যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার(২৭ জানুয়ারি) মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে’বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর সুযোগ’শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
হাইকমিশনার তাসনীম বৈদেশিক আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সবসময় বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ দেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বৈধ্য পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাই কমিশন এবছর পূর্ব লন্ডনে একটি রেমিট্যান্স মেলা করবে।
এছাড়া পূর্ব লন্ডনে হাই কমিশনের কন্সুলার সার্জারি সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে সহজে ও কম খরচে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে অবহিত করবেন।
কমিউনিটি টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
সভায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সমস্যা ও এসব সমাধানের জন্য কতিপয় প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
হাইকমিশনার তাদের সমস্যাগুলো ও প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং এ ব্যাপারে হাই কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৪৯ বিলিয়ন ডলার
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরকদের পুরস্কৃত করলো রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস
কর কমাতে মুদ্রাস্ফীতি কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে: ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, কর কমানোর চেয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার ব্যবসায়ী এবং ভোটারদের তাৎক্ষণিক কর বন্ধের জন্য শাসক রক্ষণশীল পার্টির কিছু লোকের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি এ কথা বলেন।
লন্ডনে এক বক্তব্যে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার জেরেমি হান্ট বলেন, ‘বর্তমানে সেরা কর কমানো হলো মুদ্রাস্ফীতি কমানো।’
যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার অক্টোবরে চার দশকের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক এক শতাংশে পৌঁছেছে। যা জীবনযাত্রার খরচ-সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানির দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের ধর্মঘটে নামিয়েছে। এরপর থেকে এটি হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এখনও ডিসেম্বরে একটি কষ্টদায়ক সাড়ে ১০ শতাংশতে পৌঁছেছে এবং ১৯৮০ সালের পর এটি সর্বোচ্চ।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মূল্যস্ফীতির হার বছরের শেষ নাগাদ ওই স্তর থেকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হান্ট বলেছেন, তিনি ব্রিটেনকে একটি কম করের অর্থনীতির দেশ বানাতে চান। তবে ‘অস্থির বাজার এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই অর্থনীতিতে প্রথমে ভালো পর্যায়ে আসতে হবে’। গত মার্চ এ দেয়া তার বার্ষিক বাজেট বিবৃতিতে তিনি কর মওকুফ করবেন না বলে একটি ইঙ্গিত দেন।
বিশ্বজুড়ে অন্যদের মতো যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিও মহামারির বিধিনিষেধ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ধাক্কায় বিপর্যস্ত। ব্রিটেনও গত বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত মেয়াদের স্ব-প্ররোচিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থবিহীন ট্যাক্স কাটছাঁটের পরিকল্পনার কারণে তিনি অক্টোবরে পদত্যাগ করেন। আর্থিক বাজারকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে ঋণ নেয়ার খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়।
হান্টকে ট্রাসের সাত সপ্তাহের মেয়াদের শেষ দিনগুলোতে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তার উত্তরসূরি সুনাক তাকে রেখেছিলেন।
মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী ২০টি দেশের তুলনায় বেশি। বেশিরভাগ পূর্বাভাসক ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকুচিত হবে বলে আশা করছেন।
নিউজ এজেন্সি ব্লুমবার্গের সদর দপ্তরে তার বক্তব্যে হান্ট যুক্তি দিয়েছিলেন যে আর্থিক বিধি এবং অন্যান্য নিয়মের পরিবর্তনগুলো ব্রেক্সিট দ্বারা সম্ভব হবে এবং যুক্তরাজ্যের একগুঁয়ে কম উৎপাদনশীলতার হারকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তিন বছর এবং বিভক্ত হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পরে রক্ষণশীল সরকার এখনও ব্রেক্সিটপন্থী রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুত অনেক অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংগ্রাম করছে।
আরও পড়ুন: সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা
বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ একমত যে ব্রেক্সিট ইইউ-এর ২৭-দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ব্যবসার জন্য কঠিন করে দিয়ে অর্থনীতিকে জটিল করেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি, সবুজ শক্তি এবং জীবন বিজ্ঞানের নেতা হান্ট বলেছিলেন যে পরিবর্তনগুলো ‘প্রয়োজনীয়, শক্তিশালী এবং ব্রেক্সিট’ ব্রিটেনকে ‘বিশ্বের পরবর্তী সিলিকন ভ্যালি’ বানাতে সাহায্য করবে।
হান্ট বলেছিলেন যে ব্রিটেন দ্বিতীয় স্বাবলম্বি দেশ হবে। ইইউ’র একটি নিয়ম যা নির্ধারণ করে যে বীমাকারীদের কত টাকা রিজার্ভ রাখতে হবে। হান্ট বলেছেন যে বিধিনিষেধ শিথিল করা বড় অবকাঠামো এবং নিরাপদ জ্বালানি প্রকল্পের জন্য এক দশক ধরে ১০০ বিলিয়ন পাউন্ড(১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলা) বিনিয়োগ উন্মুক্ত করতে পারে।
ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো হান্টের বক্তব্যে স্বাগত জানিয়েছে, তবে তারা বলেছে যে এর সুনির্দিষ্টতার ঘাটতি রয়েছে। ব্রিটিশ শিল্পের প্রধান টনি ড্যাঙ্কার বলেছেন যে এটি ‘বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী কাঠামো প্রদান করেছে।’ যদিও ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের শেভান হ্যাভিল্যান্ড বলেছেন হান্টের দৃষ্টিভঙ্গির ‘বিষয়বস্তু অস্পষ্ট’ ছিল।
বিরোধী লেবার পার্টির অর্থনীতির মুখপাত্র র্যাচেল রিভস বলেছেন, ‘২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীলদের ‘এখন কোনো পরিকল্পনা নেই এবং ভবিষ্যতের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই।’
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হিপকিন্স
শুভেচ্ছা সফরে দেশে এলো যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
এক সপ্তাহের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘এইচএমএস তামার’।রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছলে জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে বাদ্য পরিবেশন করে অভিবাদন জানায়।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘ওমর ফারুক’ তাদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে বরণ করে।
কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম ফয়জুল হক জাহাজের অধিনায়ককে স্বাগত জানান।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স অ্যাটাশেসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ
জাহাজে অধিনায়ক কমান্ডার এলিয়ট-স্মিথ টেইলোর নেতৃত্বে ১৬ কর্মকর্তাসহ মোট ৫৯ জন সদস্য রয়েছেন।
এ সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম ফয়জুল হক জাহাজের অধিনায়ককে স্বাগত জানান। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স অ্যাটাশেসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম নৌবাহিনী জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে সফরকারী জাহাজের অধিনায়ক কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া জাহাজটির কর্মকর্তা ও নাবিকরা বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, বানৌজা নির্ভীক, স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (এসএমডব্লিউটি), বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিএন আশার আলো স্কুল এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন। জাহাজটির শুভেচ্ছা সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ফাঁকা, আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা
তরুণীর সার্টিফিকেট জাল করে যুক্তরাজ্যে গেলেন তরুণ!
যুক্তরাজ্য থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হাবিবা হক ইমার। অক্সফোর্ড গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইংরেজি শিক্ষার পরীক্ষার (অআইটিসি) আগে প্রায় চার মাস ধরে নিয়েছিলেন প্রস্তুতি। সে অনুযায়ী প্রত্যাশিত ফলাফলও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কনসালটেন্সির প্রতারণায় হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ।
সার্টিফিকেটে হাবিবার নাম পরিবর্তন করে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন এক তরুণ। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটিয়েছে সিলেট নগরীর হাওয়াপাড়ায় অবস্থিত এসএমএস হাইয়ার এডুকেশন নামক একটি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান।
প্রতারণার শিকার হাবিবা সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের আকিকুল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
ভুক্তভোগী হাবিবা জানান, তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে অআইটিসি পরীক্ষা দেন। এরপর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ বদরুল ইসলাম হামজা তার কাছ থেকে ইমেইল এড্রেসসহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য রাখেন। সেই সঙ্গে যে ইমেইল থেকে অআইটিসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল সেই ইমেইলও রাখেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তার ভর্তি সংক্রান্ত কোনো অগ্রগতি না দেখে ফের তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ হামজা যুক্তরাজ্যে চলে গেছেন।
এসময় প্রতিষ্ঠানের অন্য এক কর্মকর্তা হামজার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, ইমার ভর্তির আবেদন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর সেশনে রেফার্ড করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী অপেক্ষায় ছিলেন ইমা। কিন্তু চলতি বছরের জুলাই মাসে নিজের ইমেইল থেকে অআইটিসির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে পান তার সার্টিফিকেটের নামের স্থলে ‘সৈয়দ বুরহান আহমদ’ লেখা রয়েছে।
এরপর কয়েক দফায় এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনে গেলেও কোনো সদুত্তর পাননি তিনি। এমনকি এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনের ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখেন বেশ কিছুদিন আগে সৈয়দ বুরহান আহমদ নামের এক তরুণ ভিসা পেয়েছেন এবং বদরুল ইসলাম হামজা তাকে (বুরহান) এর জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তখনই ইমার সন্দেহ হয়। এরপর থেকে নানাভাবে হামজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান পাননি ইমা।
অপরদিকে হাবিবা হক ইমার ভাই রায়হান আহমদ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি খুঁজে বের করেন সৈয়দ বুরহান আহমদকে। সার্টিফিকেটের ব্যাপারে বুরহানের সঙ্গে কথাও বলেন।
তখন বুরহান আহমদ জানান, তিনি টাকার বিনিময়ে এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনের ইনচার্জ হামজার কাছ থেকে সার্টিফিকেট কিনে বিদেশে এসেছেন।
বুরহানের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদককে পাঠিয়েছেন হাবিবার ভাই রায়হান।
এদিকে সার্টিফিকেট জালিয়াতির এ ঘটনায় এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনের ইনচার্জ বদরুল ইসলাম হামজা, সৈয়দ বুরহান আহমদ, এসএমএস হাইয়ার এডুকেশন গ্রুপের হেড অফ অপেরেশন ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন ও এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনের নাম উল্লেখ করে করা মামলা আমলে নিয়ে আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সলমান উদ্দিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এসব অভিযোগ ও মামলার ব্যাপারে বক্তব্য নিতে এসএমএস হাইয়ার এডুকেশনে গেলে দেখা যায়, বর্তমানে হামজার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ হিসেবে রয়েছেন মাজেদুল ইসলাম জনি।
তিনি এসব ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
জানা গেছে, অআইটিসি পরীক্ষায় এমন জালিয়াতিসহ নানা কারণে যুক্তরাজ্যে সংকুচিত হচ্ছে সিলেটি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় শিক্ষা গ্রুপ অক্সফোর্ড সিলেট থেকে শিক্ষার্থী নেয়া বন্ধ রেখেছে।
এমনকি দেশটির আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট থেকে শিক্ষার্থী নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীসহ সকলের সচেতনতা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ফরেইন এডমিশন কনসালটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সিলেট জোনের সভাপতি ফেরদৌস আলম।
তিনি বলেন, এমন কিছু কনসালটেন্সি আছে যারা সিজনাল। তারা অধিক লোভে যা ইচ্ছা তা করে। এমনকি অধিকাংশ শিক্ষার্থী গিয়ে পড়ালেখা করে না। সেক্ষেত্রে এসব শিক্ষার্থী আগামীতে সমস্যায় পড়বে।
অথচ কষ্ট করে হলেও পড়াটা শেষ করতে পারলে অনেক সুবিধা পাবে তারা।
বিদেশে যাওয়ার জন্য কনসালটেন্সি যা বলে তা না করে কিছু যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন বলে পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনের পেমেন্ট পদ্ধতির পরিবর্তন
যুক্তরাজ্য ভিসা ও অভিবাসন (ইউকেভিআই) বাংলাদেশে শিগগিরই তাদের সমস্ত ভিসা আবেদনের অর্থ পরিশোধ পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক করতে যাচ্ছে। বর্তমানে, গ্রাহকদের জন্য অনলাইনে অথবা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে নগদ অর্থের মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
২৮ নভেম্বর থেকে যুক্তরাজ্য ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারী সকলকে যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফি জমা দেয়ার পর আবেদনকারীরা তাদের মনোনীত ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে পাসপোর্ট ও বায়োমেট্রিক তথ্য জমা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তা-কূটনীতিকদের ভিসা মওকুফে চুক্তি সই করল বাংলাদেশ ও কসোভো
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, 'কাজ, পড়াশোনা ও ভ্রমণের জন্য যুক্তরাজ্য অনেকের কাছেই পছন্দের শীর্ষে। জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২২, এই এক বছরে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ২৪ হাজার ৪০০ এর বেশি যুক্তরাজ্য ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের চলমান ডিজিটাইজেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করা এবং সকল আবেদনকারীর জন্য ভিসা আবেদনের অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজতর করার এখনই সময়।'
তিনি আরও বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে কোন ভিসা আবেদনকারী কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে তার জন্য যুক্তরাজ্য ভিসা ও অভিবাসন (ইউকেভিআই) দুঃখ প্রকাশ করছে।
সকল ভিসা আবেদনকারীকে ভিসার আবেদন শুরু করার আগেই সঠিক পেমেন্ট পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেভাবে আবেদন করবেন
চট্টগ্রামে ভারতের ভিসা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন।
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ সকাল ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপিসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি
শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সহায়তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে: প্রতিবেদন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তথ্যমতে, নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট আরও দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখার কথা ভাবছেন।
ব্রিটেনের বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় দেশটির জাতীয় আয়ের ০.৫ শতাংশের মতো। দুই বছর আগে করোনাভাইরাস মহামারির ফলে ব্রিটেনের সরকারি অর্থব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যে তাদের ব্যয় হ্রাস করেছিল।
করোনাকালে বিটেনের অর্থমন্ত্রী থাকা সুনাক তখন বলেছিলেন, ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক ব্যয় আগের মতো জিডিপির ০.৭ শতাংশে ফিরে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
যদিও টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশি সাহায্য তহবিল স্থগিত রাখার মেয়াদ আরও দুই বছর অর্থাৎ ২০২৬-২০২৭ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আরও বড় কাটছাঁটেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্য যখন ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা করছে এবং আবাসন, খাদ্য, ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে কর মওকুফ করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
ঋষি সুনাক ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার সুনাক প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন।
এর আগে তার পূর্বসূরী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করেন।
২০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেসে নির্বাচিত হয়েছেন ৪২ বছর বয়সী সুনাক।
অবিলম্বে তিনি একটি মন্ত্রিসভা গঠন করবেন এবং মন্দার দিকে ধাবিত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে অবদান রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বছর তৃতীয় কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শাসক দলকে একত্র করার চেষ্টা করবেন।
লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত মেয়াদের পরে সোমবার সুনাককে গভর্নিং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে নির্বাচন করা হয়।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হলেন জেরেমি হান্ট
যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্টকে দেশটির অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে তথ্যটি জানিয়েছে।
৫৫ বছর বয়সী হান্ট কোয়াসি কোয়ার্টেংকয়ের স্থলাভিষিক্ত হন। কোয়াসিকে তার মিনি-বাজেটকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দায়ী করার পর বরখাস্ত করা হয়।
টুইটারে কোয়াসি তার অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে আপনার চ্যান্সেলর (অর্থমন্ত্রী) পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। তা আমি মেনে নিয়েছি।’
কোয়াসির ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসে ছিলেন মাত্র ৩৮ দিন। সময়ের হিসাবে চ্যান্সেলর পদে সবচেয়ে কম সময় দায়িত্ব পালন করা অর্থমন্ত্রী তিনি।
গত মাসে তার পেশ করা মিনি-বাজেটে বিতর্কিত ঋণ-তহবিলযুক্ত ট্যাক্স কাটছাঁট এর উল্লেখ রয়েছে। যেখানে দেখানো হয় যে ব্রিটিশ পাউন্ড ইউএস ডলারের বিপরীতে ৩৭ বছরে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। এজন্য তাকে অর্থনৈতিক অস্থিরতার জন্য দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বরখাস্ত
প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কোয়ার্টেং সর্বোচ্চ উপার্জনকারীদের জন্য ৪৫ শতাংশ আয়কর হার বাতিল করার পরিকল্পনায় এই মাসের শুরুতে একটি ইউটার্ন নিয়েছিল।
তিনি তার পদত্যাগপত্রে বলেন, ‘যেমনটি আমি গত সপ্তাহগুলোতে অনেকবার বলেছি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যুতের দামের মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ‘স্থিতাবস্থা অনুসরণ’ করার আর কোনও ‘বিকল্প ছিল না’। অনেক দিন ধরেই এই দেশটি নিম্ন প্রবৃদ্ধির হার ও উচ্চ করের কারণে আটকে আছে। যদি এই দেশকে সফল করতে হয় তবে তা পরিবর্তন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য ইইউ’র ৬.২ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা অনুমোদন
কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের জন্য ছয় দশমিক দুই মিলিয়ন ইউরো সাহায্য পুনরায় অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ এর সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশন ডিপার্টমেন্ট ডিজি ও ইকোর মাধ্যমে এই সহায়তা আসছে।
সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অব্যাহত সুরক্ষা এবং সহায়তায় উদার অবদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য ডিজি ইকো ইউএসিএইচআর -এর অন্যতম প্রধান দাতা।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, ‘ইসিএইচও-এর অবদান আমাদেরকে সমন্বিত এবং জবাবদিহিমূলকভাবে মানসম্পন্ন সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক প্রতিক্রিয়া যখন ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করছে, তখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং ভাসান চরে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকসই সমর্থন অমূল্য রয়ে গেছে’।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক কর্মসূচির তত্ত্বাবধানকারী আনা অরল্যান্ডিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্রমাগত ভয়ানক পরিস্থিতিতে বসবাস করছে এবং আমাদের অটল সমর্থনের প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন এটি সুরক্ষার ক্ষেত্রে আসে।’
আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্যবশত শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নেই: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
‘শরণার্থীদের জন্য এই অবদান নিশ্চিত করবে ইউএনএইচসিআর, বিশেষ করে সবচেয়ে ভয়ানক এবং ঝুঁকিপূর্ণ যারা তাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং সুস্থতা উন্নত করতে পর্যাপ্ত এবং অর্থপূর্ণ সুরক্ষা পরিষেবা সরবরাহ করা হয়েছে’।’
ইউএনএইচসিআর-এর অন্যতম অপরিহার্য অংশীদার এবং বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম দাতা ইকো-এর এই অবদান শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির উপর নজরদারিতে সহযোগিতা করবে, যেখানে শরণার্থীদের
আইনি সহায়তার সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ নিশ্চিত করবে। শিশুদের জন্য সুরক্ষা এবং সহায়তা পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতা করবে।
মিয়ানমারে সহিংসতা ও নৃশংসতার কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পাঁচ বছর পর বর্তমানে ৯ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজারে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আরও ৩০ হাজার শরণার্থী ভাসানচরে বসবাস করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী