কৃষিমন্ত্রী
বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
ঢাকার পূর্বাচলে দুই একর জমিতে বিশ্বমানের ও দৃষ্টিনন্দন প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর। কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজতকরণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বাচলে দুই একর জমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দিয়েছেন। সেখানে বিশ্বমানের ও দৃষ্টিনন্দন প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপন করা হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এটি স্থাপিত হলে দেশের কৃষি উন্নয়নে তা বিরাট ভূমিকা রাখবে ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।বুধবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনের জন্য পরামর্শকের উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রীপূর্বাচলে বিশ্বমানের ও দৃষ্টিনন্দন প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে কাজ করছে। এফএও কর্তৃক নিযুক্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পরামর্শক বি. গ্লোদ ফ্রান্স থেকে ভার্চুয়ালি এ বিষয়ে তার উপস্থাপনা তুলে ধরেন। উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্যাকিং হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেড ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, জনবল, প্রশিক্ষণ, সম্ভাব্য ব্যয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন পরামর্শক বি. গ্লোদ।এ মতবিনিময় সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য আরটিভি কৃষি পদক আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
দেশে কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে কৃষিতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কৃষিতে সফলতার ধারাবাহিকতা বহাল রাখা ও কৃষিকে আধুনিকায়ণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাঁকে এ সম্মাননা জানায় আরটিভি এনআরবিসি কৃষি পদক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আরটিভি এনআরবিসি কৃষি পদক ২০২২ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রীর হাতে আজীবন সম্মাননা পদক তুলে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে বাণিজ্যিক করা সরকারের লক্ষ্য। আমরা চাই শিক্ষিত বিশেষ করে শহরের তরুণেরা কৃষিকাজে এগিয়ে আসুক, বাণিজ্যিক কৃষিতে বিনিয়োগে করুক। তাহলে খোরপোষের কৃষি বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণ ঘটবে। দেশের বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করবে। তরুণ প্রজন্ম কৃষিপণ্য থেকে বিশাল আয় করবে। কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশে পরিণত করবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন উদ্যানচাষি অনুষ্ঠানে ইউক্যালিপটাস গাছের ক্ষতিকর দিক নিয়ে তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফসলের ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছ যাতে দেশে কেউ রোপণ না করে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ইউক্যালিপটাস গাছ যেগুলো রয়েছে, সেগুলো কর্তনের জন্য উচ্চপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সকলের কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরটিভিকে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিখাতে এ ধরনের পুরস্কার প্রদানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকে ১০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ কৃষক, চাষি ও উদ্যোক্তারা কৃষিকাজে আরও উৎসাহিত হবে।
উল্লেখ্য, দেশের কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত কৃষক, খামারি গবেষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি ও তাঁদেরকে উৎসাহ দিতে আরটিভি কৃষি পদক দিয়ে আসছে গত বছর থেকে। এবছর ১০টি ক্যাটাগরিতে ৮ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম । এতে অন্যদের মধ্যে আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের যে কোনো মূল্যে চালের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, রেকর্ড উৎপাদন ও সর্বকালের সর্বোচ্চ সরকারি মজুদ থাকার পরও দেশে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। চাল আমাদের প্রধান খাদ্য, তাই যে কোনো মূল্যে চালের উৎপাদন আমাদেরকে বাড়াতে হবে।
রবিবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাওর- উপকূলসহ প্রতিকূল এলাকায় ধানের চাষ সম্প্রসারণ এবং নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকল কর্মকর্তাদের সমন্বিত ও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
প্রকল্প পরিচালকদের প্রতি (পিডি) অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেয়ার আশা না করে সততা, নিষ্ঠা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার সামর্থ্যসহ নানা দিক বিবেচনা করে পিডি নিয়োগ দেয়া হয়। পিডি হয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিবেন ও পাবেন এই আশায় তদবির করে পিডি হবেন না। আর যারা পিডি হয়েছেন, তাদেরকে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করতে হবে। সততা, নিষ্ঠা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এসময় সরেজমিনে কঠোরভাবে প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭১টি। মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সবার জন্য নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। সেজন্য, নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলছে।’
শনিবার ঢাকায় এফডিসিতে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে’ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আরও ২টি জেব্রা অসুস্থ, মেডিকেল বোর্ডের জরুরি সভা
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি: কৃষিমন্ত্রী
মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ জরুরি। এ ব্যাপারে উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সমন্বিত ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করার এবং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ‘বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’ ভার্চুয়ালি যোগদান করে এ আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী (২৪-২৮ জানুয়ারি) ১৪তম ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ এর শেষ দিনে কৃষিমন্ত্রীদের এ সম্মেলন হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়ালি কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ভূমির টেকসই ব্যবহার: মৃত্তিকা থেকেই খাদ্য নিরাপত্তার শুরু’ এই শিরোনামে কৃষি-খাদ্য বিষয়ক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বাংলাদেশে মাটির টেকসই ব্যবহারের নানা চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও টেকসই ব্যবহার অনেক চ্যালেঞ্জিং। ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে মাটির অতিরিক্ত ব্যবহার, মাটির অবক্ষয়, দূষণ, লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, মাটির পুষ্টি উপাদানের অবক্ষয়, মাটি ক্ষয় প্রভৃতি সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া, নগরায়ণ, শিল্পায়নসহ নানা কারণে বছরে কৃষি জমি কমছে দশমিক ৪৩ শতাংশ হারে। বাংলাদেশ সরকার মাটির টেকসই ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মাটির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করতে উন্নতদেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সমন্বিত ও জোরাল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে, সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জার্মান ফেডারেল মিনিস্টার অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অজদেমির, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ক ইইউ কমিশনার জানুস্জ উজসিচোস্কি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপমহাপরিচালক জ্যাঁ মেরি পগাম ও বিভিন্ন দেশের কৃষিমন্ত্রীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের মান উন্নয়নে সহযোগিতা দিবে ডেনমার্ক
কৃষিপণ্য ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ডেনমার্ক। এর পাশাপাশি কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নিবে ডেনমার্ক।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যলয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন (Winnie Estrup Petersen) এ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ও এগ্রিবিজনেসে ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও ট্রেড মিশন পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
এই সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। দেশের আম, আনারস, কলা, টমেটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এক্ষেত্রে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রয়োজন। উত্তম কৃষিচর্চা (জিএপি) মেনে খাদ্য উৎপাদনেও ডেনমার্কের সহযোগিতা দরকার।
এছাড়া পূর্বাচলের দুই একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে ডেনমার্কের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে দুই দেশের কৃষিখাত, ডেইরি, নিরাপদ খাবার, খাদ্য অপচয় কমানো, ফুড ভ্যালু চেইন ও ল্যাব উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, কৃষিখাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ব্যাপারেও দুই দেশ সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ডেনমার্ক ও ডব্লিউএফপির’র সমর্থন বৃদ্ধির নিশ্চয়তা
ডেনিস রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব এসএম ইমরুল হাসান, ডেনমার্কের ঢাকা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আলি মুস্তাক বাট প্রমুখ।
শাস্তি নয়, সতর্ক করতে নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও এর কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শাস্তির জন্য নয়, এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক করার জন্য দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার।
রবিবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছি। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য করা হয়েছে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিত ভালো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে নি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করেছে। কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়তো ভুল করেছে, সেজন্য ইতোমধ্যে ১৯০ জন র্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে।
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে রাষ্ট্রদূত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে দু’দেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এবং সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় মার্কিন দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান ফ্রান্সিস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, রক্ষা করে: মুখপাত্র
আইজিপিসহ র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান। পাকিস্তান কী বলে সেদিকে তারা তাকিয়ে থাকে।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে সুইড বাংলাদেশ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১৯ নং ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কাজুবাদাম ও কফি চাষে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের সফলতা বলতে কিছু নেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য বিএনপি দেখতে পায় না। কিন্তু এদেশের জনগণ দেখতে পায়, আর সেজন্য জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে।’
আরও পড়ুন: কৃষিপ্রধান দেশগুলোকে নতুন করে গবেষণা নিয়ে ভাবতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চোখে ঠুলি পরে থাকলে ও কানে তুলা গুজে রাখলে বর্তমান সরকারের সাফল্য দেখতে পাবেন না। আপনিতো বাসা থেকে বের হয়ে হাতিরঝিল দিয়ে যান, পদ্মাসেতুর পাশ দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যান- এগুলো কী চোখে পড়ে না? আপনার নিজের বাড়ি উত্তরবঙ্গে, যেখানে বিএনপির শাসনামলে মঙ্গা লেগে থাকত। সেখানে এখন কোন খাদ্য সংকট নেই, মঙ্গা চিরতরে দূর হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার সময় এ সাফল্য কী দেখতে পান না?’
কম্বাইন হারভেস্টার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে: মন্ত্রী
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত দেশের জমিতে ব্যবহারের সবচেয়ে উপযোগী ও সুলভ মূল্যের ধান কাটার যন্ত্র-কম্বাইন হারভেস্টার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরে ব্রির চত্বরে কম্বাইন হারভেস্টারটির কার্যক্রম পরিদর্শন কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার মেশিনটি উদ্ভাবন করেছে। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। এটির ধান কাটার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি, দেশের ছোট ছোট জমিতে ব্যবহারের উপযোগী। বিদেশের ইয়ানমারসহ বিভিন্ন কম্বাইন হারভেস্টারের দাম ২৫-৩০ লাখ টাকা, আর এটির খরচ পড়বে ১২-১৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রির উদ্ভাবিত যন্ত্রটি আমরা যদি স্থানীয়ভাবে তৈরি করে সারা দেশে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষিকে লাভজনক করতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’
ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্ভাবিত ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা। অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। ঘণ্টায় মেশিনটি ৩-৪ বিঘা জমির ধান কর্তন করতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় সাড়ে ৩- ৪ লিটার। হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম। আর দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যেকোন কম্বাইন হারভেস্টারের তুলনায় এটি ভাল বলে জানান ব্রির বিজ্ঞানীরা।
পরে কৃষিমন্ত্রী ব্রির চত্বরে ব্রির শ্রমিকদের জন্য নির্মিত পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন 'ব্রি শ্রমিক কলোনী ভবন' উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাষোপযোগী ফসল, বিশেষ করে বিভিন্ন ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফসলের জাতের ক্ষেত্রে বিদেশনির্ভরতা ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। আমাদের দেশের চাষোপযোগী জাত আমাদের বিজ্ঞানীদেরকেই উদ্ভাবন করতে হবে। বিশেষ করে ফলের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আরও সক্রিয় হতে হবে, নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকারি টাকা হলো জনগণের টাকা। জনগণের অর্থে প্রকল্প পরিচালিত হয়। সেজন্য, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ ব্যয় করতে হবে। জনগণের টাকা কোথায়, কীভাবে, কী কাজে ব্যয় হচ্ছে- তা জনগণকে জানাতে হবে। যাতে জনগণ জানতে পারে, বুঝতে পারে; তাদের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে,কতটুকু কাজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়ছে। ফলে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখা ও তা আরও বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত কৃষকের কাছে, মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সকল সংস্থাকে সমন্বিতভাবে আরও জোরালো তৎপরতা চালাতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯১৮কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের সাফল্য এ বছরও ধরে রাখতে হবে। সেজন্য, গুণগতমান বজায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর