সেন্টমার্টিন
সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মোখা আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সি অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই।
তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, সাত মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোন কারণ নেই ।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সাত লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূলের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই বড় চালানটি উদ্ধার করা হয় বলে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়। এ সময় একটি নৌকাও উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে আসার গোপন খবরের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের একটি বিশেষ দল সেন্টমার্টিন পূর্ব চরে ওৎ পেতে থাকে। রাতে মিয়ানমারের দিক থেকে একটি নৌকা সেন্টমার্টিন উপকূলে চরের কাছাকাছি পৌঁছালে কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি চ্যালেঞ্জ করে।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় বাস থেকে ৭৪০০ পিস ইয়াবা জব্দ
তিনি আরও জানান, কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি দেখে নৌকায় থাকা দুই পাচারকারী সাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি তল্লাশি করে একটি পলিথিনের বস্তায় বিশেষ কায়দায় রাখা সাত লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উদ্ধার ইয়াবা টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান কোস্টগার্ড-এর এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাড়ে ২২ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাংলামোটরে সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসে আগুন
রাজধানীর বাংলামোটরে সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলে পাশের একটি গোডাউনেও ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পৌণে একঘন্টার চেষ্টায় ১০টা ৭ মিনিটে গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে আগুনে পুড়ে দম্পতির মৃত্যু
পুরান ঢাকার জুতার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
কক্সবাজার থেকে পযটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত শুরু
চলতি পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার থেকে পযটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটায় এমভি কর্ণফুলী নামের জাহাজটি কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে যাতায়ত শুরু করেছে।
নাফনদে ডুবোচর জেগে ওঠায় চলতি মৌসুম থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে সরকার। তবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সাত মাস পর ৭৫০ জন পযটক নিয়ে প্রথম দফায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন গেল এমভি কর্ণফুলী নামে একটি প্রমোদতরী।
নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে আসা সম্রাট চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন ভ্রমনের দীর্ঘ দিনের আশা পূরণ হয়েছে।তবে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে টেকনাফ যাওয়ার পর সেখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারলে ভালো লাগতো। তাহলে একসাথে মেরিন ড্রাইভও হতো এবং সেন্টমার্টিন ভ্রমনও হতো।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে জেলের জালে ১৪০ কেজির বোল মাছ!
জাহাজটির স্থানীয় পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, সকাল সাতটায় এমভি কর্ণফুলী সেন্টমার্টিনে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৭৫০ জন পযটক সেন্টমার্টিন পৌঁছে। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পযটকদের নিয়ে জাহাজটি পুনরায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে আটটায় বাঁকখালীনদীর বিআইডব্লিউিএ-ঘাটে পৌঁছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাত মাস বন্ধ থাকার পর ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে পযটকের পদচারণা শুরু হচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সেন্টমার্টিনে জেলের জালে ১৪০ কেজির বোল মাছ!
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৪০ কেজি ওজনের একটি বোল মাছ। জেলে আব্দুর রশিদের (৩৫) টানা জালে ধরা পড়া এ মাছটি এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় কিনে নেন ব্যাবসায়ী সৈয়দ আলম।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে সেন্টমার্টিন ডেইল পাড়া পয়েন্টে জেলে আব্দুর রশিদের (৩৫) টানা জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন প্রাসাদ প্যারাডাইস পয়েন্টে টানা জাল দিয়ে মাছ শিকার করছিলাম। এ সময় কয়েক দফা চেষ্টা করে একটিও ধরতে পারিনি। হতাশ হয়ে ফেরত যাওয়ার আগে শেষবারের মতো জাল টানলে ওই পয়েন্টে মাছটি ধরা পড়ে। সাগর থেকে এতবড় মাছটি ওঠাতে অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নেয়া হয়। মাছটি দেখতে লোকজন ভিড় জমান। মাছটির ওজন ১৪০ কেজি। এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি ছাড়াই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের সার্ভিস ট্রলারের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম মাছটি কিনে নেন।
মাছের ক্রেতা সৈয়দ আলম বলেন, শখের বশে বড় বোল মাছটি কিনে নিয়েছি। তবে গত কয়েক বছরের মধ্যে এত বড় মাছ দ্বীপে ধরা পড়েনি। মাছটি এক হাজার টাকা কেজি হিসেবে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে তার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের এক জেলের টানা জালে ১৪০ কেজি ওজনের একটি বিশাল বোল মাছ ধরার খবর শুনেছি। সাধারণত এখানে এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। তবে শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত বোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় খাল দখল করে চলছে মাছ চাষ
খুলনাঞ্চলের বোরো ধানে পোকার আক্রমণ: লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সেন্টমার্টিন থেকে কুকুর পুনর্বাসনের উদ্যোগ, প্রাণিবান্ধব সংগঠনের বাধা
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অতিরিক্ত কুকুর অন্যত্র পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিল টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। অন্যদিকে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে প্রাণিবান্ধব একটি সংগঠন।
ফলে এই সংগঠনের বাধার মুখে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন থেকে বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসনের উদ্যোগ সোমবার বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত রবিবার বিকাল ৪রটার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট এলাকা দিয়ে বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
জানা গেছে, পুনর্বাসন কার্যক্রমের প্রথম দিনে ৩৬টি কুকুর পুনর্বাসনের জন্য খাঁচায় রাখা হয়। প্রতিবাদের মুখে এই ৩৬টি কুকুরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় অতিরিক্ত কিছু কুকুর সেন্টমার্টিন থেকে অন্যত্র পুনর্বাসনের দাবি জানান বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। তাছাড়া সামনে বর্ষা মৌসুমে সেন্টমার্টিনে কুকুরের জন্য পর্যাপ্ত খাবার থাকবে না। তাই খাদ্য সংকটে পড়ে যেন কোন কুকুরের মৃত্যু না হয় সেইজন্য কিছু কুকুর অন্যত্র পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু এক বিবৃতিতে জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যে কোন ভূখণ্ডে সকল প্রাণির অবস্থান প্রয়োজন আছে। আবার কোনো প্রাণির সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেলে, তা পরিবেশের ভারসাম্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ঠিক তেমনি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এই দ্বীপে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। আর কুকুর রয়েছে সাড়ে চার হাজারের বেশি। সামুদ্রিক প্রাণিকুলের অভয়াশ্রম সেন্টমার্টিনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কুকুর অবস্থানের কারণে পরিবেশের ভারসাম্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। দ্বীপে খাবার সংকটের কারণে এসব কুকুর খাবারের প্রয়োজনে হিংস্র হয়ে উঠেছে। সৈকতে ডিম ছাড়তে আসা কচ্ছপ মারছে, খাচ্ছে কচ্ছপের ডিম, লাল কাঁকড়াসহ ২৮ প্রজাতির কাঁকড়া খাচ্ছে কুকুরগুলো।
দ্বীপে থাকা নানা জীববৈচিত্র্যর প্রাণিগুলো কুকুরের হানায় হারিয়ে যাচ্ছে। একসঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ টি কুকুর দলবেঁধে বিচরণ করে। যার কারণে দ্বীপের স্থানীয় শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব মানুষ আতঙ্কে থাকে। খাবারের প্রয়োজনে এসব কুকুর মানুষকে আক্রমণ করছে। দ্বীপের জীব প্রাণিকুল এবং মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে খাবার সংকটে পড়া এসব কুকুর।
পড়ুন: শ্রমিকের অধিকার ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইনমন্ত্রী
সাগরের মাঝে জাহাজে আগুন লাগার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে যাত্রী বোঝাই প্রমোদতরী ‘এমভি বে ওয়ান’ সাগরের মাঝখানে আগুন লাগার ঘটনার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ বাণিজ্য দপ্তর।নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ও রেজিস্ট্রার অব বাংলাদেশ শিপসের ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চত করেন। তিনি বলেন, নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন শেখ মো. জালাল উদ্দিন গাজীকে প্রধান করে শনিবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।তদন্ত কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সার্ভেয়ার রফিকুল আলম ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ফিল্ড ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ হোসাইন।
আরও পড়ুন: মধ্য সাগরে আটকে পড়ে জাহাজটি চট্টগ্রামে ফিরেছেগিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, সার্ভে শেষে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। দুর্ঘটনার কারণ, দুর্ঘটনার সময়, জাহাজ কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে সুপারিশ করা হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘এমভি বে ওয়ান সিঙ্গাপুর থেকে চার্টার নেয়া। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। চার্টার দেশই এটি দিয়ে থাকে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ডিজি শিপিং কর্তৃপক্ষ কেবল অনুমোদন দিয়ে থাকে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান ক্রুজ। প্রায় দুই ঘন্টার মাথায় সাগরের মাঝে গিয়ে ১২টার দিকে জাহাজটির ইঞ্জিন রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকলে পুরো জাহাজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জাহাজের ক্রুরা জানায়, ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে এ ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে আধঘন্টার মাথায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরদিন শুক্রবার দুপুরে বন্দরের কান্ডারী-১২ এর সাহায্যে যাত্রীসহ জাহাজটি পতেঙ্গায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া: ৮০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ মাঝ সাগরে নোঙর
মধ্য সাগরে আটকে পড়ে জাহাজটি চট্টগ্রামে ফিরেছে
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে মধ্য সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকে পড়া জাহাজটি ৮০০ যাত্রীসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ফিরে এসেছে।
শুক্রবার সকালে টাগ বোট কাণ্ডারী আটকে পড়া জাহাজ ‘বে ওয়ান’কে ঘটনাস্থল থেকে যাত্রীসহ নিয়ে আসে। জাহাজটি পতেঙ্গা থেকে ১৭ নটিক্যাল মাইল দূরে আটকে পড়ে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় বে ওয়ান পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে পৌঁছে।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া: ৮০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ মাঝ সাগরে নোঙর
বে ওয়ান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের প্রকৌশলী মইন উদ্দিন বলেন, ‘জাহাজটির দুটি ইঞ্জিনের একটি অকেজো হয়ে যায়। একটি ইঞ্জিন নিয়েও সেন্টমার্টিন যাওয়া যেত। তবে জাহাজটি ঝুঁকি নিয়ে আর সেন্টমার্টিন না গিয়ে ফিরে এসেছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আধঘণ্টা চলার পর জাহাজের পঞ্চম তলায় ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। তারা জানান, ধোঁয়ার কারণে ইঞ্জিন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে তাদের জানান জাহাজের কর্মকর্তারা।
জাহাজের যাত্রী মো. আরমান হোসেন জানান, আগুন লেগেছে শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে জাহাজের কর্মীরা অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন: জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা ৪ হাজার পর্যটক
ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া: ৮০০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ মাঝ সাগরে নোঙর
সেন্টমার্টিনে চলাচলাকারী বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান ক্রুজের ইঞ্জিন রুম থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় কুতুবদিয়ার কাছে সাগরে নোঙ্গর করা হয়েছে। জাহাজটিতে ৮০০ যাত্রী আছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এতে পুরো জাহাজে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
বে ওয়ান ক্রুজ জাহাজটি কুতুবদিয়ার কাছে সাগরে নোঙ্গর করা অবস্থায় রয়েছে বলে জানান জাহাজের যাত্রী মানবাধিকার নেতা আমিনুল হক বাবু।
আরও পড়ুন: জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা ৪ হাজার পর্যটক
তিনি জানান, যাত্রীদের সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন সংস্থা এগিয়ে আসেনি। তবে যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে বলে শুনেছি।
সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসেন ইসলাম বাহাদুর জানান, ইঞ্জিন থেকে অত্যধিক মোবাইল অয়েল লিক হওয়ার ফলে ইঞ্জিন রুমে প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখা দিলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবও রয়েছেন।
ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’র
জাহাজ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা ৪ হাজার পর্যটক
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় দ্বীপটিতে প্রায় চার হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। রবিবার রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সেন্টমার্টিনগামী সব ধরনের জাহাজ চলাচল একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় একদিনের জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় পর্যটকদের আবাসিক হোটেলের কক্ষ ভাড়া ৫০ শতাংশ ছাড় দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
আবহওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে জাহাজ চলাচল আবার শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, হঠাৎ জাহাজ বন্ধ হওয়ায় চার হাজার পর্যটক আটকা পড়লেও এ সংখ্যা আরও কমতে পারে। কারণ অনেক পর্যটকের নিজ উদ্যোগে সেন্টমার্টিন ত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে জাপান