ফরিদপুর
ফরিদপুরে পদ্মার ভাঙন, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি
গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ওপারে ইউসুফ আলী মাতুব্বরের ডাঙ্গী, ইমান মাতুব্বরের ডাঙ্গী, আলেক খার ডাঙ্গী ও শুকুর আলী মৃধার ডাঙ্গী এলাকায় ভাঙন চলছে।
শুকুর আলী মৃধার ডাঙ্গী এলাকায় ভাঙনের ফলে এর আগে ১১টি বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে ইউসুফ আলী মাতুব্বরের ডাঙ্গী, ইমান আলি মাতুব্বরের ডাঙ্গী ও আলেক কার এলাকার ফসলি জমিতে ভাঙন চলছে। নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে কয়েক হাজার বসত বাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩টি মসজিদ।
সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, গত এক মাসে পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে অন্তত একশ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
পড়ুন: আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা
শুক্রবার দুপুর থেকে ওই এলাকার ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুক্রবার থেকে এ ভাঙন রোধে কাজ শুরু করছে পাউবো। ওই এলাকায় প্রতিটি ২৫০ কেজি ওজনের পাঁচ হাজার ১০৮টি বালিভর্তি বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে যাতে ওই এলাকাকে বাঁচানো যায় তার জন্য সব কিছু করা হবে।
এ সময় ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুল আলম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, সদরের নর্থ চ্যানেলের ভাঙনকবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে পাউবো।
নির্দিষ্ট ওজনের বালুর বস্তা যাতে ফেলা হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: সিলেটে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে বিশ্বনাথের গোবিন্দনগর গ্রাম
গোয়ালন্দে পদ্মার ভাঙনে মসজিদসহ ৫ পরিবারের বসতভিটা বিলীন
ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে ৪ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে গত দুই সপ্তাহ যাবত কোভিড-১৯ মহামারিতে মৃত্যুর হার শুন্য থাকলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জনের প্রাণহানি হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনায় শনাক্ত হয়ে মারা গেছে ৫২২ জন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন করোনা শনাক্ত এবং উপসর্গে একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে ৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬৫ জন। এছাড়াও আইসিইউতে রয়েছে আরও ১৪ রোগী।
পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ কোটির কাছাকাছি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৮৯ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আবাদ মৌসুমে সারের দাম বৃদ্ধি, ফরিদপুরে আমন উৎপাদনে শঙ্কিত চাষিরা
ফরিদপুরে চলতি আমন ধান আবাদ মৌসুমে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছয় হাজার হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে খুচরা বাজারে ইউরিয়া সারের দর বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্খিত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কিত জেলার চাষিরা।
জেলার ৯ উপজেলাতে মাসিক ইউরিয়া সারের চাহিদা তুলনায় সরবরাহ হয়েছে অর্ধেক। যে কারণে খুচরা বাজারের এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হযরত আলী জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর। কিন্তু সেখানে আবাদ হয়েছে ৭০ হাজার ২৯৪ হেক্টর।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আমন আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা
তিনি জানান, চারা রোপনের সময় সার কিটনাশকের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কয়েক দিন হলো হঠাৎ করেই খুচরা বাজারে ইউরিয়ার সারের দর কিছু বেড়েছে। তবে এই দর বেশি দিন থাকবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, আমন মৌসুমে আগস্ট মাসের ইউরিয়া সারের চাহিদা ছিল ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসের চাহিদা ৪ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ৫ হাজার ৭০২ মেট্রিক টন।
জেলার আমন চাষিরা জানান, আমরা খেত-খামার করি নিজের ও দেশের উন্নয়নের জন্য। সেখানে যদি চাষাবাদের প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যায় তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: কয়রায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিনা চাষে আলু আবাদ
চাষিরা বলেন, ‘ধানের উৎপাদন খরচ আগের যে কোন সময়ে চেয়ে এখন বেশি। তার ওপর যদি সারের দাম বাড়ে তাহলে আমরা (চাষিরা) ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি এলাকার চাষি নিজাম খলিফা বলেন, ‘আমার আমন খেতে চাহিদা রয়েছে ২৫ কেজি ইউরিয়া। সেখানে আমি কিনেছি এক কেজি। বাজারে সারের ঘাটতি রয়েছে যে কারণে দাম কেজিতে চার টাকা বেশি।’
আরও পড়ুন: ধান ও আম আবাদের পরিবর্তে মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক
সারের দামের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফাটিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের ফরিদপুর শাখার সভাপতি আব্দুর সালাম বাবু বলেন, ‘ডিলার পর্যায়ে সারের দাম কম-বেশি হয়নি। তবে খুচরা বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে।’
তিনি জানান, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের জেলার ইউরিয়ার চাহিদা যা ছিল সে তুলনায় সরবরাহ কম হয়েছে চার হাজার মেট্রিক টন। এই কারণে হয়তো দামের কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি
দু’দিনের সফরে ফরিদপুরের রামকৃষ্ণ মিশনে পরিদর্শনে গিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি সনজয় জাইন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সড়ক পথে তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী সুরবরানন্দ মহারাজ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত ও জরুরিভাবে টিকা পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
তিনি বলেন, ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে নব নির্মিত ভবন, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের ছাত্রাবাস, অডিটোরিয়াম, গ্রন্থাগার, পাঠকক্ষ ও মিউজিয়ামের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করবেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকালে ঢাকার উদ্দেশে সড়ক পথে ফরিদপুর ত্যাগ করবেন বলে জানান অধ্যক্ষ স্বামী সুরবরানন্দ।
আরও পড়ুন: হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিন্দা
করোনা: ফরিদপুরে আরও ২ মৃত্যু
কয়েকদিন আগে মৃতের হার শূন্যে নামার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে আবারও দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও একজন।
সোমবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৬ জনে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। উপসর্গে মারা গেছেন আরও একজন।
একই সময়ে পিসিআর ল্যাবে ২৬০ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৬১ জন। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত এক সপ্তাহ ধরে এই হার ২০ শতাংশের নিচে ছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২২ কোটি ৪৬ লাখ ছাড়াল
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে না মানলে শনাক্ত ও মৃতের হার আবার বাড়তে পারে।
জেলা সিভিল সার্জন অরুণ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বাড়ায় সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু মানুষ আবার স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করায় শনাক্তের হার আবার বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা চলবে না।‘
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৯ জন। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন আরও ১১ রোগী।‘
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় ২ মৃত্যু
পাবনায় ভাইয়ের হাতে বোন খুন!
পাবনার ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে চাচাতো বোন পারুল খাতুন (২৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে নিহতের চাচাতো ভাই একই গ্রামের মোকলেছ আলী (৩০) পলাতক রয়েছেন।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, বাড়ির শিশুদের খেলাধূলা ও মারামারি নিয়ে সকাল ৭টার দিকে মোকলেছ ও পারুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ মোকলেছ কাঠের বাটাম দিয়ে পারুলকে মাথায় আঘাতসহ মারধোর করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পারুলকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকাল ৩টার দিকে মারা যান পারুল।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২
ফরিদপুরে জনতা জুট মিলে আগুন
জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডুবরা গ্রামের জনতা জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিলের তিন নং ইউনিটের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জনতা জুট মিল আকিজ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
মিলের ডিজিএম সাইফুল আলম জানান, তিন নং ইউনিটের গ্যাট্রিজ মেশিন গরম হয়ে হয়তো অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
তিনি বলেন, এসময় মিলের ওই ইউনিটে শ্রমিকরা কাজ করছিল। আগুন লাগার পরে সকলেই বেরিয়ে আসতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনে আগুন
কেরানীগঞ্জে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ ৫
ওই মিলে আনুমানিক ৫০ হাজার মণ পাট ছিল বলে এই কর্মকর্তা জানান।
আগুন লাগার বিষয়ে বোয়ালমারীর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার আব্দুর সাত্তার মোল্লা জানান, আগুনের খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত সেখানে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ছুটে যায়। পরে আশেপাশের উপজেলা থেকে মোট ছয়টি ইউনিট এক যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
দেশের মানুষের বিপদে আ’লীগ পাশে থেকেছে: স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি
আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন সব সময় দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারে থেকেই নয়, যখন বিরোধীদলে ছিল তখনও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন দেশের মানুষের বিপদে পাশে থেকেছে। কিন্তু আজ আমরা কি দেখি, তারা (বিএনপি) দেশের জন্য নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করেন।’
শনিবার ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্মল রঞ্জন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কর্মীর অন্যায় কাজ করা চলবে না, কেউ যদি তা করে প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় নেতা তারেক সাঈদ, আব্দুল আলিম, আজিজুল হক আজিজ, তানভীর আক্তার শিপার, মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড: নাহিয়ান খান
ফরিদপুরে সাড়ে ১০ লাখ বেল পাট উৎপাদন, দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
পাটের রাজধানীখ্যাত ফরিদপুরে এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম নিয়ে কিছুটা হতাশ পাট চাষিরা। চলতি মৌসুমে জেলায় পাটের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিলো সাড়ে ১০ লাখ বেল ( ১৮০ কেজিতে এক বেল)।
আর চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে ফরিদপুরে পাটের আবাদ হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে কৃষি বিভাগ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার বেল। গত দশ মৌসুমে পাটের আবাদ বেড়েছে ৯ হাজার ১০৯ হেক্টর জমিতে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ
জেলার পাট উৎপাদনে প্রসিদ্ধ নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী উপজেলার পাট চাষিরা জানান, চলতি পাট উৎপাদন মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে মৌসুমের শুরুতে পাট আবাদে একাধিক সেচ দিয়ে পাট বপণ করায় শুরুতেই চাষিদের বাড়তি খরচ হয়েছে।
আবার পাট কাটায় ও পাট নেয়া-ধোয়ায় ও শুকাতে অন্যান্য বছরের চেয়ে শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় পাটের উৎপাদন খরচ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।
বর্তমানে জেলার পাটের বাজার কানাইপুর, সাতৈর, কৃষ্টপুর, নগরকান্দা, সালথা গিয়ে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে মণ প্রতি পাটের দর কৃষক পাচ্ছে প্রকার ভেদে ২৬০০ থেকে ৩১০০ টাকা।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী রথিন্দ্র নাথ সিকদার নিপু জানান, উৎপাদন মৌসুম শুরুতে পাটের দর মণ প্রতি ৪ হাজার পর্যন্ত গিয়ে ছিল। বর্তমানে (চলতি সপ্তাহে) এই বাজারের সব থেকে ভালো পাটের দর মণ প্রতি ৩১০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। আর একটু নিম্নমানে পাটের দর ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মৌসুম শেষ হলেও প্রণোদনা পায়নি ফরিদপুরে পাট চাষিরা
ভরা মৌসুমে বাজারে পাটের আমদানি কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বচ্ছল চাষিরা বাড়তি লাভের আশায় পাট বাজারে কম তুলছেন।
বোয়ালমারীর ঘোষপুর এলাকার পাট চাষি আশুতোষ মালো জানান, খেতে পাটের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে চাষিদের খরচ ও যে কোনও বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে।
সালথার চাষি নাছির উদ্দিন জানান, সরকার যেভাবে প্রতিবছর ধান, গমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সেভাবে পাটেরও দর নির্ধারণ করা থাকলে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পেতো।
এদিকে পাটের দর প্রসঙ্গে ফরিদপুর গোল্ডেন জুট মিলের পরিচালক মহাসিনুল ইসলাম গুড্ডু বলেন, ‘আমরা যারা পাট কলের সাথে যুক্ত তাদের দাবি হলো মিলের উৎপাদিত পাট পণ্য বিক্রয় মূল্যের সাথে যদি পাট ক্রয় মূল্যের পার্থক্য বেশি থাকে তাহলে মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে কারণে পণ্য উৎপাদন মূল্যের সাথে হিসাব মিলিয়ে কাঁচা পাটের দর নির্ধারণ করা দরকার। এতে সকলের লাভ হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিক সংকট ও পোকার বিড়ম্বনায় ফরিদপুরের পাট চাষিরা
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হযরত আলী জানান, সোনালী আঁশ খ্যাত ফরিদপুরের উৎপাদিক পাটের চাহিদা বিশ্ব জুড়ে। চলতি মৌসুমে পাটের আবাদ হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে কৃষি বিভাগ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার বেল। তবে এবার বেশি উৎপাদন হয়েছে।
পাটের দরের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান বাজারের যে দরে পাট বিক্রয় হচ্ছে তাতে কৃষকের লাভের পরিমাণ একটু কম হচ্ছে। কারণ মৌসুমের শুরুতে তাদের আবাদ করতে খরচ হয়েছে বেশি।
তিনি বলেন, মণ প্রতি ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা দর কৃষক পেলে তাদের ভালো লাভ পেতো।
আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনকবলিত চরনাছিরপুর ও চর মানাইড় দুটি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া নামক এলাকায় এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময় শতাধিক নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আটা, লবন, তেল।
এসময় সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারেক মাহমুদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিয়াউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মিজনুর রহমান শিকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া নাজনী কল্পনা, চরনাছিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আক্কাস আলী, চরমানাইড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, সরকার প্রধানের নির্দেশ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত একশ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা শিশু খাদ্য এবং গবাদি পশুর খাদ্য ক্রয়ের জন্য দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানিয়েছেন, পদ্মার পানি গত দুদিন কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বন্যার্তদের সহায়তায় হুয়াওয়ে
তিন বছর ঘুরেও কৃষি সহায়তা পাচ্ছেন না কব্জি হারানো মুক্তার
শোকের মাসে ফরিদপুর আ’লীগের খাদ্য সহায়তা বিতরণ