অ্যাস্ট্রাজেনেকা
২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিবে রোমানিয়া
বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দুই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে রোমানিয়া।
শুক্রবার রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে বৈঠককালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোগদান অরেস্কু এই কথা জানান।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকা উৎপাদনে প্রযুক্তি ভাগ করে নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
ড. মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রোমানিয়ার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণ কৃতজ্ঞ।
রোমানিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে ড. মোমেন দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অব্যাহত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামী দিনগুলোতে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিচ্ছে মালদ্বীপ
বৈঠকে ‘রোমানিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে নির্মাণাধীন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ও প্রতিষ্ঠিত হাইটেক পার্কগুলোতে যৌথ মালিকানায় কিংবা শতভাগ নিজস্ব মালিকানায় বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান ড. মোমেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রশ্নে রোমানিয়ার সমর্থন প্রত্যাশা করেন। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি প্রেরণের সম্ভাব্যতা নিয়েও উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন। তারা দ ‘দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মতি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
বাংলাদেশকে ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিচ্ছে মালদ্বীপ
উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ২ লাখ ১ হাজার ৬০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে মালদ্বীপ।
এ উপলক্ষে বুধবার মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ নাসিম এবং মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
মালদ্বীপ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক হস্তান্তর করা এই টিকাগুলো কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট যোগে দোহা হয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, এই উপহার দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।
আরও পড়ুন: বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব সুইজারল্যান্ডের
সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রশংসনীয়: সুইস রাষ্ট্রদূত
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রায় ৮ লাখ টিকা আসছে শনিবার
জার্মানি থেকে আগামীকাল শনিবার ৭ লাখ ৯০ হাজার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে আসবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাতার এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইট টিকার ডোজ নিয়ে শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৬৬ লাখেরও বেশি টিকা প্রদান
ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা
বুলগেরিয়া থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৭০ হাজার ডোজ টিকা পেলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ অনুদান হিসেবে বুলগেরিয়া থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২ লাখ ৭০ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছে। বুধবার চালানটি তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
এটি কোভিড -১৯ মহামারি মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টাকে নির্দেশ করে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজিএইচএস) একজন প্রতিনিধি টিকা চালানটি গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার পঞ্চম চালান আসছে আজ
অ্যাস্ট্রাজেনেকার পঞ্চম চালান আসছে আজ
জাপানের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজের পঞ্চম চালান আজ শনিবার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ক্যাথে প্যাসিফিক ফ্লাইটটি টিকা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
শুক্রবার জাপান থেকে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের (এএনএ) একটি ফ্লাইটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই চালান পাঠানো হয়েছে। এই চালানসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিএইচও)- কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ জাপান থেকে মোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা পেতে যাচ্ছে।
এসময় জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সাথে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ডা. আরিফুল হক ও মিশন থেকে সচিব (প্রেস) মো. শিপলু জামান উপস্থিত ছিলেন।
অন্যতম বিশ্বস্ত অংশীদার এবং বন্ধু হিসেবে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি জাপান সরকারের অব্যাহত সমর্থন ও সহায়তার প্রশংসা করেছে টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
আরও পড়ুন: দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও প্রায় ৮ লাখ টিকা
দেশে আর টিকার ঘাটতি থাকবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে পৌঁছেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও প্রায় ৮ লাখ টিকা
জাপানের উপহার দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে।
টিকা নিয়ে শনিবার বিকালে জাপান থেকে ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এনিয়ে জাপান থেকে পাঠানো মোট টিকার পরিমাণ ২৪ লাখে পৌঁছেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংরাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।
শুক্রবার জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে জাপানে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পাঠানোর সময় টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কমছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা
দেশে আর টিকার ঘাটতি থাকবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৭৮
অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও প্রায় ৮ লাখ ডোজ টিকা আসছে আজ
জাপান থেকে আজ শনিবার অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ।
শুক্রবার অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট টিকা নিয়ে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
টিকাগুলো ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইটে শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে আর টিকার ঘাটতি থাকবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এই চালানসহ এ পর্যন্ত জাপান থেকে ২৪ লাখেরও বেশি টিকা এসেছে।
ডাব্লিউএইচও এর কোভ্যাক্সের আওতায় জাপানের ৩০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আসছে এই চালান।
আরও পড়ুনঃ দেশে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি স্বাক্ষর
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সাথে কাউন্সেলর (শ্রম) মো. জাকির হোসেন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) আরিফ মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
দেশব্যাপী গণ টিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শনিবার নগরীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে টিকা প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা হাজারো টিকা প্রত্যাশীকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষকে। একপর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
নারী ও পুরুষসহ প্রায় চার হাজার টিকা প্রত্যাশীকে হাসপাতালের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলার বারান্দায় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। টিকাদান ধীর গতিতে চলছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। ‘অব্যবস্থাপনা’ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে টিকা প্রত্যাশীরা বলেন, নারীদের আলাদা লাইনে দাঁড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেই বলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে।
লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে আনসার এবং হাসপাতালের কর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় অনেককেই টিকাদান কক্ষে জোর করে প্রবেশের জন্য ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে।
টিকাদান কক্ষের ভেতরে দেখা গেছে, মাত্র দুই থেকে তিনজন নার্স টিকা দিচ্ছেন, অন্য দুই বা তিনজন চিকিৎসাকর্মী টিকা নিবন্ধনের কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন। জনবলের অভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের হিমশিম খেতে হয়।।
আরও পড়ুন: টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
এই পরিস্থিতি সম্পর্কে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, টিকা কেন্দ্রটি মূলত গণটিকা দেয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত ছিল। এই কারণেই হাসপাতালকে অতিরিক্ত চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে টিকা নেয়ার জন্য এক হাজার মানুষকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রায় চার হাজার মানুষ চলে এসেছে। এই হাসপাতাল টিকাদান ছাড়াও ৫০০ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে। এটি একটি বড় চাপ।
তিনি উল্লেখ করেন, এই কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের টিকা দেয়া হচ্ছে। যেমন: অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোভ্যাক, মডার্না ও ফাইজার। সুতরাং আমাদের সঠিক ব্র্যান্ড বেছে নেয়ার জন্য টিকাগুলো খুব সাবধানে সরবরাহ করতে হচ্ছে। কারণ কিছু লোক প্রথম ডোজের জন্য এসেছেন এবং কিছু লোক দ্বিতীয় ডোজের জন্য।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় গণ টিকাদান শুরু
গোয়ালন্দে ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে টিকাদানে মানুষের ভিড়
আগামী সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ টিকা আসছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আগামী সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ টিকা এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকার চালান পেতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১০ লাখ ডোজ টিকা শিগগিরই পাবে।
আরও পড়ুনঃ জাপানের দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তৃতীয় চালান ঢাকায়
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ভালোভাবেই গুছিয়ে নিয়েছি। আমরা মনে করি, আমরা সঠিক পথেই আছি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের কথা উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে এক কোটি ২৩ লাখ ডোজ টিকা মজুদ আছে। এর মধ্য থেকে কিছু টিকা (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে রাখা হবে।
যৌথভাবে টিকা উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যৌথভাবে সিনোফার্ম টিকা উৎপাদন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) যে কোনো মুহূর্তে স্বাক্ষরিত হবে।
আরও পড়ুনঃ সিনোফার্মেরর সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ করেন, আইন মন্ত্রণালয় যাচাই -বাছাইয়ের পর ইতোমধ্যেই তা অনুমোদন করেছে এবং এটি যে কোনো মুহূর্তে স্বাক্ষরিত হবে। সবকিছুই চূড়ান্ত।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকার উৎপাদন অপরিহার্য। আমি যৌথ উৎপাদনের শুরু চাই।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত এটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার, সিনোফার্ম এবং একটি স্থানীয় কোম্পানি (ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড) চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
জাপানের দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তৃতীয় চালান ঢাকায়
বাংলাদেশকে জাপানের উপহার দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তৃতীয় চালান ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা নিয়ে জাপান থেকে একটি কার্গো বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
জাপান সরকার বাংলাদেশকে কোভাক্স সুবিধার আওতায় ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই চালান তারই অংশ। তৃতীয় চালানসহ জাপান থেকে পাঠানো মোট টিকার পরিমাণ হলো ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ ডোজ। এর আগে ২৪ জুলাই প্রথম চালানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ এবং ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পায় বাংলাদেশ।
জাপানের স্থানীয় সময় সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের (এএনএ) একটি কার্গো বিমান অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই চালান নিয়ে নরিতা বিমানবন্দরের ১ নং টার্মিনাল ছাড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকার পথে জাপানের দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় চালান
মঙ্গলবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক এই টিকা গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। ইতো বাংলায় বলেন, কাল থেকে ঢাকা শহরে এই টিকাদান শুরু হয়েছে। আমি শুনেছি, আগামী ৭ তারিখ থেকে সারা দেশে এই টিকাদান শুরু হবে। বাংলাদেশ সরকার ভালো করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। যারা এই অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। সেই পনেরো লাখ বন্ধুদের হাসিমুখ কল্পনা করে, আমরা খুব আনন্দিত। আমরা বাংলাদেশকে মোট ৩০ লাখ টিকা দেবো। আমরা মন দিয়ে চেষ্টা করছি, যাতে বাকিগুলো এই মাসের মধ্যে পৌঁছাতে পারি। এই করোনার দুর্যোগে আমরা আপনাদের সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে লড়ছি। আমরা সবসময় বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের পাশে আছি।
আরও পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে আজ
ইতো আরও বলেন, এই ভ্যাকসিন সহায়তা কোভিড -১৯ এর বিস্তার রোধে এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে দেশটির সরকারের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপান আশা করছে, বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু / ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত এবং ব্যাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এটি পুনরাবৃত্তি করে যে কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাপান বাংলাদেশের পাশে আছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোভিড-১৯ দমন করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
এর আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিতসু মোতেগিও এক ঘোষণায় বলেছেন, তারা এই অঞ্চলের ১৫ টি দেশকে কোভেক্সের আওতায় ১১০ কোটি টিকা দিবে।
আরও পড়ুন: আরও প্রায় আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসছে