মৃত্যুদণ্ড
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটে মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বনফুলের দুই কর্মচারী খুনের মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভুঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং কাজলশাহ এলাকার উজ্জ্বল মিয়া।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন- কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ এলাকার শাকিল আহমেদ।
রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ, এস এম তাপু মিয়া ও রাসেল আহমদকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত একজনের ভাই মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল আহমেদ প্রিন্স হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
সোমবার (৯ অক্টোবর) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু জানান, দণ্ডিতরা ২০১৯ সালের ৪ মার্চ উপজেলার বালিগ্রামে মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে আসে।
পরদিন ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিগ্রামের সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক ফয়সালকে একা পায় তারা। পরে তার পথরোধ করে নলকূপ স্থাপনের পাইপ বসানোর লোহার হ্যান্ডেল ও রড দিয়ে মাথায়-মুখে আঘাত করে।
এরপর গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে ফয়সালকে হত্যা করে পাশের ইউসুফ হাওলাদারের দোকানের পেছনে লাশ লুকিয়ে রাখে। পরে ফয়সালের মোবাইল ফোন, টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় ঘাতকরা।
এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
পরে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ গ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দেন। এঘটনায় আরও এক আসামি সৈয়দ মৃধা খলিলকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম।.
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে হাসান মুন্সি নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক নুরে আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- হাসান মুন্সি ওরফে কামরুল হাসান। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মাকসুদপুর খালপার কমলাপুরের নজরুল মুন্সির ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের কলোনির ৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের মালিকানাধীন সেমিপাকা ঘরের বাথরুম থেকে গৃহবধূ জনি আক্তার জয়নব ওরফে শিউলি (৩৫), তার সন্তান মিম (১৫) ও তাহসিনের (১৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিউলির চাচাতো ভাই নগরীর কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে হাসান মুন্সিসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শিউলি ও হাসান মুন্সির ১৬ বছরের দুই সন্তান হয়। একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় আসেন হাসান। আর পরিবারের লোকজনকে রেখে আসেন সিলেটের সুরমার ঝালোপাড়ায় ভাড়া বাসায়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যার পর বাদী জানতে পারেন হাসান মুন্সি তার চাচাতো বোন ও ভাগ্নিদের ওই বছরের ২৬-২৮ জুলাইয়ের কোনো একদিন হত্যা করেন এবং বাসায় বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান।
৩০ জুলাই সকালে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে গলিত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান আহমদ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক কামরুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একমাত্র হাসান মুন্সিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে পাঠানো হলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত হাসান মুন্সিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও মাদক মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা জজ আব্বাস উদ্দীন ও নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃতদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- জেলার আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ি গ্রামের সাহাদুলের ছেলে সাজাদুল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের মৃত বাবর মণ্ডলের ছেলে রব্বুল মণ্ডল, গোলাম মোস্তফার ছেলে রিপন মিয়া ও ফজলুলের ছেলে মাহাবুল। এর মধ্যে রব্বুল ও রিপন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলার আওয়াল গাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রূপালীর সঙ্গে একই গ্রামের সাজাদুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়।
২০০৯ সালের ২০ফেব্রুয়ারি রাতে আসামি রূপালীকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান। পরে নদীর পাড়ে তাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। পরের দিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়েরের পর আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল পাঁচবিবি উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রাম থেকে ১ হাজার ৪৫০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মাদকের মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া একই সঙ্গে কিশোরীর লাশ লুকিয়ে রাখার দায়ে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফয়জুন্নেসা এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি খোকন (৩৫) সিরাজদিখান উপজেলার বাবুল মিয়ার ছেলে ও একটি দর্জির দোকানের মালিক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লাবলু মোল্লা জানান, খোকন কৌশলে মেয়েটিকে তার দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এরপর মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেন।
২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট চাঁন সুপার মার্কেটে পোশাক তৈরি করতে খোকনের দোকানে যায় ওই কিশোরী। এ সময় তাকে দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন খোকন। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লদীতে লাশ ফেলে দেন।
গত ৩১ আগস্ট স্থানীয়রা কিশোরীর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধারের পর সন্দেহজনকভাবে খোকনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে, যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
নিহত মামুনুর রশিদ চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম ও কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় অপরাধী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদের শত্রুতা ছিল।
‘জিসান বাহিনী’ মামুনকে তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিসানের মৃত্যু হয়। জিসানের মৃত্যুর পর জিসানের ছোট ভাই তুহিন ‘জিসান বাহিনীর’ নেতৃত্ব দিতেন।
জিসান বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন মামুন।
শত্রুতার জেরে ২০১৮ সালের ১৮ কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নথিপত্র ও সাক্ষী যাচাই-বাছাই করে আদালত দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তার ছেলেরা।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
পরে এ মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।
রবিবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসে মো. আমজাদ ও তার সহযোগীরা বাঘেরপাড়া এলাকার মো. মঈনুদ্দিনকে অপহরণ করে প্রেমছড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় যেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য ড. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাস, সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহেব আলী (২৫) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুস সবুর, হাবিবুর ও বুলু মিয়া।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এবং সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।
জানা যায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় ৩৬ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা আমজাদ আলী মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ৩৬ আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যান্য আসমিদের খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মাগুরার শালিখা উপজেলার কোটভাগ গ্রামের আমজাদ আলী বিশ্বাসের ছেলে সাহেব আলীকে ২০০২ সালের ৮ মার্চ সকালে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলার আলম খাঁ হত্যা মামলায় শাহিন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোষের নামে আসামিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও সেই তথ্য আদালতে গোপন করার দায়ে মামলার বাদি আনজুয়ারাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে। আর আনজুয়ারা একই গ্রামের আলম খাঁর স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের আলম খাঁর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন শাহিন। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামিদের মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড