কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস কানাডার
সংকটকালে বাংলাদেশকে কানাডা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বাংলাদেশ কানাডা থেকে কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পটাশিয়াম সার আমদানি করে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'পটাশিয়াম মূলত তিনটি দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরবরাহ হয়। বেলারুশ, রাশিয়া ও কানাডা। আমরা কানাডা থেকেও আনি, তাদের সঙ্গে সরকার টু সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি বছরই তারা একটা ভালো অ্যামাউন্ট আমাদের সরবরাহ করে। ইতোমধ্যে বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে, তাদের কাছ থেকে আমরা পটাশিয়াম আনতে পারছি না। রাশিয়া থেকে আনতাম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটাও বন্ধ রয়েছে। এই মুহূর্তে সবাই কানাডার উপরে নির্ভর করছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'উনারা কথা দিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত এটা ব্যক্তিগতভাবে দেখবেন যাতে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম কানাডা থেকে পেতে পারি।'
আরও পড়ুন: হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাস কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এসময় বেলারুশ ও রাশিয়া থেকে আমদানির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কানাডাকে পটাশিয়াম সার সরবরাহ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানা কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ‘কানাডা থেকে আমরা অনেক কৃষি পণ্য আমদানি করে থাকি, যে সকল পণ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। কিংবা ভালোভাবে আমরা উৎপাদন করতে পারিনা। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, সয়াবিন, অন্যান্য তেল ও খাদ্যপণ্য আমরা কানাডা থেকে আনি।
তিনি আরও বলেন, করোনা ও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে একটা বিরাট সংকটের আশঙ্কা করছে সবাই। ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে একটা ভয়াবহ খাদ্য সংকট হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
হাওরের ৯০% বোরো ধান কাটা শেষ
এখন পর্যন্ত হাওরের প্রায় ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৮০ শতাংশ, নেত্রকোনায় ১০০ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৮ শতাংশ, সিলেটে ৯২ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৮৮ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৯০ শতাংশ এবং সুনামগঞ্জে ৯৫ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এ বছর দেশের হাওরভুক্ত সাতটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান আবাদ হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে, কাটা শেষ হয়েছে চার লাখ ৫০০ হেক্টর। আর হাওরের বাইরে উঁচু জমিতে (নন-হাওর) আবাদ হয়েছে চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে।
মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে, যা শতকরা হিসাবে ৬০ ভাগ ( হাওরে ৯০ শতাংশ, নন-হাওরে ৩২ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: বন্যার পানি হাওরে ঢুকে ফসলহানির আশঙ্কা সুনামগঞ্জের কৃষকদের
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়ায় হাওরে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। শুধু সুনামগঞ্জ জেলাতেই ৫৭৭টি কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে বৈরি পরিবেশের মধ্যেও দ্রুততার সঙ্গে বোরো ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য শুরু থেকেই কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় এক হাজার ৬০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে ৩০০টি কম্বাইন হারভেস্টার অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা।
আরও পড়ুন: আগাম প্রস্তুতির কারণে এবার হাওরে ক্ষতি কম হয়েছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বিএনপিকে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
ক্ষমতায় যেতে চাইলে আন্দোলন না করে বিএনপিকে গরীব দুঃখী মানুষরে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের জনসমর্থন নেই। রাজনীতির নামে, গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করে, জ্বালাও-পোড়াও আর হরতাল করে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। ক্ষমতায় যেতে চাইলে আপনাদেরকে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণের সমর্থন না পেলে কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।’
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা প্রাঙ্গণে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণের জন্য রাজনীতি ও গঠনমূলক সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজনীতির নামে, আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দেবেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন, হরতাল করবেন, রেললাইন উপড়ে ফেলবেন, সেটি আমরা করতে দিব না। এটি গণতন্ত্র না, রাজনীতি না। আন্দোলন করে অতীতে আপনারা সফল হন নাই, ভবিষ্যতেও কখনও সফল হবেন না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে সার পাওয়া যেতো না। চালের দাম বেশি ছিল, মানুষ চাল কিনতে পারত না। প্রতিবছর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হতো, মানুষ ৩-৪ দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকতো, না খেয়ে অনেক মানুষ মারাও যেতো। সেখানে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কৃষি উন্নয়ন ও ব্যাপক খাদ্য সহায়তার ফলে দেশে খাওয়ার কোন কষ্ট নেই, মঙ্গা নাই; বরং সব মানুষ খাবার পায়।
তিনি বলেন, তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষে গরীব ও দুঃস্থ মানুষকে চাল দিচ্ছেন, যাতে করে কোনক্রমেই একটি মানুষও যেন খাদ্যের কষ্ট না করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভালবাসেন, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত আছেন।
অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বকলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য: কৃষিমন্ত্রী
হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, সবসময়ই গণতন্ত্র চর্চা করে এসেছে। আগামী নির্বাচনেও দলটি গণতন্ত্র চর্চা করবে।
সোমবার টাঙ্গাইল শহরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন দেশিয় শক্তি, চক্রান্তকারী ও বিদেশিদের যারা পা চাটে- এমন কেউ এ নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে তারা কোন পক্ষ নেবে না, এটিই স্বাভাবিক। এটিকে আমরা অভিনন্দন জানাই। সকলের কাছে এটিই প্রত্যাশা করি। কোন দেশের কোন রকম হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব না।
আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন এসময় মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের মনে রাখতে হবে, দেশের জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। নির্বাচন ছাড়া ষড়যন্ত্র করে বা চোরাগলি পথে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আরও পড়ুন: হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
হাওরের ফসলের ঝুঁকি কমাতে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
হাওরে বোরো ধানের ঝুঁকি কমাতে স্বল্পজীবনকালীন আগামজাতের ধান চাষ, টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সময়মতো সংস্কারে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। এছাড়া ধান পাকার পর তা দ্রুত কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার প্রদানেও গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।শনিবার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ও বোরো ধানখেত পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, হাওরে ১২-১৪ লাখ টন ধান হয়, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কোনো কোনো বছর আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে ১৫-২০ দিন আগে পাকে এমন জাতের ধানচাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব জাত চাষে কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে।ব্লাস্ট রোগ হওয়ায় ব্রি২৮ ও দেরিতে পাকার কারণে ব্রি২৯ ধান হাওরে চাষ না করার জন্য কৃষকদেরকে এসময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বছরে মাত্র একটি ফসল বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে, সেজন্য উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন ব্রিধান ৮৯, ব্রিধান ৯২ এবং বিনাধান-১৭ চাষ করতে হবে। আমরা আপনাদেরকে এসব উন্নত জাতের ধানের বীজ দেব। আপনার এগুলো চাষে এগিয়ে আসবেন।বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী বোরোতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হবে। এছাড়া, সারা বছর ধরে ভিজিএফসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে, যাতে খাদ্যের জন্য কেউ কষ্ট না করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
ফসল রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সময়মতো সংস্কারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকলে মিলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাঁধগুলো অনেকক্ষেত্রে সময়মতো সংস্কার হয় না। এক্ষেত্রে বাঁধ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যমান নীতিমালার প্রয়োজনে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া, পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নদী খননে উদ্যোগ নেয়া হবে।শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে ও দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার কৃষকদের দিচ্ছে।ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে আগাম বন্যা বা আকস্মিক ঢলের কারণে হাওরে বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবছরই আতঙ্কে থাকি। বৃষ্টি আর নাহলে এ বছরের অবশিষ্ট ধানগুলো কৃষকের ঘরে তোলার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, দেশের অন্য অঞ্চল থেকেও যন্ত্র আনা হচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও রাজনীতিবিদরা কৃষকের পাশে রয়েছে।পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সুনামগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিএমডিএর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।পরে কৃষিমন্ত্রী সদর উপজেলার জাওয়ার হাওরে স্বল্পজীবনকালীন আগামজাত বিনাধান-১৭ এবং উচ্চফলনশীল ব্রিধান ৮৯ কর্তন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ধান কাটার যন্ত্র ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার’ কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে এই মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী
হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে খাদ্য সংকটের বিএনপির আশা পূরণ হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে খাদ্য সংকট হোক’-বিএনপির এই আশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে চায় দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার হোক, দুর্ভিক্ষ হোক। তারা মনে করে-দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, রাস্তাঘাটে মানুষ না খেয়ে মরে পড়ে থাকবে, আর তা নিয়ে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শুক্রবার রাজধানীর শ্যামপুর মডেল স্কুল মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনাকালেও দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে আছেন। কাজেই, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে কখনও খাদ্য সংকট হবে না, কোন দুর্ভিক্ষও হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোট, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবীরা করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলাদশের ব্যর্থতা দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে তাদের এই চাওয়াকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। এখন জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, করোনা মোকাবিলায়ও রোল মডেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশের মানুষের বিপদে আপদে আওয়ামী লীগ সব সময়ই পাঁশে থাকে, বিএনপি কখনও থাকে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটাকে লুটপাট করে অর্থবিত্ত উপার্জন করেছেন, নিজেদের ভোগবিলাসে ব্যয় করেছেন আর বিদেশে পাচার করেছেন। প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াননি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, মানুষকে সহযোগিতা করেছে।
হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকবে সরকার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অবশ্যই আমাদের প্রণোদনা দেয়ার পরিকল্পনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। আমরা ইতোমধ্যে কর্মসূচি নিয়েছি আউশে প্রণোদনা দেয়ার জন্য। ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে অবশ্যই চাষীদের পাশে থাকবে এই সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে এই মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রতি বছর দুই কোটি টন বোরো উৎপাদন হয়। এরমধ্যে ১২ লাখ টন হয় হাওরে, যেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ১২ লাখ টনও বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।
এসময় সারে ভর্তুতি বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
দেশে এই মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী
দেশে এই মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবছর ২৬ লাখ টন ইউরিয়া লাগে, টিএসপি সাড়ে সাত লাখ টন, ডিএপিপি সাড়ে ১৬ লাখ টন, এমওপি সাড়ে সাত লাখ টন লাগে। আজ পর্যন্ত আমাদের মজুদে কোনো সমস্যা হয়নি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরই অর্থবছরের শেষে আমরা আগামী অর্থ বছরের জন্য কি পরিমান সার প্রয়োজন সেটি নির্ধারণ করি। এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য কি ধরনের নীতি বা কৌশল নেবো। যাতে করে কৃষি উৎপাদন কোন ক্রমে বাধাগ্রস্ত না হয়। সার নিয়ে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সার না পেয়ে ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। তারা কোনো সাহায্যে চায়নি, তারা শুধু ন্যায্য মূল্যে সার চেয়েছিলো এজন্য তাদের রক্ত দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এরপর ২০০৩/২০০৪/২০০৫ সহ প্রায় প্রতিবছর সারের সংকট হয়েছে। ডিলারদের কারসাজিসহ সব কিছুর মধ্যেই ত্রুটি ছিলো। ফলে সার সংগ্রহ ও বিতরণে চরম অব্যবস্থাপনা ছিলো। তবে বর্তমান সরকার তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছে। খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, আমাদের অর্থনীতির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে একটি হলো কৃষি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষির গুরুত্ব অতীতেও ছিলো, আগামীতেও থাকবে। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের জীবিকা কোন কোনভাবে কৃষির সাথে জড়িত। এজন্য সারের বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখি। প্রধানমন্ত্রী সে নির্দেশ দিয়েছেন সার ব্যবস্থাপনা যাতে কোনো সমস্যা না হয়। সার নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন উপকরণ ও কাঁচামাল শিপিং নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বলা হচ্ছে সারা বিশ্বে খাদ্য ঘাটতির সমস্যা দেখা দেবে। কানাডার মতো দেশে মানুষ লাইন ধরে রুটি কিনছে, কাউকে ৫ লিটারের বেশি ভোজ্যতেল দেয় না। এই পরিস্থিতিতে আজকের সভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষির উৎপাদন আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, কোনো ক্রমেই আমরা বিদেশের উপর নির্ভরশীল না হই।
ড.রাজ্জাক বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই সারের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে সারের দাম বাড়েনি। আজকে আমরা সংগ্রহের পরিমাণ সমান রেখে দাম ঠিক রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটাই মূল কথা। ৩০ হাজার কোটি টাকা সার সংগ্রহ করতে এ বছর দিতে হবে। আগামী বছর পরিস্থিতি কি হবে আমি জানিনা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে দীর্ঘক্ষণ পর্যালোচনা করেছি সার নিয়ে। এপর্যন্ত মজুদ অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপিপি বেশি আছে। ইউরিয়া যেটুকু দরকার সেটাই আছে। তবে সামনে কি হবে সেজন্য আমাদোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
এসময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কৃষিমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য জহিরুল ইসলাম, কৃষি সচিব মো. সাইদুল ইসলাম ও শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, সার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কোনভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার
দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই। অথচ বিএনপির একদল নেতা সারাদিন শুধু টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় খাদ্য সংকটের কোরাস গেয়ে চলেছে, যা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঘিওর উপজেলায় ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর বীজ উৎপাদন মাঠ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোরাস গাওয়ার আগে বিএনপি ও সুশীল সমাজকে ২০০১-০৬ সময়ের দিকে ফিরে তাকানোর আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে থেকেছে, প্রতিবছর মঙ্গায় শত শত মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। সেসময়ের পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা মিলে খাদ্যের জন্য হাহাকার আর অনাহারে মৃত্যুর খবর। অন্যদিকে গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান ৮৯ ও ব্রি ৯২ দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এ দুটি বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় এক মণ। এটিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য এসব জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য এবার কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ দেয়া হয়েছে। সারা দেশে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে কৃষকদেরকে আরও প্রণোদনা দেয়া হবে।
কৃষিজমি রক্ষায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা মহামারি রয়েছে, অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে গম আসছে না। ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই দুর্ভিক্ষের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। সেজন্য, কৃষি উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে হবে। কাজেই কৃষিজমি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
তিনি বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় যে আইন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিল্পায়নও করতে হবে, আবার কৃষিজমিও রক্ষা করতে হবে। এ দুটির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবছর ধানবীজ উৎপাদনের জন্য মানিকগঞ্জের ১৬টি স্পটে ১০৪৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর আবাদ হয়েছে। ৮১৪ জন কৃষক এ বীজ ধান চাষ করেছেন। কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রণোদনা ও পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিনামূল্যে ৫ হাজার কেজি বীজ দেয়া হয়েছে। সমলয়ের আদলে একসঙ্গে ধান রোপণ করা হয়েছে, হার্ভেস্টারের মাধ্যমে একই সময়ে ধান কাটাও হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
‘বিএনপির জাতীয় সরকার হবে-রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার’ মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৬০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। এই আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি, সেটি কী জাতীয় সরকার হবে? এটি হবে রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার।’
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘আপনাদেরকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দূরে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে, তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোনো দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোনদিন জাতীয় সরকার হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি, অর্থনীতিকে ধ্বংস ও মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এছাড়া গত ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সব মিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না। বার বার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোন সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।