কৃষিমন্ত্রী
নিজেদের খোঁড়া কবর থেকে উঠতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে। যতই আন্দোলন ও সমাবেশ করুক এই কবর থেকে উঠতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি আম বাগান পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি মানেনি। ২০০৮ সাল থেকে তারা আন্দোলন করছে। ২০১৪ সালে হরতাল করেছে, অবরোধকরেছে, ট্রেন লাইন তুলে ফেলেছে। ২০১৫ সালে ৩০০’র বেশি মানুষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন বানচালকারীদের আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে মোকাবিলা করবে। কেউ যদি সহিংসতা করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দমন করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আম উৎপাদন ও সহজে বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে আম চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আমকে শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আম যেন সারাদেশে উৎপাদন হয় এবং খুব সহজেই বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসসহ কৃষি অধিদপ্তরেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের জন্য বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই, জনগণের সমর্থন থাকলেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশিদের সমর্থনে দরকার নেই। জনগণ এ দেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে- পদ্মাসেতু, ফোর লেন রাস্তা, স্কুল-কলেজ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্রামের উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানাসহ সব দিকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। এসব উন্নয়নের কারণেই জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কোন বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। আমরা বিদেশি সহযোগিতা চাই না। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ যারা প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে হাত পাতছে, ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বলতে চাই, কোনো বিদেশি প্রভু এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো দেশে আবারও তাণ্ডব চালাতে চায়। তাদেরকে সেটি করতে দেয়া হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদের ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া বর্তমান সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থেজনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করব।
মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক আবু হাদী নূর আলী খান, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ আহমদ নাছির প্রমুখ।
সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত। বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারির বলরুমে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের কৃষি বাণিজ্য মিশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলেছে, চাল, আলু, আম, সবজিসহ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ দেশের একটি। কিন্তু কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি, অথচ এখানে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সেচ ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার খাত হিসাবে চিহ্নিত করেছি। এসব খাতে নেদারল্যান্ডসের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে নেদারল্যান্ডসের এগ্রি ট্রেড মিশনকে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য এ খাতগুলো খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। কাজেই আপনারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স থিজ উডস্ট্রা, নেদারল্যান্ডসের এগ্রি ট্রেড মিশনের প্রধান উইস ভ্যান লিউভেন, নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত ফ্রেডেরিক ভসেনার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি ও ডেইরি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এ মিশন কাজ করবে। ৩ দিনব্যাপী এই মিশনে নেদারল্যান্ডসের ৯টি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং বিনিয়োগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো শনাক্ত করবেন।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
ভবিষ্যতে কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জি২০’কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশের কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি হুমকিস্বরূপ। সেজন্য, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও বৈশ্বিক সংকট, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমসহ যে কোন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জি২০'র স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।
শুক্রবার সকালে ভারতের হায়দরাবাদে জি২০ কৃষিমন্ত্রীদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কার্যকর কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ চাষযোগ্য জমি কমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও, ফসলের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধির কারণেই ১৭ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার সকল স্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের কোন সংকট নেই, বরং খাদ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও গরীব মানুষকে খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিনামূল্যে ও কমমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
'খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির জন্য টেকসই কৃষি'- শিরোনামের এ সেশনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া, ভারতের কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার, জি২০ভুক্ত ১৯টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, বাংলাদেশসহ আমন্ত্রিত ১০টি দেশের কৃষিমন্ত্রীগণ বক্তব্য রাখেন। এতে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার শীর্ষ সংগঠন জি২০'র এবারের সম্মেলনের আয়োজক ভারত। নয়াদিল্লীতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন, যেখানে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্যের হার আমরা শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে আর চরম দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ থেকে ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মাশরুমের চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
তাছাড়া আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে আমরা মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি মিলনায়তনে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর, যাতে প্রোটিন আছে ২২ ভাগের মতো। যেখানে চালে শতকরা ৮ ভাগ, গমে প্রায় ১২ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া এটি অর্থকরী ফসল।
সেমিনারে দেশের প্রত্যেক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের ২০০ থেকে ৩০০ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরির নির্দেশ দেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের বিবৃতিটি দেখে মনে হয়েছে, বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে। এটি বিএনপির ইইউ শাখার বিবৃতির মতো হয়েছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে উল্লেখ করে দলটির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ইইউ পার্লামেন্টের ৬ জন সদস্যের এই বিবৃতি ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবনবাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশই সবদিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত একটু বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
শুক্রবার (৯ জুন) কলকাতার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পিয়ারলেস ইন হোটেলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এসব আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি।
ধর্মনিরপেক্ষতা-অসাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কোন আপোষ করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, আন্দোলন- সংগ্রাম করেছে।
কিন্তু দেশে বিএনপিসহ কিছু দল রয়েছে, যারা ক্ষমতায় আসার জন্য সবসময়ই ধর্মকে ব্যবহার করে।
বাঙালি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হতে পারে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের বাঙালিরা শতাব্দীর পর শতাব্দী একসঙ্গে থেকেছে। এখন বাস্তবতার কারণে দুটি দেশ, ভৌগোলিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় ভিন্ন হলেও; বাঙালিদের চিন্তা-চেতনা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ, ভাষা-সংস্কৃতিসহ প্রায় সবকিছুই এক ও অভিন্ন।
সেজন্য, আমরা বাঙালিরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে বিশ্বে বাঙালিরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিণত হতে পারে।
সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি।
২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এছাড়া সামাজিক ইনডেক্সগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে আছি।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
এবারের বাজেটকে খুবই বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাজেট দিয়েছি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দিকে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি। এ বাজেটের মাধ্যমে এই গতি আরও বেগবান ও গতিময় হবে।
তিনি বলেন, এটি উচ্চবিলাসী ও কল্পনাভিত্তিক বাজেট নয়। এই বাজেট বাস্তবসম্মত। অতীতেও আমরা যেমন সফল হয়েছি, তেমনি আগামী দিনেও এই বাজেট বাস্তবায়নে সফল হবো।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় রানী ভবানী স্কুল মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা গত ১৪ বছর ধরেই বাজেট আসলে মুখস্থ কথা বলে আসছেন- এটা উচ্চবিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনাভিত্তিক বাজেট। আমরা কখনো উচ্চবিলাসী বাজেট দেই নি। আগে দেশে মোট জিডিপির আকার ছিলো চার লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা, তা এখন ৪৪ লাখ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বাজেট কল্পনাভিত্তিক হলে এটি অর্জন করা সম্ভব হতো না। এ বাজেটের মাধ্যমে জিডিপির আকার আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাজেটটি সত্যিকার অর্থে গরীববান্ধব, কৃষিবান্ধব ও পল্লীবান্ধব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন জাত উদ্ভাবন, ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদান, ভর্তুকি অব্যাহত রাখায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ ও পল্লী বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়। কোনো স্যাংশনই আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। যত ধরনের স্যাংশনই দেক, তা মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।
বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা আয়োজন প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। গ্রামের গরীব মানুষেরাও এখন উন্নত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার ৬০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রায় ১০০ জনের মেডিকেল টিম সকাল ০৯ টা থেকে সারাদিন চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে পৌর মেয়র সিদ্দিক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্য ছয় শতাংশের নিচে নামিয়ে আনায় বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরিদ্রদের জন্য একটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। পিকেএসএফ প্রকল্পটি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, কৃষি খাতে বিপুল ভর্তুকি ও সহযোগিতার কারণে দেশে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, তা না হলে প্রতিবছর চাল আমদানি করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সিংহভাগ ব্যয় হতো।
ইইউকে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয়, হাওর ও চর অঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখনো দারিদ্র্য রয়েছে। এই প্রতিকূল এলাকায় ফসল ফলানো খুব কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য আমরা এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ফসল উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ইইউ-পিকেএসএফ প্রকল্প এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া মন্ত্রী ইইউকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতেও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এনজিওর সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সব এনজিওর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এমন নয়।
তাই এনজিওগুলোর কাজ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মো. সেলিম উল্লাহ, রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি এবং প্রকল্প পরিচালক শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজ সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা ও সংকট থাকবে না। এ পণ্য নিয়ে রাজনীতিও বন্ধ হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এ পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে দাম অস্বাভাবিক হয়, নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়।
মঙ্গলবার (২৩ মে) পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশীয় মডেল ঘর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এছাড়া ভারত থেকেই আমদানি করতে হয় বেশি। ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল ফসল। এটি রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। এর ফলে কৃষকরা মৌসুমে কম দামে দ্রুত তা বিক্রি করে দেয়। মৌসুম শেষ হলে বাজার আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়। সেজন্য আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই পরীক্ষামূলক ঘর তৈরি করেছি। যেখানে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। এটিতে সফল হলে দেশে পেঁয়াজের সংকট হবে না। আমদানিও করতে হবে না, বরং রপ্তানি করা যাবে।
পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করে কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষি খাতে বিবেচনার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পেঁয়াজ রসুন সংরক্ষণাগার (মডেল ঘর)-
প্রতিটি ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ছয়টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেয়াজ-রসুন পঁচবে না।
তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে।
প্রতিটি ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ (১০-১২ মেট্রিক টন) পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে।
এছাড়া তিনটি স্তরের এই সংরক্ষণ ঘরের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫-২০ বছর।
কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২১ হতে জুন ২০২৬, মোট বাজেট ২৫ কোটি টাকা।
ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও পাবনা এই সাতটি জেলার ১২টি উপজেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে।
এ বছর ২০২২-২৩ সালে মোট ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান