ফরিদপুর
শোকের মাসে ফরিদপুর আ’লীগের খাদ্য সহায়তা বিতরণ
কোভিড-১৯ মহামারি ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ২ হাজার ৫৫০ জন দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার দুপুরে শেখ জামাল স্টেডিয়ামে এই খাদ্য সহায়তা অনুষ্ঠান বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস ও শোকের মাস উপলক্ষে আমরা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে ১০০ পরিবার এবং পৌর সভার ২৭টি ওয়ার্ডে প্রত্যেকটিতে ৫০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল ও দুই কেজি চাউল বিতরণ করেছি।
জেলা আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি এ.কে আজাদ।
এসময় অন্যানের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা বিপুল ঘোষ, ঝর্ণা হাসান, মহিলা লীগের আইভি মাসুদ, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে
ফরিদপুরে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) এ উপলক্ষে তার নিজ জেলা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন সংগঠন ও পারিবারিক আয়োজনে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে বিপরীতমুখী চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
তারেক মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে র গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুরে সকাল সাড়ে ১০টায় তার সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে, উপজেলা প্রশাসন, তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, তারেক মাসুদ স্মৃতি কেন্দ্র। এরপর তারেক মাসুদের বাড়ির আঙ্গিনায় ‘তারেক মাসুদের জীবন ও কর্ম’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজ উদ্দিন, শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আসলাম, উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর মিয়া বেনজীর আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, শারমিন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: তারেক মাসুদ-মিশুক মুনিরের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে
ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া সেই কুমিরটির আবাসস্থল হলো গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। বুধবার দুপুরে কুমিরটিকে সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা বুঝে নিয়েছেন।
গত সোমবার ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধার থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে কুমিরটিকে গাজীপুরের সাফারি পার্কের কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দেন সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ কর্মকর্তারা।
হাওলাদার আজাদ কবির জানান, কুমিরটি উদ্ধারের পর ফরিদপুর থেকে খুলনায় নিয়ে আসা হয়। এটি একটি স্ত্রীলিঙ্গের কুমির। কুমিরটির দৈর্ঘ্য সাত ফুট ও চওড়া দেড় ফুট। গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পুরুষ কুমির রয়েছে সে কারণে উদ্ধার করা কুমিরটিকে সাফারি পার্কে রাখার সিদ্ধান্ত নেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তিনি আরও জানান, কুমিরটির সকল ধরনের পরীক্ষা শেষে সুস্থ্য অবস্থায় বুধবার দুপুরে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে সোমবার দুপুরে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকার জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধারে ওই কুমিরটি একটি হাঁস খেতে আসলে এলাকাবাসী দেখতে পায়। তখন সবাই একত্রিত হয়ে কুমিরটিকে জাল দিয়ে আটক করে।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় উদ্ধার করা কুমিরটিকে ফরিদপুর থেকে নিয়ে যান খুলনার বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী। রাতে বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে কুমিরটিকে রাখা হয়। পরদিন মঙ্গলবার কুমিরটির লিঙ্গ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। বুধবার দুপুরে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আরশাদ শেখ বলেন, জলাধারের এক কোনার দিকে একটি হাঁস খেতে আসলে গ্রামের কয়েকজন দেখে সবাইকে খবর দেয়। পরে সকলে একত্রিত হয়ে জাল দিয়ে কুমিরটিকে আটক করে। গত ১৭ দিন আমরা খুব আতংকের মধ্য দিয়ে ছিলাম। এখন কুমিরটি আটক হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার
জানা যায়, ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত ওই জলাধারে গত ২৪ জুলাই কুমিরটিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী। এরপর গত ২৮ ও ৩১ জুলাই কুমিরটিকে ধরতে দুই দফা অভিযান চালায় প্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা। কুমিরটি জালে আটকা পড়ে, কিন্তু প্রতিবারই জাল ছিড়ে বের হয়ে যায় কুমিরটি। দুটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও কুমিরটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দা আসলাম হোসেন জানান, ২২ জুলাই সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া (৩৫) পদ্মা নদী থেকে আনুমানিক চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেন। মাছটি তাজা রাখার জন্য মাছের মুখে দড়ি বেধে জলাশয়ের মধ্যে চুবিয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলে আনার জন্য দড়ি ধরে টান দিলে ওই জলাধারে একটি কুমির দেখতে পান।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটি ধরার জন্য এর আগে দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। ফলে এলাকাবাসীর মনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কুমিরটিকে এলাকাবাসী আটক করে। কুমিরটিকে প্রাণি সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। কুমিরটি আটক হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকাবাসীর মাঝে।
আরও পড়ুন: কুমিরের চোখে ঘুষি মেরে প্রাণে বাঁচল কিশোর
সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
নয়নাভিরাম ‘মুজিব শতবর্ষ পার্ক’: নতুন রূপে আলফাডাঙ্গা
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মাত্র ৫ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে মুজিব শতবর্ষ পার্ক। যার প্রতিটি ইঞ্চিই সাজানো হয়েছে সবুজ প্রকৃতি আর নির্মল বিনোদনের নানা উপকরণে। এক সময়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ পাল্টে সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নির্মল বিনোদনের নানা উপকরণের মিশেলে গড়ে উঠেছে নজরকাড়া উদ্যান।
জেলা সদর থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে মধুমতি নদীর তীরে, খুলনা বিভাগের অধীন বৃহত্তর যশোরের নড়াইল জেলার সীমানালগ্ন আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরে গড়ে তোলা হয়েছে এই মনোমুগ্ধকর বিনোদন কেন্দ্র।
বিনোদন কেন্দ্রটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মুজিব শতবর্ষ পার্ক’। কোভিড -১৯ এ মহামারির সময়ে জনসাধারণের জন্য উন্মোক্ত না হলেও গত শুক্রবার উদ্বোধন করেন ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মনজুর হোসেন বুলবুল।
এসময় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদ এলাহী, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই পুরো বিষয়টি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদের।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখানে এসেছেন আর গেছেন। বেশির ভাগই ভারপ্রাপ্ত। কেউ ছয় মাসের বেশি থাকতে চান না। বিষয়টি নিয়ে ভাবার পরে দেখলাম আসলে এখানকার পরিবেশ পছন্দ না হওয়ায় তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখানে থাকতে চাইত না। সেজন্য পরিবেশের উন্নয়নে এই চেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এটি বাস্তবায়নে সরকারের নিকট বড় বরাদ্দ চাইতে গেলে পাশ হবে কিনা অনিশ্চয়তা ছিল, তাই একটু একটু করে কাজ এগিয়ে নিয়েছি। এভাবে দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে সকলের আন্তরিকতায় এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত ইসলাম বলেন, পার্কটি বাস্তবায়নে অন্যান্য উপজেলার মডেল দেখে সুবিধা-মাফিক পরিকল্পনা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি: মাটি কাটার কাজ করছেন শিক্ষকরা!
বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আরও ১৯ মৃত্যু
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (করোনা ডেডিকেটেড) গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জন করোনায় ও আট জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত ও উপসর্গে বরিশাল বিভাগে ২০ মৃত্যু
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান জানান, বর্তমানে ফরিদপুরের এই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩০৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। প্রতিনিয়ত আইসিইউ বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় ১২ মৃত্যু
ফরিদপুরর সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘটায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষার করে শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জন। আক্রান্তের হার ৪৫ দশমিক ১২ শতাংশ। ফরিদপুর এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৯১৮জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৩৪৭ জন। সরকারি হিসাব এ পর্যন্ত শুধু করোনায় ৪৩৫ জনের মত্যু হয়েছে।
ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ভাঙন
চলতি বর্ষা মৌসুম শুরু থেকেই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মধুমতি নদীতে বিভিন্ন অংশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পাচুরিয়া ইউপির চররামদিয়া, বাশতালা,টরবন্দ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর।
এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকায় ছুটে গেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন ও জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
আরও পড়ুন: যমুনার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
পরির্দশনে শেষে এমপি মনজুর হোসেন বলেন, এই এলাকার নদী ভাঙন সমস্যা দীর্ঘ দিনের। স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙনের মুখে এই অঞ্চলের মানুষ। আমরা চেষ্টা করছি সরকারি উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেন এই ভাঙন রোধের স্থানীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যে সকল পরিবার নদী ভাঙনের স্বীকার হয়েছে তাদের তালিকা করে সরকারিভাবে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ফরিদপুরে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালন
ফরিদপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শুরুতেই মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারতো: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অংশ নেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান (বিপিএম সেবা), জেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. শামসুল হক ভোলা মাস্টার, পৌর মেয়র অমিতাব বোস, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: লন্ডন হাইকমিশনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত
এছাড়াও দুপুরে ভার্চুয়ালি আলোচনা সভা ও বিকেলে দলীয় কার্যালয় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেলের আইসিইউতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালের ১৬ শয্যার অত্যাধুনিক ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) প্রথম শ্রেণির সব পদই শূন্য রয়েছে। ২০১৬ সালে স্থাপিত এই আইসিইউতে এখন পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বর্তমানে ওই হাসপাতালের একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন রোস্টারের মাধ্যমে করোনা রোগীদের জন্য কোনমতে ইউনিটটি চালু রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট জনবল না থাকায় এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু জীবনের বিনিময়ে এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই আইসিইউতে একজন সহকারী অধ্যাপক, দুজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, দুজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও দুজন মেডিকেল অফিসার নিয়মানুযায়ী থাকার কথা। তবে প্রথম শ্রেণির এই সাতটি পদই এযাবত পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। নির্ধারিত জনবল না থাকায় বর্তমানে বিএসএমএমসি হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অনন্ত কুমার বিশ্বাস অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে এই আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদপুর সনাক সভাপতি ও নাগরিক মঞ্চের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, বিএসএমএমসি হাসপাতালের এই আইসিইউ বিভাগটি অত্যাধুনিক মানের। এখানে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই, ভেন্টিলেটর, হাই ফ্লো, নজেল ক্যানোলাসহ অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত উৎপাদনের আশায় ফরিদপুরের‘সোনালী আঁশ’ চাষিরা
তিনি বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্য কোন হাসপাতালে এই অত্যাধুনিক সুবিধা না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও গুরুতর রোগীদের এখানে প্রেরণ করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের একমাত্র এই সম্বল আইসিইউতে রোগী সেবা পাওয়ায় বহু মানুষের জীবন রক্ষা পায়।
তিনি জরুরি ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠানের আইসিইউ বিভাগে প্রয়োজনীয় জনবল দেয়ার দাবি জানান।
ফরিদপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক: র্যাব
ফরিদপুরে কথিত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
রবিবার ভোরে সদর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- রাজবাড়ীর কেরামত কবিরাজ (৫৫) ও ফরিদপুরের দক্ষিণ দয়ারামপুরের মো. হাফিজুল মোল্লা (৪৭)।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
ফরিদপুর র্যাবের ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রহমানের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই র্যাব অভিযান চালায়। এ সময় ৮০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব-১১।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আটকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৯ জনের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় একদিনে রেকর্ড ৮৫৩ শনাক্ত, মৃত্যু ৮
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সাত জন এবং উপসর্গে ১০ জন মারা গেছেন। এই হাসপাতালের করোনয় চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৮৪ জন রোগী। নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন।
আরও পড়ুন: রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ২১ মৃত্যু
ফরিদপুর সিলিভ সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৪৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৯ জনের। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজার ২৭১ জন, সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ২৮৭। জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৭০ জনের।