কৃষিমন্ত্রী
ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাষোপযোগী ফসল, বিশেষ করে বিভিন্ন ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফসলের জাতের ক্ষেত্রে বিদেশনির্ভরতা ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। আমাদের দেশের চাষোপযোগী জাত আমাদের বিজ্ঞানীদেরকেই উদ্ভাবন করতে হবে। বিশেষ করে ফলের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আরও সক্রিয় হতে হবে, নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকারি টাকা হলো জনগণের টাকা। জনগণের অর্থে প্রকল্প পরিচালিত হয়। সেজন্য, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ ব্যয় করতে হবে। জনগণের টাকা কোথায়, কীভাবে, কী কাজে ব্যয় হচ্ছে- তা জনগণকে জানাতে হবে। যাতে জনগণ জানতে পারে, বুঝতে পারে; তাদের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে,কতটুকু কাজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়ছে। ফলে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখা ও তা আরও বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত কৃষকের কাছে, মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সকল সংস্থাকে সমন্বিতভাবে আরও জোরালো তৎপরতা চালাতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯১৮কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের সাফল্য এ বছরও ধরে রাখতে হবে। সেজন্য, গুণগতমান বজায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিজ্ঞানীরা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বলেন, দেশের দুই মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ত, যেখানে বছরে একটি ফসল হয়। খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে ও ভবিষ্যতে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা লবণাক্ত, হাওরসহ প্রতিকূল এলাকায় বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছি। পূর্ণাঙ্গ জিনোম উন্মোচনের ফলে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ সহজতর হবে।
আরও পড়ুন: ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রীসংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বিনা ও বাকৃবির যৌথ এ গবেষণায় বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মিউট্যান্ট সৃষ্টি করে তা থেকে নানামুখী পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এমসিক্স জেনারেশনে তিনটি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত মিউট্যান্টগুলো প্যারেন্ট অপেক্ষা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং ৮ ডেসিমেল মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু।এ গবেষণালব্ধ তত্ত্ব-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিনা ও বাকৃবি’র বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছে।সম্মেলনে আরও জানানো হয়,জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও লবণাক্ততা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকরী উপায় হচ্ছে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবন। এ লক্ষ্যে বিনার ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফাতেমা’ জাতের ধানে বিঘায় ৫০ মণ ফলন
বিএনপি নেতা আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের রাজনীতি ও দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম পরিপন্থী, অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অসভ্যতার চরম উদাহরণ। কোন সভ্য সমাজের সভ্য রাজনৈতিক কর্মী এ ধরনের কথা বলতে পারে না। আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়।’ বৃহস্পতিবার সকালে ডেমরার আমুলিয়া ব্রিটিশ স্কুল প্রাঙ্গণে ৭০নং ওয়ার্ড আওতাধীন ইউনিট আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রী
মুখ ও জিহ্বা সামলে শালীনতা বজায় রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ' আপনাদের মুখ সামলান, জিহ্বা সামলান। যদি না সামলান, তাহলে এদেশের মানুষ জানে কীভাবে আপনাদেরকে সামলাতে হয়।’কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ধরনের অশালীন বক্তব্যকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, এটাই বিএনপির চরিত্র। যেখানে আওয়ামীলীগ অশালীন বক্তব্যকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না, বরং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ‘এ রায় আবারও প্রমাণ করেছে সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ যাই করুক, অন্যায় করলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে; আওয়ামীলীগ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।’
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্যাতনের কাহিনী আরব্য রজনীর মতো: কৃষিমন্ত্রী
ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুর ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ও চেতনা মেনে চলতে হবে। রাজনীতি করতে এসে অপকর্মে জড়িত হওয়া যাবে না। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। এ রায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের সঞ্চালনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ষড়যন্ত্র আর আন্দোলন করে বৈধ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
ষড়যন্ত্র আর আন্দোলন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান বৈধ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আমরা কোন আন্দোলন সংগ্রামকে ভয় পাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ উন্নয়নের দিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে,উন্নয়নের এই জোয়ারে সকল ষড়যন্ত্রকারী ভেসে যাবে।শনিবার টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিএনপিরকৃষিমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করবে। অছাত্র, বেশি বয়সী ও বিবাহিতদেরকে ছাত্রলীগে স্থান দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে যে নীতিমালা রয়েছে তা কঠোরভাবে মানা হবে।ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল, সুদক্ষ ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা ও দর্শনের সংগঠন। আর এই সংগঠনের নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের কর্মীদের এ বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এমন কোন কাজে জড়িত হওয়া যাবে না।কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ইউপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, তার একটিতেও বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয় নি।
আরও পড়ুন: দেশ ও জনগণ ছেড়ে আ’লীগ পালাবে না: কৃষিমন্ত্রীঅনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, জোয়াহেরুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ডিজেলের দাম বাড়ানোয় কৃষি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে: মন্ত্রী
ডিজেলের দাম বাড়ানোয় কৃষি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলে স্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব কৃষি ক্ষেত্রে পড়বে কি না, এক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের কীভাবে সহয়তা করবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে, এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।’
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী তিনি এ কথা জানান।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমনি আমাদের কৃষকরা নানান সমস্যায় জর্জরিত। পিক সিজনে তারা ফসলের দাম পায় না। সেজন্য কৃষিপণ্য প্রসেসিংয়ের কথা আমরা বলছি, বাণিজ্যিকীকরণ কিংবা বিদেশে রপ্তানি বাজারে গিয়ে তারা যাতে ভালো দাম পায়, এগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টার উপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে সারের দাম ২৫০/২৩০/২৭০ ডলার ছিল সেটা এখন ৮০০/৯০০ ডলার। চারগুণ বেড়েছে। আমরা সারের ক্ষেত্রে ৯০০ কোটি টাকা সাবসিডি (ভর্তুকি) দেই। এটা এবার মনে হয় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত আমাদের বলেছেন, উনি সারের দাম বাড়াবেন না।'
৪০ শতাংশ সেচ মেশিন বিদ্যুতে চলে জানিয়ে তিনি বলেন,‘তাদের খুব অসুবিধা হবে না। কিন্তু ডিজেলের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। দেখা যাক দামের ট্রেন্ডটা তো কমের দিকে আছে, যদি কমে সরকারও ডিজেলের দাম কমাবে।
এসময় কৃষিমন্ত্রী জানান, পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদনে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদন ও সংরক্ষণকাল বৃদ্ধির প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে নেদারল্যান্ডস।’
মন্ত্রী বলেন, 'তাদের সহায়তা পেলে আশা করছি ইনশাল্লাহ গ্রীষ্মকালেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।
কৃষিখাতে ব্রিটেনের প্রযুক্তিগত সহায়তা চায় বাংলাদেশ
কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ব্রিটেনের প্রযুক্তিগত ও পরিচালনা বিষয়ে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর)সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কৃষিমন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসময় দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনে সাফল্য আসলেও রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আমাদের অর্থের অভাব নেই, প্রয়োজন কারিগরি ও ম্যানেজারিয়াল সহযোগিতা। এক্ষেত্রে আমরা ব্রিটেনের সাপোর্ট চাচ্ছি।
এসময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বাংলাদেশকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, কৃষিতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ব্রিটেনের প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: খামারিরা বিপদে, খুলনায় ১০ লাখ মুরগি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত
উল্লেখ্য, ইউরোপের বাজারে সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের একটি দল নেদারল্যান্ড ও ব্রিটেন সফরে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের ফলমূল, আলু এবং শাকসবজি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতের সম্ভাবনা অনেক। আমাদের এখন অনেক উদ্বৃত্ত ফসল রয়েছে। এগুলোকে আমরা ইউরোপের মূল বাজারে রপ্তানি করতে চাই। এখন যা রপ্তানি হচ্ছে তার মূল ক্রেতা হলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ সফরে আমরা ব্রিটেনের ব্যবসায়ী সংগঠন ও শীর্ষস্থানীয় চেইনসপ বা সুপারমার্কেটের সাথে আলোচনা করব।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই ব্রিটেনের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: বেশি লাভে আখ চাষে ঝুঁকেছেন মাগুরার কৃষকরা
আমনে পোকা, দুশ্চিন্তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা
সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশে করোনাকালেও খাদ্যের সংকট নেই। দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করা।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যতম লক্ষ্য হলো সকল মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। আমরা মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবারের নিশ্চয়তা চাই। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
আরও পড়ুন: দেশ ও জনগণ ছেড়ে আ’লীগ পালাবে না: কৃষিমন্ত্রী
সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে ও আংশিকভাবে উপস্থাপন করে দুয়েকটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে একটি ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু ভুঁইফোঁড়, লালকাগজ, সবুজকাগজ পত্রিকা একদম ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করেছে, যার কোন সামান্যতম ভিত্তি নেই। কোন লিডিং বা শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ ধরনের ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করে নি। তবে ভুঁইফোঁড় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যাছাই-বাছাই না করে কিছু শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা তা প্রচার করেছে, প্রবন্ধও ছেপেছে। তারা খবরের সত্যতা, সঠিকতা ও সূত্র ভালভাবে যাছাই করে নি। এদেরকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১০.৭৭ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮.২৬ শতাংশ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নির্যাতনের কাহিনী আরব্য রজনীর মতো: কৃষিমন্ত্রী
ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তা আরব্য রজনীর গল্পের মতো। এক হাজার এক রাতেও বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পর সামরিক শাসন জারি করে দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করেছে।
বুধবার মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পাইকপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রীআব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সেরকমভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য আলাদিনের আশ্বর্য প্রদীপ পেয়েছি। সে প্রদীপটি হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ গতিকে আমাদের ধরে রেখে আরও গতিশীল করতে হবে। সেজন্য, দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যাওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরেরসততা, আদর্শ ও দলের প্রতি আনুগত্য দেখে নেতা নির্বাচনের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানড. রাজ্জাক। তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীবাহিনী ও তাদের ঐক্যই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র ও আইন মেনে শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যাতে করে বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার-আলবদর ও ধর্মান্ধরা অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, ক্ষমতায় না আসতে পারে।সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সাবেক হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এসময় টংগীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসলের চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ হচ্ছে। একইসাথে, চালের নন-হিউম্যান কনজামশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোল্ট্রি, প্রাণিখাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় কৃষিবিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার ঢাকার ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হবে: কৃষিমন্ত্রী
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সেটিই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। নির্বাচন কমিশন তাদের শপথ অনুযায়ী স্বাধীনভাবে দেশে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা বা হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই, থাকবেও না।’
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক না কেন, বিএনপি নির্বাচনে হারলে বলবে কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেনি। তারা ১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে নির্বাচনে জিতেছিল, সেজন্য নির্বাচন দুটি তাদের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
পড়ুন: সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষকে দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অন্য দেশ বা ভিন্ন গ্রহ থেকে মানুষকে ধরে আনা যাবে না। সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, আইনগতভাবে তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট।’
ড. রাজ্জাক বলেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ধর্মান্ধ জামায়াত, হেফাজতসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং তাদের মদতদাতা বিএনপি হুমকিস্বরূপ। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারভীন জামান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুলতান প্রমুখ এসময় বক্তব্য দেন।
পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল