অভিযান
অভিযানেও কমছে না খুলনার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের কারসাজি
একের পর এক অভিযানেও খুলনায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য। গুদামগুলোয় মিলছে অবৈধ মজুত।
অভিযানে অবৈধ মজুত রাখা, বেশি মুনাফার আশায় অযৌক্তিক দামে বিক্রি ও লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের নানা অপরাধের তথ্য বের হয়ে আসছে।
সরকার একটি ডিম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এসব পণ্য সেই দামে মিলছে না। এতে করে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
মহানগরীর বড় বাজার, সান্ধ্য বাজার, গল্লামারীসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কারসাজি ঠেকাতে প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে ভোগ্যপণ্য কেনাই যাচ্ছে না। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনে কমে বিক্রি করা সম্ভব না।
গল্লামারী বাজারের ক্রেতা নিয়ামুল বলেন, বাজারে অগ্নিমূল্য। সরকারের নির্ধারিত দামে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।
একই সুরে কথা বলেন এম রহমান নামে অপর এক ক্রেতা, সরকার আলুর প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাজার থেকে কিনলাম ৫০ টাকা কেজি।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
এম রহমান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অচিরেই অনেককেই অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতে পারে।
ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ক্রেতা আইনজীবী হেলাল হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে কোনো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা যেমন ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, তেমনি ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে কোনো পণ্য কিনতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের চরম ব্যর্থতার বলি হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা। এর মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর মাছের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আমরা আমজনতা বাজারে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ছাড়াও সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করা হচ্ছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ও মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পৃথক ২ অভিযানে খুলনায় ৭০৫ কেজি ভেজাল মধুসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
এরপরও গোপনে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল মধু তৈরি করে বিক্রি করছেন।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ায়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় প্রতিনিয়ত খুলনার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। অভিযানের পর আবারও অধিক মূল্য হাকান ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনেক বেপরোয়া। আমরা যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ কোনো সমস্যা হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চলে যাওয়ার পর আবার একই অবস্থা হয়ে যায়। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু আছে আমরা চেষ্টা করছি বাজার ঠিক করার।
খুলনা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করাতে আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। কোল্ড স্টোরেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, সেখানে মালিকের কোনো আলু নেই। মালিক শুধু কোল্ড স্টোর যারা ভাড়া নিয়েছে তাদের কাছ থেকে চার্জটা রাখে। বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে আনছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের আলু এখনও না পাওয়া গেলেও পেঁয়াজের দাম কাছাকাছি এসে গেছে। পেঁয়াজ ছিল ৮৫-৯০ টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ৭০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের তিনটা ভ্রাম্যমাণ আদালত অথবা ভোক্তা অধিকারের লোক নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন অভিযান করেছে ৩ দিন। শহরের মধ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ কারণে বেশি দাম রাখতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। তবে শহর থেকে দূরে বেশি দামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: আ’লীগের লুটেরাদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি।
তিনি বলেন, যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারও ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
হালদা নদীতে অভিযান: ৪ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে চার হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট থেকে শুরু করে ছিপাতলি ইউনিয়ন পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৫ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান।
তিনি জানান, অভিযানে ৪ হাজার মিটারের ৮টি ঘেরা জাল এবং জাল বসানোর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন আইডিএফ এভিসিএফ (মৎস্য) মো. ফয়েজ রাব্বানী ও হাটহাজারী থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৯ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
সিলেট নগরীতে পণ্যের গুনগতমান এবং ওজন ও পরিমাপ যাচাই সংক্রান্ত অভিযান পরিচালনা করেছে বিএসটিআই।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দিনভর নগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে র্যাব-৯ ও বিএসটিআইয়ের সমন্বয়ে অভিযান চালানোর সময় ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দেওয়া হয় এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
র্যাব-৯ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন বিএসটিআই সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) সুমন সাহা ও ফিল্ড অফিসার (সিএম) মো. তারিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
জনস্বার্থে বিএসটিআই সিলেটের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বিএসটিআই সিলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার নগরীর দক্ষিণ সুরমা গোটাটিকরস্থ বিসিক শিল্প নগরীর মেসার্স ওয়ান্ডার ফুডে উৎপাদিত বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্যের অনুকূলে সিএম লাইসেন্স নবায়ন ব্যতীত মানচিহ্ন ব্যবহার এবং ওজন যন্ত্রের ভেরিফিকেশন সনদ ও মোড়কজাত নিবন্ধন সনদ না থাকায় ১ লাথ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, একই এলাকার মেসার্স সুমন ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানটিকে সিএম লাইসেন্স নবায়ন ব্যতীত মানচিহ্ন ব্যবহার এবং ওজনযন্ত্রের ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, মেসার্স বৈশাখী ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানটিকে ভেরিফিকেশন সনদ এবং মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ না থাকায় ওজন ও পরিমাপ মান দণ্ড আইন ২০১৮ অনুযায়ী ৭০ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ঐতিহাসিক সাফল্যের কাছাকাছি ভারতের চন্দ্র অভিযান
চাঁদে অনুসন্ধান করতে দক্ষিণ মেরুতে ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মিশনের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার আগামী ২৩ আগস্ট অবতরণ করতে চলেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) চাঁদের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারটি মিশনের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু করে।
এটি বলেছে, একটি রাশিয়ান মহাকাশযানও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাত্রা করছে।
লুনা-২৫ হলো ১৯৭৬ সাল থেকে রাশিয়ার প্রথম চাঁদ মিশন। তখন দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি অংশ ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ
গত সপ্তাহে লুনা-২৫ চালু হয়েছিল। এটি আগামী ২১ বা ২২ আগস্ট একটি নিরাপদ অবতরণ করতে প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি লুনা-২৫ নির্ধারিত সময়ে নিরাপদ অবতরণ করতে সফল হয়, তাহলে চন্দ্রযান-৩ -কে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারিত হওয়ার জন্য স্থির থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সর্বোপরি বহুল প্রত্যাশিত চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ ভারতকে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছে দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় নিয়ে আসবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন যারা ইতোমধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটি গত ১৪ জুলাই চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করার আগে এটি পৃথিবীর বেশ কয়েকটি কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেছে। তারপর থেকে মহাকাশযানটি অবতরণের প্রস্তুতির জন্য চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে।
আরও পড়ুন: নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
এতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ান এবং ভারতীয় মহাকাশযান উভয়ই একসঙ্গে ইতিহাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে একটি ‘মিনি স্পেস রেস’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অবশ্য এটিকে রেস না করে চাঁদে একটি নতুন ‘মিটিং পয়েন্ট’ বলতে আগ্রহী।
ইসরোর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘১৯৬০-এর দশকে শুরুর প্রথম দিন থেকে ইসরো কখনোই কোনো প্রতিযোগিতা করেনি।’
আরও পড়ুন: আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩: ইসরো
মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
মৌলভীবাজারের পূর্ব তাকতিউলিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে এ অভিযান শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন চলমান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট শনিবার সকালে গোপন আস্তানা থেকে উদ্ভূত সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে এই অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
টেকনাফে তিনটি আলাদা অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের নাজিরপাড়া বিওপির আওতাধীন গফুর প্রজেক্ট এলাকা থেকে এই ইয়াবা জব্দ করে বিজিবি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, নাজিরপাড়া বিওপির গফুর প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের সংবাদ পান। আনুমানিক রাত ৩টা ৫০ মিনিটে বিজিবি টহলদল তিন ব্যক্তিকে দু’টি বস্তা কাঁধে নিয়ে নাফ নদী সীমান্তসংলগ্ন কেওড়া বাগান অতিক্রম করে গফুরের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদের ধাওয়া করে।এ সময় কাঁধে থাকা বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে নাফ নদীর পাশ দিয়ে কেওড়া বাগানের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ২ লাখ ইয়াবা জব্দ করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি'র টেকনাফে নাজিরপাড়া বিওপি’র আওতাধীন রহমান স্লুইচ গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৪ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। অপরদিকে একই রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র আওতাধীন আশিকানিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২৪০০ ইয়াবা জব্দ, আটক ১
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান মশক নিধন অভিযানে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ১৬ দিনে মোট ১৮১ মামলায় ১ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৭টি মামলায় মোট ২ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
অভিযানে দুইটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ৪ মামলায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১০নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত লালকুঠি ও ৩য় কলোনি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে প্রায় ৬৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
একটি দোকানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর সেকশন ৭ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান।
এছাড়াও ডিএনসিসি'র সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে।
১০টি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত আট ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৩ স্থাপনাকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) করপোরেশনের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, সবুজবাগ, নবীপুর লেন, মালিটোলা, পূর্ব জুরাইন, উত্তর মান্ডা ও কোনাপাড়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মনজুরুল হক ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকায় ৪১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ৬২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান হাজারীবাগের নবীপুর লেনে ৬৪টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালিটোলা এলাকায় ৪২টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জুরাইন এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মান্ডা এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৮৪ বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩ মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন ধানমন্ডি ১৫/এ, দেওয়ানবাগ, মায়াকানন, নবাবগঞ্জ, জিন্দাবাহার প্রথম লেন, বংশাল, অভয় দাস লেন, আর কে মিশন রোড, মান্ডা, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
ধানমন্ডির ১৫/এ এলাকায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক এবং ধনিয়া এলাকায় বিশ্বাস বিল্ডার্স নির্মিত নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ১৬টি স্থাপনাকে জরিমানা করা হয়েছে।
১ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ধানমন্ডি ১৫/এ এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ পাঁচটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান তিনি।
আদালত এ সময় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবকে একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। বাকি চার স্থাপনায় চার মামলায় আরও ৫২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
সবমিলিয়ে অঞ্চল-১ এ পরিচালিত আদালত পাঁচ মামলায় এক লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
২ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আর সেলিম শাহনেওয়াজ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় ২৫টি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানবাগ এলাকায় ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
এছাড়া ২ নম্বর অঞ্চলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ২৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি একটি স্থাপনায় ওয়াসার মিটারের নিচে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ এলাকায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আদালত এ সময় দুইটি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ৯০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার আদালত বংশালের জিন্দাবাহার প্রথম লেনে ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ছয় হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ অভয়দাস লেন ও আর কে মিশন রোড এলাকায় ২২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় বিশ্বাস বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আরেকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ২৬৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি