অভিযান
নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
নড়াইলের কালিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার বড়নাল, মাধবপাশা ও নড়াগাতি থানার জয়নগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলা প্রশাসনের সরকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসিফ উদ্দিন মিয়া এবং সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামাল মেহেদীসহ জেলা পুলিশ ও আনছার বাহিনীর সহায়তায় কালিয়া উপজেলার বড়নাল, মাধবপাশা ও নড়াগাতি থানার জয়নগর এলাকায় অবৈধ ইটভাটা ও জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৭
এ সময় পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় ও অবৈধ ইটভাটা হওয়ায় বড়নাল এলাকার মেসার্স স্বস্তি এন্টারপ্রাইজ ব্রিকস ও মাধবপাশা এলাকার মা ব্রিকস নামক দু’টি ইটভাটার স্কেভেটর ও ট্রাকটরের সাহায্যে চিমনি, কিলন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয় এবং জ্বালানি কাঠ ব্যহারের করায় মেসার্স স্বস্তি এন্টারপ্রাইজ ব্রিকসকে ৪০ হাজার টাকা ও মাধবপাশা এলাকার মা ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কামাল মেহেদী জানান, নড়াইল জেলায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ ইটভাটা ও জ্বালানি কাঠ ব্যবহার সমূহের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর-এর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে জঙ্গি দমন অভিযান: ৪৪ ‘জঙ্গি’ কারাগারে, ৫ কেএনএফ সদস্য রিমান্ডে
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সভাপতিসহ দলটির ৩৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু, এনায়েতপুর থানা যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রাজ, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম আজম, সগুনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী, সিরাজগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর শাহরিয়ার শিপু।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্ট অফিসার (ডিআইও-১) মো. আব্দুর রহিম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জেলার বিভিন্ন থানা পুলিশের অভিযানে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়েদের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল, ডেলিভারিম্যান গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে নারীসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের অভিযান: আসামির রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশের অভিযানকালে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার দাবি করছে, পুলিশের হাত থেকে বাচঁতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছেন মো. নাছির উদ্দিন (৫৫) নামে চুরির মামলার ওই আসামি।
তবে পুলিশ দাবি করছে, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার শহীদ নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
মৃত নাছির বায়োজিদ বোস্তামি থানার পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
জেলার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাছিরের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় দায়ের করা গরু চুরির মামলা রয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম আসায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা টিম অভিযান চালায়।
চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত এসপি ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মুখপাত্র আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ডিবির দল নাছিরের বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে চিৎকার করে আশেপাশের লেকজন জড়ো করে। এসময় তার সহযোগীরা ডাকাত ভেবে পুলিশকে পাথর মারে। পরে তারা পুলিশের পরিচয় পায়।
আরিফ হোসেন আরও বলেন, ঘটনার সময় আসামি নাছির তার ঘরের ভিতরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, অভিযানের সময় পুলিশ নাছিরের ঘরের দরজা ভাঙতে গেলে নাছির জানালা দিয়ে পালিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরে সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, নাছির হার্টে অ্যাটাকে মারা গেছে। তার পরিবার ও এলাকার একটা পক্ষ এ ঘটনা ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়া নাছিরের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আমরা পায়নি। তার লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পৃথক গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু
খুলনায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও ইটভাটা মালিকরা সম্মিলিতভাবে ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর পাড়ের ১৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধসহ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে ভদ্রা ও হরি নদীর দু’পাশে ব্যক্তি মালিকানার জমির সঙ্গে নদীর চর ভরাটিয়া জমি অবৈধভাবে দখল করে এলাকার প্রভাবশালীরা বেশ কয়েকটি ইটভাটা গড়ে তোলে।
নদীর চর দখল ও এলাকার পরিবেশের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ‘ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৪টি ইটভাটার মধ্যে থাকা সরকারি নদীর জায়গা থেকে ইটভাটা উচ্ছেদ/অপসারণ করে জমি অবমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। ’কিন্ত আদালতের সেই আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না হওয়ায় ৭ ডিসেম্বর রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট খুলনা জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দেয়ার নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
বিচারপতি জে.বি.এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ১৪টি অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করে নদীর জায়গা অবমুক্ত করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও ইটভাটা মালিক পক্ষ সময় চেয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন করলে তা খারিজ করা হয়ে যায়। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে ওইসব ভাটাগুলোর মধ্যে থাকা সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসকেবেটর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত করে সরকারি নদীর জায়গা অবমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন ইটভাটা মালিক তাদের ভেতর থাকা সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে স্ব উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। অভিযান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম মুমিন লিংকন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল,এ) আতিকুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পুলিশের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটা মালিকদের যৌথ উদ্যাগে উচু-চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভাঙ্গা কার্যক্রমের পাশাপাশি ইট সরিয়ে নেয়া শুরু করে। খর্ণিয়া ব্রিজ সংলগ্ন ‘নুরজাহান ব্রিক্স’র কর্তৃপক্ষ তিনদিন ধরে উঁচু চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভেঙ্গে এবং ইট সরিয়ে নিচ্ছেন। পাশে কে,বি-২ ব্রিক্স বুধবার তাদের চিমনি ভেঙ্গে নেয়াসহ ইট সরিয়ে নিচ্ছে। কে.পি.বি ব্রিক্স তাদের ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে নিচ্ছেন এবং ভাটার ভিতরে নদীর জায়গায় থাকা স্থাপনা সরাচ্ছেন। এছাড়া এস.বি ব্রিক্স, সেতু-১ ব্রিক্সও তাদের মধ্যে থাকা নদীর জায়গা ছেড়ে দিতে ক্লিন ভেঙ্গে ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। এফ.এম.বি ব্রিক্স তাদের চিমনি ভেঙ্গে সরিয়ে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নুরজাহান ব্রিক্স’র মালিক শাহাজান জমাদ্দার বলেন,’আমি হাইকোর্টর নির্দেশ মান্য করে আমার ইটভাটার মধ্যে সরকারি জমির ওপর থাকা স্থাপনা শ্রমিক দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছি’।
কে,পি,বি ব্রিক্স’র ব্যবস্থাপক মাসুদ জোয়াদ্দার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা জানার পর থেকে আমাদের ইটভাটার মধ্যে থাকা নদীর জাগয়া থেকে মাটি মিকচার মিল, শ্রমিকদের স্থাপনা এবং ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া অব্যহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইনবিধি মোতাবেক আমরা ইতোমধ্যে ওই ১৪টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া সি.এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর জমি চিহ্নিত করে তা উদ্ধার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে নদীর জাগয়া অবৈধ দখল মুক্ত করতে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
রাঙ্গামাটিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলার আসামবস্তি ও মগবান ইউনিয়ন থেকে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও নগদ অর্থসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বামীকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার
এ সময় পুলিশ জানায়, কোতোয়ালি থানাধীন ২নং মগবান ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দোখাইয়া পাড়া থেকে বিন্দু লাল চাকমার ছেলে ভাগ্যধন চাকমাকে এবং অন্য আরেক অভিযানে আসামবস্তি নতুন মুসলিম পাড়া থেকে আলুংমং মারমার ছেলে সুই সিং মং মারমাকে আটক করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভাগ্যধন চাকমার কাছ থেকে অস্ত্র ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি গাদা বন্দুক, নগদ একলাখ ৩৭ হাজার টাকা, পাঁচটি মোবাইল ফোন, ছোট-বড় পাঁচটি রেজিস্ট্রার উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে সুই সিং মং মারমার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, যৌথ বাহিনীর পৃথক দুইটি অভিযানে দুইজন ব্যক্তিকে অস্ত্র ও নগদ অর্থসহ আটক করা হয়।
তারা স্থানীয় পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে সংযুক্ত বলে আপাতত জেনেছি। তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
নড়াইলে চাঁদাবাজির মামলায় সাংবাদিক দাবি করা ৩ জন গ্রেপ্তার
পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
অধিকৃত পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার অভিযানের সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে।বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহত ব্যক্তিকে সামির আসলান (৪১) বলে শনাক্ত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও জানান, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত বছরের শুরু থেকে এই অঞ্চলে প্রায় রাতের বেলা অভিযান চালাচ্ছে। এরই ধারাবিাহিকতায় তারা শেষ রাতের দিকে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে এবং ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি ‘হামলাকারীদের’ গুলিতে ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু
নিহত আসলানের বোন নওরা আসলান বলেছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী তার ভাইয়ের ১৮ বছর বয়সী ছেলে রামজিকে গ্রেপ্তার করতে রাত আড়াইটায় তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। রামজিকে সৈন্যরা নিয়ে যাচ্ছিল। তার বাবা তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন, এসময় একজন ইসরায়েলি স্নাইপার তাকে গুলি করে।
নওরা আরও বলেন, আসলানের স্ত্রী একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করেছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি সেনাবাহিনী চিকিৎসকদের প্রথমে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। প্রায় ২০ মিনিট পরে আসলানকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা সম্ভব হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবারও অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালায়, জেনিনের ফ্ল্যাশ পয়েন্ট শহরের দক্ষিণে কাবাতিয়া গ্রামে প্রবেশ করে এবং শহরের একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ২৫ বছর বয়সী হাবিব কামিল এবং ১৮ বছর বয়সী আবদেল হাদি নাজালকে গুলি করে হত্যা করেছে।
যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনি মুহাম্মদ আলাউনাকে গ্রেপ্তার করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাবাতিয়ায় প্রবেশ করেছে।
সেনাবাহিনী বলেছে যে সৈন্যরা অভিযানের সময় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করেছে। একজন ব্যক্তি আলাউনার সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, একজন বন্দুকধারী তার গাড়ির ভেতর থেকে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে ঢিল ছুঁড়েছিল ফিলিস্তিনিদের একটি দল।
তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় কামিল কী করছিল তা স্পষ্ট করে বলেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবারের মৃত্যুতে এই বছর পশ্চিম তীরে মোট ৯ ফিলিস্তিনি প্রাণ হানিয়েছেন। যার মধ্যে বুধবার পশ্চিম তীরে পৃথক ঘটনায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ভূখণ্ডের উত্তরে সামরিক গ্রেপ্তার অভিযানের সময় একজন এবং দক্ষিণ বসতিতে একজন ইসরায়েলি ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরে মারা যান।
ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি হামলায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল গত বসন্তে তার সামরিক অভিযান জোরদার করে।
ইসরায়েল বলেছে যে এই অভিযানের উদ্দেশ্য জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলো ধ্বংস করা এবং ভবিষ্যতের আক্রমণগুলোকে ব্যর্থ করা।
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন বি’সেলিম জানিয়েছে, ২০২২ সালে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনীর দেয়া আগুনে প্রায় ১৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল।২০০৪ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ছিল ২০২২।
ইসরায়েলের সর্বকালের সবচেয়ে ডানপন্থী নতুন অতিজাতীয়তাবাদী ও অতিঅর্থোডক্স সরকার তার আইন প্রণয়ন এজেন্ডা তৈরি করছে। যা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেয়ার এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি নির্মাণের জন্য সহিংসতা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ভোট গণনার সময় ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা
ইসরাইলি সেনার গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ
বান্দরবানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ১২ জঙ্গি ও ১৪ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
বান্দরবানে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া' এর ১২ জন সদস্য এবং সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শহরের জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, সকালে তাদের শহরের র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এছাড়া আমাদের কাছে ৫৫ জনের একটি তালিকা রয়েছে, যারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মঈন।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য জেলায় জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমা উপজেলায় পর্যটনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এলিট ফোর্সের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল যারা আশ্রয় নিচ্ছেন এবং সেখানে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে ধরা।
গত বছর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেছিলেন, ২০২১ সালে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার আমির পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফের সঙ্গে আগামী বছর পর্যন্ত এলাকায় জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা এবং কেএনএফ সদস্যদের খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ভ্রমণে ফের নিষেধাজ্ঞা
রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
ডিএনসিসি’র অভিযান চলাকালীন ভবন থেকে লাফিয়ে তরুণীর মৃত্যু
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অভিযান চলাকালীন বুধবার গুলশানের একটি ভবন থেকে লাফ দিলে এক তরুণীর মৃত্যু হয়।
ফারজানা বেগম (১৮) খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাসিন্দা জাহিদ হাসানের স্ত্রী। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর খিলক্ষেতে থাকতেন।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনার সময় স্পা সেন্টারের একটি ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে গুরুতর আহত দুই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা!
ফারজানাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি।
অভিযানে অংশ নেয়া একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএনসিসির একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই নারীরা পড়ে যান।
ফারজানার স্বামী জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে তার স্ত্রী ও তার বড় বোন আফসানা স্পা করার জন্য বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি জানতে পারেন যে ফারজানা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং তার বড় বোনকে থানায় আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোবাইল না কিনে দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
যশোরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এর মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড মালিককে এ অর্থদণ্ড দেয়ার কথা জানান ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১৪০টি ইটভাটার ৯৪টি অনুমোদনহীন
তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়া মলানী আরাজি ঝাড়গাঁও গ্রামে ওই ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন মালিক আব্দুস সোবহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে ইটভাটা ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে গেলে সোবহান দোষ স্বীকার করে ইটভাটা বন্ধের কথা জানান।
এরপর তাকে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৫ ও ১৮ ধারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একইসঙ্গে চিমনি অপসারণসহ ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড নামের ওই ইটভাটার অবস্থান। সেটি পুরোপুরিভাবে অবৈধভাবে চলছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইটভাটা মালিককে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
রাতভর পুলিশের অভিযান, অপহৃত তিন শ্রমিক উদ্ধার
রাতভর পুলিশের অভিযানে রাঙ্গামাটির কাউখালীর ইটভাটা থেকে অহৃত তিন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারী) ভোররাতে কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়ার খাঁজা গরীবে নেওয়াজ ইটভাটা থেকে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিকলবন্দী পরিবহণ শ্রমিক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
উদ্ধার হওয়া তিন শ্রমিক হলেন-মো. জিয়াউর রহমান (২৮), আহসান উল্লাহ (২৯) ও মো. মোসলেম উদ্দিন (৪০)।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম ডাবুন্যাছড়ি ও আশে পাশের বিস্তৃত এলাকায় পুলিশের অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে অপহরনকারীরা অপহৃতদের রাউজানের রাবার বাগান এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়।
খরব পেয়ে উদ্ধার অভিযানে থাকা কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে কাউখালী থানা পুলিশের একটি দল তাদেরকে কাউখালীতে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচু বাগান এলাকা থেকে মুক্তিপনের অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণকালে দু’জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ডে আসামিদের দেয়া তথ্যানুযায়ী অপহৃতরা ডাব্বুনিয়া এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাবু মারমার হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
রিমান্ডে নেয়া আসামিদের তথ্যৈর ভিত্তিতে সোমবার ভোর রাতে ওসি পারভেজ আলীর দিক নির্দেশনায় ও ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে পুলিশের পাঁচটি টিম বিভক্ত হয়ে কাউখালীর ডাব্বুনিয়া এলাকার সম্ভাব্য স্থানটি ঘিরে ফেলে।
পুলিশের সবকটি টিম একত্রিত হয়ে দূর্গম ডাব্বুনিয়ার ছড়া পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের কাউখালীর সীমান্তবর্তী রাউজানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে অপহৃতরা রাউজান হয়ে হাটহাজারীর থানার ফতেবাদ এলাকায় ইটভার মালিক আলমগীর কোম্পানীর সন্ধানে যায়।
খবর পেয়ে অভিযানে থাকা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তাৎক্ষণিক ফতেয়াবাদ এলাকায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
পরে তাদের কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারীদের ধরতে পারেনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড় থেকে অপহৃত ৩ শ্রমিক উদ্ধার
সুন্দরবন থেকে ৮ শিশুসহ ১০ শ্রমিক উদ্ধার