ছাত্রদল
ছাত্রদলের ইন্ধনেই বিচারপতি মানিকের ওপরে হামলা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছাত্রদলের ইন্ধনেই বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের ওপরে হামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রদলের চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে জাতীয় সংসদে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বিএনপির অংশ না নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক একজন উদারমনের মানুষ, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্তমত চর্চা করেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর তিনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে, সেটি সত্য। এই আন্দোলনের আড়ালে তারা দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট এই ধরনের আরও হামলা করার পরিকল্পনা করেছে।’
আরও পড়ুন: রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন কাঁটাতারের বেড়া মানে না: তথ্যমন্ত্রী
বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা: ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মী রিমান্ডে
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১১ ছাত্রদল নেতাকর্মীর দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনজুরুল হাসান খান।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা: ৫০ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন-ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সুমিত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং কলাবাগান শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. রবিন খান, মো. সাগর, মো. জসীম উদ্দীন ভূইয়া, মো. হারুন অর রশিদ, মতিউর রহমান, শামীম রহমান, জামাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম ও আবু তাহের।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মানিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় তার দেহরক্ষী মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় করেন।
মামলায় বিএনপির ৪০-৫০ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি শামসুদ্দিনের ওপর হামলার নিন্দা সম্প্রীতি বাংলাদেশের
বিএনপির গণসমাবেশে লিফলেট বিতরণকালে হামলা, আহত ৫
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
খুলনায় বিএনপির নির্ধারিত বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বিকালে। সে উপলক্ষে সকাল থেকেই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা মহানগর।
সকাল থেকেই সংলগ্ন এলাকা হতে ছোট-বড় মিছিল নিয়ে নগরীর সোনালী ব্যাংক প্রাঙ্গণে সমাবেশস্থলে দল ও বিএনপি’র সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা ও সারাদেশের মধ্যে ট্রেন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ থাকলেও ১০টি জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা অতিক্রম করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
বিএনপি এর বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও সাম্প্রতিক আন্দোলনে বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করবে দলটি।
দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
শুক্রবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা নগরীতে পৌঁছে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার রাত থেকেই সোনালী ব্যাংক চত্বরে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নগরীর কেডি ঘোষ রোডে তারা মাদুর ও বালিশ পেতে রাত্রিযাপন করেন।
কাউকে সড়কে মাদুর বিছিয়ে খাবার খেতে দেখা গেছে আবার কাউকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দল বেঁধে কথা বলতে দেখা গেছে।
ছাত্রদলের রামপাল কলেজ শাখার কর্মী জিসান আহমেদ আহনাফ বলেন, ‘কলেজ থেকে ৫০০ নেতাকর্মী নিয়ে চারটি পিক-আপ ভ্যানে করে জিরো পয়েন্টে পৌঁছান হয় এবং কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাই।’
এছাড়া রাত থেকে রূপসা ঘাট ও জেলখানা ঘাটে ছোট নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটের দুই পাশে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে অবস্থান নেয় বিএনপি অনুসারীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা খুলনা রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে: আ.লীগ
সিলেটে হোটেলে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে আটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ছাত্রদল নেতা নাবিল রাজা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) র্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে সিলেট নগরী থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিণাপাটি গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে। তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৪৭/১০ নং বাসার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আরও দুইজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় ভিকটিম দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮) কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট মহানগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণীর (২৫) সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন। উপশহর এলাকায় থাকার সুবাধে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারের কর্মী তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক ৫ তলা বাসায় ভাড়া থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে সিলেটে আইএলটিএস করতে আসা সেই তরুণীর। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবাধে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলেন, তার ভাইয়ের জন্য এবি পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন। ওই তরুণীর এবি পজেটিভ রক্ত হওয়ায় তিনি যেন এক ব্যাগ রক্ত দেয়ার জন্য রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে যান।
এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণী তার বন্ধবীকে (২৫) নিয়ে তৎক্ষণাৎ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ওই দুই তরুণীকে জানান, রক্ত দেয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবেন।
এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যান তানিয়া এবং তাদের দুইজনকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন।
এ সময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখেন এবং রাত সাড়ে ১১টার থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুইজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এছাড়াও এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেয় তানিয়া ও তার সহযোগিরা।
ঘটনার পর দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা করেন।
তানিয়া ছাড়াও এই দুই মামলার আসমিরা হলো, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিগন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয় জন।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলায় মোহাইমিন রহমান রাহি ও তানজিনা আক্তার তানিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং র্যাব।
এর মধ্যে রাহি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় ৭ ছাত্রদলকর্মী আহতের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) অন্তত সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিতে নীলক্ষেত পয়েন্টে ‘মুক্তি ও গণতন্ত্র তোড়ণ’ গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, আহত ৮
ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা বিএনপির
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রবিবার তাদের ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হয়েছেন খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পিস্তল-গুলিসহ কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতা আটক
জানা গেছে, বর্তমানে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি করা হয়েছে এবং কমিটির বাকি পদ পরে ঘোষণা করা হবে।
রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের ছাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র।
বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিও ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরোয়ানাভুক্ত ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
বরিশালে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
চট্টগ্রামে পরোয়ানাভুক্ত ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে তিন মামলায় গ্রেপ্তার পরোয়ানাভুক্ত ছাত্রদলের এক নেতাকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর কাজীর দেউরী এলাকায় অবস্থিত রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে থেকে তাকে প্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম তুহিন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: পিস্তল-গুলিসহ কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতা আটক
এদিকে তুহিন গ্রেপ্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে গণতান্ত্রিক আচার-আচরণের তোয়াক্কা না করে অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ শাসন করছে। বর্তমান সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ধারাবাহিকভাবে গুম ও গ্রেপ্তার করানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাত্রদল নেতা মাসরুর রাসেল গ্রেপ্তার
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
বরিশালে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে শাহ আলম (৪০) নামে এক সিএনজি চালককে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক আড়ত মালিক ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
রবিবার রাত তিনটার পর বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহ আলমকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহ আলম বরিশাল নগরীর রসূলপুর এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। তিনি আগে নগরীর পোর্ট রোডের ফলের আড়ত সুজন বাণিজ্য ভান্ডারে কাজ করতেন। পরে নগরীতে সিএনজি চালানো শুরু করেন তিনি।
শাহ আলমের স্বজন শুভ বলেন, শাহ আলম ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুজন খানের আড়তে কাজ করতেন। সুজন খান এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পেত শাহ আলমের কাছে। বর্তমানে শাহ আলম সিএনজি চালক।
তিনি আরও বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে শাহ আলম সিএনজি নিয়ে রসূলপুর আসার পথে সুজন খান ও তার লোকজন শাহ আলমকে আটকে সুজনের পোর্ট রোডস্থ আড়তে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে পাওনা টাকা না পেয়ে শাহ আলমের চালিত সিএনজি রেখে তাকে রিকশায় করে পাঠিয়ে দেয় সুজন। এরপর শাহ আলম রাস্তায় বসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আমরা প্রথমে শুনেছিলাম গতরাত ৩টার দিকে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে রসূলপুর ব্রিজে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহ আলম। এরপর রিকশা চালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে এবং এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এসব বিষয় শুনে আমরা শাহ আলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। সোমবার ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ দিলে সেই অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
মীরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফেনীতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে বিএনপির মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় উল্লেখিত ২৪ আসামিদের মধ্যে সবাই বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
শুক্রবার রাতে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজ মিয়া কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কায়সার এলিন, ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাস্টার নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত ও দিদারুল আলম, পৌর যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, সদর উপজেলা সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, পৌর আহ্বায় তাজুল ইসলাম পাভেল, সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইবু রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেড়িং ও ভোলায় হত্যার প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের ইসলামপুর রোড়স্থ ফেনী জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের ট্রাংক রোডে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা করে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া করে। এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিএনপির কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
পড়ুন: বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা ফের মাঠে, প্রতিরোধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে হতাশায় ফেলেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে আর ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও আমাদের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে। তাই তাদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না।’
গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভোলা জেলা শাখার সভাপতি নূরে আলম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আবুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রবিবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করে দেশে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। কারণ এতে সব পণ্যের দাম, সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থনীতিতে খুব নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে।’
ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান হচ্ছে বলে সরকার যুক্তি দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘কেন লোকসানে যাবে? বিপিসি বিগত বছরগুলোতে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা বিপুল মুনাফা করেছিল। সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম ছিল, কিন্তু আপনি তা কমালেন না। এমনকি, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করেছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানির দাম তুলনামূলকভাবে কম বলে দেয়া তথ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের নিন্দা করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য ও পরিসংখ্যান দেন। ‘তাদের প্রতিটি তথ্যই ভুল। তাই, আমরা জনগণকে মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম ছিল ১৪ ডলার, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়ায় তা এখন তিন ডলারে নেমে এসেছে। এর মানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে, অন্যান্য দেশগুলো কমিয়ে দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে আমাদের দেশে তা জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য আরও বেড়ে যায়।’
তিনি বলেন, জ্বালানির দাম; বিশেষ করে ডিজেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধিতে কৃষক, সাধারণ মানুষ ও মোটরসাইকেল চালকদের মারাত্মক দুর্ভোগে ফেলেছে। ‘কিন্তু সরকার এটা নিয়ে কম চিন্তিত। কারণ দেশ চালাতে জনগণ নয়; পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী দরকার। এটা আর চলবে না। দেশের মানুষ আর এই শাসনকে এভাবে দেশ চালাতে দেবে না।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে বলপ্রয়োগ করে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য ইতোমধ্যে অনেক মানুষকে হত্যা করেছেন এবং অনেককে গুম করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আপনারা আমাদের নূরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যা করেছেন।’
৩১ মার্চ বিএনপির সমাবেশে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আরমান হোসেন গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত এবং ছাত্রদল নেতা নূরে আলম গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ফখরুল বলেন,‘আমরা চাই সরকার অবিলম্বে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করুক এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’
আরও পড়ুন: আর কান্না নয়, জেগে উঠুন: কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল