মৃত্যুদণ্ড
ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় খালাস পেয়েছেন একজন।
বুধবার (৩০ মার্চ) সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫)।
খালাস পেয়েছেন বিতর্কিত ব্লগার সাফিউর রহমার ফারাবী।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইনের খসড়া অনুমোদন
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী (পিপি) মুমিনুর রহমান টিটু জানান, রায় ঘোষণার সময় আবুল খায়ের রশীদ আহমদ এবং সাফিউর রহমান ফারাবী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আরেক আসামি মান্নান ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের পর ২০২০ সালে বিচারার্থে মামলা সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে ১৪ মার্চ পলাতক তিন আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষ্য প্রদান দেন।
ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ফারাবীকে ইতোপূর্বে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় নিহত বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়।
খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কিশোরগঞ্জের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নুর ইসলাম, একই এলাকার হরিদাসের ছেলে জনি দাস, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আব্দুর রউফ সিকদারের ছেলে মো. রনি শিকদার ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ রানা মোল্লা। বর্তমানে তারা সবাই পলাতক রযেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিহত মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন সাতক্ষীরার লাবশা এলাকার শেখ তৌহিদুর রহমানের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, ২০১৬ সালে ১১ জানুয়ারি সকালে গাড়ি চালানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রিপন। রাতে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরদিন তার ছোট ভাই জানতে পারেন লবণচরায় জমিতে এক জনের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তিনি খুলনায় গিয়ে ওহিদুর রহমানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থেকে মাহেন্দ্রসহ চার জনকে আটক করা হয়। পরে নিহত ওহিদুরের ভাই লবণচরা থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহেন্দ্র ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে খুলনায় আসার জন্য ৭০০ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে লবণচরা থানাধীন ডা. দিপু সাহেবের জমির কাছে পৌঁছলে আসামি মাসুদ ও রনি রশি দিয়ে ড্রাইভারের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। শ্বাসরোধে তার মৃত্যু না হলে নূর ইসলাম রিপনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে ফেলে আসামিরা মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গোপালগঞ্জ এলাকার কাশিয়ানি পুলিশের চেকপোস্টে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইনের খসড়া অনুমোদন
‘আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় বিদ্রোহের চেষ্টা, অংশগ্রহণ বা এ ধরনের ষড়যন্ত্রে উসকানি দেয়ার মতো গুরুতর অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ বিদ্রোহের চেষ্টা করে, উসকানি দেয় বা ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তবে সে সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল চেক জালিয়াতির শাস্তির বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপন
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো সদস্যের সংঘটিত দুই ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য দুটি পৃথক আদালত থাকবে।
আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য কোনো রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মী বিল সংসদে উত্থাপন
নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেন হত্যাকাণ্ডে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এ ঘটনায় চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুইজন উপস্থিত ছিলেন এবং বাকিরা পলাতক আছেন।
নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- ইমনের আত্মীয় আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), সেন্টু মিয়া (২৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হুসনা (৪৭)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (১৮)।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুরপ্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী।
সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামী লিটন মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এম ইলিয়াস খান ও শাম্মি আক্তার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
আদালত সূত্র জানায়, নিহত পারভীন বেগম লিটন মোল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পারভীনের আগের ঘরে আট বছরের একটি মেয়ে নিয়ে বিয়ের পর কিছুদিন ভালভাবে চললেও পরে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টাও চলে। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে পারভীন স্বামীকে তালাক দেয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় লিটন। হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন তিনি। ২০২১ সালের ১৫ জুন রাতে বাড়ি থেকে শাবল ও ধারালো ছুরি নিয়ে পারভীনকে হত্যার জন্য বের হন। রাত ১টার দিকে ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের পাশের শামসুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে এসে পারভীনকে ডাকতে থাকে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
পারভিন ঘরের দরজা না খোলায় একপর্যায়ে শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলে লিটন। তাকে অস্বাভাবিক দেখতে পেয়ে পারভীন পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে লিটন তাকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য রান্না ঘর থেকে কাঠ এনে মাথায় আঘাত করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে পারভীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে লিটনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলার অপর ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা মিঠাপুর ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম, আইজুল হক, হেলাল হোসেন, জালাল হোসেন, বেলাল হোসেন, জায়েদ আলী, আবুল হোসেন, মোস্তফা ও সোহাগ আলী। এদের মধ্যে সাইদুল ইসলাম, জায়েদ আলী ও সোহাগ আলী পলাতক রয়েছেন। আমৃত্যূ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে আসামি হাসেম আলীর। তিনি বদলগাছীর উজালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, সামান্য বিষয় থেকে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড খুবই মর্মান্তিক। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য সমাজে একটা বার্তা দেয়া উচিত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আমজাদ হোসেন ও শ্যালক আব্দুল ওয়াদুদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ হাসেম আলী, সাইদুল ইসলাম, আইজুল হক ও হেলাল হোসেনসহ অন্যান্য আসামিদের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে জমির দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ৬ জুন বিকাল ৩টার দিকে তাদের তিনজনকে হত্যা করা হয়।
২০ আসামির মধ্যে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডে সাজা দিয়েছেন আদালত। এ মামলার রায়ে বাদী পক্ষ অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বাদী নিহত শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এই রায়ে আমরা খুশি। অবিলম্বে আসামিদের সাজা কার্যকর হলে আবার বাবা, চাচা ও মামার আত্মা শান্তি পাবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। হত্যার কারণে যে বাকিদের হত্যা এ রকম চিন্তা থেকে এ রকম রায় আসছে। বিচারে নয় জন আসামিকে ঢালাওভাবে মৃত্যুদন্ডের আদেশ সঠিক হয়নি। মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি আরব
সৌদি আরবে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১২ মার্চ) ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যা সংখ্যায় পুরো গত এক বছরের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে ইয়েমেন এবং সিরিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ থেকে বিপথগামীতা, এরকম নানা 'জঘন্য অপরাধের' অভিযোগ ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী, আল কায়েদা, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সৌদি আরবে প্রায়শই অনেকে ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রক্রিয়ার অধিকার পান না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ১৩ জন বিচারক এই ব্যক্তিদের বিচার করেছেন এবং তারা তিন ধাপের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছেন।
পড়ুন: সৌদি আরবে ২০২১ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তি বেড়েছে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে থাকে সৌদি আরব তাদের মধ্যে অন্যতম।
শীর্ষ পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ইরান, মিশর এবং ইরাক।
সৌদি আরবে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেশটিতে গত বছর ৬৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাচাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা মামলায় আদালত তিন ভাতিজাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় দেন।
নিহত চাচা নূরুল হুদা চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চকরিয়া থানার বদরখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার নূরুল আজিজের তিন ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইউনুছ মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তাফা কাইয়ুম।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যা: স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন- একই এলাকার নূরুল আজিজের ছেলে মো. সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন সাফায়াত নামে একজন। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া বাকিরা পলাতক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন বদরখালী বাজারের চায়ের দোকানে বসে টিভি দেখছিলেন নূরুল হুদা। এসময় টিভির খবর দেখে তিনি ‘একে একে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’ বলে মন্তব্য করেন। এ মন্তব্য শুনে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়া। পরে অন্য আসামিদের নিয়ে অটোরিকশায় করে তাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান। ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত রায় দেন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে হত্যা: স্বামীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মাদক মামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার রুজবুক বোয়ালিয়ার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন।
২০১৯ সালের ২ জুন মাদক বিক্রি করতে গিয়ে পৌর বাজার এলাকায় পুলিশের হাতে ২৫০ গ্রাম হেরোইন সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জহুরুল। ঘটনার গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা করেন। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ শুনানির পর আজ দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যা: স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের দাবিতে হত্যা: স্বামীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেত বাজার থেকে আসামি আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে দুটি জিহাদি বই, দুটি মোবাইল ফোন সেট, একটি পেনড্রাইভ ও একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০০০ সালের ২০ জুলাই শেখ লুৎফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে থেকে পুলিশ ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করে। ওই স্থানে ২২ জুলাই শেখ হাসিনার একটি সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এছাড়া ওই বছরের ২৩ জুলাই কোটালীপাড়া হেলিপ্যাডের কাছে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ স্কোয়াড আরও একটি ৪০ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করায় গ্রেপ্তার ১
এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৩ মার্চ, ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, আজিজুলকে বোমা রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, আজিজুল ২১ বছর ধরে পলাতক থেকে গোপনে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। নিজের পরিচয় গোপন করতে দোকানদার, বই বিক্রেতা, চালক ও ছাপাখানার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর