চিকিৎসা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে সিঙ্গাপুর রওনা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, আব্বাস তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও তাদের দুই ছেলেকে নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
শায়রুল জানান, আব্বাস দীর্ঘদিন ধরে পেটের সমস্যাসহ একাধিক রোগে ভুগছেন এবং তিনি বিভিন্ন সময়ে দেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আব্বাসের শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শে সিঙ্গাপুরে যান।
তিনি জানান, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন এই বিএনপি নেতা।
গত বছরের ২৩ মে পেটের সমস্যায় আব্বাসও একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: আর নিপীড়ন সহ্য নয়, উপযুক্ত জবাব দিন: মির্জা আব্বাস
এছাড়া বিএনপির মহিলা শাখা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় সেখানে চিকিৎসা নিবেন বলে জানান রফিকুল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে মির্জা সাফারুহও সিঙ্গাপুরে যান।
তিনি এখন তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
ব্যক্তিগত সচিব এম ইউনুস আলী ইউএনবিকে জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে মির্জা সাফারুহ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ঘাড়ের স্নায়ুতে ব্লকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ফখরুলকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এছাড়া বিএনপি নেতার স্ত্রীর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে বলেও জানান ইউনুস।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কবে ঢাকায় ফিরবেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ফখরুল, সেখানে তার ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকে প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আইনি কাঠামোর বাইরে তাদের কিছু করার নেই।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়: কাদের
এসময় এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘(বিএনপি) খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছে। এটি এখন নোংরা পর্যায়ে চলে গেছে।’
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা মামলাগুলো নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা করছেন এবং খালেদা জিয়াকে মরার আগেই কয়েকবার মেরে ফেলছে মির্জা ফখরুলরা।’
আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ ছাড়াই কিছু বিদেশি আসেন: কাদের
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
একসঙ্গে চার হাজার রোগীর চিকিৎসা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে আধুনিকায়নের জন্য সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালটিকে আরও বড়, আরও সুন্দর ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমরা ইতোমধ্যে একটি নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা পরিকল্পনা তৈরি করেছি, যাতে একসঙ্গে চার হাজার রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে পারে।’
সোমবার ৭৮তম ঢাকা মেডিকেল কলেজ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনু্ঠানে।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্টের উদ্যোগে রাজধানীর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালের জন্য এই পরিকল্পনা যদি দ্রুত শুরু করা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় এটি একটি দৃষ্টান্ত হবে।
চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণার সংখ্যা এখনও কম।
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এখানে গবেষণা করেন। কিন্তু এই যুগে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণায় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকার চিকিৎসা গবেষণার সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তহবিল সরবরাহ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
সারাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মুহাম্মদ কাদের।
এছাড়া যারা ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বলেন, শনিবার (৮ জুলাই) একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮২০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
সংখ্যার বিচারে এটাই এ বছরের সর্বোচ্চ।
সরকারি তথ্যে দেখা গেছে যে ৮ জুলাই থেকে ডেঙ্গুতে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, মানুষ মনে করে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ১ হাজার ৭৭৩ জনসহ ২ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ১১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত করেছে এবং সুস্থ হয়েছে ৯ হজার ৫৪৯ জন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
ভাই এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর দলের চেয়ারম্যান হওয়া কাদের আরও বলেন, ২০১৯ সালে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল। ওই বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। কিন্তু এ বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সরকারি জরিপে দেখা গেছে। এটি আসলে ডেঙ্গুর ভয়াবহ অবস্থার প্রমাণ দেয়।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
এছাড়া ডেঙ্গু নির্মূলে যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তার কার্যকারিতা নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ এমনিতেই চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তাই বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মোশাররফ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
তিনি জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ জুন মোশাররফকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ৮ দিন চিকিৎসা নেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান বিএনপি নেতা।
খন্দকার মোশাররফের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
সাপের কামড়ের চিকিৎসা বিষয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য ডব্লিউএইচও পাবলিক-বেনিফিট টার্গেট প্রোডাক্ট প্রোফাইলের (টিপিপি) প্রথম একটি সিরিজ প্রকাশ করেছে, যাতে বাজারে পাওয়া অ্যান্টিভেনমের গুণমান উন্নত করা যায়। এই ধরনের পণ্যের গুণমান উন্নত করার জন্য এটিই প্রথম নির্দেশিকা। টিপিপি হলো একটি নথি যা নিয়ন্ত্রক, নির্মাতা, গবেষক এবং সংগ্রহকারী সংস্থাগুলোকে নির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পণ্যগুলোর ন্যূনতম এবং সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের সাপের কারণে সৃষ্ট অ্যান্টিভেনমগুলো সাহারান আফ্রিকান সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। টিপিপিগুলো নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে পণ্যগুলো ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার চিকিৎসার চাহিদা মেটানোর জন্য ডিজাইন এবং তৈরি করা হয়েছে। এবং এটি ‘ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত’ - যেমন, নিরাপদ, কার্যকর এবং ব্যবহারের পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত।
একটি উচ্চমানের অ্যান্টিভেনম প্রতি বছর সাপে কামড়ানো প্রায় ৫৪ লাখ মানুষের জন্য সর্বোত্তম উপলব্ধ চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করে। নিরাপদ, কার্যকর অ্যান্টিভেনমগুলো সাপের কামড়ের কারণে অনেকের মধ্যে ৮৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৮০০০ জনের মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে পারে এবং গুরুতর অক্ষমতার তীব্রতা হ্রাস করতে পারে যা আরও হাজার হাজার শিকারকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন:সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
ডব্লিওএইচও গ্লোবাল এনটিডি প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. সোস ফল বলেছেন, ‘উচ্চ মানের, নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিভেনমের অ্যাক্সেস ইক্যুইটির একটি সমস্যা এবং এই সমালোচনামূলক কাজটি এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আমাদের এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আসে’।
অ্যান্টিভেনমগুলো প্রায় ১৩০ বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এখনও, অবধি, সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং কার্যকরী ব্যবহারের জন্য সঠিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এমন উচ্চ মানের পণ্য কীভাবে ডিজাইন এবং তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকা নেই।
বিভিন্ন ধরণের প্রচলিত প্রাণীর প্লাজমা থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিভেনমের জন্য চারটি টিপিপি
এর মধ্যে প্রথমটি এমন পণ্যগুলো সাব-সাহারান আফ্রিকা জুড়ে সাপের কামড়ের কারণ নির্বিশেষে সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্যব্যা পকভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। দ্বিতীয়টি হলো একটি একক প্রজাতির সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য। এই উভয় বিভাগের পণ্য বর্তমানে বাজারে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
অন্য দুটি বিভাগ এমন পণ্যগুলোর জন্য যেগুলো সাব-সাহারান আফ্রিকায় এখনও বিদ্যমান নেই, তবে বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে উন্নত হলে তাদের একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ধরনের নতুন পণ্যগুলোর মধ্যে একটি অ্যান্টিভেনমগুলোর জন্য যেখানে সাপের কামড় প্রধানত নিউরোটক্সিক প্রভাবে প্রভাবিত একটি সিন্ড্রোম সৃষ্টি করে, অন্যটি নন-নিউরোটক্সিক সাপের কামড়ের সিনড্রোমগুলোর জন্য যা রক্ত জমাট বাঁধা বা প্যারালাইটিক প্রভাব ছাড়াই টিস্যু নেক্রোসিসের প্রভাব জড়িত।
এই টিপিপি’র প্রস্তুতকারক, নিয়ন্ত্রক, ক্রয় সংস্থা, চিকিৎকক এবং গবেষকদের নির্দেশিকা প্রদানের উদ্দেশ্যে এবং অ্যান্টিভেনমের গুণমান, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা এবং এইভাবে সাপের কামড়ের আরও ভাল চিকিৎসার উন্নতিতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
খালেদা জিয়া সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন
হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (১৭ জুন) বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
তিনি বলেন, ‘তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আজ বিকাল ৫টায় নিজ বাসভবনে ফিরবেন। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলবে।’
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নগরীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না এই শর্তে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন সম্রাট
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল। এজন্য এদিন সম্রাট সকালে আদালতে হাজিরা দেন।
তবে তার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ জুলাই অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সম্রাটের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী জানান, আজকে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
তবে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট আমরা এখনো সংগ্রহ করতে পারেনি। এজন্য সময়ে আবেদন করি।
তিনি আরও বলেন, আদালত সময়ের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এছাড়া, আমরা আজকে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে শুনানি করেছি। আদালত স্বল্প সময় অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন। যে কোনো দেশে ভিসা পাওয়ার এক মাসের মধ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ধর্ষণচেষ্টা মামলার এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) বিকালে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত নূর ইসলাম (৫৫) জেলার কাজিপুর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান বলেন, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ধর্ষণচেষ্টা মামলায় নূর ইসলামকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রবিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. মশিউর রহমান বলেন, জেল হাজতে আসার পর থেকেই নূর ইসলাম হাইপার টেনশন রোগে ভুগছিলেন। রবিবার দুপুরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষণিক আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে ১৫ মিনিট চিকিৎসা নেওয়ার পরই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগারের হাজতির মৃত্যু
নেত্রকোণায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু