জরিমানা
রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী, ৪ মামলাসহ জরিমানা আদায় ডিএনসিসি’র
ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী ও অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিয়ের দায়ে চারটি মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের(ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় প্রায় দুই শতাধিক টং দোকান সরিয়ে এক কিলোমিটার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়।বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন (অঞ্চল-১)।এ সময় করোনা প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনা বাড়াতে প্রায় ৫শ’ মাস্ক বিতরণ করা।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের মধ্যেই সকল ড্রেন পরিস্কারের নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
৩০ জুনের মধ্যে ঝুলন্ত তার সরানোর নির্দেশ ডিএনসিসি মেয়রের
নগরীর প্রতিটি খাল উদ্ধার করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
যশোরে বিষপানে মা-ছেলের মৃত্যু
যশোরে দেবরের দেয়া অপবাদ সইতে না পেরে নিজের ছেলের মুখে বিষ দেয়ার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করা মা ও পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার সাতমাইল তীরেরহাট গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম (৩২) ও তার পাঁচ বছরের শিশুপুত্র হাসানুর রহমান বান্না।
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী হাফিজুর রহমানের ছেলে রনি ওই গৃহবধূর ঘরে ডুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকার করলে রনি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন বিষয়টি নিয়ে সালিশ হয়। সেখানে রনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে তাকে শাস্তিস্বরূপ জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে নববধূর আত্মহত্যা
ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালেহার দেবর মনিরুজ্জামান মনি তার ভাবি সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন। এতে অভিমানে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পাঁচ বছরের শিশুপুত্র হাসানুর রহমান বান্নাকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারলে দ্রুত মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. ওবাইদুল কাদির উজ্জ্বল শিশু ও গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর সেখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় গতকাল শুক্রবার সকালে তাদেরকে পুনরায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি কর হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি( তদন্ত) শেখ তাসনীম আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা!
স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২৯ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ২৯ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময় ২৯টি মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজ আল আসাদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে ৪ জনের জরিমানা
এদিকে বাগেরহাটে দুদিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার কমেছে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় জেলায় করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে। এই সময়ে ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৮০ জন। জেলায় এই পর্যন্ত মারা গেছে ১৪৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬ হাজার ৯৪৫ জন।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাগেরহাট জেলায় সব ধরণের সভা, সমাবেশ, সামজিক অনুষ্ঠান এবং জনসভাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে শহর-বন্দর, গ্রাম থেকে সর্বত্রই জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: বাগেরহাটে একজনের জেল, ৪৯ জনের জরিমানা
বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, দুই দিনের ব্যবধানে বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। এই মুহূর্তে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে জেলার সর্বত্রই ব্যাপকভাবে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় বাবা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আলম (৫০)ও তার ছেলে জুয়েল (২০)।
আদালত সূত্র জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সোনাপুর গ্রামের নাছির আলীর বাড়ীতে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল মান্নানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাইল জবিউল্লাহ বাদী হয়ে থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানি ও একাধিক স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত ফিরোজ ও তার ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ডের রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: রিকশাচালক হত্যায় বিজিবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহা
আখাউড়ায় মাস্ক না পরায় ৯ জনকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাস্ক না পরায় ক্রেতা বিক্রেতাসহ ৯ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওমিক্রন রোধ ও সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
সোমবার পৌরশহরের সড়কবাজার, বড়বাজারসহ রেলস্টেশন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি দায়িত্ব প্রতিপালন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ অভিযান চালান। এসময় মাস্ক না পরায় ৯ জনকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন,ওমিক্রন রোধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারি আদেশ না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ না মানলে লকডাউনের চিন্তা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুবদল নেতা হত্যা: লক্ষ্মীপুরে ৭ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় আলোচিত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজ ও তার ছেলে সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম, মানিক, ইসমাইল হোসেন এবং আবুল কাশেম মেম্বার। ইসমাইল ও আবুল কাশেম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রত্যেকেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন, ১৪ জন খালাস
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,নিহত আনোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ৪ জুন দত্তপাড়া বাজারের তার ভাইয়ের নির্বাচনী অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িতরা নির্বাচনী অফিসে হামলা করে আনোয়ারকে গুলি করে হত্যা করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরদিন তার বড়ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল বাদি হয়ে সদর থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে অভিযুক্ত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত সাত জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জন আসামিকে খালাস দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ফরিদগঞ্জে শিশু ধষর্ণ মামলায় যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে আট বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. নাছির চৌকিদার (৩০) নামে এক যুবককে পাচঁ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর নাছির বাড়ির উঠান থেকে ওই শিশুকে ধরে নিয়ে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে নাছির, তার বাবা হানিফ চৌকিদার ও তার মা হেনজী বেগমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু আল মামুন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ নাছিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১১ বছর চলমান অবস্থায় ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযুক্তকে পাচঁ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলায় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ মানছুরি।
আরও পড়ুন: বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে ১১ মাসে সড়কে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা আদায়
ঝিনাইদহে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গত ১১ মাসে দুই কোটি ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশ ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করা হয় বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) সালাহউদ্দীন।
ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের তথ্যমতে, গত ১১ মাসে মোট নিষ্পত্তি মামলা ছিল পাঁচ হাজার ৮১২। বই ও পজ মেশিন দিয়ে এ সব মামলা করা হয়। এই সময় ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন, হেলমেট, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা, উল্টো পথে গাড়ি চালানো ও মোটরসাইকেলে দুইজনের বেশি যাত্রী বহনের দায়ে এক কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ২৯৮ টাকা জরিমানা আদায় করে ঝিনাইদহ বিআরটিএ ও জেলা ট্রাফিক পুলিশ।
আও পড়ুন: দেশের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের রিতু
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ ট্রাফিকের সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান বলেন, মোটরসাইকেলে মামলা খেতে না চাইলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এ জন্য তিনটি পেপারের যে কোনো একটি না থাকলে অবশ্যই মামলা হবে।
তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রেশন পেপার, ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই থাকতে হবে। ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকতে হবে। না থাকলে মামলা ও জরিমানা হবে। সেকেন্ডহ্যান্ড বাইক কেনার পর নাম ট্রান্সফার বা পরিবর্তন না করলে মামলা হবে। শিক্ষানবিশ কাগজ আছে কিন্তু পরীক্ষা, ছবি তোলা ও ফিংগার দেয়নি এমন গাড়ির মালিকরা রাস্তায় বের হলে মামলার বিধান রয়েছে। বাইক ড্রাইভ করার সময় হেলমেট পরেননি অথবা আপনি পরেছেন কিন্তু পেছনের যাত্রী পরেননি, তাহলেও মামলা হবে। ট্রাফিক সিগন্যাল না মানলে মামলা হবে।
সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান জানান, এছাড়াও উল্টা পথে গাড়ি চালালে, ব্রেক লাইট না জ্বলা, ইন্ডিকেটর লাইট ভাঙ্গা বা না থাকলে, রাতে হেড লাইট না জ্বালালে, ড্রাইভ করার সময় মোবাইলে কথা বললে, নেশা করে গাড়ি চালালে, অনুমতি ছাড়া বাইক মোডিফাই করলে, রঙ পরিবর্তন করলে, ভিআইপি হর্ন, ফগ লাইট ব্যবহার, হ্যালোজেন লাইটের জায়গায় এলইডি হেডলাইট ব্যবহার, মোটরসাইকেলে দু’জনের বেশি যাত্রী থাকলে, অবৈধভাবে পার্কিং করলে, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করলে, ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালালে ও লুকিং বা সেফটি গ্লাস না থাকলে সাধারণত মামলা করা হয়।
আও পড়ুন: ঝিনাইদহে অস্ত্রসহ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক
ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) সালাহউদ্দীন জানান, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছি। এতে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা কমে এসেছে।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে কিশোর ও উঠতি যুবকদের বাইক কিনে দেয়া। অভিভাবক যদি সচেতন না হয় তবে মামলা দিয়ে সড়কে মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন। তবে ঝিনাইদহ ট্রাফিক বিভাগ এ জন্য সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে।
টিআই সালাহউদ্দীন আরও জানান, কারো হয়রানি ও অর্থদণ্ড করার মানসে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান নয়। মৃত্যু হ্রাস ও দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে আইনের আওতায় আসার অভ্যাস এবং নিয়ম মানার জন্যই মূলত ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
আও পড়ুন: ঝিনাইদহে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ
বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে কাজীর জেল, বরের জরিমানা
সব ঠিকঠাক। একটু পরেই কবুল বলে পড়ানো হবে বিয়ে। তাই মাথায় টুপি আর গায়ে শেরওয়ানি পড়ে বিয়ের আসরে উপস্থিত বর মো. রুবেল হোসেন (২১)। কনে (পাত্রী) বৃষ্টি আক্তারকেও বিয়ের সাজে সাজিয়ে বসানো হয়েছে বরের পাশে। বিয়ের কাজী রেহান রেজাও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিয়ে পড়ানোর প্রহর গুনছেন।
কিন্তু কনে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এ খবর পেয়ে আর দেরি করেননি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। হঠাৎ করেই বিয়ে বাড়ির আসরে মেহমান হিসেবে পুলিশ নিয়ে হাজির হয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।
আটক করেন কাজীকে। বাল্যবিয়ে পড়ানো ও নিকাহনামা রেজিষ্ট্রেশন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কাজীকে দেয়া ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ। আর পাত্র রুবেলকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) রেহান রেজা (৪৭) উপজেলার চেংমারী গ্রামের হুমাউন রেজার ছেলে। তিনি খানপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজি হিসেবে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
অন্যদিকে পাত্র রুবেল পাশের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন খবরে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ইউএনও। বিয়ের জন্য নিকাহ্ রেজিস্ট্রারে লেখাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এসময় ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। আর বরের পাশে কনে সেজে মেয়ের ভাবি বসে পড়ে। বিষয়টি ইউএনও’র সন্দেহ হলে তখনই তাদের আটক করে বিভিন্ন অপরাধে সাজা ও জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া বৃষ্টি আক্তার নামে এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবরে পেয়ে বিয়ে বাড়িতে যাই। এসময় পাত্র রুবেল হোসেনকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আর নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী রেহান রেজাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না শর্তে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সংবর্ধনা পেলো মোনালিসা
বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইল সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে কৃষক মফি শেখ (২৮) হত্যা মামলায় জামিনুর রহমান মোল্যা নামে এক যুবকের ফাঁসির আদেশসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই দুপুরে নড়াইলের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক মফি শেখ তার ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে উপবৃত্তির টাকা তুলে বাড়িতে ফেরার পথে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মফি শেখকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী রেকসোনা খাতুন। ছয় আসামির মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দু’জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন