ফরিদপুর
প্রণোদনার দাবিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করলেন নার্সরা
করোনার সময়ে প্রণোদনার টাকা না পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করেছে নার্স-ওয়ার্ড বয় ও কর্মচারীরা।
বুধকার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষে অবস্থান নেয় প্রতিষ্ঠানটির নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এসময় পাঁচশ বেডের এই হাসপাতালে রোগীদের সেবা বন্ধ থাকে।
পরে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সভাপতির মধ্যস্থতায় করোনার প্রণোদনার অর্থ (আগামী ১০ দিনের মধ্যে) প্রদানের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান বিক্ষোভকারীরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয় অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব আফসানা আক্তার সান্তা জানান, যারা করোনায় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছে তাদের জন্য সরকারি পক্ষ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বরাদ্দ করে গত বছরের জুলাইয়ে। কিন্তু আমাদের পরিচালকের খাম-খেয়ালির কারণে সেই টাকার মধ্যে ১ কোটি টাকা ফেরত চলে যায়। আমরা এই অযোগ্য পরিচালকের অপসারণ দাবি করছি, একই সাথে আমাদের ন্যায্য পাওনা পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান জানান, টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে এজি অফিসে পাঠানো হলে সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এ খবরেই কিছু স্টাফরা বিক্ষোভ করেছে।
তিনি জানান, প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পত্র পাঠানো হয়েছে, আশা করছি দ্রুতই সমস্যা নিরসন হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল জানান, বিক্ষোবের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের সময় নেয়া হয়েছে। তারা এখন কাজে ফিরে গেছেন।
পড়ুন: খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
রোগীর স্বজনকে ছুরিকাঘাত: মামলার সব আসামির জামিন
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ঢুকে রোগীর স্বামীকে ছুরিকাঘাতে জখম করা মামলার আসামি নার্স ইলা শিকদার ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ নয়নসহ সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সব তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। শুধু মেডিকেলের প্রতিবেদন পেতে বাকি। সেটা পেলেই আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
এব্যাপারে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ওই নার্স তাকে ফোন করে আগাম জামিনের কথা জানিয়েছেন। তবে তাকে কর্মস্থলে যোগদানে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি নার্স ইলা শিকদারের সরাসরি সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।
ভুক্তভোগী ফাহিম আহমেদ রাসেল জানান, এ মামলার একজন আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি। এই সুযোগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমি পুলিশকে আমার নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছি।
তার অভিযোগ, আসামিরা রাজনৈতিক আশ্রয়ের লোক। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ঢুকে রোগীর স্বজনকে ছুরিকাঘাত
গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহরের টেপাখোলা বিন্দাবনের মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত খায়ের মোল্যার সন্তান ফাহিম আহমেদ রাসেল তার স্ত্রী হীরা ওরফে বাঁধনকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে প্রতিদিন দু’বার রক্ত পরীক্ষার নির্দেশনা দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষার জন্য রাসেল কর্তব্যরত নার্স ইলা শিকদারকে স্ত্রীর শরীর থেকে সিরিঞ্জে রক্ত টেনে দিতে বলেন। নার্স ইলা এতে অপারগতা জানালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে মোবাইলে দেবাশীষ নয়নকে ডেকে এনে হাসপাতালের ভেতরেই রাসেলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠে। গুরুতর আহত রাসেলকে প্রথমে ফরিদপুরের মেডিকেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই নার্স ইলা শিকদার, নার্সিং সুপারভাইজার জহুরা বেগম ও দেবাশীষ নয়নসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে দেবাশীষ নয়ন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
ফরিদপুরে খালে থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি খাল থেকে লাল চান শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামের একটি খাল থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, চৌকিঘাটা গ্রামে একটি খালে একটি লাশ ভাসতে দেখে গ্রামবাসী। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে, মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে আ'লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে ১২ বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি
দুই হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন পুলিশের জিম্মায় থাকা সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে রবিবার জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় এ ঘটনাকে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হিসেবে আখ্যায়িত করে দ্রুত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এ ঘটনার সুস্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
অর্থপাচার মামলায় আদালতের মাধ্যমে মোট সাউথ লাইন পরিবহনের ২২টি বাস আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকা। জব্দ করা বাসগুলো রক্ষণাববেক্ষণের দায়িত্ব ছিল জেলা পুলিশের। এ বাসগুলো শহরের গোয়ালচামটস্থ ওজোপডিকো কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহা সড়কে পশ্চিম গোয়ালচামট মহল্লায় সাজ্জাদ হোসেন বরকাতের মালিকানাভুক্ত জায়গায় ছিল। বাসগুলোর মধ্যে ১০টি সেড দিয়ে ঘেরা ছিল এবং ১২টি ওই জায়গার পাশে নিচু ভূমিতে রাখা ছিল। গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌঁনে ১টার দিকে ১২টি বাস আগুনে পুড়ে যায়।
গত শনিবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে বাসগুলো পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
এছাড়াও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার রবিবার এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেন। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) মো. ইমদাদ হোসেনকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, বাস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাটি তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বাসগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত নৈশ্য প্রহরী শেখ মোহাম্মদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। যে বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারের ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর
ফরিদপুরে গাছের পাতা ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২০
ফরিদপুরের সালথায় মেহগনি গাছের পাতা ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় হামলায় ৫টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে কানাইড় গ্রামে মেহগনি গাছের পাতা ঝাড়ু দেয়ার ঘটনা নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখের সমর্থক ওমর মাতুব্বরের সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক আকবর শেখের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ওমর মাতুব্বরকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কানাইড় গ্রামে গিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে কুদ্দুছ শেখের সমর্থকদের সঙ্গে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় পাঁচটি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, দম্পতি আটক
সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখ বলেন, আমার সমর্থক ওমর মাতুব্বরকে সকালে পারভেজ মাতুব্বরের লোকজন মারধর করে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় বাসুয়ারকান্দী গ্রামের আমার সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুলাল শেখকে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকরা মারধর করে। তখন ওখানেই সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে আমার ৭/৮ জন লোক আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে আমার জানা নাই।
এদিকে বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বর বলেন, কানাইড় গ্রামের উত্তেজনার বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে গিয়ে আমার সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে কুদ্দুছ শেখের লোকজন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আমার ১০/১২ জন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে, এবিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
ফরিদপুরে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, দম্পতি আটক
ফরিদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় কোতোয়ালি থানার মামুদপুর এলাকা থেকে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- একই এলাকার গোলাম মোস্তফা (৪৬) ও তার স্ত্রী শ্যামলী রোকসানা (৪২)।
শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার মামুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিস্তল, লোহার তৈরি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, দুইটি স্টিলের ছোরা, দুইটি তলোয়ার ও একটি রামদা উদ্ধার করে। এছাড়া আট বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রয়ের ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেরোইন-ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করে যে তার স্ত্রী ও একই এলাকার রিপন মিয়া (২৯) মিলে মাদকের ব্যবসা করে আসছেন। পরে রিপন মিয়াকে আটক করতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় তার বাড়িতে থাকা মাদক বিক্রয়ের ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইন পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। শনিবার বিকালে তাদের আদালতে তুলে চার দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
ফরিদপুর জেলা শহরের একটি টার্মিনালে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অন্তত ১২টি বাসে আগুন দিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বাসগুলো অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন। ২০২০ সালের ৭ জুন পুলিশের অভিযানে বরকত-রুবেলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে দুদক এসব বাস জব্দ করে। এরপর থেকে সেগুলো সেখানেই রাখা ছিল।
শনিবার সকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, কয়েকজন দুর্বৃত্ত সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ২২টি বাস রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
বরকতের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন বলেন, গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বরকতের মালিকানাধীন ৫৫টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেন একটি স্থানীয় আদালত।
ফরিদপুরের সিআইডির পরিদর্শক নাসির হোসেন জানান, ঘটনাটি সিআইডি তদন্ত করে দেখবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
গত বছরের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি নগরকান্দার পুরাপাড়ায়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (৯ মার্চ) সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুরের নগরকান্দা শাখায় অডিট চলছিল। অডিট শেষে রাত ১০ টার দিকে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীদের অনুরোধে নলিনী রঞ্জন নাচ করেন। এসময় এক কর্মকর্তা সেই নাচের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। পরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া করেন মানুষ।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি জানান, ফরিদপুরের নগরকান্দা সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের গ্রাহকদের বসিয়ে রেখে আনন্দ বিনোদন করা দুঃখজনক। কাজে ফাঁকি দিয়ে ব্যাংক কর্মকতার ড্যান্স করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তবে এব্যাপারে নাচ করা নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস গ্রাহক বসিয়ে রেখে নৃত্য করার বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা। আমি নৃত্যের মাস্টার হিসেবে একসময় কাজ করতাম। এটা আমাদের এক সহকর্মী জানতে পেরে সে আমাকে ডেকে নিয়ে একটু শ্রান্তি বিনোদনের অনুরোধ জানান। পরে আমি নৃত্য করি। তবে, সেটা কোনো অফিস কিংবা গ্রাহক সেবার সময়ে নয়। কারণ, রাত ১০ টায় নৃত্য করেছি ; সেটা গ্রাহক সেবার সময় হতে পারেনা।
এব্যাপারে জানতে সোনালী ব্যাংকের নগরকান্দা শাখার ব্যবস্থাপকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো: পুলিশ
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী পরিচালিত হতো। তার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এর টেন্ডার বাণিজ্য, চাকরি দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করতো বাবর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল, ডিবির ওসি রাকিবুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাই রুবেল- বরকতের অবৈধ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়ার পেছনে আসামিদের সহযোগিতা ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
পুলিশ আরও জানায়, ঢাকা পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আসামি বাবরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবর সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এএইচএম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।
এই ১০ আসামির মধ্যে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম এখনও পলাতক, বাকিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে বাবরের গ্রেপ্তারের খবরে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ আনন্দ মিছিল করে। আনন্দ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামিম হক, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে গিয়ে সমাবেশ ও মিষ্টি বিতরণ করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে রাজাকারপুত্রকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদ দেয়ার অভিযোগ
অর্থ পাচার মামলা: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি। এর আগে তিনি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ। সেখানে বিস্তারিত জানোনো হবে।
পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
এর আগে গত বছরের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্নিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মন্ত্রীর এপিএস এএইচএম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী দিদার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।
পড়ুন: কারা অর্থ পাচার করে জানি না, একটি তালিকা আমাকে দেন: অর্থমন্ত্রী
অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার