ফাইজার
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৬০ লাখ ডোজ করোনা টিকা দিয়েছে। আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে দেয়া ফাইজার টিকার সর্বশেষ এই অনুদানের ফলে বাংলাদেশকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার মোট সাড়ে চার কোটিরও বেশি ডোজ টিকা দিলো। আরও কয়েক লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দিবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকা অনুদানের একাধিক চালান পাঠানোর মাধ্যমে যতো বেশি সম্ভব বাংলাদেশি নাগরিকদের টিকা দেয়া এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে জীবনরক্ষাকারী টিকা পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।’
টিকা অনুদান দেয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মহামারি প্রতিরোধ কার্যক্রম শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের জাতীয় করোনা টিকাদান কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
ইতোমধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাত হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবাদানকারীকে টিকাদান কার্যক্রম উপযুক্তভাবে ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কোল্ড চেইন পদ্ধতি মেনে সংরক্ষণ ও পরিবহনের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের মাধ্যমে করোনা-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৪০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সহায়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অতি-কোল্ড চেইন সংরক্ষণ, পরিবহন এবং কোভিড টিকার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের করোনা টিকা ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে ফাইজার। অনুমতি পেলে কম বয়সী আমেরিকানদের জন্য মার্চের প্রথম দিকে ডোজ নেয়া শুরু করার পথ খুলে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ফাইজার ও তার অংশীদার বায়োএনটেককে কোম্পানিগুলোর পরিকল্পনার আগে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করেছিল।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড সংখ্যক তরুণ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মার্কিন অভিভাবকরা তাদের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্ক সিটির শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ড্যান হেস বলেন, ‘আমি বলব আমার অফিসের বাবা-মায়েরা ছোট বাচ্চাদের টিকা দেয়ার জন্য উন্মুখ। দেখা হলেই সবাই প্রথমেই জিজ্ঞেস করে ডোজটি কবে দেয়া হবে বলে মনে করেন আপনি।’
ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোম্পানির বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই বয়সের জন্য শেষ পর্যন্ত তিনটি অতিরিক্ত কম ডোজ শট প্রয়োজন হবে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এফডিএ পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে।
এফডিএ জানিয়েছে, ফাইজারের ডেটা পর্যালোচনা করার জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে স্বাধীন গবেষক ও চিকিৎসকদের নিয়ে একটি প্যানেল আহ্বান করা হবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে উপহার স্বরূপ করোনার ফাইজার টিকার আরও এক কোটি ডোজ অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিয়ে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মার্কিন সরকার তিন কোটি ৮৬ লাখের বেশি করোনার টিকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে।
ইউএস চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ সোমবার বলেন, করোনার এই টিকা শিক্ষার্থী ও যারা এখনও প্রথম ডোজ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন তাদের টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। এছাড়া করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধরন ওমিক্রন থেকে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের বুস্টার ডোজ পেতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৯৬ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবিলায় সাড়াদান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দানে ২০২২ সালের মধ্যে ফাইজারের ১০০ কোটি ডোজ টিকা অনুদান হিসেবে প্রদান করতে অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে এ এক কোটি ফাইজার টিকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আগামী মাসগুলোতে ফাইজারের আরও টিকা দেশে আসবে বলে মার্কিন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অনুদান হিসেবে টিকা দেয়ার পাশাপাশি জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা এবং মহামারির প্রতি সরকারের সাড়াদান জোরদারে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র করোনা-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশ এর মাধ্যমে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৪০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পেতে সহায়তা করার পাশাপাশি রোগের পরীক্ষা করা ও মনিটরিংয়ের সামর্থ জোরদার করেছে, রোগী ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো শক্তিশালী করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষিত করেছে এবং জনগণের মধ্যে সংক্রমণ থেকে নিজেদের আরও ভালোভাবে রক্ষা করা সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করেছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন পদ্ধতিতে কোভিড টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
খুলনায় টিকা পায়নি ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হলেও ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনার প্রায় ৫৭ হাজার শিক্ষার্থী এখনও টিকা পায়নি। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ৪৪ হাজার ৫৯৮ জন এবং মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের ১২ হাজার ৪২৯ শিক্ষার্থী টিকার বাইরে রয়ে গেছেন।
খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৩৫৯ জন। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৫৬ জন। মূলত স্কুল ও মাদরাসার ৭ম শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের এইচএসসি পরীক্ষার্থী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে খুলনা নগরী ও ১০ জানুয়ারি থেকে উপজেলা পর্যায়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগরীর দু’টি টিকা কেন্দ্রে এবং প্রত্যেক উপজেলায় একটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। এদিকে টিকার মজুদ পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে টিকার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা!
নগর স্বাস্থ্য ভবন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অপ্রশস্ত জায়গায় ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। তীব্র রোদে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
নগরীর নিউজপ্রিন্ট মিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল বিশ্বাস বলেন, সকাল ১০টা থেকে রোদে দাঁড়িয়েছিলাম, এখন সিঁড়িতে দাঁড় করিয়েছে। কখন শেষ হয় জানি না।
ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র পার্থ কুমার শীল বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো। টিকার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা জানান, কমবেশি সবাই দুই থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
টিকা কক্ষে উপস্থিত খানজাহান আলী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, আগে যে সব শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে বাদ পড়েছেন তাদের এখন টিকা দেয়া হচ্ছে। আজ থানার ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৭০ জনের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে। টিকা গ্রহণের জন্য স্কুল ভাগ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব শিক্ষার্থী একই সময় চলে এসেছে। এজন্য ভিড় বেশি।
খুলনার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, নানা কারণে প্রথম দিকে টিকা দেয়ার হার কম ছিল, পরে বেড়েছে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন। প্রতিদিনই টিকা কার্যক্রম চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ দেয়া শেষ হবে।
বাংলাদেশকে আরও ৯৬ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে ফাইজারের করোনা টিকার আরও ৯৬ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিয়ে বাংলাদেশকে অনুদান দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট করোনা টিকার ডোজের পরিমাণ ২ কোটি ৮০ লাখ ছাড়াল।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, এই টিকা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমেরিকার জনগণের উপহার।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গত তিন বছরে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারার যে গর্ব; অন্য কোন কিছুতেই আমি সেটা খুঁজে পাই না। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমেরিকার জনগণ তাদের উদার ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও ৯৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দুই কোটি ৮০ লাখ ডোজেরও বেশি টিকা বিনামূল্যে দিয়েছে এবং আরও টিকার ডোজ আসার পথে রয়েছে। আমরা বীর বাংলাদেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের ও আমাদের অংশীদারদের অভিবাদন জানাই। আমরা তাদের সঙ্গেই আছি। কারণ আমরা যৌথভাবে আমাদের উভয় দেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই ফাইজার টিকা অনুদান ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী টিকার শত কোটি ডোজ পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ।
টিকা অনুদান দেয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম প্রচারাভিযানে সহায়তা করার পাশাপাশি এই কার্যক্রমকে জোরদার করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র টিকার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পদ্ধতিতে টিকাদান বিষয়ে সাত হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র করোনা-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশ এর মাধ্যমে ১২১ মিলিয়ন ডলার বা এক হাজার ৪০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। এই সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পেতে সহায়তা করার পাশাপাশি রোগের পরীক্ষা করা ও মনিটরিংয়ের সামর্থ্য জোরদার করেছে, রোগী ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো শক্তিশালী করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষিত করেছে এবং জনগণের মধ্যে সংক্রমণ থেকে নিজেদেরকে আরোও ভালোভাবে রক্ষা করা সংক্রান্ত জ্ঞান বাড়িয়েছে।
দূতাবাস আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করেছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন পদ্ধতিতে কোভিড টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন, নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের আরও প্রায় ২৫ লাখ ডোজ পৌঁছেছে
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
করোনা টিকার বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্না
সারা দেশে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার টিকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দেশের সকল পর্যায়ে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল।’
আরও পড়ুন: বরিশালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া শুরু
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাজধানীসহ সারাদেশের সীমিত পরিসরে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। শুরুতে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ফাইজার হিসেবে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের আরও প্রায় ২৫ লাখ ডোজ পৌঁছেছে
কোভ্যাক্স সুবিধার অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ফাইজার টিকার আরও ২৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৮০ ডোজ দেশে পৌঁছেছে। রবিবার সকাল ৮টা ২৭ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালানটি এসে পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফাইজার টিকার ৪৬ লাখ ডোজের আরেকটি চালান ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ২৮ ডিসেম্বর থেকে ফাইজার টিকার সঙ্গে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ফাইজার টিকার সঙ্গে ৩৫ হাজার ৭৩৮ বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে, ৬১ হাজার ৫৩৯ জন ফাইজারের প্রথম ডোজ পেয়েছেন এবং ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯৯৬ জন শনিবার পর্যন্ত ফাইজারে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান অভিযানকে সমর্থন করতে এবং মহামারি মোকাবিলায় সরকারের প্রতিক্রিয়া জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ ২১ জুন কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঢাকার তিনটি কেন্দ্রে ফাইজার-বায়োটেক টিকার প্রথম ডোজ পরিচালনা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজারের পিল কার্যকর
বাংলাদেশকে আরও ১৮ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে আরও ১৮ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ১৮ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, নতুন ডোজগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য টিকা সম্প্রসারণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে,ফাইজারের টিকা দেয়ার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির অংশ যা ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ফাইজার টিকার এক বিলিয়ন ডোজ বিনামূল্যে প্রদান করে বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিবে।
জাতীয়ভাবে করোনা টিকাদান কার্যক্রমকে সমর্থন করতে এবং মহামারি মোকাবিলায় সরকারের প্রতিক্রিয়া জোরদার করতে বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: আরও এক কোটি ৪০ লাখ ফাইজার টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
করোনা পিল: মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। শীতকালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকদের বুস্টার ডোজ নিতে অনুরোধ জানাতে অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
এখন অবধি,আমেরিকানরা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলো যে, বয়স ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী কারা টিকা পাবে, এবং কোন টিকাটি দেয়া হবে। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) বিষয়টিকে সহজ করার জন্য ফাইজার ও মডার্না বুস্টারগুলোতে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস কমলা হ্যারিসের
নতুন নিয়মের অধীনে, ১৮ বা তার বেশি বয়সী যে কেউ তাদের ফাইজার ও মডার্নার শেষ ডোজের ছয় মাস পরে বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। এছাড়া যারা একক ডোজ জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন পেয়েছে তাদের জন্য অপেক্ষা ছিল দুই মাস। এবং লোকেরা যেকোন কোম্পানির বুস্টার মিক্স-এন্ড-ম্যাচ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে এফডিএ।
এফডিএ ভ্যাকসিন প্রধান ড. পিটার মার্কস দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, আমরা উচ্চস্বরে এবং স্পষ্ট শুনেছি যে লোকেদের সহজ কিছু দরকার এবং আমি মনে করি এটা সহজ।
আরও পড়ুন: ভারতের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা মোদির
করোনা পিল: মার্কিন কর্মকর্তাদের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
ফাইজার মঙ্গলবার মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের কাছে করোনার জন্য তাদের পরীক্ষামূলক পিলের অনুমোদন চেয়েছে। কোম্পানির ফাইলিং এমন সময় এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণ আবারও বাড়ছে।
ফাইজারের পিল ব্যবহারে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে দেখা গেছে।
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ইতোমধ্যেই মার্ক ও বেশ কয়েকটি ছোট ওষুধ প্রস্তুতকারকদের একটি প্রতিযোগী পিল পর্যালোচনা করছে। আগামী মাসে তাদের নিজস্ব অ্যান্টিভাইরাল পিলের অনুমোদন চাইবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা পিল তৈরির অনুমোদন দিতে ফাইজারের চুক্তি
ফাইজারের সিই্ও অ্যালবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা এই সেবা রোগীদের হাতে পৌছেঁ দেয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের আবেদনের পর্যালোচনার বিষয়ে ইউএস এফডিএর সাথে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।
এফডিএ তার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাইরের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়ার জন্য এই মাসের শেষের দিকে মার্ক পিল নিয়ে পাবলিক পর্যালোচনার আয়োজন করেছে। এজেন্সির এই ধরনের সভা আহ্বান করার প্রয়োজন নেই এবং এটি এখনও জানা যায়নি যে ফাইজারের এর পিল একই ধরনের পাবলিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যাবে কি না।
সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য দ্রুত পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে উপসর্গের তিন দিনের মধ্যে এই পিল গ্রহণ শুরু করতে হবে।
মার্কিন সরকার ইতোমধ্যেই মার্কের পিল কিনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। বিষয়টির সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তার মতে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষ ফাইজারের সাথে তার পিলের লাখ লাখ ডোজ কেনার জন্য আলোচনায় আছে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের পিল করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমায় প্রায় ৯০ শতাংশ