জলবায়ু পরিবর্তন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের এ বছরকে দু'দেশের অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিনকেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে ব্লিনকেন বলেন, ‘সন্ত্রাস, মানবপাচার ও অবৈধ মাদক পাচারের ক্ষতির কবল থেকে আমাদের জনগণকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রশংসনীয়।’ শ্রম অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক সুশাসন, বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির মূল বিষয় উল্লেখ করে এগুলোর উপর সংলাপের ধারাবাহিকতাকে ব্লিনকেন স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সোমবার ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, উন্নয়নে বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের স্থায়ী সমাধানের মতো বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নিবিড় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন।
ব্লিনকেন বলেন, দুদেশের অংশীদারিত্বের পঞ্চাশ বছর উদযাপন অর্থবহ করতে ছয় কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাক্সিন সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আগামী ৫০ বছরে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সবাই মিলে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সবাই মিলে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অনেক আগে থেকেই অভিযোজনে অভ্যস্ত। তাই সকলে মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা সফল হবো।
রবিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তিকরণ' বিষয়ক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটের ব্যবহার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এই লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্যে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
আরও পড়ুন: সরকার ডিজেলের দাম বাড়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
এছাড়া সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ন্যাপ প্রণয়ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।
বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে: পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আলোচনায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান চেয়ার হিসেবে সদস্য ৪৮টি সর্বাপেক্ষা বিপদাপন্ন রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে অত্যন্ত জোরালো ও কার্যকর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণে সফল হয়েছেন। তিনি ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিটে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের পক্ষে যুগোপযোগী কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদান করেন। তার নেতৃত্বে বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বর্তমানে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।’
শনিবার (১১ ডিসেম্বর ২০২১) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসনে কপ-২৬ আশার আলো জাগিয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ-বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মলনের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির আলোকে আমাদের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা এখনই ঠিক করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য সকল ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিতপূর্বক তা মোকাবিলায় আমাদেরকে কাজ শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে তরুণ ও যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, কেবলমাত্র বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের উপর নির্ভর না করে আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সফল হবো।
আরও পড়ুন: অভিযোজন কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা দরকার: পরিবেশমন্ত্রী
অনুষ্ঠানের সভাপতি হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ তার বক্তব্যে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ দফা সুপারিশ উত্থাপন করলে পরিবেশমন্ত্রী তা বাস্তবায়নে সরকার উদ্যোগী হবে বলে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রণালয় ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো নিয়মিত পরিবীক্ষণ করে যাচ্ছে। সরকার এসকল প্রকল্প সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, কোনো বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
প্রতিযোগিতায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে মন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মধ্যে ট্রফি তুলে দেন।
পড়ুন: যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর মতবিনিময়
অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ হলেও দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না, ফলে বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোকে সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে।’
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ান ফয়সল চৌধুরী এবং সারাহ বোয়াকের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের প্রেস মিনিস্টার আশেক-উন-নবী চৌধুরী এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর আরও তৎপর হওয়া এখন সময়ের দাবি।
পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, অভিযোজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও উৎসাহে দেশীয় অর্থায়নেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা খরা, বন্যা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিঞ্চু জাতের শস্য উৎপাদন করেছেন ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের সংসদের মধ্যে একটি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন ও সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় এমএসপি ফয়সল চৌধুরী বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান।
পড়ুন: জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবিলা করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট ঘোষণা বাংলাদেশের
উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়-ক্ষতি উপশম করতে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বৃহস্পতিবার গ্লাসগোতে কপ-২৬ এর সাইডলাইনে মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনা প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫০ হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে। ২০১৭ সালে বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১৩৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল ষষ্ঠ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
বিশ্বব্যাংকের গ্রাউন্ডসওয়েল প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ধীর জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়া যেমন পানির স্বল্পতা, ফসল উৎপাদন হ্রাস এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১৯ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তরিত হবে।
বাংলাদেশ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী কপ-২৬ প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি এবং ক্ষতির জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম হবে। এই বছরের কপ-২৬ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র প্রবর্তনের বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্থের প্রয়োজন সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান সচিব।
আরও পড়ুন: জলবায়ু তহবিল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
সৌদির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাধারণত বিশ্বব্যাপী নারীদের সম্পদের সমান অধিকার নেই। এছাড়া অনেক সমাজে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে না এবং প্রায়ই বিভিন্ন নিম্ন মজুরি ও মজুরিহীন কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করা হয়। এসব কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পুরুষের চেয়ে নারীদের ওপর বেশি পড়ছে।’
মঙ্গলবার স্কটিশ প্যাভিলিয়ানে ওইম্যান ক্লাইমেট লিডারশিপ ইভেন্ট-কপ-২৬: উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ভালনারেবল ও প্রান্তিক মানুষজনই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও মেয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জলবায়ু পরিবর্তনের সাড়া প্রদানে নারীদের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সমাধানে নারীদের জড়িত করতে তাঁর সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নারীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি চিহ্নিত করতে তাদের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় স্থান দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আর এটা নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে।’
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কপ-২৬ শুরু
জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করার লক্ষ্যে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে সোমবার গ্লাসকোর স্কটিশ ইভেন্ট ক্যাম্পাসে (এসইসি) ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৬) শুরু হয়েছে।
এ বছর কপ-২৬ যুক্তরাজ্য আয়োজন করেছে। এতে বিশ্ব নেতারা চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক নেট কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর সভাপতিও।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ব্রটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বাগত জানান।
জাতিসংঘ ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস এ যোগ দিতে রবিবার প্রধানমন্ত্রী স্কটল্যান্ডে পৌঁছান।
কপ-২৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।
এর আগে ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিনে প্রথম কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
স্কটল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করলো ডাইনোসর!
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) নির্মিত একটি শর্টফিল্মে বিশ্ব নেতাদের এ সম্পর্কে ‘সতর্ক’ করেছে বিলুপ্ত প্রাণী ডাইনোসর। জাতিসংঘের সদরদপ্তরে বিশ্ব নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সামনে এ শর্টফিল্মটি প্রদর্শন করা হয়।
ইউএনডিপি’র ‘ডোন্ট চুজ এক্সটিংশন’ কর্মসূচির মূল বিষয় হিসেবে নির্মিত শর্টফিল্মটি নিয়ে জাতিসংঘও টুইট করেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ এসেম্বেলি হলে বিশ্ব নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্টদের উদ্দেশ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সংকট নিয়ে ডাইনোসর বলেছে, ‘এখনই সময় মানব জাতি অজুহাত বন্ধ করে পরিবর্তন করতে শুরু করো।’
৭০ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের বিলুপ্তি নিয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করে ডাইনোসর বলে, ‘অন্তত আমাদের গ্রহ ছিল। তোমাদের অজুহাত কী?’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সাধারণ অ্যাসেম্বেলির ভেতরে কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি (সিজিআই) ফিচার ব্যবহার করে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বের অনেক তারকা এ ডাইনোসরে কণ্ঠ দিয়েছেন।
ডাইনোসরটি ভর্তুকির মাধ্যমে কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানিতে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তা কীভাবে অযৌক্তিক ও অবৈধ সে সম্পর্কে আলোকপাত করে।
ডাইনোসরটি প্রশ্ন রেখে বলে, ‘এই টাকা দিয়ে বিকল্প কী করা যায় সে সম্পর্কে চিন্তা করো। বিশ্বব্যাপী মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। তোমাদের কী মনে হয় না স্বজাতিকে শেষ করে দেয়ার চেয়ে তাদের সাহায্য করা বেশি অর্থপূর্ণ?’
‘ডোন্ট চুজ এক্সটিংশন’ শর্টফিল্মটি অ্যাক্টিভিস্টা লস অ্যাঞ্জেলস, ডেভিড লিট, ফ্রেমস্টোর এর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক কারণ আছে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন স্ট্রং ক্লাইমেট ফাইটার। বৈশ্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে তার অবদান আমরা অস্বীকার করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু আমাদের মা। আমরা সন্তানরা মাকে আদর করতে হবে তাহলে মা তার সন্তানকে স্নেহ করবেন। আমাদের দৈনন্দিন নানা আচার আচরণের মাধ্যমে আমরা মায়ের ক্ষতি করছি জলবায়ু তার সুবিচার চায়। এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।’
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬ উপলক্ষে শনিবার সিলেটে জলবায়ু সুবিচার সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই সংলাপ অনুষ্ঠান যৌথভাবে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের আওয়াজকে শক্তিশালী ও সোচ্চার করতে হবে এবং ন্যায় বিচারের চাওয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব।’
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেটের হোটেল স্টার প্যাসিফিকে উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার তরুণ জলবায়ু আন্দোলন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কমনওয়েলথ উন্নয়ন অফিস, বাংলাদেশের পরিচালক জুডিথ হার্বার্টসন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আকমল শরীফ।
খাদেমুল রাশেদ ও হুমায়রার সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান। শুরুতে একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু সুবিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণদের অভিপ্রায় তুলে ধরেন ইসলামিক রিলিফের প্রকল্প সমন্বয়কারী মঈন উদ্দিন আহমদ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিরা বিভিন্ন প্র্রশ্নের উত্তর দেন। আনন্দ নিকেতন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুনতাহা রেজা পরিকল্পনা মন্ত্রীর কাছে জানতে চায় এভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অব্যাহত থাকলে ৩০ বছর পর সে কি সুনামগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারবে, নাকি একটি উঁচুভুমির খুঁজে মাছের মতো সাঁতার কাটতে হবে? উপস্থিত তরুণরা হাওরের জন্য জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হাওর এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাওরে বছর বছর ফসলহানীর দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়িয়ে যেতে পারে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করতে না পারলে হাওরের মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।' আরেক প্রশ্নে সাবিহা নামের আরেক ছাত্রী জানায়, গত ১৫ বছরে সিলেটে একশত টিলা কাটা হয়েছে। সিলেটে আর কোনো টিলা কাটা হবে না মর্মে অতিথিদের কাছে প্রতিশ্রুতি চায়।
আরও পড়ুন: গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পরিকল্পনামন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন: মোংলায় ৮৫ শতাংশ মানুষের নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মোংলায় পানিতে লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে পানিতে ৯ গুন বেশি লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। খাল-বিল, নদী-নালা, ডোবা ও ভূ-গর্ভস্থসহ সর্বত্রই পানিতে লবণ আর লবণ। লবণাক্ততার কারণে সুপেয় পানির চরম সংকট চলছে মোংলায়। উপজেলার ৮৫ শতাংশ মানুষ খাবারের নিরাপদ পানির জন্য হাহাকার করছে। জীবন বাঁচাতে খাবার পানির জন্য নারী-পুরুষকে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিতে হচ্ছে। লবণাক্ত পানি পান করে অনেকে পেটের পীড়া এবং পাতলা পায়খানাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অধিকাংশ মানুষের খবারের জন্য বৃষ্টি পানি একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোংলা উপজেলা চারদিক থেকে নদী-খাল দ্বারা বেষ্টিত। গ্রামগুলোতে ডোবা-নালা আর মৎস্যঘেরে ভরা। যেদিকে চোখ যায় সবদিকেই পানি থৈ থৈ করছে। কিন্তু সব পানিই অতিমাত্রায় লবণাক্ত। ওই সব পানি খাবার তো দুরের কথা ব্যবহার যোগ্য নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মোংলা উপজেলার সর্বত্রই পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। কোন কোন পরিবারে ব্রাকের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি দেখা মিলেছে। পানির কথা বলতেই বিভিন্ন গ্রামের নারী-পুরুষরা এক বাক্যে তাদের সুপেয় পানির তীব্র সংকটের কথা জানালেন।
উপজেলার উত্তর চাঁদপাই গ্রামে মধ্য বয়সী রোজিনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, টিনসেডের বাড়িটির এক পাশ দিয়ে খাল বয়ে গেছে। অপর দুই পাশে পুকুর আর মৎস্যঘের। বাড়ির তিন পাশেই পানি। কিন্তু সব পানিই লবণাক্ত। পাশে ফুলজান বিবির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল বাড়ির এক পাশে পুকুর আর অপর পাশ দিয়ে খাল বয়ে গেছে। ওই দুই বাড়িতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য দুই হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংক এবং জীবানুমুক্ত করার জন্য পানি ফিল্টারের ব্যবস্থা দেখা গেছে। ব্রাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আওতায় তাদেরকে ওই পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি দেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সংখ্যা এবং তীব্রতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদী ও ভূ-গর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। যা এই অঞ্চলের কৃষি, স্বাস্থ্য ও জীবিকার ক্ষতি করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ১৯ জেলার ৭০ উপজেলায় চার কোটি মানুষ বাস্তচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চার দশকে লবণাক্ত জমির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। পশুর নদীর মোংলা পয়েন্টে ১৯৬২ সালে লবণাক্ততার পরিমাণ ছিল দুই পিপিটি। ২০০৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ পিপিটিতে। বর্তমানে দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলার ১৫৩ উপজেলায় প্রায় ৫ কোটি মানুষের বসবাস। যার মধ্যে ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষ অতিদরিদ্র।
তথ্য মতে, লবণাক্ততা বাড়ার কারণে উপকূলের তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাবার পানি সংকটে ভুগছেন। এখানে একজন মানুষ প্রতিদিন গড়ে মাত্র দুই লিটার খাবার পানির মাধ্যমে ১৬ গ্রাম লবণ গ্রহণ করেন। যে খানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ দিনে পাঁচ গ্রাম। লবণাক্ততা ছাড়াও আয়রন, আর্সেনিক ও ফ্লোরাইডও পাওয়া যায় এসব এলাকার পানিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, লবণাক্ততার প্রভাবে ২০৫০ সাল নাগাদ ৩০ থেকে ৫০ লাখ দরিদ্র ও ২০ থেকে ৩০ লাখ অতিদরিদ্র মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব