প্রেমিকা
প্রেমিক-প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখে ফেলায় শিশু লিজাকে হত্যা!
হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমিক-প্রেমিকাকে একসঙ্গে দেখে ফেলায় এবং বিষয়টি প্রেমিকার মাকে জানিয়ে দেয়ায় শিশু লিজাকে (৯) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাঁশ ঝাড়ে ফেলে রাখা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. আল মামুন শিকদার।
নিহত লিজা আক্তার উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের মো. সাগর আলীর মেয়ে।
এই মামলার গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- একই গ্রামের বাহার উদ্দিন, খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুন। এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি প্রেমিক যুগল হলেন তাকবীর হাসান ও শান্তা।
পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ২১ জুলাই ঈদ-উল আযহার দিন সন্ধ্যায় শিশু লিজাকে তার মা সেলিনা বেগম প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস আনতে গ্রামের পাশের বাজারে পাঠান। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। পরে ওইদিন রাতেই শিশু লিজার বাবা সাগর আলী মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজের চারদিন পর গ্রামের পাশের বাঁশঝাড়ে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে লিজার অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান এক নারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছোট ভাই হত্যায় বড় ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
রাতে লিজার বাবা সাগর আলী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পিবিআইয়ের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গত ৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের বাহার উদ্দিন, খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে তারা।
পরে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের আদালতে হাজির করলে বাহার ও তাজরীন হবিগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম জুমুর সরকারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।আসামিরা আদালতকে জানায়, গ্রেপ্তার তাজরীনের ছোটভাই তাকবীর হাসানের সঙ্গে প্রতিবেশী কিশোরী শান্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাধে তারা দুজনের প্রায়ই দেখা সাক্ষাত করত।
আরও পড়ুন: মার্কিন নাগরিক হত্যা: পুলিশ কমিশনারসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা
হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে এক সন্ধ্যায় শান্ত ও তাকবীর দেখা করার সময় শিশু লিজা তাদেরকে একসঙ্গে দেখে ফেলে এবং বিষয়টি সে শান্তার মাকে জানিয়ে দেয়। এরপর শান্তার মা শান্তাকে গালি-গালাজ করেন এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। এতে তাদের প্রেম নষ্ট হওয়ার পথে চলে যায়।রাগে ও ক্ষোভে লিজাকে শায়েস্তা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে শান্তা ও তাকবীর। গত বছরের ২১ জুলাই ঈদ-উল আযহার দিন সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে লিজাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় ঘাতকরা। এরপর তারা লিজাকে গলা টিপে হত্যা করে বাঁশ ঝাড়ে ফেলে রেখে আসে।পুলিশ সুপার মো. আল মামুন শিকদার বলেন, হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন অংশ নেয়। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী হত্যা মামলার আসামির যাবজ্জীবন
প্রেমিকাকে দায়ী করে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা!
মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা ও প্রেমিকার মাকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
নিহত নাঈম হোসেন (২২) উপজেলার রূদ্রপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় লক্ষীকোলা বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে তার মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা অনন্যা ও প্রেমিকার মাকে দায়ী করে ফেসবুকে প্রেমিকার ছবিসহ একটি পোস্ট শেয়ার করে নাঈম।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নাঈম খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। এরপর শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজন তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, একই গ্রামের অনন্যা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও কয়েক মাস আগে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি নাঈম নাকি অন্য কেউ দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঘটনার প্রকৃত রহস্যও তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
পাঁচ তারকা হোটেলে খেতে গিয়ে ২০তলা থেকে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকার সামনে বুকে ছুরি চালিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা!
রাজশাহী নগরীতে ‘প্রেমিকা’র সামনে কীটনাশক পানের পর বুকে ছুরি চালিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় ‘মাস্টার শেফ’ নামের একটি রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনায় বুলবুলের ‘প্রেমিকা’ ও তাঁর এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম বুলবুল আহমেদ (২৬)। জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ নয়াপাড়া গ্রামের আমরুল ইসলামের ছেলে তিনি। বুলবুল একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বুলবুল অবিবাহিত ছিলেন। তবে তাঁর ‘প্রেমিকা’ বিবাহিত। তাঁর সন্তানও আছে।
পুলিশের ধারণা, ওই নারীর সাথে বুলবুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের হেফাজতে নেয়ার আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে চাননি।
তবে তাঁর বান্ধবী জেমি জানিয়েছেন, রেস্তোরাঁয় প্রথমে বুলবুল কীটনাশক পান করেন। এরপর নিজের বুকে নিজেই ছুরি বসান। এরপর তারা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পুলিশ ওই রেস্তোরাঁয় গিয়ে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছে। ওই তিনজন রেস্তোরাঁয় বসে আছেন এমন ফুটেজ দেখা গেছে। তবে সিসি ক্যামেরার কিছু অংশের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তাই ঘটনার সময়ের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ সিসিটিভি'র ডিভিআর জব্দ করেছে।
রেস্তোরাঁটির মালিক এসএম শিহাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় তিনি রেস্তোরাঁয় ছিলেন না। তবে কর্মীরা জানিয়েছেন, রেস্তেরাঁর মধ্যে ওই ধরনের কোন ঘটনা তাঁরা দেখেননি। বরং ওই তিনজন খাবার পার্সেল নিয়েছেন এবং বুলবুল বিল পরিশোধ করেছেন। রেস্তোরাঁয় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিল পরিশোধ হতো না।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুই তরুণীর বর্ণানামতে ঘটনাস্থল মাস্টার শেফ রেস্তোরাঁ। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:আশুলিয়ায় স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর রিকশাওয়ালার ‘আত্মহত্যা’
ওসি জানান, রেস্তোরাঁয় বুলবুল শাড়ি, থ্রি-পিস, লকেটসহ আরও কিছু উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। একটা ডায়েরি পাওয়া গেছে। ব্যাগে একটা চিরকুটও পাওয়া গেছে। চিরকুটে ওই নারীর নাম উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজেন দরকার, তেমনি বুলবুলেরও বাঁচার জন্য ……কে দরকার।
ওসি বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিমানে এটা হতে পারে। কেন ঘটেছে সেটিও বুলবুলের প্রেমিকা ও তাঁর বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বলা যাবে। সে কারণে হাসপাতাল থেকে তাঁদের দুজনকেই পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন:গেম খেলতে না পেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
আপত্তিকর ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল, প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রেমিকাকে হত্যার পর এক প্রেমিক আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে রক্তাক্ত মরদেহ দুটি প্রেমিকের ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের এনজিও কর্মী হৃদয় গমেজ (২৫) এবং একই উপজেলার বান্দাখোলা গ্রামের নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী ইভানা রোজারিও (২২)।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, হৃদয় ও ইভানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার সকালে হৃদয়কে বাড়ি রেখে তার মা ও চাচা জমির দলিল করতে কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্টি অফিসে যান। সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফেরেন। এসময় হৃদয়ের মা ভেতর থেকে ঘরের দরজা জানালা আটকানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি ডাকাডাকি করেও হৃদয়ের কোন সাড়া শব্দ পান নি। এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা উঁকি দিয়ে ঘরের ভিতরে ইভানা ও হৃদয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
তিনি জানান, ইভানার লাশের ওপর ছুরি হাতে হৃদয়ের লাশ পড়ে ছিল। ইভানার গলায়, ঘাড়ে ও গালে এবং হৃদয়ের পেটে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে কোন বিরোধের কারণে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রেমিকা ইভানাকে ঘরে ডেকে এনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হদয়। পরে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে হৃদয় আত্মহত্যা করে। বাইরের লোকজন যাতে কোনো শব্দ শুনতে না পায় সেজন্য ঘরের দরজা জানালা আটকিয়ে জোরে গান ছাড়া ছিল।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
প্রেমিকের সাথে ঝগড়া: বরিশালে তরুণীর অবাক কাণ্ড
প্রেমিকের সাথে অভিমান করে ব্লেড দিয়ে নিজের মুখ ও হাতে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করেছে এক তরুণী। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শতবর্ষ গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
২৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রী বিএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী।
তার স্থায়ী ঠিকানা উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট এলাকায়। বর্তমানে সে নথুল্লাবাদ সংলগ্ন জিয়া সড়কে ভাড়া বাসায় থাকে।
আরও পড়ুন: ঘটনার আগেই বদলী ইউএনও-ওসি
জানা গেছে, বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার লাকুটিয়া সড়কের বাসিন্দা শাওন খানের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সর্ম্পক ছিল তার। দু’জনে মঙ্গলবার বিকেলে বিএম কলেজের সামনে দেখা করতে এসে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় উত্তেজিত হয়ে নিজের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে ব্লেড বের করে মুখে ও হাতে আঘাত করে ওই তরুণী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই তরুণী এই ঘটনা ঘটান। সাথে থাকা প্রেমিক তরুণ তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। সেখানে মেয়েটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিএমপির তিন থানার ওসিসহ ১০ পরিদর্শক পদে রদবদল
তবে নিজের শরীর কেন ক্ষত বিক্ষত করেছে সেই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ওই তরুনী তাতে রাজি হয়নি।
রাজশাহীতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক আটক
রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালিতে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিককে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কাটাখালির মোহনপুর হাজামপাড়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটক যুবক জেলার চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে সামিউল ইসলাম (১৯)।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
মামলার এজাহারে জানা যায়, কাটাখালি থানা এলাকার এক তরুণীর (১৮) সাথে চারঘাট থানার চকগোচর গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে সামিউল ইসলামের কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারা বিভিন্ন স্থানে সাক্ষাৎ ও ঘোরাফেরা করত। শনিবার দুপুরে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে সামিউল ইসলাম তার প্রেমিকার বাড়িতে আসে। কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে সামিউল বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
এ সময় সামিউল হাত দিয়ে মুখ চেপে রাখায় ডাকাডাকির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় মেয়েটি। ধর্ষণের পরে ভুক্তভোগী কৌশলে তার হাত থেকে ছুটে বাইরে গিয়ে চিৎকার দিলে আশ পাশের মানুষ ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিককে ধরে ফেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
পরে কাটাখালি থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, শনিবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
সাবেক প্রেমিকাকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
সাবেক প্রেমিকাকে জোর করে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মো. সামছুল হুদা জিকু (২৬) নামে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিকু চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বগুড়া জেলার কাহালু শাখায় এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে কর্মরত।
রবিবার নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকার নিউ মেঘনা নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা দায়েরের পর রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন।
মামলার বিবরণে জানা যায়-জুলিয়া (ছদ্মনাম) ও মো. সামছুল হুদা জিকু খুবই ভাল বন্ধু এবং প্রেমিক প্রেমিকা। তাদের ২০১৮ সালে পরিচয়, ভালো লাগা, বন্ধুত্ব এবং একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সামছুল হুদা জিকু (২৬) জানত জুলিয়ার পিতা মাতা নেই, তার পালক পিতা মাতা আছে। তারই সুযোগ নেয় সে। জুলিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে তারা প্রায় সময়ই বাইরে বেড়াতে যেত, ঘোরাফেরা করত, বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ছবি তুলত। পরবর্তীতে ২০২০ সালে সামছুল হুদা জিকুর ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেডে চাকরি হয় এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, গ্রেড-৩ পদে। চাকরি হওয়ার পর জুলিয়া সামছুল হুদা জিকুকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে সামছুল হুদা জিকু জুলিয়াকে বিবাহ করবে না বলে জানায়। জিকু একপর্যায়ে জুলিয়াকে বিয়ে করতে রাজি হলেও কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেয়। প্রথম শর্ত হল জুলিয়াকে বিয়ে করে সামছুলের কর্মস্থল তথা বগুড়া জেলায় জুলিয়াকে রাখবে তবে সে চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকায় সামাজিকভাবে আরেকটি বিবাহ করবে। আর ২য় শর্ত হল জুলিয়ার সাথে বিয়ের বিষয়টি কেউ জানতে পারবে না। জুলিয়া সামছুলের দেয়ায় প্রস্তাবটি মেনে না নেয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় এবং যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর জুলিয়া আরেকজনের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মার্চ/২০২১ইং মাসে তাদের বিয়ে হয়। এর পর থেকে জুলিয়া স্বামীর সাথে সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করতে থাকে। কিন্তু কিছুদিন আগে সামছুল জুলিয়াকে তার সাথে কথা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে অন্যথায় তার কাছে থাকা জুলিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা ছবি সে জুলিয়ার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিবে এবং স্বামীর পরিবারের লোকজনের কাছে পাঠিয়ে দিবে বলে জানায়। জুলিয়া তার মান সম্মানের কথা চিন্তা করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সামছুলের সাথে কথা বলে। সামছুল তাকে ঈদের আগের দিন ইমো সফটওয়্যারে মেসেজ পাঠিয়ে ১৬ মে কোতোয়ালী মোড়ে দেখা করতে বলে।
জুলিয়া তাতে অসম্মতি দিলে সামছুল পুনরায় ছবি ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। জুলিয়া মান সম্মানের কথা চিন্তা করে সামছুলের কথামতে ১৬ মে সকাল পৌনে ১১টায় কোতোয়ালী মোড়স্থ খাদি ঘর দোকানের সামনে সামছুলের সাথে দেখা করলে সে জুলিয়াকে তার সাথে নিউ মেঘনা আবাসিক হোটেলে গিয়ে বসে কথা বলার প্রস্তাব দেয়। জুলিয়া তার কথায় রাজি না হলে আসামি জুলিয়াকে তার ছবি স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের অন্য লোকজনের কাছে পাঠিয়ে দিবে বলে এবং পুনরায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অপহরণপূর্বক নিউ মেঘনা আবাসিক হোটেলের ২০২নং রুমে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সামছুল জুলিয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে জুলিয়া চিৎকার করতে থাকে।
এক পর্যায়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ চিৎকার শুনতে পেয়ে হোটেল রুমে গিয়ে জুলিয়ার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে সামছুল হুদা জিকুকে আটক করে কোতোয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায় এবং জুলিয়ার থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে সামছুল হুদা জিকুকে আটক করে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন বলেন, থানায় জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জিকু তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং জুলিয়ার সাথে ঘটনার কথা স্বীকার করে। পরে জুলিয়া তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছে।
প্রেমিকার সাথে ঝগড়ার পর প্রেমিকের আত্মহত্যা!
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।