জরিমানা
গুলিস্তানে ফের উচ্ছেদ অভিযান, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
গুলিস্তান 'রেড জোন' এ ফের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তৃতীয় দিনের মতো গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারী হকারদের উচ্ছেদে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুই শতাধিক হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং চৌকি বিছিয়ে এবং ব্যানার সাটিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা ১৪টি অস্থায়ী দোকানের বিরুদ্ধে অভিযানকালে ১৪টি মামলা দায়ের এবং ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ ধারার ৭ ও ৮ উপধারায় এসব মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসি সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুমুখী ও সেতু ব্যবহার করে ঢাকায় আগত যানবাহনগুলো যেন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারসহ অত্র এলাকায় সহজেই চলাচল করতে পারে এবং জনসাধারণের চলাফেরা যেন নির্বিঘ্ন রাখা যায়, সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষিত গুলিস্তান রেড জোনে আমাদের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানকালে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ
নিউ মার্কেটে শতাধিক অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ, জরিমানা আদায়
মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। রবিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী এই বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ড: নাগরিক সেবায় নেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চৌদ্দটি (১৪) মামলায় মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় আজমপুর এলাকায় এডিস ও ডেঙ্গু বিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত (০৭) দিনের বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দেন।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন গুলশান-২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫১ নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত তিনজন ভবন মালিককে ৩টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ১, ৩ ও ৫ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনার করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে ৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডের খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসে লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এডিস মশা নির্মূলে সতর্ক করে দেয়া হয়। সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু
ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান: সপ্তম দিনে ৩.৪৫ লাখ টাকা জরিমানা
খুলনায় এলপি গ্যাস ক্রস ফিলিং চক্রের ৩ সদস্য আটক
খুলনা নগরীর হরিণটানা এলাকায় অটো গ্যাস পাম্পের আড়ালে এলপি গ্যাসে অবৈধ ক্রস ফিলিংয়ে জড়িত তিন সদস্যকে আটক এবং এদের মধ্যে একজনকে জরিমানা করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাসমিম হাসান মিলন নামে ওই ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার খালিশপুর থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
আটক অপর ব্যক্তিরা হলেন-মিনি ট্রাক চালক মোহাম্মদ উল্লাহ ও পরিবহন শ্রমিক শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার খালিশপুরে বিভিন্ন ব্রান্ডের ঝুকিপূর্ণ ৬৩টি এলপিজি সিলিন্ডারসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে ওমেরা গ্যাস কোম্পানির ৪৪টি সিলিন্ডার, লাফসের ১৫টি ও যমুনা কোম্পানির ৪টি সিলিন্ডার রয়েছে। পরে শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে ফিলিং করা এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ করায় তাসমিম হাসান মিলনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন এই দণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
বিশ্লেষকরা বলছেন, অটো গ্যাস পাম্পে এ ধরনের ফিলিং প্রক্রিয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ। ভোক্তাদের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ব্যক্তিরা এ ধরনের বিপদজনক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।
বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ২ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার শেরপুরে অতিরিক্ত ধান মজুদের দায়ে এক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেরপুর উপজেলার আলাল গ্রুপের উত্তরবঙ্গ এগ্রো ফুড লিমিটেডকে এই জরিমানা করেন। আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল ও পলাশ চন্দ্র সরকার।
জেলা প্রশাসনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উপজেলার উত্তরবঙ্গ এগ্রো ফুড লিমিটেডের গোডাউনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অতিরিক্ত ধান মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই উপজেলায় ধান মজুদের দায়ে হাশে রাইচ মিলকে দুই হাজার টাকা এবং সাজ্জাদ নামের এক ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ৭ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার জানান, ‘বাজার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। অসাধুভাবে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে আরও তিনটি গুদামে ধান মজুদের দায়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর ফলে বাজার দর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা।’
উল্লেখ্য, একই এলাকায় মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মজুমদার এগ্রো লিমিটেডকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: মজুদ ১৭ হাজার বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ, বগুড়ায় গুদাম সিলগালা
বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ৭ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার শেরপুরে অতিরিক্ত ধান মজুদের দায়ে এক প্রতিষ্ঠানকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শেরপুরের মজুমদার এগ্রো লিমিটেডকে এই জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার। এসময় উপজেলার বাজার ও খাদ্য পরিদর্শক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও এপিবিএন পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেছে।
জেলা প্রশাসনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার উপজেলার মজুমদার এগ্রো লিমিটেডে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অতিরিক্ত ধান মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী ৭ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স শর্ত মোতাবেক পাক্ষিক দুই হাজার ১৮৪ মেট্রিক টন ধান মজুদ করতে পারবে। কিন্তু তারা ৮ হাজার মেট্রিক টন ধান মজুদ করেছে।
আরও পড়ুন: মজুদ ১৭ হাজার বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ, বগুড়ায় গুদাম সিলগালা
পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বগুড়া জেলায় হঠাৎ চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে একই উপজেলার আলাল এগ্রোকে অতিরিক্ত চাল মজুদের দায়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ফেনীতে ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
এমবিবিএস পাস না করেই নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেট লিখন বনিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেনী সদর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
লিখন বনিক জানান, বিএমডিসি সনদ না থাকলেও মানুষকে পাইলস চিকিৎসাসহ সার্জারি চিকিৎসা করেন তিনি। যার কারণে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন:খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
তিনি আরও জানান, শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের মহিপাল চৌধুরী বাড়ী এলাকায় ভুঁইয়া মেমোরিয়াল পাইলস ও পলিপস চিকিৎসালয় লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠানে সত্বাধিকারী ভুয়া চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়াকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
অভিযানে ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এস আর মাসুদ রানা, ডা. যুবায়ের ইবনে খায়ের ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিখন বনিক জানান।
আরও পড়ুন:দিনাজপুরে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, চেম্বার সিলগালা
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বেআইনিভাবে ছবি ও ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করার অভিযোগে বেসরকারি যমুনা ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের কাছে জরিমানা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নোটিশে দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে মোট পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
রবিবার আইনজীবী আশরাফুল হাদী বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ বিভিন্ন জায়গায় সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি তুলে নিতে হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সাকিব আল হাসানের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ইমেজ নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তি হয়। শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, কিন্তু এরপরও প্রতিষ্ঠানটি সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি ব্যবহার করায় এ নোটিশ দেয়া হয়।
যমুনা ব্যাংককে কেন নোটিশ পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে আশরাফুল হাদী বলেন, 'যমুনা ব্যাংকের বুথে সাকিব আল হাসানের ছবি সংবলিত বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তার মানে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের মধ্যে আন্ত ব্যাবসায়িক সম্পর্ক আছে। পরোক্ষভাবে হলেও যমুনা ব্যাংক সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করছে।’
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী আশরাফুল হাদী বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও শর্ত ভঙ্গ করে ছবি, ব্র্যান্ড ব্যবহার করায় আইনভঙ্গ হয়েছে। এ জন্য পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবহৃত সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত সাকিব
ফের বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব
বংশালে ফ্যানের দোকানে বাড়তি দাম রাখায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা
রাজধানীর বংশাল রোডের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক দোকানে চার্জার ফ্যানসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির বাড়তি দামে বিক্রি করায় শনিবার অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (এনসিআরপি) দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এই সময় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
এর মধ্যে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অবস্থিত বেলাল ট্রেডিং হাউসকে ২০ হাজার টাকা এবং ওই এলাকায় বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্রধান আমদানিকারক খান ট্রেডিং হাউসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ।
শিক্ষক হত্যা মামলা: খুলনায় ১৭ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনজীর আহমেদকে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ১ নং কলোনীর আনোয়ার হোসেন ও একই এলাকার আশরাফ আলী।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর এ রায় ঘোষণা হলো।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার অন্য ছয় আসামির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, বাদশা শেখ, সোহেল, রুবেল, মেজবাহ উদ্দিন মুকুল, আহাদ ও একেন্দার ওরফে এসকেন।
চার্জশিটের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত খুলনার মানুষ সব সময় চরমপন্থীদের আতঙ্কে দিন পার করত। এরই মধ্যে তারা মুনজীর মাষ্টারের কাছে চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, ১৫ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
পদ্মা সেতুতে নিয়ম ভঙ্গ করায় যুবকের জরিমানা
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার দ্বিতীয় দিনে সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ম ভঙ্গ করায় এক যুবককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকালে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্রিজের ওপর গাড়ি পার্কিং করে টিকটক ভিডিও করার অপরাধে ফখরুল আলম নামে এক প্রাইভেটকার চালকসহ সাত থেকে আট জনের একটি দলকে জরিমানা করেন।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচজন যানবাহন চালককে সতর্ক করে নিয়ম লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবির বলেন, ‘সেতুটি উদ্বোধনের প্রথম দিনেই অনেক ঘটনার পর পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সোমবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
রবিবার রাতে প্রেস ইনফরমেশন বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আনন্দ র্যালি
পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ, বিরোধীরা জাতির শত্রু: হাইকোর্ট