কৃষিমন্ত্রী
দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই। অথচ বিএনপির একদল নেতা সারাদিন শুধু টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় খাদ্য সংকটের কোরাস গেয়ে চলেছে, যা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে, মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঘিওর উপজেলায় ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর বীজ উৎপাদন মাঠ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোরাস গাওয়ার আগে বিএনপি ও সুশীল সমাজকে ২০০১-০৬ সময়ের দিকে ফিরে তাকানোর আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে থেকেছে, প্রতিবছর মঙ্গায় শত শত মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। সেসময়ের পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা মিলে খাদ্যের জন্য হাহাকার আর অনাহারে মৃত্যুর খবর। অন্যদিকে গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান ৮৯ ও ব্রি ৯২ দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এ দুটি বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় এক মণ। এটিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে চাই। সেজন্য এসব জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য এবার কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ দেয়া হয়েছে। সারা দেশে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে কৃষকদেরকে আরও প্রণোদনা দেয়া হবে।
কৃষিজমি রক্ষায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা মহামারি রয়েছে, অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে গম আসছে না। ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই দুর্ভিক্ষের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। সেজন্য, কৃষি উৎপাদনে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে হবে। কাজেই কৃষিজমি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
তিনি বলেন, কৃষিজমি রক্ষায় যে আইন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিল্পায়নও করতে হবে, আবার কৃষিজমিও রক্ষা করতে হবে। এ দুটির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবছর ধানবীজ উৎপাদনের জন্য মানিকগঞ্জের ১৬টি স্পটে ১০৪৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর আবাদ হয়েছে। ৮১৪ জন কৃষক এ বীজ ধান চাষ করেছেন। কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রণোদনা ও পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিনামূল্যে ৫ হাজার কেজি বীজ দেয়া হয়েছে। সমলয়ের আদলে একসঙ্গে ধান রোপণ করা হয়েছে, হার্ভেস্টারের মাধ্যমে একই সময়ে ধান কাটাও হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
‘বিএনপির জাতীয় সরকার হবে-রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার’ মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৬০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। এই আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি, সেটি কী জাতীয় সরকার হবে? এটি হবে রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার।’
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘আপনাদেরকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দূরে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে, তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোনো দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোনদিন জাতীয় সরকার হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি, অর্থনীতিকে ধ্বংস ও মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এছাড়া গত ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সব মিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না। বার বার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোন সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে নিত্যপণ্যের সামান্য দাম বৃদ্ধিকে অতিরঞ্জিত করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির পায়তারা করছে। প্রতিবাদের নামে দেশে অরাজকতার চেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুটা বাড়লেও দেশে খাদ্যদ্রব্যের কোনো হাহাকার বা সংকট নেই। এ অবস্থায় বিএনপি যদি মনে করে এই ইস্যুতে দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করবে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, সেটি তারা কিছুতেই পারবে না। তাদের এ অপপ্রয়াস অতীতের মতো এবারও ব্যর্থ হবে।
রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মালাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব খাদ্যশস্যের দামের ওপর পড়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশেও সম্প্রতি নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। এ অবস্থায় দেশে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ও মানুষের কষ্ট লাঘব করতে সরকার নিরলস চেষ্টা করছে।
শেষ হলো এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলন
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) চার দিনব্যাপী ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি) শেষ হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে ডিজিটাল হাব স্থাপন, গবেষণার জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন, সবুজায়ন বৃদ্ধি, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব ও আন্তনির্ভরশীল হিসেবে বিবেচনা করে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচকে অগ্রাধিকার দিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছে এপিআরসির সদস্য ৪৬টি দেশ।
শুক্রবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ পরবর্তী দুই বছরের জন্য এপিআরসির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। পরবর্তী ৩৭তম এপিআরসি সম্মেলন শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা যেরকমটা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে। মানবজীবনের সবকিছুকেই এটি প্রভাবিত করবে, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি। আর করোনার প্রভাবে এ অঞ্চলের কৃষি, খাদ্য ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। সারের উৎপাদন কমে গেছে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মালদ্বীপ তাদের অস্থিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনের আগে প্রতিশ্রুতিগুলো কাজে পরিণত করতে হবে: রবার্ট ডিকসন
মন্ত্রী জানান, এ অবস্থায়, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও করোনা মোকাবিলা করে টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গবেষণার মাধ্যমে ফসলের নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা সম্প্রসারণে একসাথে কাজ করার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে। এখানে এফএও বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
কৃষিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য একটি ‘বিশেষ ফান্ড’ গঠনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে এটিকে চূড়ান্ত রিপোর্টের মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে কৃষিমন্ত্রী জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলনে ডিজিটালাইজড কৃষি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশ এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এফএওকে একটি ‘ডিজিটাল হাব’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল, সকল দেশ এটি গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল হাবে ৪৬টি দেশের কৃষিপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী তথ্যসমৃদ্ধ থাকবে, যাতে সকলদেশ উপকৃত হতে পারে। জাপানের উদাহরণ তুলে মন্ত্রী বলেন, জাপান কৃষিতে ড্রোন, রোবট ব্যবহার বা প্রিসিশন কৃষি করছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষায় ‘ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ গ্রহণ করা হয়েছে। ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরে রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়। জুনোটিক বা প্রাণি থেকে মানুষে সংক্রমিত রোগের প্রকোপ দিনদিন বেড়ে চলেছে। চলমান করোনা মহামারি এর অন্যতম উদাহরণ। এ অবস্থায় এ অঞ্চলে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে দেশগুলো।
ভালো পরিবেশেই শুধু ভালো জীবনযাপন করা সম্ভব উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, এশিয়া প্যাসিফিকে যে খাদ্য যতটা পাওয়া যাচ্ছে, সেটা যেন নিরাপদ এবং পুষ্টিকর হয়-সেটা নিশ্চিত করতে সকল দেশ একমত রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্মেলন আয়োজনের জন্য সদস্যদেশসমূহ বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তারা বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় মোদি
এফএও সম্মেলন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে খাদ্য সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে দেশে খাদ্য সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি। আমাদের ফুডস্টক যেটা আছে, প্রোডাক্টিভিটি যেটা আছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের কোন মেজর প্রবলেম হবে না। কোন খাদ্য সংকট, হাহাকার- এরকম কিছু হবে না।
বুধবার সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডং ইউ এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।দিন দিন সকল ধরনের পণ্যের দাম তো বেড়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মানুষের একটু তো কষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে। আগামী এপ্রিলে তো আমরা বড় ফসলের মৌসুম পাব। আমি আশা করছি কোন সমস্যা হবে না।তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি। আপনারা অনেকে আমার সঙ্গে নাও এগ্রি করতে পারেন। আমি গতকাল টেলিফোন করে কক্সবাজারেও কথা বলেছি। তারা বলছে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। এটার দাম গত এক দেড় মাস যাবত ৪০/৪২ টাকার মধ্যেই আছে। সরু চালের দাম বাড়ছে, সরু চালের আসলেই ঘাটতি আছে। মানুষের ইনকাম বেড়েছে। এজন্য মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তবে আমরা আমাদের গরীব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি।আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এফএও’র সম্মেলন চলছে। এজন্য এফএও’র ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘণিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীভাবে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও।তিনি বলেন, আমরা এখনও ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন টন ভূট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে, এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী অক্টোবরে তারা বিনিয়োগ সম্মেলন করবে। তারা আশা করছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। আমরা এখন পাইপ দিয়ে সেচটা করতে চাই। এক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ দরকার। আমরা লবনাক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য করতে যাচ্ছি। আশা করি এসব ক্ষেত্রে এফএও আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামীকাল ঢাকায় এফএও’র এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্মেলন শুরু
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের চার দিনের আঞ্চলিক সম্মেলন মঙ্গলবার শুরু হবে।
এতে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৬টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবার শুরু হয়ে এ সম্মেলন চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। করোনার কারণে এবার হাইব্রিড ফরম্যাটে (সরাসরি ও ভার্চুয়াল) এই সম্মেলন হবে। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির ৯০০ জন প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন। সম্মেলনে সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন সম্মানিত সদস্যও অংশ নেবেন।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, এবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সম্মেলনের মূল অধিবেশন এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, এ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এবারের সম্মেলনের মঙ্গল ও বুধবার সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সভা এবং শেষ দুই দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার কৃষিমন্ত্রী পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ের সভা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্মেলনটিকে সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই, যাতে করে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।’
১৯৫৩ সালে ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে এফএও’র প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এই সংস্থার সদস্য হয়।
জাপানকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান মন্ত্রীর
কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা জাপানের প্রতিষ্ঠান ইয়ানমারকে বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরির জন্য কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিযন্ত্রে ব্যাপক ভর্তুকি দিচ্ছে। ফলে, কৃষিকাজে যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষিযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। জাপানি ইয়ানমার কোম্পানির যন্ত্রেরও চাহিদা অনেক। কাজেই, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে ইয়ানমার কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে পারে।’
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় দীপ্ত টেলিভিশন চত্বরে ইয়ানমার কোম্পানির কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
এসময় জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, বাংলাদেশের সাথে যৌথ উদ্যোগে এদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজি বেনজীর আলম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি দেবাশীষ রায়, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফম আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
পরে কৃষিমন্ত্রী এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার আমরা ছোট্ট এদেশ থেকে উৎপাদন করছি। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। তবে এখন চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
জাপানের প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাপান খুবই শিল্পোন্নত দেশ। তারপরও তারা কৃষি উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে, যাতে খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে না হয়।
আমরাও খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে পারি না। সেজন্য, বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা উসমান তুরান, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
সার্চ কমিটিতে নাম না দিয়ে ভুল করেছে বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে নাম না দিয়ে বিএনপি ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তবে সার্চ কমিটিতে নাম না দিলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সার্কিট হাউসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটিতে এককভাবে নাম পাঠাবে আ’লীগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে বিএনপি নাম দেয়নি, তাতে কিছু যায় আসে না। তারা না দিলেও অনেকেই নাম দিয়েছে। এসব নাম থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি ভাল নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তবে বিএনপি সার্চ কমিটিতে নাম না দিলেও তারা নির্বাচনে আসার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। নির্বাচনে না এসে সন্ত্রাস করে তারা কোন দিনও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। তারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। দেশের গণতন্ত্র চরমভাবে অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। জঙ্গিবাদের উত্থানে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল। তারা কাকে নিয়ে আন্দোলন করবে। আন্দোলন করতে হলে তো জনসমর্থন লাগে। এখন তাদের সেই জনসমর্থনও নেই। আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপিকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া উচিত। নির্বাচনে জিতে আসতে পারলে আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাবো।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য সার্চ কমিটিতে নাম দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের দেয়া নামগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠন নাম দিয়েছে। তারাও হয়তো আওয়ামী লীগের দেয়া নামের চেয়ে অনেক যোগ্য ও নিরপেক্ষ মানুষের নাম দিয়েছে। এর মধ্য থেকে যোগ্য ও ভালো ব্যক্তিদের দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। যার মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচন কমিশন পাবো যারা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিবে।’
পৃথিবীতে সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা যত বড় হোক, যতই শত্রুতা থাক। সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে হবে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতেও পুতিন ও বাইডেন টেলিফোনে কথা বলছেন। কাজেই বিএনপি যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা অরাজনৈতিক ও অগঠনমূলক।’
আরও পড়ুন: দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
সার্চ কমিটিতে নাম না দেয়া প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘বিএনপি এর আগেও অনেক ভুল করেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল। তারা জাতির অনেক ক্ষতি করেছে। তারা রেললাইন তুলেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এসব করে তাদের কোন লাভ হয়নি, অনেক ক্ষতি হয়েছে। ২০১৫ সালে একই পন্থায় তারা সরকারের পতন চেয়েছিল। তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল। তাদের দেয়া আগুনে পুড়ে অনেকেই মারা গেছেন। এখনও দগ্ধ অনেকে কষ্টকর জীবন যাপন করছেন।’
সার্চ কমিটিতে এককভাবে নাম পাঠাবে আ’লীগ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সার্চ কমিটিতে জোটগতভাবে নয়, এককভাবে পাঠাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নৌদ হামিলির্স এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সার্চ কমিটিতে নাম পাঠানো বিএনপির দায়িত্ব। সার্চ কমিটিতে তারা নাম দিল কি দিল না- তাতে কিছু যায় আসে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সার্চ কমিটি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এমন একটা কমিশন গঠন করবে, যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি যতই আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি দিক না কেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তারা শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিশ্চিত করেছেন। দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না। এখন প্রধানমন্ত্রী মানুষের বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন। ঘরহীনকে ঘর দিচ্ছেন, যাতে করে কেউ ঘরহীন, গৃহহীন না থাকে। ফলে, এ দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না।শনিবার টাঙ্গাইলের মধুপুরে শোলাকুড়িতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিতরণ ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মধুপুর উপজলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।মধুপুরের আদিবাসী গারোদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালি, গারো, হাজং, চাকমা, মারমাসহ অবাঙালি ও সকল ধর্মের বর্ণের সবাই মিলে আমরা একটা পরিবার। বর্তমান সরকার আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু কিছু এনজিও আদিবাসীদের উন্নয়নের নামে বিদেশি সাহায্য এনে নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে ও বাড়ি-গাড়ি কেনায় তা ব্যয় করছে। এ ব্যাপারে আদিবাসীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
গারোদের উপর বন বিভাগের অযৌক্তিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, গারোদের কেউ বন বিভাগের অযৌক্তিক মামলার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হবেন না।অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াকুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহম্মেদ নাসির, শোলাকুড়ি ইউপির চেয়ারম্যান আখতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী