যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
ইহসানুল বলেন, তারা উভয়েই চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ব্রিটেন বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন হাইকমিশনার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। যাতে প্রত্যাবাসনের পর তাদের কাজে লাগানো যায়।
কুক বলেন, তারা চান বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দীর্ঘ ২১ বছর (১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬) সংগ্রাম করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ের পর, তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিজয় উদযাপন করেছে, শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে এবং সারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম লুট করেছে।
তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমরাই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি এবং গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, এক সময় একটি মাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, কিন্তু এখন দেশে ৪০টির বেশি বেসরকারি চ্যানেল চলছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক স্পটলাইটে থাকলে তাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে।
রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের ক্ষেত্রে কক্সবাজার অঞ্চলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
চট্টগ্রাম বিভাগে বড় আকারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য ২৫ হাজার পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এই অর্থ দিয়ে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ সহায়তা পাবে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কারিতাস বাংলাদেশ ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ এটি বরাদ্দ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা যুক্তরাজ্যের
তিনি বলেন, ‘আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে ইউকে জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে ২৫ হাজার পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে।’
এই সহায়তা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি কিট, আশ্রয় সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে নগদ টাকা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়াকে পরিপূরক করে এবং বাংলাদেশে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়া দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী সহায়তার উপর ভিত্তি করে তৈরি করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ব্যাপক সহযোগিতা আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি: সারা কুক
আমরা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে মোমেন
করোনার নতুন ধরন ‘এরিস’, যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২০.৫ হারে আক্রান্ত বাড়ছে
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট এরিস (ইজি.৫.১) ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২০ দশমিক ৫ হারে আক্রান্ত বাড়ছে।
ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এরিসকে (ইজি.৫.১) শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সংক্রামক করোনভাইরাস ২ (সার্স কভ-২) হিসেবে তার ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং (ভিইউএম) এর তালিকাভুক্ত করেছে।
কানাডার অন্টারিওর গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির অধ্যাপক টি রায়ান গ্রেগরি এক টুইটে ইজি.৫.১ ভাইরাসটির বৈচিত্র্য বর্ণনা করার জন্য ‘এরিস’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯.২৬ কোটি ছাড়িয়েছে
টুইটে গ্রেগরি লিখেছেন, ‘যতদূর আমরা বলতে পারি ইজি.৫.১ সম্পর্কে আমরা এখনো বিশেষ কিছু জানিনা।’
তবে এটি যে হারে ছড়িয়ে পড়েছে তা বিবেচনা করে, এটিকে পূর্ববর্তী ধরনগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে মনে হচ্ছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি অনুসারে, ২০ জুলাই পর্যন্ত, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫৫ জন ইজি.৫.১ ভেরিয়েন্টটিকে আক্রান্ত এবং যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২০ দশমিক ৫১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) কোভিড-১৯ ডেটা ট্র্যাকারের তথ্যমতে, ইজি.৫.১ এর ফলে ২২ জুলাই পর্যন্ত দুই সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।
এরিসের উত্থান এবং বিস্তারে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। তবে, এটি এতে বোঝা যাচ্ছে করোনা ভাইরাস কীভাবে পরিবর্তন হতে থাকে এবং একটি সমস্যা হিসেবে টিকে থাকে।
তাই প্রত্যেকের উচিত করোনার নতুন ধরনের উদ্ভব ও সেগুলোর বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি সম্পর্কে ওয়াবিবহল থাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯.২২ কোটি ছাড়িয়েছে
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯.১৬ কোটি ছাড়িয়েছে
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত কী বলে, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কী বলে। মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে, বিদায় হও। আর সময় নেই। যেতে হবে। এই সরকারকে যেতেই হবে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (আগস্ট) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, পৈশাচিক সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো জাতিকে একত্রিত করে এবং মৃত্যুর ভয়কে সাহসী করে একটি ভয়ানক লড়াই চালিয়ে এই শাসনকে পরাজিত করতে হবে এবং অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে সরাতে হবে। আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, জাতির অস্তিত্বের জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমান শাসনের পতন ঘটলে মিথ্যা মামলা ও তাদের নির্দেশিত রায় টিকবে না। আসুন সবাই সেই সংকল্প নিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাই।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল, সাজা, এমনকি মৃত্যুদণ্ড দিয়েও বিএনপিকে দমন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় নেমেছি এবং আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর মহানগর ও জেলা ইউনিট।
এদিকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী টানা বৃষ্টিতে নয়াপল্টন এলাকায় হাঁটু পানিতে হেঁটে দল ও সহযোগী সংগঠনের সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নয়াপল্টন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জমে যাওয়ায় এক ঘণ্টা দেরি হয়।
এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে জল এবং বৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করে।
বিএনপি মহাসচিব দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করার জন্য দলীয় পদমর্যাদা ও ফাইলের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আপনারা এখানে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের অভিযানে আপনারা রাতে ঘুমাতে পারেন না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দিনের বেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করে রাজপথে বিএনপির মোকাবিলা করতে ক্ষমতাসীন দলকে আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা।
বিচারের দিনে (কেয়ামতের দিনে) বিচারকরাই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি জবাবদিহি করবেন উল্লেখ করে তিনি বিচারকদের প্রতি অন্যায়ভাবে শাস্তি না দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য আপনাকেও একদিন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
ফখরুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও এখন দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক লোক মারা গেছে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কম চিন্তা করছে। কারণ তাদের একমাত্র ফোকাস হচ্ছে কীভাবে নির্বাচন ছাড়াই আবার ক্ষমতায় আসা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের এটি করতে দেব না।
এর আগে গত বুধবার ঢাকার একটি আদালত ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা ডাক দেয় দলটি।
আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির অন্যান্য মহানগর ও জেলা শাখাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিআরও কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।গতবছর ২৮টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল, এবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন, কানাডায় ৪০ টন উল্লেখযোগ্য।
এতে আরও বলা হয়, দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে ১৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানি কম হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রথম বছরেই গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন আম বেশি রপ্তানি হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রপ্তানি হবে।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের নভেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় কপ-২৮ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় ককাস কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত 'বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তি: কপ-২৮ এর অগ্রাধিকার' শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় গোলটেবিল বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস ও হাউস অব কমন্সের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। চলতি বছরের মার্চে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তির আলোকে কপ-২৮ এর জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এটিই ছিল এ ধরনের প্রথম গোলটেবিল বৈঠক।
বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষক এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস ভার্মা।
বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বর্তমান সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জলবায়ু সংসদ বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এবং আয়েন উদ্দিন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণ ও গৃহহীনবিষয়ক (Housing and Homelessness) মন্ত্রী ফেলিসিটি বুচান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী কেরি ম্যাকার্থি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভোক্তা ও শ্রম বাজারবিষয়ক ছায়া মন্ত্রী সীমা মালহোত্রাসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে গ্লাসগোতে কপ-২৬ অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জন্য যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতি, জলবায়ু অর্থায়ন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় বিনিয়োগ এবং কম কার্বণ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উত্তরণসহ চার দফা প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা, নবায়নযোগ্য এবং সবুজায়নে কৌশলগত বিনিয়োগের বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
রোহিঙ্গা ও দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা যুক্তরাজ্যের
রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য যুক্তরাজ্য আরও ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১৬০ কোটি টাকা মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
যুক্তরাজ্যের সহায়তার এই নতুন প্যাকেজটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য, পানি ও স্যানিটেশন এবং শরণার্থী ও প্রতিবেশি স্বাগতিক সম্প্রদায়কে শিশু সুরক্ষা সেবা প্রদান করবে।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সমগ্র বাংলাদেশি সম্প্রদায় এ সহায়তা পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক তার প্রথম কক্সবাজার সফরে যুক্তরাজ্যের এই সহায়তার ঘোষণা দেন।
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে নতুন স্কিম চালু, আরএমজিসহ রপ্তানির ৯৮% শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকছে বাংলাদেশের
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ইউকে সহায়তার ১১ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের এই নতুন প্যাকেজটি ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
হাইকমিশনার এসময় যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহতভাবে আতিথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান খুঁজতে সরকারকে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, সহায়তার এই নতুন প্যাকেজটি সারাদেশের বাংলাদেশি সম্প্রদায়কে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলায় সাড়া দিতেও সাহায্য করবে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ দ্বারা বাস্তবায়িত এই সহায়তা রোহিঙ্গা শিবির এবং প্রতিবেশি সম্প্রদায়ের প্রয়োজন এবং সারা বাংলাদেশের মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করার মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি’র চুক্তি
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের বাণিজ্যকে আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের র্শীষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং দি হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি)। এ উপলক্ষে সোমবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি সই করেছে এফবিসিসিআই ও এইচএসবিসি।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বাজারভিত্তিক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করবে আর্নস্ট এন্ড ইয়ং এবং কে এশিয়া।
এই গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বিনিয়োগের উন্নয়ন। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ইউকে বিজনেস করিডোর: লিগ্যাসি এন্ড দি ফিউচার’- শীর্ষক আয়োজনে এই উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক রপ্তানি নীতি ও দ্বিপক্ষীয় সুসর্ম্পকের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের ব্যবসার পরিসর ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির সঙ্গে স্থাপিত চুক্তির মাধ্যমে এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের সমীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণে এইচএসবিসি ও এফবিসিসিআইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। নিঃসন্দেহে এই সমীক্ষা দুদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন নতুন সম্ভাবনাময় সুযোগ উন্মোচন করবে।’
আরও পড়ুন: শিল্প উৎপাদন সচল রাখতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন: এফবিসিসিআই
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে এক চমৎকার আত্মিক সম্পর্ক। যদিও বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি গন্তব্য। বর্তমানে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর সীমাবদ্ধ। আমি মনে করি, উভয় দেশের নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও বৈচিত্রকরণে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান ব্যবসা, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে এই সমীক্ষা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরে রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল শূণ্য দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্যে আমাদের রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে নিটওয়্যার, বোনা পোশাক, হিমায়িত মাছ, পোশাক ও টেক্সটাইলের মতো কয়েকটি আইটেম উল্লেখ্যযোগ্য। তবে আমাদের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই গবেষণাটি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কেও ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক সৃষ্টি করবে এবং দু’দেশের বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করবে।’
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান তার বক্তব্যে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়নে এইচএসবিসির সক্ষমতার নতুন মাত্রা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সার্ক চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। এই গবেষণা আমাদের নিজস্ব ব্যবসা ও বিনিয়োগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার সন্ধান পেতে সাহায্য করবে। এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেইসব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে পারি এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসমন্বয় শুধুমাত্র আমাদের অর্থনীতিকেই উপকৃত করে না, বরং একইসঙ্গে একটি সুদীর্ঘ, টেকসই সম্পর্ক গড়তেও সাহায্য করে। আমি এই উদ্যোগে অংশীদারিত্বের জন্য এফবিসিসিআইকে এবং গবেষণায় সাহায্যের জন্য আর্নস্ট এন্ড ইয়ং এবং কে এশিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন এইচএসবিসি এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ অব স্টাফ ফিলিপ ফেলোয়েস; এবং অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম জুমের সাহায্যে অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
অনুষ্ঠানে পিডব্লিউসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ক্লায়েন্টস্ অ্যান্ড মার্কেট লিড মামুন রশিদ-এর সঞ্চালনায় ‘আনলকিং নিউ অপরচুনিটিজ ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড ইউকে’- শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় মন্তব্য ও মতবিনিময় করেন কে এশিয়া’র ডিরেক্টর ফিলিপ চৌধুরী, নেক্সট সোর্সিং লিমিটেড’র সহযোগী পরিচালক শাহুল স্যালি এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল’র চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতিগণ, পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, চেম্বার এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে লিবিয়ায় সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সোমবার (লন্ডন সময়) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রস্তাব টনি ব্লেয়ারের
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে সোমবার দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১১টা ২৫ মিনিটে) লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী