ফরিদপুর
ফরিদপুর-৩ আসনে আ. লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক- এমন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রার্থীতা বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এ কে আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদন জমা দেন।
৫ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ লিখিত অভিযোগ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন।
রিটরিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত না থাকায় তা আমলে আনা হয়নি।’
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৩৮ প্রার্থীর আপিল: ইসি
রিটার্নিং কর্মকর্তার এই আদেশের বিরুদ্ধে শুক্রবার আপিল দায়ের করা হয়েছে।
আব্দুল কাদের আজাদের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর ‘BESHC8751’, জন্ম তারিখ ২১ অক্টোবর ১৯৬০ লেখা আছে। শামীম হক সম্প্রতি তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে এক দরখাস্ত দাখিল করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দরখাস্তের ২৫নং কলামে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬নং কলামে অন্য দেশের নাগরিক থাকলে সেই দেশের নামের জায়গায় নেদারল্যান্ডস উল্লেখ আছে। ২৭নং কলামে তার বর্তমান নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট নম্বর ‘BY60F0J74’ উল্লেখ করা আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বলেন, সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১) (৬) অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শামীম হক একজন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে না, তিনি অযোগ্য প্রার্থী।
এছাড়াও, তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(২)(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রদত্ত এফিডেভিটে এই বিষয়টি গোপন করায় তার ঘোষণাটি মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সে কারণেও তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৬৬(২) (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।’ সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদের অনুরূপ বিধানই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(৬) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তিন দিনের টানা বর্ষণে মৌসুমি পেঁয়াজের বীজতলাসহ খেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৭০ শতাংশ পেয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
নগরকান্দা গ্রামের কৃষক মো. আহাদ হোসেন জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেতের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে কাদার মধ্যেই চারা রোপণ করছি। এতে করে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ব।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
একই এলাকার কৃষক ফরহাদ শেখ জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি, তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার রোপণ করা্ সব চারা ডুবে গেছে, আমি এখন কী করব। কীভাবে এনজিওর টাকা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪০ হেক্টর জমির হালি পেঁয়াজ বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের জমি থেকে পানি নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলার নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে একই চিত্র সালথা উপজেলায়।
বৃষ্টিপাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, সালথায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বীজতলা আবাদ করা হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এসব মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও বীজতলার বেশিরভাগ খেত তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খেতের পানি দ্রুত নামিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
ফরিদপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৌরভ মালো (২১) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মাঝিকান্দি গ্রামের স্বপন মালোর ছেলে। সৌরভ নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রি ১ম বর্ষে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি জেলা শহরের হাজী শরিয়তুল্লাহ মাছ বাজারের আড়তে পার্টটাইম মুহুরির কাজ করতেন।
নিহত সৌরভ মালোর মামাতো ভাই সুজন মালো বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বাসে করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেয় সৌরভ। যাত্রাপথে তার মায়ের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে কথা হয়। বিকাল ৫টার পরে ভাঙ্গা নেমে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সৌরভ।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় তাকে শহরে না গিয়ে বাড়িতে চলে আসতে বলে তার মা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি সৌরভকে। পরে পরিবারের লোকজন সৌরভকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভাঙ্গা থানায় জানিয়ে রাতভর তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
সুজন মালো বলেন, শুক্রবার সকালে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের নিচে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জানালে গিয়ে দেখা যায় সৌরভের লাশ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের নিচে পাথরের ব্লকের উপর থেকে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহালে তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতোমধ্যেই মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুড়েছে শ্রমিক কলোনির ১৬ কক্ষ
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
কলেরা স্যালাইন সংকটে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল
হঠাৎ করে গত ১২ দিন ধরে ফরিদপুরে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
এ হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের (শিরায় দেওয়া) সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ শয্যার ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে মাত্র ১০টি শয্যা।
চলতি শীতের আগমনের শুরুতেই শিশু থেকে বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর এতে স্বল্প পরিসরের (১০ শয্রার), সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ এর বেশি রোগী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধ হুমকির মুখে
এ ছাড়া গত ১২ দিনে প্রতিষ্ঠানটিতে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৬০০ রোগী। বিপুল সংখ্যক এই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডের মেঝেতে ও ওয়ার্ডের বাইরে।
বৃহস্পতিবার ১০ শয্যার ওই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা যায়, ৫৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। অনেক রোগীকে রাখা হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দার ফ্লোরে। আর শিশুদের রাখা হয়েছে একই বেডে দুইজন বা তিনজন করে।
তার উপর রয়েছে স্যালাইন সংকট। এদিকে বাজারে ওষুধের দোকানে মিলছে না কলেরা প্রতিরোধের স্যালাইন। যা পাওয়া যাচ্ছে তাও ক্রয় ক্ষমতার বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। অনেক রোগীর স্বজনেরা বেশি দাম দিয়েও স্যালাইন পাচ্ছে না।
এদিকে সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
তারা বলছেন, তারা বাজার থেকে টাকা দিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। যেটুকু পাচ্ছে তার দাম নিচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এতে রোগীদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন শহরের শোভারামপুর এলাকার আব্দুল জলিলের পরিবার। প্রথমে জলিলের স্ত্রী কলেরায় আক্রান্ত হন। এরপর জলিলের ছেলের বউ। শয্যা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
শয্যা ও কলেরা রোগীর স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে ফরিদপুর সদর জেনারেল হাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, এই মুহূর্তে আমরা রোগীদের সচেনতার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সেই তুলনায় কলেরার স্যালাইন সংকট প্রচুর।
আরও পড়ুন: তেল বরাদ্দ না থাকায় ৪৫ দিন থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোগীর চাপ যদি স্বাভাবিক না হয়, আর সময় মতো স্যালাইন না পাই তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৭ হাজার কলেরা স্যালাইনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়; যার বিপরীতে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১ হাজার ২০০।
ফরিদপুরের অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের ভাঙ্গায উপজেলায় বিল থেকে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ছিলাধরচর গ্রামের এক বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘোড়ার গাড়ির চালকের লাশ উদ্ধার
ভাঙ্গা পৌরসভার স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে মরা বিলে আমার এলাকার রাশেদ নামের এক ভাই কচুরিপানা কাটতে গিয়ে নারীর লাশ দেখতে পায়। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী কচুরি কাটতে গিয়ে লাশ দেখে ৯৯৯ খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহোদয়সহ ঘটনাস্থলে হাজির হই।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এই মহিলা সোমবার কোনো এক সময় ডোঙ্গা দিয়ে বিল বা মরা নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় তিনি ডোঙ্গা থেকে পড়ে গভীর জলে তলিয়ে যান।
পরে আমরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম জানান, নিহত নারীর পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল রহস্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের ট্রেনে কাটা পড়ে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার অম্বিকাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ আহমদ শেখ অম্বিকাপুর এলাকায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, আহমদ শেখ সকালে অম্বিকাপুর রেললাইনের পাশে যায়। সেখানে ঘোরাফেরা করে রেললাইন পার হওয়ার সময় ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুব জানান, ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ভাঙ্গা থেকে রাজবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। অম্বিকাপুর এসে পৌঁছালে এক বৃদ্ধকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
ফরিদপুরে পুড়েছে শ্রমিক কলোনির ১৬ কক্ষ
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরে ১৬টি কক্ষ পুড়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কানাইপুর মালাঙ্গা গ্রামের করিম জুট মিলের ঠিক উল্টো পাশের শ্রমিক কলোনিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সেখানে দু’টি ঘরে ১৬টি কক্ষ ছিল। যেগুলো স্থানীয় জুট মিল শ্রমিকরা ভাড়া নিয়ে বাস করতেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়েছে মূল্যবান মালামাল
সোয়া ৬টার দিকে বিদ্যুতের মিটার থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুভাষ বাড়ৈ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০ দোকান
পিরোজপুরে আগুনে পুড়েছে ২১ দোকান
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরে অনুশীলনে যাওয়ার পথে ২ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাতে (আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে) ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গার পুকুরিয়া নামক এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, হাইওয়ে পুলিশের ৫ সদস্য ফরিদপুরে ফায়ারিং অনুশীলনে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে রওনা হন। পুকুরিয়া নামক এলাকায় এলে ব্রাদারস ফিলিং স্টেশনের সামনে সিএনজি উল্টে যেয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
তিনি আরও বলেন, নিহতারা হলেন- নায়েক নাজমুল হোসেন ও কনস্টেবল নাসির উদ্দিন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন, ইমরান সর্দার জাকির হোসেন এবং মিথোয়াইছিং মারমা। সিএনজি চালকও আহত হয়েছেন।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুন আনম জানান, রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়ক পিচ্ছিল থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বালুবোঝাই ট্রলির চাপায় শিশু নিহত
মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা দুই গাড়িকে কার্ভাডভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
ফরিদপুরে বাসে আগুন ও লোকাল বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ
বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধে ফরিদপুর শহরে একটি বাসে আগ্নিসংযোগ ও বোয়ালমারীতে একটি লোকাল বাসে পাথর ও ইট পাটকেল ছুড়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পণ্যবাহী নছিমন আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে পার্ক করে রাখা জনৈক মনিরুল ইসলাম ফরহাদের মালিকানাধীন একটি বাসের (যার নম্বর ফরিদপুর- ব ১১ ০০২৪ ) পেছনের জানালা ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ড বাসের ভেতরের সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে যায়।
এ ছাড়াও রবিবার (১২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রামচন্দ্রপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাসপুরগামী গ্লোবাল আব্দুল্লাহ্ শাহ্ লোকাল নামে বাসটি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পাথর ছুড়ে পালিয়ে যায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বাসের সামনের গ্লাস, লুকিং গ্লাস, ড্রাইভারের জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। বাসের চালক গফফার সিকদার দ্রুত বাস চালিয়ে সহস্রাইল বাজারে গিয়ে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ফরিদপুরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
ফরিদপুরের নগরকান্দায় একসঙ্গে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা চরযশরদী ইউনিয়নের আলগাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া দুই ভাই-বোন হলো- আবু বক্কর (৫) আলগাদিয়া গ্রামের মো. জাফর শেখের একমাত্র ছেলে এবং নাহিদা আক্তার (৪) শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৭ মাসের শিশুসহ প্রাণ গেল ২ জনের
আলগাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসরাইল হোসেন জানান, বুধবার দুপুর দিকে শিশু আবু বক্কর ও নাহিদা একসঙ্গে খেলতে বের হয়। তারা খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে একটি পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন ওই দুই শিশুকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে। বাড়ির আশপাশে তাদের খোঁজ না পেয়ে পুকুরে নেমে সন্ধান করে। একপর্যায় পুকুরের পানির ভেতর থেকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, জাফর শেখ বিয়ের ১২ বছর পর সন্তানের বাবা হন। তাই একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার পরিবার পাগলের মতো হয়ে গেছে।
চরযশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফকির দুই শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই শিশুর এমন মৃতুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমরা শোকাহত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেপটিক ট্যাংকে আটকে ২ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা