মানুষ
সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব: রাজ
সম্প্রতি চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট হয়। যেখানে তার সঙ্গে দেখা যায় অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে।
যাদেরকে একসঙ্গে ‘ন ডরাই’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। আর তখন থেকে তাদের বন্ধুত্বের কথাও সবার জানা।
কিন্তু রাজের আইডি থেকে দুই জনের যেই ভিডিও পোস্ট হয় সেখানে দুই জনের অসংলগ্ন কথোকপথনও ছিল। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি: শরীফুল রাজ
এই ঘটনার পর সুনেরাহ তার প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে রাজের স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে তিনি ইঙ্গিতপূর্বক অভিযোগ লেখেন।
এই ঘটনার শুরুতে রাজ চুপ থাকলেও অবশেষে বিষয়টি নিয়ে তিনি সামনে আসেন।
এই নায়ক তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মানুষ প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে পরিণত হয়। জন্মের পর নিজের পায়ে চলতে শিখতেও কয়েক বছর লেগে যায়। আর ঠিকঠাক কথা বলা শিখতে লেগে যায় আরও কিছু বছর। কিন্তু এই বলা আর চলার যাত্রা কখনো শেষ হয় না। তবে এ যাত্রায় আমরা কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই, যাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ, কাজের আলাপ কিংবা কাজহীন দিনের আলাপ, সুস্থতা ও পাগলামী সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায়। যাদের সঙ্গে চলার বা কথা বলার বিশেষ কোনো শর্ত থাকে না। শর্ত থাকে কেবল একটাই, সেটার নাম বন্ধুত্ব।
তার নিজের সমস্যায় পড়ার কথা উল্লেখ করে লিখেন, ‘নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকেরই এমন অনেক বন্ধু রয়েছে- যাদের সঙ্গে আপনারা আভিধানিক শব্দে কথা বলেন না। একসঙ্গে পথ চলার সময় ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে পথ চলেন না। যাদের সঙ্গে অনেক বেফাঁস কথা বলেন। কারণ বন্ধুত্ব তো এমনই। লিঙ্গ, বর্ণ, বয়সসহ সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের মাঝখানে লৈঙ্গিক পরিচয়ের সীমারেখা টেনে ব্যাপারটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। যখন কেউ বন্ধুদের মধ্যকার দ্বিধাহীন আড্ডার আলাপ টক অব দ্য টাউনে পরিণত করে। আমিও তেমনই এক সমস্যায় পড়েছি।’
রাজ আরও লিখেন ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে সিনেমার ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত। আমার সিনেমার কিছু গল্পের স্ক্রিপ্ট রিডিং করার কথা, এগুলো নিয়েই আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারছি না। যখনই সময় পাচ্ছি গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছি, তার মধ্যে হঠাৎ করে কে বা কারা এসব করে আমাকে হেনস্তার শিকার করছে, যা ভাবতেই আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমাকে নিয়ে শেষ যতদিন থেকে নানাবিধ সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে ঘটনার চাউর করছে আমি তার শুরু থেকেই নীরব ছিলাম। কিন্তু নীরবতা মানেই দুর্বলতা না।’
নিজের ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হওয়া প্রসঙ্গে টেনে রাজ লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বা অ্যাকসেস এমন কারও কাছে আছে অথবা হ্যাক করে কেউ আমার দীর্ঘকালের বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গের নিতান্ত বন্ধুত্বের আড্ডার ঘটনা লিক করে দেয়। যে বা যারা এ কাজ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হেনস্তা করা। হয়তো তারা সফলও হয়েছে। আমি আমার তিন বন্ধু ও সহকর্মীর কাছে শর্তহীন দুঃখ প্রকাশ করছি; যারা আমার খুব ভালো বন্ধু দীর্ঘদিনের। সেই বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ নেই। আমার কারণে তাদের হেনস্তার শিকার হতে হলো বলে। আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকদের কাছেও আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বন্ধুদের আড্ডার ঘটনা নোংরা উদ্দ্যেশে স্প্রেড করে মিসলিড করা হয়েছে বলে।’
শেষে তিনি লিখেন, ‘বহুবার হোঁচট খেয়েই তো হাঁটতে শিখেছি! আবারও হোঁচট খেলাম। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা সঙ্গে থাকলে নিশ্চয় আরও পরিণত হবো, শিখবো অতীতের ভুল থেকে। আমাকে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন। কারণ আপনাদের সমর্থন ছাড়া একজন শরিফুল রাজ কিছুই নয়। জগতের সব প্রাণি সুখী হোক। সবাইকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।’
আরও পড়ুন: পরীমণির অভিমান কি ঘুচল?
মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না: মিম
সুস্থ মানবিক জাতি গঠনে ধ্যানচর্চায় উদ্বুদ্ধ হোক প্রতিটি মানুষ
মেডিটেশন এখন শত শত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত। সুস্থ মানবিক জাতি গঠনে মেডিটেশন চর্চা জরুরি। তাই ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সর্বস্তরের মানুষকে মেডিটেশনে উদ্বুদ্ধ করা সময়ের দাবি।
এমন আহ্বানের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।
রবিবার (২১ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণসহ সারাদেশে প্রায় দেড় শতাধিক উন্মুক্ত স্থানে এ আহ্বান নিয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস উদযাপন করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে রবিবার সকাল ৬টায় প্রাণায়াম, প্রত্যয়ন ও মেডিটেশন চর্চার পাশাপাশি এর গুরুত্ব তুলে ধরেন বক্তারা।
তারা বলেন, বাংলাদেশে আসলে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা কেবল দৃষ্টিভঙ্গির। এ দেশে সম্পদ আছে, মানুষ আছে, মানুষের ভালোবাসা আছে। এখন প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে নিয়মিত মেডিটেশন চর্চার মাধ্যমেই সুস্থ কর্মোদ্যমী মানবিক সমমর্মী জাতি গঠন করা সম্ভব। তাহলে ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি আমলে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজই করা হয়নি। তাদের সুদূরপ্রসারি কোন স্বাস্থ্য ভাবনা ছিল না।
তিনি বলেন, সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে ওঠে বিশ্বমানের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করার কাজ মোটেও সহজ কাজ নয়। তাই স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করার সেই কঠিন কাজটিতেই আমরা এখন হাত দিয়েছি। আট বিভাগেই আটটি ১৫ তলা বিশিষ্ট উন্নত মানের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, আইসিইউ ইউনিট ও ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের আটটি বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাকে ডিসেন্ট্রালাইজড (বিকেন্দ্রীকরণ) করা হচ্ছে। এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষ নিজ নিজ বিভাগ থেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
এছাড়া মানুষকে আগামীতে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এমনি এমনি আসেনি। পরিশ্রম ও ত্যাগের ফসল এটি। করোনায় বিএনপি কোথাও ছিল না। তারা কাউকে সহায়তা করেনি। তারা শুধু টেলিভিশনের পর্দায় যারা করোনায় কাজ করেছে সেই চিকিৎসক, নার্সদের নিয়ে দিনরাত সমালোচনা করেছে, তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেছে।
এছাড়া তারা বন্যায় কাউকে সহায়তা করে না, দুর্যোগে পাশে দাঁড়ায় না, শুধু টেলিভিশনের পর্দায় সমালোচনার কাজ করে।
ডেন্টাল হাসপাতালের সেবা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ডেন্টাল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ মানুষ সেবা নেয়। এই হাসপাতালসহ আমরা দেশের সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করেছি।
আগে দেশে বেড ছিল ২০ হাজারের মতো। এখন সেই বেড সংখ্যা ৭০ হাজার করা হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স ও ৩৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান আছে। দেশের হাসপাতালগুলোর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি অনেকটাই কাভার করা গেছে।
এছাড়া এখন এই লোকবল পূরণ হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বড় উন্নয়ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, আজ থেকেই ইমার্জেন্সি আউটডোর সেবা ব্যবস্থায় ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়া হবে।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বোরহান উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ বছরই দেশের সব হাসপাতালে সান্ধ্যকালীন সেবা চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থান, দুর্ভোগে মানুষ
রাজধানীতে রবিবার তাপমাত্রার পারদ ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যাওয়ায় তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থান। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক এবং অন্যান্য যারা সাধারণত বাইরে কাজ করে তাদের জন্য সূর্যের তীব্র উত্তাপে কাজ চালিয়ে যাওয়া ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
এমনকি পশু-পাখিরাও প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইউএনবি খুলনা প্রতিনিধি জানান, খুলনা অঞ্চলে বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। যা মানুষ ও প্রাণীদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে মানুষের চলাফেরা করা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় পানির সংকটও জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে রমজানে নিম্নআয়ের শ্রমিকদের সংগ্রাম আরও বেড়েছে।
মো. আনিসুল নামে একজন দিনমজুর বলেন, আমি প্রতিদিন ৫০০ টাকায় কাজ করি এবং প্রচণ্ড গরমে মাটির কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
রিকশাচালক মজনু জানান, তিনিও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
তিনি আরও জানান, তার রিকশায় ব্যাটারি নেই, তাই পায়ের প্যাডেল দিয়ে রিকশা চালাতে হয়, প্রচণ্ড গরমে যা করা খুবই কঠিন।
তা সত্ত্বেও, তাকে জীবিকা নির্বাহ করতে এবং তার পরিবারের খাবার জোগাতে এখনও তার রিকশা নিয়ে বের হতে হয়।এদিকে পথচারীরাও গরমে অস্বস্তি বোধ করছে। রোজায় তাদের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে এবং প্রচণ্ড গরমে তাদের ঠান্ডাও লাগছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, আগামী তিন খেকে চার দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, প্রচণ্ড গরমে এমন অস্বস্তি তৈরি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেতে নগরীর ইলেক্ট্রনিক ও হ্যান্ড ফ্যানের দোকানে ভিড় করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে নেই, মানুষ আর পান্তা ভাত চায় না: সংসদ সদস্য চুমকি
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ না খেয়ে নেই।
জাতীয় সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন, যেখানে গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন আর পান্তা ভাত চায় না, ঘরে ঘরে গিয়ে ভিক্ষা করে না।’
চুমকি বলেন, বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার মঈনুলকে বয়কটের আহ্বান চুমকির
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না যে দাম বাড়ছে। সারা বিশ্বের মানুষ ভুগছে। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর তারা টাকা খরচ করছে। কিন্তু বাংলাদেশে কি এমন কোনো মানুষ আছে যাদের খাবার নেই? মানুষ এখন আর পান্তা ভাত চায় না, আজ তারা ভালো খাবার ও জামাকাপড় চায়। দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নেতা উল্লেখ করে চুমকি বলেন, জবাবদিহিতা আনতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে প্রশ্নোত্তরের জন্য হাজির হয়েছেন।
ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে চুমকি বলেন, এটা ১৯৭৫ সাল নয়, ২০২৩ সাল। দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে রয়েছে। এখানে ষড়যন্ত্র করে কেউ পালাতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, ‘কেন আমাদের ভোট চাইতে হবে? কারণ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভুল ও বিকৃত ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশে একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানে না, তারা এ দেশের ইতিহাস জানে না।’
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু বুদ্ধিজীবী ভুলে গেছেন যে বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, যাতে এ দেশ এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়।
ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, মিথ্যা তথ্য এবং মাত্র ১০ টাকা দিয়ে একটি শিশুকে শোষণ করে এক শ্রেণির মানুষ দেশের স্বাধীনতাকে উপহাস করেছে।
আরও পড়ুন: সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ বৈধ
দিশেহারা সাধারণ আয়ের মানুষ, ফের বাড়ছে পোল্ট্রি মুরগির দাম!
খাদ্যের দাম বেশির কারণ দেখিয়ে খুলনার বাজারে ফের দাম বাড়তে শুরু করছে গরীবের একমাত্র আমিষের চাহিদা পূরণের ভরসা ব্রয়লার মুরগির। খুলনার বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও রাতারাতি হরিলুটের মতো চার থেকে পাঁচদিনের ব্যবধানে ১৯০টাকার ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারের বর্তমান দৃশ্যমান দামের আগে শীতকালীন সময়ে টানা কয়েকমাস ১৪০ টাকা কেজি দরে স্থিতিশীল ছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে ২৪০টাকা দরে পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
প্রতিদিনই খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল- তালা, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা, কৈয়া বাজার, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, জামিরা, পথের বাজার, দিঘলিয়াসহ স্থানীয় এলাকার খামার হতে মুরগি আসে খুলনার খুচরা বাজারে।
রমজানকে ঘিরে খুলনা মহানগরী এলাকার রূপসা নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার, সন্ধ্যা বাজার, বয়রা বাজার, বৈকালি বাজার, দৌলতপুর বাজার, খালিপুর বাজারসহ স্থানীয় এলাকার বাজারসমূহে জাতীয় ভোক্তা ও অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কেসিসি কর্তৃক মোবাইল কোর্ট, জেলা প্রশাসনের অভিযানসহ অন্যান্য সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে করার ফলে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের নিয়মবর্হিভূত কেনাবেচা অনেকটাই রোধ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। মাত্র তিন দিনের মাথায় কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রেডি মুরগির বাচ্চা সরবরাহকারী পরিবেশক ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ খাতে কর্পোরেট গোষ্ঠী তাদের ইচ্ছেমতো ফিড ও মুরগির দাম বাড়াচ্ছে, আর সেই দাম মেনে নিয়ে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করলে বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে লোকসানে ফেলা হচ্ছে তাদের। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তারা আরও জানান, বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিনিয়ত পোল্ট্রি মুরগির দাম ওঠা নামা করছে। ওই কোম্পানিগুলো গোটা বাংলাদেশে এই খাতের ব্যবসাটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে। খাদ্যে ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির জন্য কতিপয় কোম্পানি, কন্ট্রাক্ট ফার্মের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিসহ কিছু কর্মকর্তার কারসাজিতে চাহিদার তুলনায় বাচ্চা কম উৎপাদন করে রেডি মুরগির কৃত্রিম সংকট করছে, যার প্রভাব গোটা বাংলাদেশের উপর পড়ছে।
ফুলতলা আলকা ট্রান্সপোর্ট বাজার ফুলতলার মিতু পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিড’র সত্ত্বাধিকারী এবং কাজী ফার্মস’র পরিবেশক রেজাউল ইসলাম সরদার জানান, গোটা বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাতের যারা মাথা, তারা হাজার হাজার ডিলারদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী এই খাতটাকে নিয়ে খেলছে। আমি কাজী ফার্মের পরিবেশক। গোটা দেশে আজ পোল্ট্রি খাতে যে দামের ওঠা নামা চলছে, তা মাত্র কয়েকটি কোম্পানির কারণে হচ্ছে। তারা এ খাতটাকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশে বাচ্চা উৎপাদনে এই কোম্পানিতে লিডিংয়ে রয়েছে তারা। গোটা বাংলাদেশে যে বাচ্চা উৎপাদন হয়, তার ৫০ হতে ৭০ শতাংশ বাচ্চাই কাজী ফার্মের।
খামারিরা জানিয়েছেন খাদ্যের ও বাচ্চার দাম বেশি। রবিবার (২ এপ্রিল) প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি স্থানীয় এলাকার খামারিদের কাছ থেকে ১৯০ টাকা দরে পাইকারি দরে কিনে এনেছি। খুচরা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ২১০ টাকা দরে। খামারিরা যে দাম কাটে তা হতে কিছু লাভে বিক্রি করি।
মুরগি বিক্রেতা মোস্তাক বলেন, কোম্পানি রেট, খাবার ও বাচ্চার দাম বেশির কারণেই মুরগির দাম বেশি। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোম্পানি।
ক্রেতা রাজিব জানান, মাঝে ১৪০ টাকা ব্রয়লার মুরগি ধাপে ধাপে ২৪০টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। হাতে গোনা কয়েকদিন আগে সেই মুরগি ১৯০ টাকা হওয়ার বেশ স্বস্তি নেমেছে ক্রেতাদের মাঝে। গরুর গোস্ত যাদের কেনার সমার্থ নেই, মুরগি তাদের অন্যতম ভরসা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো- হঠাৎ আবার মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
কেসিসি’র বাজার সুপারভাইজার মো. মাজেদ মোল্লা জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে পবিত্র মাহে রমজানে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করছে কেসিসি। বাজারে যেহেতু ব্রয়লারের দাম বাড়তির ব্যাপারে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিং করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কাজ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার মনিটরিং, ভেজাল, মূল্য প্রদর্শন, পচাবাসী খাবার, মানহীন পণ্য, মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্যসহ বিবিধ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। চলতি রমজানে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। ইতোপূর্বেও আমরা নানামুখী বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। নতুন করে আবার মুরগির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা মার্কেট মনিটরিং করব। দামের কারসাজিতে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন জানান, আগের থেকে মুরগির দাম বেশ কমে এসেছিল। তবে যেহেতু নতুন করে বাড়তির দিকে যাচ্ছে, আমরা আবার মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় খামারে দাম কমলেও বাজারে কমেনি পোলট্রি মুরগির দাম
হাতি ও মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে: বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসন করে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে। বন্য হাতির আবাসস্থল ছিল, কিন্তু আমরা তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে ফেলেছি। তাই বন্য হাতিরা বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসছে।
তিনি বলেন, নতুন করে আমাদেরকে তাদের আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখতে হবে। বনের মধ্যে আমাদের হাতির খাবার তৈরি করতে হবে। হাতি যে খাবারগুলো খায় সেই সকল গাছ রোপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মন্ত্রী রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্য হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিসরনে সোলার ফ্রান্সিং প্যানেলের উদ্বোধন ও কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরকালে এই কথা বলেন।
তিনি বন্য এলাকায় বসবাসকারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হাতির সঙ্গে আপনারা দ্বন্ধে জড়াবেন না। আপনাদের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমিন হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, সিএমসি কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. শোয়েব খান।
আরও পড়ুন: বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: বনমন্ত্রী
২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে দেশের মানুষ তাদের চায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের জন্য কাজ করে। এছাড়া স্মার্ট দেশ গড়তে জনগণ শেখ হাসিনাকেই আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত করবে।
আরও পড়ুন: কৃষিকে বাদ দিয়ে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: খাদ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার(২ মার্চ ) দুপুরে পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ১ নং নিতপুর উনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সম্মানী ভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছেনি। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা। আর সে আহ্বানে কৃষক ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এছাড়া পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করে তিনি দেখিয়েছেন বাঙালিরা পারে। শেখ হাসিনা পারে। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে।
নাগরিকগণ ডিজিটাল সেবা ঘরে বসেই পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।
নিতপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরাতন বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২ মানুষের মৃত্যু নেই: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে দু’জন মানুষের মৃত্যু নেই। একজন হলেন শেখ মুজিব, যিনি স্বাধীনতা দিয়েছেন। আরেকজন হলেন শেখ হাসিনা, যিনি দেশের অর্থনীতির রূপকার।
তিনি বলেন, তিনি দেশকে বদলে দিয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ শহর একসময় গ্রামীণ বাজার ছিল। এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, হিংসা করে কোন লাভ নেই। বিএনপি’র জ্বালা শুধু বাড়ছেই। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, ফ্লাইওভার, ট্যানেল, একদিনে একশ’ সেতু উদ্বোধনের জ্বালা।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র গণ অভ্যুত্থান গেল কোথায়? ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন হাক ডাক আর নেই। আর কত লালকার্ড দেখাবেন। বিএনপি’র গনতন্ত্র গোপালগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে আহত হয়েছে। আমরা ডাকি সমাবেশ হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ হয়ে যায় সমাবেশ।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি আমাদের। ১৪৪ ধারা জারি করা হতো। অফিসের সামনে সমাবেশ করতে পারিনি। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এছাড়া পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দেশ। দুর্নীতিবাজদের মুখে গণতন্ত্র মানে ভুতের মুখে রাম। আমাদেরকে পালানোর ভয় দেখায়! আ’লীগ পালানোর দল নয়। সাহস থাকলে রাজপথে মোকাবিলা করুন। খেলা হবে। আগামী খেলা হবে ফাইনাল খেলা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
বায়ু দূষণ রোধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান।’
রবিবার এ বিষয়ে শুনানিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, উচ্চ আদালত বায়ু দূষণ রোধে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয়নি। অবৈধ ইটভাটাও বন্ধ করা হয়নি। দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। অনেকে বিদেশে থাকেন, তাদের ছেলে মেয়েরাও বিদেশে থাকে। ঢাকার বায়ু দূষণে তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা তো এ দেশেই থাকি। এ দেশেই থাকতে হবে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান।
আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যদি বাস্তবায়ন না করা হয়, পানি ছিটানো না হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তলব করে ব্যাখ্যা চাইব।
পরে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের দেয়া ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, পুলিশের আইজি, রাজউককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য দার্য করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
২০২০ সালে ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালত যে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, আপনারা জানেন কয়েক দিন ধরে রিপোর্ট হচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ু দূষণকারী শহর হচ্ছে ঢাকা। বায়ু দূষণে ঢাকার এই অবস্থান ধারাবাহিকভাবে একইরকম হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে যেন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যেটা দিল্লিতে করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে কারও কোনো খবর নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর বায়ু দূষণে এক নম্বরে আছে, অথচ কেউ কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এ বিষয়ে বলে যাচ্ছেন। পরে শুনানির পর গত ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০২০ সালে বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়- ১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে। ২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবেন। ৩. ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর নির্দেশ ছিল, এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সব সড়কে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিংসহ যেসব কাজ চলছে, সেসব কাজ যেন আইন কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে হবে। ৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। ৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীন চলছে, এর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। ৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধ করতে হবে। ৯. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে হবে। এরপর মার্কেট ও দোকান বন্ধ হলে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক