মাদারীপুর
মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
মাদারীপুর সদর উপজেলায় মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবার নাম জলিল বয়রা (৬০) ও তার ছেলের নাম ইউসুফ (২৬)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ দীর্ঘদিন থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। সোমবার সকালে হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে ইউসুফ তার বাবাকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাওলিন আফরোজ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের হোটেল থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ শাহাবুদ্দিন শেখ জানান, মিয়ারচর পুকুরপাড় স্কুলের পাশে জলিল বয়রাকে তার মাদকাসক্ত ছেলে ইউসুফ কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে মাদাদরীপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ছেলের হাতে বাবা খুনের খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে খুনের অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মেজো ভাইকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আলতাজ উদ্দিন হাওলাদারের মেজো ছেলে কবির হাওলাদার এবং ছোট ছেলে এইচ এম সবুর। তারা সবাই পৌর এলাকার দক্ষিণ জনারদন্ধি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভ্যানচালক খুন
স্থানীয়রা জানান, কবির হাওলাদারের সঙ্গে ছোট ভাই এইচ এম সবুরের বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়ের মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো।
শনিবার সন্ধ্যায় বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উভয়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সবুর ক্ষুব্ধ হয়ে মেজো ভাই কবিরকে গলা কেটে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা কবিরকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে কালকিনি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান ফোন ধরেননি।
পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান আনিস বলেন, ‘সবুর পেশায় একজন কোর্টের মুহুরি। সে তার আপন ভাই কবিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে। এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে বাল্কহেড ডুবে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদে বাল্কহেড ডুবে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদে বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুম আলম খান জানান, বিকাল ৪টার দিকে বাল্কহেডটি নদে ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডের তিন শ্রমিক নিখোঁজ হন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে চর কামারকান্দি এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পুকুরে ডুবে দাদি-নাতনির মৃত্যু
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
মাদারীপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
মাদারীপুর সদর উপজেলায় সোমবার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বাবু সরদার (২০) উপজেলার ঘাটমাঝি এলাকার বাসিন্দা।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান বলেন, 'মেয়েটিকে ধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাতে বাবু সরদার ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীর বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। মেয়েটি বাথরুম ব্যবহার করতে বের হলে তারা বন্দুকের মুখে ফেলে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়, যেখানে বাবু তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবুর সহযোগীরা তাকে বাড়িতে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বাবু সরদারসহ তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- একই এলাকার শাহীন মোড়ল (৩৫)। রাশেদ মাতব্বর,৩৫; এবং জিয়া চৌকিদার, ২৭।
পুলিশ গ্রেপ্তার বাবুকে সোমবার বিকালে আদালতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে নারী ইন্সুরেন্স কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
মাদারীপুরে পাটখেতে থেকে শাক তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল গৃহবধূর
মাদারীপুরের শিবচরে পাটখেতে শাক তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল গৃহবধূর। শনিবার (২৭ মে) উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চর কাচিকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ লিপি বেগম (২৭) ওই এলাকার নুর হাবিব মাদবরের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে রান্না করার জন্য লিপি তার বাড়ির পাশে একটি পাটখেতে শাক তুলতে যান। এ সময় পাটখেতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে সেখানে পড়ে থাকেন তিনি।
পরে লিপির মেয়ে বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মাকে খুঁজতে যায়। এ সময় মাকে খেতে পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়।
পরে তার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক সে মৃত বলে জানান।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পাই তাকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
মোহাম্মদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
মাদারীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অন্য ট্রাকের ২ চালক নিহত
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাখরের কান্দি এলাকায় সোমবার ভোরে একটি ট্রাকের ধাক্কায় অন্য ট্রাকের দুই চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত বশির ( ৩৫) বরিশাল জেলার বাখেরগঞ্জ এলাকার শ্যামপুর গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে এবং সুজন (২৫) যশোর সদর থানার বেখুটিয়া স্বজলপুরের মো. মিজানের ছেলে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আবদুল্লাহ হেল বাকী জানান, ভোর ৪ টায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর থানার বাখেরের কান্দি এলাকায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে পেছন থেকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে উক্ত ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের দুই চালক নিহত হন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে ভ্যানচালক নিহত
মগবাজার ফ্লাইওভারে পিকআপের চাপায় বাসচালক নিহত
মাদারীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুর সদর উপজেলার এওজ গ্রামে যৌতুক দিতে না পাড়ায় শশুর বাড়ির লোকেরা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহদত লিয়া (২০) সদর উপজেলার এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের সঙ্গে দুই বছর আগে লিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শশুর বাড়ির লোকেরা চাপ দিয়ে আসছিলো। এছাড়া যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী মাসুদ ও অন্যান্যরা লিয়াকে নির্যাতন করে। এক পর্যায় লিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এসময় তারা লিয়ার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘরের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
বাড়ির অন্যান্য লোকেরা জানালার ফাঁক দিয়ে লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশ খবর দেয়। বিকালে পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে লিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
লিয়ার পিতা সোবাহান কবিরাজ বলেন, যৌতুক দিতে না পাড়ায় আমার মেয়েকে বেদম প্রহার করে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
এছাড়া লিয়ার সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মাদারীপুরে রাজীব নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
এ সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পথে পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েকজন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেন।
এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সময় পথেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাদারীপুরে বাস খাদে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
মাদারীপুরের শিবচরে রবিবার সকালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও তিনজন মারা যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মাদারীপুর থেকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়ার পথে দুইজনের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, আহত আরও পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মাদারীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাইম মো. মোফাজ্জল হক বলেন, শনিবার সকাল ৮টার দিকে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের সীমানা এলাকায় পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে চালকসহ ১৪ জন নিহত হয়।
বাকি দুজন হাসপাতালে নেয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত আহত ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশের সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বাস খাদে পড়ে নিহত ১
সিলেটে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে ২ জনের মৃত্যু
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সরিষা ঘরে তোলা নিয়ে এখানকার চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
জানা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের অতিরিক্ত দাম থাকার কারণে জেলার চাষিরা এবার সরিষা আবাদের প্রতি ঝুঁকে পরে। যে কারণে গত বছরের চেয়ে এবার দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ব্লক সুপার ভাইজার ইয়াছমিন (৩২) জানান, এই ইউনিয়নের লক্ষিগঞ্জ গ্রামের মেরজন খালাসি (৪৮), শাহাদত খা (৫০), মোকতার মোল্লা (৪৫), হালিম মোল্লা (৬৩), বারেক কাজি (৬৪), মিজান কাজি (৪৫), কালাম কাজি (৫০), নুর ইসলাম ফকির (৭০), বাবুল মুন্সি (৫০) ও আনু হাওলাদার (৩৫) এর সরিষা আবাদ ভাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া এলাকায় চলতি মৌসুমে অসংখ্য কৃষক সরিষা আবাদ করেছে।
এদিকে সরিষা চাষি মেরজন খালাসি জানান, বর্তমান মাদারীপুর পুরান বাজারে প্রতিমণ সরিষা তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক বিঘা (৬৩ শতাংশ) জমিতে ১২/ ১৩ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এতে ৮/৯ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুরের চারটি উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ