শিশু
শিশুকে বিক্রি করে মা সাজালেন ছিনতাইয়ের নাটক!
সীতাকুণ্ডে নিজের সন্তানকে বিক্রি করে মায়ের ছিনতাইয়ের নাটক সাজানোর ঘটনায় তিন দিনের মাথায় ১৪ দিন বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার নগরীর সিটি গেইট এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুর মা জেনি আক্তারের তথ্যমতে নগরীর আকবর শাহ থানার পুলিশের সহায়তায় বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেনি আক্তার তার ১৪ দিনের বাচ্চাটি নগরীর আকবরশাহ থানার সিটি গেইট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। তার আগের বাচ্চার বয়স ১৬ মাস। এরি মধ্যে জন্ম নিল দ্বিতীয় বাচ্চা। অভাবের সংসার তার উপর তার বয়স ২০ বছর। এসব কারণে প্রতিবেশীরা নানা কথা শোনাতে থাকে। তা নিয়ে মানসিকভাবে চিন্তিত ছিল জেনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
সাজানো ঘটনায় জেনি দাবি করেছিলেন, গত ১৬ মে রবিবার ১৪ দিন বয়সের শিশু ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে গাড়ির জন্যে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায় তার সামনে। গাড়িটিতে উঠে দেখেন সেখানে এক নারী। সীতাকুণ্ডের জোড়আমতল থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে ঔই নারী জেনি আক্তারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার বাচ্চাটাতো সুন্দর, একথা শুনার পর আর কিছু মনে নেই জেনি আক্তারের।
এ অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ শিশুর সন্ধানে তদন্ত শুরু করলে পুলিশ জানতে পারে মা জেনি নিজেই ১৪ দিনের বাচ্চাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া শিশুর বাবা মো. ইয়াসিন বলেন, তার বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। পেশায় সে অটোরিক্সা চালক। বাচ্চা জন্মের সময় হওয়াতে স্ত্রীকে কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ডে বাবার বাড়িতে পাঠান। কিন্তু কি কারণে তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি তা জানেন না।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) নোমান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎ অফিসের দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যু, আহত ২
জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল শিশুর, গ্রেপ্তার ৪
হোসেনপুরে নসিমন চাপায় শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে স্যালু ইঞ্জিনচালিত নসিমন চাপায় রাব্বী নামের চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাজিপুর-হোসেনপুর সড়কের পোড়াবাড়িয়া গ্রামে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু রাব্বী পোড়াবাড়িয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের চাচা মোহাম্মদ আলী জানান, রাস্তার পাশে দাঁড়ানো তার ভাতিজাকে স্যালু ইঞ্জিনচালিত একটি নসিমন চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হোসেনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান টিটু জানান, অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশার যাত্রী নিহত
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
এক শিক্ষার্থীর জন্য ৩ শিক্ষক!
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ময়নাপুর গ্রামে ২৯টি পরিবারের বসবাস। গ্রামের বাসিন্দাদের শিশু সন্তানদের পড়াশোনার সুবিধায় ১৯৯১ সালে গড়ে ওঠে ময়নাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি ২০১০ সালে নিবন্ধিত হয়। ২০১৩ সালে হয় সরকারীকরণ।
কিন্তু বর্তমানে স্কুলটির দ্বিতীয় শ্রেণিতে আছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন তিন শিক্ষক। এছাড়া উপজেলার আরও ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের নিচে বলে জানা গেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে আগের ১১০টির সঙ্গে নতুন জাতীয়করণকৃত ১০৪টি বিদ্যালয়ে ২২ হাজার ৬১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। এর মধ্যে ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের নিচে। এর মধ্যে ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। ময়নাপুর স্কুল ছাড়াও উপজেলার আরও ২০টি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ এরও নিচে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী বলেন, ২৯টি পরিবার নিয়ে আমাদের ময়নাপুর গ্রাম। গত পাঁচ বছর গ্রামে কোনো শিশু জন্ম নেয়নি। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়েনি।
ধীরে ধীরে স্কুলটির শিক্ষার্থী কমে এসেছে জানিয়ে ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মন্ডল বলেন, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠার সময় এ স্কুলে ১১৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। তখন এ গ্রামে ৪১টি পরিবার ছিল। ২০১০ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর শিক্ষার্থী ছিল ৬৫। তখন এ গ্রামে মাত্র ২৯টি পরিবারে বসবাস ছিল। বাকি ১২টি পরিবার গ্রাম ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। ২০১৩ সালে সরকারীকরণের পর শিক্ষার্থী ৫০-এর নিচে নেমে আসে। এরপর থেকে শিশু না জন্মের কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী কমতে থাকে। এ বছর স্কুলে ভর্তি হওয়ার মতো ছয়টি শিশু ছিল। কিন্তু পাঁচ জনের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। এ কারণে তারা ভর্তি হতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ওই একজন ছাত্রই রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই
ডুমুরিয়া উপজেলার ময়নাপুর ক্লাস্টারের পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী সাদিয়া আক্তার শোভা বলেন, ময়নাপুর গ্রামে ২৯টি পরিবার রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এ গ্রামে শিশু জন্মের হার খুবই কম। ২০১৯ সালে দুটি, ২০২০ সালে একটি, ২০২১ সালে একটি ও ২০২২ সালে একটি শিশুর জন্ম হয়। ফলে এ গ্রামে শিশুর সংখ্যা খুবই কম। গ্রামে জনবসতি কম ও পরিবার প্রতি সন্তান থাকায় নতুন শিশু নেয়ায় কম আগ্রহের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থী কমে আসায় ময়নাপুর স্কুলটি বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিকদার আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী সার্ভের পর গত মার্চ মাস ময়নাপুর স্কুলটি বন্ধের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুদ্দোহা বলেন, ওই স্কুলটি বন্ধ করে সেখানকার শিক্ষকদের অন্যত্র বদলির জন্য ঢাকায় চিঠি পাঠিয়েছি। সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৩৬১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার!
দিনাজপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ ও বিরল উপজেলার শংকরপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ের আফতাবগঞ্জের সিরাজুল ইসলামের ছেলে স্বাধীন ইসলাম (১৩) এবং বিরল উপজেলার পৌর শহরের শংকরপুরের আব্দুস সালামের মেয়ে শিমলা আক্তার (৯)।
উভয়ের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম জানান, একসঙ্গে চার শিশু শিব মন্দির পুকুরে গোসল করার সময় স্বাধীন ইসলাম পানিতে তলিয়ে যায়। পরে রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে বিরল উপজেলার পৌর শহরের শংকরপুর মহল্লায় ডোবার পানিতে তলিয়ে শিমলা আক্তার মারা গেছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
ফুলবাড়ীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল শিশুর, গ্রেপ্তার ৪
রংপুরের কাউনিয়ায় জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিশু আঞ্জুয়ারা বেগম (১২) মারা গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নিহত আঞ্জুয়ারা উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-বিশ্বনাথ গ্রামের ইব্রা মিয়া, খলিল মিয়া, মজনু মিয়া ও মোস্তফা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিশ্বনাথ গ্রামের আব্দুল হামিজের বসতভিটার কিছু অংশ প্রতিবেশি আব্দুল হাকিম নিজের দাবি করে এক মাস আগে সীমানা নির্ধারণ করেন। সেই সঙ্গে জমিতে থাকা গাছ কেটে ফেলেন। এই সীমানা নিয়ে সন্দেহ হলে হামিজ ও তার স্বজনেরা সোমবার বিকালে পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করতে যান। এতে হাকিম বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে হামিজসহ তার পক্ষের ছয়জন এবং হাকিমের পক্ষের তিনজন আহত হন। পরে হামিজসহ তার পক্ষের ছয়জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আঞ্জুয়ারা ও হামিজের স্ত্রী আমেনাকে রমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিশু হত্যার ঘটনায় নারী আটক
এ ঘটনায় হামিজের চাচাতো ভাই আব্দুল সোলেমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদার রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে আব্দুল সোলেমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার পরই অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় আহত শিশু আঞ্জুয়ারা বেগম বৃহস্পতিবার ভোর তিনটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তার লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে শিশু হত্যা মামলায় চাচীর যাবজ্জীবন
খুলনায় শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
টেকনাফে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি
কক্সবাজারের টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মো. আলী উল্লাহ আলো হত্যা মামলায় ছয় জনের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁর মো. সুমন আলী (২৬), ঠাকুরগাঁওয়ের ইয়াছিন ওরফে রায়হান (২৯), কুমিল্লার মো. ইয়াকুব (৩৪), টেকনাফের মো. ইসহাক ওরফেকালু (৩১) নজরুল ইসলাম (২৮) ও সৈয়দুল আমিন ওরফে লম্বাইয়া। তাদের মধ্যে সুমন আলী, নজরুল ইসলাম ও সৈয়দুল আমিন পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া এ মামলায় মহিবুল্লাহ (৪৫) ও দিদার মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আলাদত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ফারজানা পারভীন সুইটি'র ৭ বছরের শিশু ছেলে মো. আলী উল্লাহ আলোকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র কর্মচারী মোঃ সুমন আলী বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার উদ্দেশে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে আলী উল্লাহকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র কাচারী ঘরের সিলিং উপর তুলে তার হাত পা বেঁধে মুখে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় আলী উল্লাহ আলোর বাবা ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি পর্যায়ক্রমে টেকনাফ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই হারুনর রশীদ এবং টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর নারাজীর আবেদন গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ২৪ জুলাই কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। মামলায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ট্রিপল মার্ডার: কুষ্টিয়ায় ৩ আসামির আমৃত্যু, ৮ আসামির যাবজ্জীবন
ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
কুড়িগ্রাম সদরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে ছয় বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশু জান্নাতি উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলা কাটা চর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে শিশু নিখোঁজ
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, শিশু জান্নাতি শনিবার দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাতে সেখানে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: ধলাই নদে ২ শিশু নিখোঁজের ঘটনাটি গুজব
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, একটি শিশু ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছে। শনিবার উত্তর ভারতীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে একটি ব্যস্ত এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ব্যক্তিগত গাড়ির অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, এক শিশুসহ নিহত সকলেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে রাজ্যের মথুরা শহরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় গাড়ির সব যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অন্য গাড়ির দুই যাত্রী আহত হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টুইট করে জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, এ দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি চার মিনিটে একটি ঘটছে। এই দুর্ঘটনাগুলির জন্য প্রায়ই ভাঙা রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি অমনোযোগকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত সরকারের প্রয়োগ করা কঠোর ট্র্যাফিক আইনও দুর্ঘটনার লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
মাগুরায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরার শালিখায় পানিতে ডুবে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার শ্রীহট্র গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত রহিম একই গ্রামের নাজমুল মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক নাথ বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু রহিমকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, একপর্যায়ে তাকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে শালিখা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু রাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে শালিখা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
ডোবায় পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের তিনলাখপীর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো- উপজেলার তিনলাখপীর এলাকার জুয়েল মিয়ার মেয়ে মোসাইবা আক্তার (৩) ও কুমিল্লার হৃদয় মিয়ার ছেলে সানাউল হক (৩)। সম্পর্কে তারা ভাই বোন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মনির হোসেন জানান, ঈদের ছুটিতে সানাউল তার পরিবারের সঙ্গে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। দুপুরের পর তার মামাতো বোন মোসাইবার সাথে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এর কিছুক্ষণ পর তাদের খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবারের সদস্যরা। অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির পেছনে ডোবায় তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ভুইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।