১২ নং সেক্ট্রর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে দুইটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত দুইজন ভবন মালিককে দুইটি মামলায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এবং অঞ্চল-৮ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ অভিযান পরিচালনা করেন।
একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ডের ভাটারা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে সাতটি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় মোট চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং পাঁচটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ছোলমাইদ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসে লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান ডিএনসিসি’র
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
যুক্তরাজ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করার সময় শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য কোম্পানিটি দুই কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড জরিমানার সম্মুখীন হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় সোমবার জানিয়েছে, কোম্পানিটির জন্য এক আইনি নথি জারি করা হয়েছে যেখানে সম্ভাব্য জরিমানার কথা উল্লেখ আছে।
নথিতে আরও বলা আছে, ১৩ বছরের কম বয়সীদের টিকটক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি যথাসম্ভব এর ব্যবহারকারীদের মা-বাবার অনুমতি না নিয়েই তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ করেছে। কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়াই তারা বিশেষ বিভাগের ডেটার প্রক্রিয়াকরণ করেছে।
কমিশনার বলেন, বিশেষ বিভাগের ডেটার মধ্যে জাতি ও বর্ণগত উৎস, রাজনৈতিক মতামত, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং যৌন অভিমুখিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে না টিকটক
টিকটক এর ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছ, সহজে বোধগম্য তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। আইনি নথিটি ২০১৮ সালের মে থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত সময় পর্যবেক্ষণ করেছে।
তথ্য কমিশনার বলেন, মনে হয়েছে যে টিকটক যথাযথ তথ্য গোপনীয়তায় সুরক্ষা দিতে গড়িমসি করেছে।
সংস্থাটি বলেছে যে এর ফলাফলগুলো চূড়ান্ত নয় এবং এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে টিকটকের পক্ষ থেকে যে কোনো দাখিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
টিকটকে তরুণীর ছবি, চিরকুটে নির্যাতনকারীদের নাম লিখে তরুণের আত্মহত্যা !
বগুড়ায় অনুমোদনহীন সার কারখানা সিল, সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার কাহালুতে অনুমোদনহীন একটি সার কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত উপজেলার নিশ্চিন্তপুর বৌ-বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে কারখানাটি সিলগালার সময় সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাহালুতে আনিকা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবত সরকারি অনুমোদন ছাড়া চার ধরনের জিঙ্ক সালফেট সার উৎপাদন করে আসছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের সদর উপজেলায়। তবে বগুড়া সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। প্রতিষ্ঠানের নাম আনিকা হলেও তিনি অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কারখানা পরিচালনা করেন।
এটা আইন বহির্ভূত। এ ছাড়া জাকির নিজেদের কোম্পানির নামে কোনো সার উৎপাদন ও বাজারজাত করেন না। তারা মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গোপনে নকল সার সরবরাহ করে। ওইসব প্রতিষ্ঠান এসব সার নিজের নামে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করে।
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত, সার তৈরির কাঁচামাল (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) আনুমানিক ১৮৯ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০কেজি), সার তৈরির কাঁচামাল (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) আনুমানিক ১৬২০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ২৫কেজি), জিংক সালফেট হেপ্টা হাইড্রেট সার ২৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০কেজি) ও এসিড ভর্তি ড্রাম ১৬টি (প্রতি ড্রাম ৫০লিটার) এবং খালি ড্রাম ৪৭০টি জব্দ করে। অভিযানকালে বিএসটিআই বগুড়া কার্যালয়ের পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা (সিএম উইং) প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাকিব হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এতে জেলা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চলন্ত বাসে আগুন, যাত্রীরা নিরাপদ
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
গুলিস্তানে ফের উচ্ছেদ অভিযান, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
গুলিস্তান 'রেড জোন' এ ফের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তৃতীয় দিনের মতো গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারী হকারদের উচ্ছেদে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুই শতাধিক হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং চৌকি বিছিয়ে এবং ব্যানার সাটিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা ১৪টি অস্থায়ী দোকানের বিরুদ্ধে অভিযানকালে ১৪টি মামলা দায়ের এবং ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ ধারার ৭ ও ৮ উপধারায় এসব মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসি সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুমুখী ও সেতু ব্যবহার করে ঢাকায় আগত যানবাহনগুলো যেন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারসহ অত্র এলাকায় সহজেই চলাচল করতে পারে এবং জনসাধারণের চলাফেরা যেন নির্বিঘ্ন রাখা যায়, সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষিত গুলিস্তান রেড জোনে আমাদের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানকালে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ
নিউ মার্কেটে শতাধিক অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ, জরিমানা আদায়