অভিযান
ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) শনিবার (৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী বিশেষ মশকবিরোধী অভিযানের দ্বিতীয় দিনে লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় ১৬টি মামলা থেকে মোট ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
রবিবার করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, ডিএনসিসির ১০টি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়া, আরও চারটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
মশা নির্মূল অভিযানে যোগ দেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সরওয়ার, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৬, আক্রান্ত ৮৩৬ জন
এ ছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মশা নির্মূল কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করা ও মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করেন।
এর আগে শনিবার ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই মশা নির্মূলে মাঠে কাজ করছি। অভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্যদের যুক্ত করেছি।
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি মাঠে আছি; আমার কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ, সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে আপনাদের এলাকা পরিষ্কার রাখার আবেদন জানাচ্ছি। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আজ থেকে শুরু হওয়া
মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১৭টি মামলায় মোট ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মেয়র বলেন, 'মশক নিধন অভিযানে আমি কোথায় যাব কেউ কিছুই জানেন না। আগে থেকে জানিয়ে গেলে সেখানে সবকিছু পরিষ্কার করা থাকে। তাই প্রকৃত অবস্থা দেখতে কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আকস্মিক পরিদর্শনে যাব। এক্ষেত্রে আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাব এবং ব্যবস্থা নিব।'
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিক বলেন। এ সময় জাপান গার্ডেন সিটির কয়েকটি বহুতল ভবনের বেইজমেন্ট ঘুরে দেখেন তিনি।
মেয়র বলেন, 'ভবনের ভেতরে জমে থাকা পানি সিটি করপোরেশন পরিষ্কার করবে না। এসব ভবনে আমাদের কর্মীরা ঢুকতে পারে না। শুধু এই এলাকা না ঢাকার অনেক ভবনে, বাড়িতে আমাদের কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অন্যান্য জায়গার চেয়ে বাসা-বাড়ির ভিতরে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা বেশি জন্মে। গবেষণায় উঠে এসেছে বেজমেন্টে যেখানে গাড়ি রাখা হয় ও গাড়ি ধোয়া হয় সেখানে প্রায় ৪৮ শতাংশ এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই ভবনের ভিতরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব ভবন মালিককেই নিতে হবে।'
তিনি বলেন, 'জাপান গার্ডেন সিটি একটি অভিজাত এলাকা। এখানে কর্তৃপক্ষ সার্ভিস চার্জ নেন। তারা ইলেকশন করেন। অথচ এখানে মশার চাষ হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যে পরিমাণ মশা এখানে আছে জাপান গার্ডেনের নাম চেঞ্জ করে মসকিউটু বা লার্ভা গার্ডেন রাখা দরকার। এখানে ২৩টি ভবনে কয়েক হাজার মানুষ বাস করে। অথচ প্রতিটি ভবনে যে পরিমান লার্ভা জাপান গার্ডেন সিটি একটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই আমরা মশা নিধনে মাঠে কাজ করছি৷ নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করছি। প্রচারাভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করেছি। গতমাসে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ ও মাদরাসার ইমাম ও খতিবগণের সঙ্গে এবং স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। কিন্তু সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। বাসা-বাড়ির ভিতরে লার্ভার দায়িত্ব আমাদের কর্মীরা নেবে না।'
তিনি বলেন, 'আমি মাঠে আছি, আমার সকল কাউন্সিলর মাঠে থাকবে। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ, সোসাইটির প্রতিনিধিদের আহ্বান করছি আপনারা নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।'
আরও পড়ুন: সময়মত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন ডিএনসিসি’র
জাপান গার্ডেন সিটি পরিদর্শন শেষ করে ডিএনসিসি মেয়র মোহাম্মদপুরর শেখের টেক পিসিকালচার হাউজিং, আদাবর ও শ্যামলী এলাকার কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন।
লার্ভা পাওয়ায় মেয়রের উপস্থিতিতে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জাপান গার্ডেন সিটিকে ৫ লাখ টাকা, পিসিকালচার হাউজিংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ৫ লাখ টাকা ও অন্য তিনটি ভবনে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়াও অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা ৪, ৬ ও ৮ নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ২টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন নুরের চালা এলাকা এবং অঞ্চল ১০ এর আওতাধীন আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। নুরের চালায় ২টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া আফতাবনগরে দুটি বাড়িতে নিয়মিত মামলা করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৮টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। পুরো জুলাই মাসে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন অভিযানে অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ মশক কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন এবং মশার উৎসস্থল ধ্বংস করেন।
ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) নগরীর পঙ্গু হাসপাতালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আহত সাংবাদিককে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং আপনার কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলুন: অধস্তনদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, রাজধানীকে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে মুক্ত করতে যত কাজই হোক না কেন পুলিশ যা যা করা দরকার তা করবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ এখন ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ফার্মগেটে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত সব ছিনতাইকারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
এছাড়া সাংবাদিক রকিবুল হাসান ছিনতাই মামলার দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও একটি মোটরবাইকও জব্দ করেছে পুলিশ।
মামলার আরেক আসামি পুলিশের নজরদারিতে থাকায় যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ফারুক।
তিনি আরও বলেন, রকিবুল তার জবানবন্দিতে বলেন যে ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন পাঠাও রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালক এবং আরেকজন ইলেকট্রিশিয়ান।
আরও পড়ুন: ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বাড়িতে পুলিশের অভিযান
ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ বুধবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এবং কোভিড-১৯ টিকার রেকর্ডের মিথ্যা তথ্যের তদন্তের অংশ হিসেবে তার সেল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
অপারেশন চলাকালীন অফিসারেরা বলসোনারোর সহকারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাউরো সিড এবং তার দুই নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেপ্তার করে।
বলসোনারো সাংবাদিকদের কাছে ব্রাসিলিয়ায় তার বাড়িতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং নথি জাল করার অভিযোগে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে নির্বাচন: বলসোনারোকে হারিয়ে লুলা ফের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন
তিনি আরও বলেছেন যে তিনি কখনও কোভিড ভ্যাকসিন নেননি।
ফেডারেল পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফেডারেল পুলিশ ব্রাসিলিয়া ও রিও ডি জেনিরোতে মোট ১৬টি অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং পাশাপাশি ছয়টি প্রতিরোধমূলক আটকাদেশ দিয়েছে।
তারা বলেছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেসে মিথ্যা ভ্যাকসিনেশন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করাকে নিয়ে তদন্ত করছে।
ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট অভিযোগের তদন্তের তত্ত্বাবধান করছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা এবং অপরাধমূলক সংস্থায় অংশগ্রহণ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় পরীক্ষাতেও করোনা পজেটিভ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
দামুড়হুদায় ১২ ঘণ্টায় হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কিতাব আলীকে (৪৮) কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যা সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদের দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার শাহাবুদ্দিন শাবুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), একই পাড়ার রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার মিলন হোসেনের ছেলে হাফিজুর (২০)।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, হত্যা মামলার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তি তিনজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করেছে। গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, কিতাব আলী তাদের পরিচিত ছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কিতাব আলী ও আসামিরা ঘটনাস্থলে বসে গাঁজা সেবন করেন। এ সময় আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কিতাব আলীর সঙ্গে থাকা একটি হাসুয়া কেড়ে নিয়ে আসামি সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর তাকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের তিনজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে কিতাব আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরায় ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশের অভিযান শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ভুয়া চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযান শুরু করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। জেলার প্রায় ৭৬ কিলোমিটার সড়ক ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এসব সড়কে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
যানবাহনের তীব্র গতি, আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ তিন চাকার যান চলাচল, রাস্তার বাঁকসহ বিভিন্ন কারণে প্রায়ই এসব সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে জেলার খাতিহাটা হাইওয়ে পুলিশ নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গত তিন মাসে ৪৯৮টি মামলা করেছে।
মামলার মধ্যে ২৫৩টি থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে এবং ১৩৭টি দ্রুতগতির যানবাহনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ১০৮টি মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশের অভিযানে মহাসড়ক দখল করে স্থাপন করা কিছু অস্থায়ী দোকানও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিশা রোড মোড়, কুত্তাপাড়া, শাহবাজপুর, কাউতলী মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এই অভিযানের সময়, পুলিশ চলন্ত যানবাহনের গতি পরিমাপ করতে স্পিডগান ব্যবহার করে। এছাড়া নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজারসহ নিহত ২
চালকরা মদ বা মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হাইওয়ে পুলিশ তাদের স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এসব দুর্ঘটনারোধে কাজ করলেও চালকদের সচেতনতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।
খন্তিহাটা হাইওয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চাঁদ বিশাস বলেন, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশুগঞ্জের ধরখার পর্যন্ত চার লেনের সড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি।
এছাড়া গত ৩ মাসে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ৪৯৮টি মামলা করেছে।
এদিকে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখনও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যাত্রী কল্যাণ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারাদেশে সাত হজার ৬১৭টি সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে দুর্ঘটনায় মোট ১০ হাজার ৮৫৮ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১জন নিহত এবং ১২ হাজার ৩৫৬জন আহত হয়েছে যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিসংখ্যান।
এছাড়া ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মাদকবিরোধী অভিযানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে ডিএমপি অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ৭৬৯ পিস ইয়াবা বড়ি, ৩৮ দশমিক ২৫০ কেজি গাঁজা, ১৫০ গ্রাম হেরোইন, ৮৪৩ বোতল ফেনসিডিল এবং ১২টি মাদকের ইনজেকশন উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোট ৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৭
রাজধানীতে ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১
মাদক বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের এই সংখ্যা দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: সন্তানের নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েই আসামি গ্রেফতার
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, পুলিশের টিম ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তাদের কাছ থেকে এক হাজার ১৮৪টি ইয়াবা বড়ি, আট দশমিক ৯৩০ কেজি গাঁজা, ৮৭ গ্রাম হেরোইন ও ৪০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোট ৩৪টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকার লাগিয়ে ঘুরতেন পলাতক আসামি, অবশেষে গ্রেফতার
গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরিত ভবনে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ারফাইটিং ইউনিট। বুধবার সকাল থেকে এই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করলেও এখনও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে, গুলিস্তানের পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
গতকাল রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি ৫ তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়।
শাহজাহান সিকদার জানান, বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে কর্তৃপক্ষ ১৭ জনের লাশ হস্তান্তর করেছে।
নিহত ১৭ জন হলেন- সুরিটোলার মোমিনের ছেলে সুমন(২১)। যাত্রাবাড়ীর মোশাররফ হোসেনের ছেলে মুনসুর হোসেন(৪০); বরিশালের দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা(৩৫); বংশালের হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল(৪২), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত(১৮), চাঁদপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলামিন (২৩), কিশোরগঞ্জের হাসেম মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া(১৮); যাত্রাবাড়ীর কালা চান মীরের ছেলে ইদ্রিস মীর(৫০); চকবাজারের আবুল হাসেমের ছেলে মমিনুল ইসলাম (৩৮), মমিনুল ইসলামের স্ত্রী নদি বেগম (৩৪), মুন্সীগঞ্জের জমির উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন(৫০), বংশালের ইউনুস হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন(২০), মানিকগঞ্জের সাহেব আলীর ছেলে ওবায়দুল হাসান (৫৫), মুন্সীগঞ্জের মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক(৩৪), বংশালের আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী আকুতি বেগম(৭০); যাত্রাবাড়ীর মোহাম্মদ ভূইয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম ভূইয়া(৫৫), কেরানীগঞ্জের দুলালের ছেলে আব্দুল হাকিম সিয়াম(১৮)।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর থেকে ৩ থেকে ৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১ জন।
গুলিস্তান বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৫, আহত ৬০ জনের বেশি
ফরিদপুরে আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিস থেকে ৬ ‘দালাল’ আটক
ফরিদপুরের আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিস থেকে ছয় জন দালালকে আটকের দাবি করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার (৫ মার্চ) বিকালে ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন-আল-আমিন শেখ (২৮), মো. আবু রাসেল (৪২), মো. ইমরান শেখ (২২), মো. ফয়সাল ভূইয়া (২৬), মো. রাজিব মোল্যা (২৮) ও মো. রাব্বি মোল্যা (২৮)। তাদের সবার বাড়ি জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
আটকদের সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফরিদপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ছয় দালালকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরে দুদকের গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয় সেখানে পাসপোর্ট অফিসে মানুষের হয়রানির বিষয়টি উপস্থাপিত হলে বিষয়টি জেলা পুলিশকে দেখার অনুরোধ জানায় দুদক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া আটকদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের শেষে দুপুরে আদালতে পাঠানো করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীর পেট থেকে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
নাটোরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ জব্দ, আটক ৩