শিশু
নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
রংপুরের পীরগাছায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুরে ভেসে উঠেছে উম্মে হাবিবা (৭) নামে এক শিশুর লাশ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চালুনিয়া বিলের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাবিবা চালুনিয়া পানাতিপারা গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে একই বাড়ি থেকে মাসহ ২ সন্তানের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় উম্মে হাবিবা। এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। পরে সোমবার সকালে বাড়ির পাশের চালুনিয়া বিলের একটি পুকুরে উম্মে হাবিবার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমির হোসেন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই উপজেলার লতাবর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আমির হোসেন ওই এলাকার কোহিনূর ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, গান শোনার জন্য সাউন্ড স্পিকারের বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার সময় আমির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিয়ে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু ও এক নারী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা শহরের শিবতলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মালোপাড়া উপশহর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পৌরসভার চাইপাড়া নিমগাছি এলাকার খায়রুন নেসা ও শিবগঞ্জ উপজেলার কালিনগর এলাকার রাফি (৮)।
আরও পড়ুন: শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
চাঁপাইনববগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মালোপাড়া উপশহর এলাকায় বালুভর্তি একটি ট্রাক খাইরুন নেসাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি মিন্টু আরও জানান, অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের শিবতলা মোড় এলাকায় একটি মোটরসাইকেল একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে শিশু রাফি ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে পরে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।
উভয় ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি ।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক নিহত
যশোরের মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জাপানি ২ শিশুর বিষয়ে যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
জাপানি দুই শিশুর মধ্যে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে করা রিভিশন আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়টি দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবেন। জাপানি মা ও তাদের বাংলাদেশি বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, নাসিমা আক্তার লাভলী।
নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বড় মেয়ে তাকবে মায়ের কাছে। মেঝে মেয়ে থাকবে বাবার কাছে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ছোট মেয়ে জাপানে আছে, সেটা মামলার বিষয়বস্তু না। তার ব্যাপারে হাইকোর্ট কিছু বলেননি।
এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান।
শিশুদের নিজ হেফাজতে নিতে বাবা ইমরান শরিফের করা আবেদন খারিজ করে ওই রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন ইমরান শরিফ।
পরে গত বছরের ১৬ জুলাই দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফের করা আপিল খারিজ করে দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে ইমরান শরিফ। যে আবেদনের ওপর আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ২
নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুরে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস সদর উপজেলার চর করম উল্যা গ্রামের জাকের হোসেনের মেয়ে। অপর নিহত অজ্ঞাত এক নারী।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ২
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই অজ্ঞাত নারী সোনাপুর এলাকায় থাকতেন। মাঝে মাঝে তিনি ভিক্ষা করতেন এবং চোখেও কম দেখতেন।
শুক্রবার(৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে জান্নাতুল তাকে রাস্তা পার করে দেওয়ার সময় সোনাপুর কোল্ড স্টোরেজের সামনে তাদের একটি ট্রাকচাপা দিলে তারা গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করলে পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ট্রাক চালক পালিয়ে যায়।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রিয়াজ হাসান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, শিশুর লাশ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পোশাককর্মীর মৃত্যু
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, চালক আটক
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরে ট্রাকচাপায় মাহমুদ নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুটি।
নিহত শিশু মাহমুদ পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র।
আরও পড়ুন: সাভারে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত যুবক নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহমুদ মায়ের সঙ্গে রাস্তা পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছিল। মায়ের অজান্তে হঠাৎ রাস্তা দৌড়ে পার হওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রাকেচাপায় ঘটনাস্থলেমৃত্যু হয় মাহমুদের।
এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করেছে স্থানীয়রা। এসময় গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ট্রাক ও চালককে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় ফুটবলার নিহত
যশোরে ট্রাকচাপায় যুবক নিহত
টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
কক্সবাজারের টেকনাফে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় দুই শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের লেদা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশুর বয়স ৭-৮ বছর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পায়রা পরিবহন নামে একটি বাস টেকনাফ শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় দুই শিশু সড়ক পার হাওয়ার চেষ্টা করে। বাসের গতি বেশি থাকায় ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৫ বাংলাদেশি
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ২৫ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এসব নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে আনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
ফেরত আসারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমের হেফাজতে ছিল। পরে তাদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হলো।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে স্থানীয় ইউএনও, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে থেকে উদ্ধার করা এসব নারী-পুরুষ ও শিশুদের হস্তান্তর করেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিক আহমেদ জানান, ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি কর্মকর্তা, স্থানীয় এনজিও কর্মকর্তা এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা
প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা গুণগত প্রাথমিক শিক্ষালাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং গুণগত প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে বা ঝরে পড়ছে। দরিদ্র প্রান্তিক অঞ্চলে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে আরও বিশেষ সহায়তা থাকার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নৃগোষ্ঠীর নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এতে বলা হয়, তাই প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও পলিসি বাস্তবায়নকারীদের প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও দুর্গম চর এলাকার শিশুদের গুণগত শিক্ষা বিষয়ে দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কর্মশালায় শাপলা নীড় বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমোকো উচিয়ামা, ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়িত না হওয়া ও নিজস্ব কমিউনিটির শিক্ষক না থাকার বিষয়গুলো বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্যভিত্তিক উপস্হাপনার মাধ্যমে আলোকপাত করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী বিশেষ করে সাঁওতাল, তুরি, মুশোহর নৃ-গোষ্ঠী এবং নরসিংদীর প্রান্তিক চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ২ হাজার ৫৯৩ জন শিশু। আবার এসব এলাকার বাবা-মায়ের সচেতনতার অভাবে অনেক বাচ্চা ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে বা পড়াশোনাই করছে না। করোনাও একটি বড় ক্ষতি করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হত্যা, আটক ৩
শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে দূরে রাখতে করণীয়
১১ হাজার ভোল্টের ট্রান্সমিশন কেবলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর। ঘটনাটি কুমিল্লার সংরাইশ নামক একটি এলাকার; ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
শুধু প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোই নয়; দেশের আধুনিক শহরগুলোও মুক্ত নয় এমন নির্মম দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলো যেখানে উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ দ্বারা পরিবেষ্টিত, সেখানে শিশুর খেলার জায়গাটি নিমেষেই পরিণত হতে পারে মরণফাঁদে। এমনকি ঘরের ভেতরটাও এই ঝুঁকির বাইরে নয়। তাই শিশুর নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে প্রয়োজন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের।
এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন দেখে নিই, ঘরের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে শিশুর জীবন বাঁচাতে কি কি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
বৈদ্যুতিক শক থেকে শিশুদের রক্ষা করার উপায়
ঘরের ভেতরে প্রয়োজনীয় সাবধানতা
দেয়ালের বৈদ্যুতিক সকেটগুলো আবৃত রাখা
ঘরের দেয়ালের নিচের দিকে প্রায় সময় দেখা যায় বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসগুলো অনাবৃত থাকে। এছাড়া ব্যবহার শেষে প্লাগ খুলে ফেলার পর সেগুলো অনাবৃত অবস্থাতেই রেখে দেওয়া হয়। এগুলো বাচ্চাদের হাতের নাগালেই থাকে। খেলার ছলে এগুলোর ছোট গর্তগুলোতে বাচ্চাদের হাত চলে যেতে পারে। এমন অনর্থ থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক আউটলেট কভার বা সেফটি প্লাগের আবির্ভাব।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্লাগগুলো মূলত টু পিং ও থ্রি পিং সকেটের জন্য সামঞ্জস্য করে তৈরি করা হয়। আর কভারের ক্ষেত্রে বর্তমানের অত্যাধুনিক স্লাইডিং আবরণীগুলো ব্যবহার শেষে কোনো অ্যাডাপ্টারের প্লাগ খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সকেটটিকে ঢেকে ফেলে। এতে করে বিদ্যুৎ সংযোগের গর্তগুলো আবৃত হয়ে যায় এবং তাতে বাচ্চাদের হাত পড়লেও কোনো বিপদের আশঙ্কা থাকে না।
বিদ্যুতের কেবলগুলো গুছিয়ে রাখা
শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে কেবল অর্গানাইজার। এলোমেলো করে ছড়ানো-ছিটানো কেবল বা তারগুলোতে বাচ্চাদের ছোট ছোট হাত-পা জড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চঞ্চল শিশুরা ছুটে বেড়াতে যেয়ে এগুলোতে পা জড়িয়ে পড়ে যেয়ে আঘাত পেতে পারে। আর কোনো একটিতে ছোট্ট কোনো চিড় বা লিকেজ থাকলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই নিদেনপক্ষে দড়ি বা ফিতে দিয়ে কেবল বা তারগুলোকে বেধে পরিপাটি করে রাখা উচিৎ।
তাছাড়া এখন অধিকাংশ ইলেকট্রনিক পণ্যের সঙ্গে এগুলোর কেবল গুছিয়ে রাখার জন্য ছোট ছোট প্লাস্টিকের তার সরবরাহ করা হয়। এগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার করে তার বা কেবলগুলো আড়াল করে রাখা উচিৎ। কর্ড সংগঠক ব্যবহার করে বা অতিরিক্ত কর্ডের দৈর্ঘ্য বেঁধে দড়িগুলোকে সংগঠিত এবং নাগালের বাইরে রাখুন। এটি দড়িতে ছিটকে যাওয়ার বা টানার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
ওভারলোড না করা
একটি আউটলেটে একাধিক ডিভাইস ব্যবহারের উপায় থাকলেও তার সুবিধা নেওয়া উচিৎ নয়। বিশেষ করে উচ্চ পাওয়ার রেটিংয়ের বৈদ্যুতিক আসবাব একটি আউটলেটে একটির বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে আউটলেটগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে সকেটের পেছনে তার বা আসবাবের কেবল পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া শর্ট সার্কিট হলে একসঙ্গে একাধিক যন্ত্র নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
বিদ্যুতের প্রতিটি সংযোগের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করা
ঘরের প্রতিটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা রুটিন মাফিক যাচাই করা হলে সময় মতো ত্রুটিগুলো চোখে পড়বে। এতে করে যন্ত্রপাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে প্রত্যেকটির নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার। আর ঘরের ভেতরে শিশুর খেলার জায়গাটিও হবে ঝুঁকি মুক্ত।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদিকে কোনোভাবেই পানির সংস্পর্শে না আনা
রান্নাঘর ও টয়লেটের বৈদ্যুতিক আউটলেটগুলোকে কোনোভাবেই ভেজা রাখা যাবে না। প্রয়োজনে নিয়মিত শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে রাখতে হবে। দিনের অধিকাংশ সময়ই এই স্থানগুলোতে পানির কাজ থাকে। ফলে যে কোনো ভুলে মেঝেতে পানি পড়ে তা গড়িয়ে চলে আসতে পারে ডাইনিং বা অন্যান্য ঘরগুলোতে। পরিণতিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে শিশুর খেলে বেড়ানোর জায়গাটি।
ফ্রিজ বা ওভেনের মতো উচ্চ ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির পেছনের স্থান কোনোভাবেই যেন পানির সান্নিধ্যে না আসে। এগুলোর কেবলে হঠাৎ পানি লেগে গেলে দ্রুত পাওয়ার অফ করে শুকনো কাপড় দিয়ে তা মুছে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়