কৃষিমন্ত্রী
জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এছাড়া, দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্রাজুয়েটদেরকে এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।
রবিবার সকালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামীতে টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। সেজন্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কারিকুলামকেও উন্নত ও আধুনিক করতে হবে।
এছাড়া নবীন কৃষিবিদদের সেভাবে যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষকমণ্ডলীদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধবনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে চাল, গম, ভুট্টা, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে আছে।
তিনি জানান, বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে চালের উৎপাদন চার কোটি চার লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যা সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া বিগত ১৪ বছরে চালের উৎপাদন ২৯ শতাংশ, গম ৩৭ শতাংশ, ভুট্টা শতাংশ, আলু ১১০ শতাংশ, ডাল ৩২৮ শতাংশ, সবজি ৬৪৫ শতাংশ, পেঁয়াজ ৩৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনে অর্জিত বিস্ময়কর সাফল্যের ফলেই দেশের মানুষ এখন পেট ভরে খেতে পায়। করোনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধসহ শত দুর্যোগের মাঝেও কেউ না খেয়ে থাকে না।
এছাড়া বিগত ১৪ বছরে কোন খাদ্য সংকট হয় নি।
ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিখাতে আজ যে অভাবনীয় সাফল্য দৃশ্যমান, এর পেছনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্র্যাজুয়েটরা।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী চ্যান্সেলরের পক্ষে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এবং সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন।
সমাবর্তনে জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এদের মধ্যে ২২৪ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে জনগণ। জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার। আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না।
এছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি ভেঙে যেতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে না আসলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিএনপির বহুলোক আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আলাপ করতে পারে, অন্যান্য দলেও চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুরে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে না। বিএনপি যাতে আন্দোলনের নামে ২০১৫ সালের মতো তাণ্ডব চালাতে না পারে, এবং দেশকে অস্থির করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে না পারে, সেজন্যই এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সচেতন করছি ও সক্রিয় রাখছি। এ সমাবেশ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।
তিনি বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলন কর্মসূচি করুক, কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগে ঢাকায় আন্দোলন করতো বিএনপি, সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা বিভাগে, জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছে, আর এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কর্মসূচি দিচ্ছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করছে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
কানাডা বাংলাদেশে পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে গতবছর পটাশিয়াম সার নিয়ে বিশ্বব্যাপী চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। আমরা বেলারুশ থেকে পটাশিয়াম সার কিনতে পারি নি। তখন সরকারের প্রচেষ্ঠায় কানাডা আমাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে ৫ লাখ টন পটাশিয়াম সার প্রদান করে। যার ফলে রবি মৌসুমে ও চলমান বোরো মৌসুমে সার সংকট দেখা দেয় নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের নেতৃত্বে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের (সিসিসি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, কানাডা প্রতিনিধিদলের সদস্য কানাডা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন, কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিম ডগলাস ও পরিচালক এন্টনি রিজক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ও বাণিজ্য সহজতর করতে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছেন।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকে কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল কানাডা থেকে ক্যানুলা আমদানির ক্ষেত্রে সয়াবিন ও পাম তেলের সমপরিমাণ আমদানিশুল্ক নির্ধারণের অনুরোধ জানান। বর্তমানে ক্যানুলা আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিশুল্ক সয়াবিন ও পাম তেলের দ্বিগুণ বলে তারা জানান।
এছাড়া, বাংলাদেশে ডাল রপ্তানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি নেয়ার কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিখাতে যে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন, তা পৃথিবীতে বিরল। অর্থনীতিতে যত চাপই আসুক, কৃষি উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন কোন পদক্ষেপ নিবেন না প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য, প্রধানমন্ত্রী সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ ও কৃষির সার্বিক উন্নয়নে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের কোনরকম দাম বাড়ান হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পলিসি হলো যেকোন মূল্যে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা। সেজন্য, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে যত কষ্টই হোক সরকার বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়াবে না। অন্যান্য খাতে যে পলিসিই নেয়া হোক না কেন, কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদানসহ সকল সহযোগিতামূলক নীতি অব্যাহত থাকবে। কৃষি উৎপাদন টেকসই করতে যা যা করা দরকার, তা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার অদূরে সাভারের ব্র্যাক সিডিএম মিলনায়তনে সার্কভুক্ত দেশসমূহে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বায়েন) ও ভারতের পার্টিসিপেটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (প্রাডিস) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, ইনশাল্লাহ এ গ্যারান্টি দিতে পারি।
ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে বিরাট গ্যাপ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গবেষক/বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত জাত যেটি গবেষণা পর্যায়ে বিঘাতে ৮ মণ উৎপাদন হয়, সেটি সম্প্রসারণের পর কৃষক পর্যায়ে দেখা যায় উৎপাদন হয় বিঘাতে ৩-৪ মণ। এটি কেন হবে, এই বিশাল গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ফসলের উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি খুবই ধীরে সম্প্রসারণ বা কৃষকের নিকট পৌঁছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ধান, সরিষাসহ অনেক ফসলের কতগুলো উন্নত উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। এদের মধ্যে লবণসহিষ্ণু জাতও রয়েছে। কিন্তু এগুলো মাঠে কৃষকের নিকট যাচ্ছে খুবই দেরিতে। এতো দেরিতে মাঠে যাওয়ার কারণ কি, তা সম্প্রসারণকর্মীদের খুঁজে বের করতে হবে। সম্প্রসারণকর্মীদেরকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাডিসের সিনিয়র এডভাইজর ভিভি সাডামাতে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি দানিয়েল গুস্তাফসন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বায়েনের সভাপতি হামিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষি সম্প্রসারণকর্মীদের তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে দুবাই বন্দরের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি দুবাই গিয়েছিলাম। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আগেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আমরা তাতে সহায়তা করেছি। মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি আমরা শাকসবজি ফলমূল পাঠাতে পারব।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি)সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির অগ্রগতি বিষয়ক সভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি দুবাই বন্দরের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছে। সিঙ্গাপুর না হয়ে সরাসরি যেতে পারলে সবজি নিয়ে চার-পাঁচদিনে আমাদের জাহাজ দুবাই যেতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতির কাছে আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলব। সত্যিকার অর্থে এখন মানুষ না-খেয়ে থাকে না। অন্তত দু’বেলা ভাত খেতে পারেন। আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছেছি।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য মানুষকে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য দেয়া। অর্থাৎ সার্বিকভাবে খাদ্যনিরাপত্তার বিভিন্ন দিকগুলোতে আমরা জোর দেব এবং সর্বাত্মকভাবে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে চাই।
কৃষিমন্ত্রী জানান, খাদ্যনিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি যে প্রয়োজনীয় দানাজাতীয় ও অন্য খাবারগুলো যাতে বাজারে পর্যাপ্ত থাকে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় খাবার থাকলেও আয় থাকে না। কম আয়ের কারণে অনেক মানুষ না খেয়ে থাকেন। এমন হলে কোনো দেশ নিজেকে খাদ্য নিরাপদ বলে দাবি করতে পারে না।
আরও পড়ুন: সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘কাজেই মানুষ যাতে মানসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন; যাতে সবাই প্রয়োজনীয় মেধা বিকাশ ও সক্রিয় থাকতে পারেন; সে জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
মন্ত্রী জানান, আমেরিকার মতো দেশেও দেখবেন, ক্রিসমাসের সময় বিনামূল্যে খাবার দেয়া হয়। শিকাগোতে ক্রিসমাসের আগে আমি দেখেছি। এ খাবার শুধু কালোরাই নেন না, শ্বেতাঙ্গরাও নেন।
তিনি বলেন, ‘ওই দেশে কম দামে খাবার কিনে খেতে স্ট্যাম্প দেয়া হয়। এরমধ্য দিয়ে বোঝা যায়, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার থাকলেও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আমেরিকায়ও কমদামে ও ভর্তুকিতে মানুষকে খাবার দিতে হয়। কম আয়ের ও বেকারদের জন্য তারা এটা করেন।’
তিনি আরও বলেন, খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকটা অর্জন হয়েছে চর ও হাওর এলাকায়। যে অঞ্চলকে আমরা কৃষিতে অনুন্নত বলতাম। সেই এলাকার মানুষও এখন দু’বেলা খেতে পারেন। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো,পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করা।
মন্ত্রী জানান, ‘সে কারণে তিনটি বিষয় সামনে রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। কৃষিকে আমরা আধুনিকীকরণ করবো, যান্ত্রিকীকরণ করবো ও কৃষিকে লাভজনক করতে বাণিজ্যিকীকরণ করবো।’
তিনি বলেন, এজন্য স্থানীয় বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজার দুটোতেই জোর দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে হলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যের মান বজায় রাখতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। যদিও করোনা মহামারির কারণে দুই থেকে আড়াই বছর আমরা অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে লাভজনক পেশায় নিয়ে যাওয়া সবসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল। কৃষি থেকে লাভ করা ও আয় করা ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।’
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা সবসময় পর্যাপ্ত দাম পান না। সবজি-ডিম ও মাছের উৎপাদন বেশি হলেও কৃষকরা তা বিক্রি করতে পারেন না। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারকে লক্ষ্য বানাতে হবে। ২০২২-২৩ সালে আমরা দুই হাজার মিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম কৃষি থেকে। এখন পর্যন্ত আমরা এক দশমিক পাঁচ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য রপ্তানি করতে হলে মান বাড়াতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্যামপুরে আমাদের একটি প্যাকিং হাউস আছে। কিন্তু লোকেশন ভালো না। এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি প্যাকিং হাউস করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই একর জমি দিয়েছেন। সেখানে একটি ল্যাবরেটরিও হবে। এটির সার্বিক পরিকল্পনা শেষ। দ্রুতই এটি একনেকে যাবে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষি রপ্তানির পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আমাদের প্রতিযোগী পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক। ভারত আলু রপ্তানি করে। এসব দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বন্দরগুলোতে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের জাহাজ সিঙ্গাপুর হয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অবশ্যই রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে অনেক জরিপ করে। তারা একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় ও তারা সেই দলের অংশীদার।
এছাড়া এর আগেও ড. ইউনূসকে নিয়ে সিপিডি আন্তরিকতার সঙ্গে জোরেশোরে মাঠে নেমেছিল। তখন জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘দেশে ব্যবসায়ে বড় বাধা দুর্নীতি’ সিপিডির সাম্প্রতিক জরিপের এমন ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, তাদের জরিপ পদ্ধতি মানুষকে জানানো দরকার। কী পদ্ধতিতে, কীভাবে কতটা বস্তুনিষ্ঠভাবে তারা জরিপ করেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
আর সিপিডি ধোয়া তুলসি পাতা নয়, নিরপেক্ষও নয়।
মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতের মতো দেশেও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, এটিকে সিপিডি কীভাবে দেখে? এ অর্জন কী যাদু বলে হয়েছে?
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, দেশে এখন প্রবৃদ্ধি প্রায় শতকরা ছয় ভাগ। সিপিডি কি জানে দাম বৃদ্ধির কারণে টনপ্রতি ২৫০ ডলারের পটাশিয়াম সার কীভাবে আমরা ১২০০ ডলারে কিনে কৃষকদেরকে ভর্তুকিতে দিয়েছি।
উন্নত দেশসহ সারা বিশ্বেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে, জার্মানিতেও দুর্নীতির অনেক নজির রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও কিছুটা দুর্নীতি আছে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় জেল খাটছেন। দেশ থেকে দুর্নীতি একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে-তা বলা যাবে না।
কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমরা দুটি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে বিমান বন্দরে কৃষিপণ্যের জন্য আলাদা স্ক্যানার স্থাপন, মধ্যপ্রাচ্যে সরাসরি (সিঙ্গাপুরে হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে) কার্গো জাহাজ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা বাস্তবায়ন ও পূর্বাচলে আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ চলছে। তবে এখনও ব্যাংকিং সমস্যা, কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে প্রদত্ত শতকরা ২০ ভাগ প্রণোদনা ঠিকমতো না পাওয়াসহ কিছু সমস্যা রয়েছে; এগুলো নিরসনেও কাজ চলছে।
সভায় কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ ও আলু রপ্তানি বৃদ্ধির রোডম্যাপ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ও আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, খাদ্য ও কৃষি উপকরণকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) জার্মানির বার্লিনে ‘১৫তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’- মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (জিএফএফএ) শেষ দিনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নির্দোষ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। এ যুদ্ধের ফলে সারের দাম চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যশস্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে। এ নেতিবাচক প্রভাব নিরসনের জন্য আমি উন্নত বিশ্বকে নমনীয়, সহজ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি উন্নত, টেকসই ও জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছেন। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে এবং কৃষকেরা উন্নত জীবন পাবেন। কিন্তু জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কপ২৬, কপ২৭ ও অন্যান্য বৈশ্বিক ফোরামে দেয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোকে আমি অনুরোধ করছি।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার ও বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ও কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুযায়ী বৈশ্বিক ক্ষুধা নিরসন (জিরো হাঙ্গার) করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ক্ষুধায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে ৭০ কোটি ২০ লাখ থেকে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় চার কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ কোটি বেশি। বর্তমানে বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ খাদ্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। প্রজাতি বিলুপ্তি, কোভিড ১৯, আর যুদ্ধ; খাদ্যসংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কীভাবে ক্রাইসিস-প্রুফ খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ুসহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতা বাড়ান যায়- এই চারটি বিষয়কে সম্মেলনে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 'ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশন: এ ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপন্স টু মাল্টিপল ক্রাইসেস' শিরোনামে এ সম্মেলনে বিগত চার দিনে অংশগ্রহণকারী দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনা করে একটি ‘যৌথ ইশতেহার’ (কমিউনিক) ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
বার্লিনে জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
জার্মানির বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স এবং দেশটির শীর্ষ কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বার্লিনের সিটি কিউবে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে বার্লিনের সিটি কিউবে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের মাটির গুণমান পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার, বেটার লাইফ ফার্মিং সেন্টার স্থাপন, বৈশ্বিক উত্তম কৃষি চর্চা কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন (গ্লোবাল গ্যাপ) ও কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স ও অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এসব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং শিগগির বাংলাদেশে এসব বিষয়ে পাইলট কর্মসূচি নেবেন বলেও জানান।
জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের চেয়ারপারসন জুলিয়া হার্নাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এলিনা গামপার্ট, গ্লোবাল গ্যাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান মুয়েলার, বায়ারক্রপ সায়েন্স ডয়েচল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার মুয়েলারসহ শীর্ষস্থানীয় জার্মান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের কৃষি উন্নত ও আধুনিক হচ্ছে: বার্লিনে কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশের কৃষিখাত উন্নত ও আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সনাতন ও খোরপোষের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে লাভজনক, সহনশীল ও টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে। এটিকে ত্বরান্বিত করতে বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও বেশি অনুদান ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকালে জার্মানির বার্লিনে সিটি কিউবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বিশ্বব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এই সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র ‘আন্দোলন-আন্দোলন খেলা’ চলতে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিখাতে অর্জিত অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরে বলেন, দেশের কৃষিতে প্রথম বিপ্লব ঘটে স্বাধীনতার পরপরই। কৃষির উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু। আর দ্বিতীয় বিপ্লব ঘটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ সালে। আর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৯৯-২০০০ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের কৃষিতে এখন প্রবৃদ্ধি বছরে শতকরা চার ভাগের বেশি। ১৯৭১ সালের তুলনায় এখন চার গুণ বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৮ সালের তুলনায় সাত গুণ বেশি সবজি উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন সবজি, ফলমূল ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের একটি।
উন্নত ও টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা একটি টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে, কৃষকরা উন্নত জীবন পাবেন। তবে এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হলো জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
তিনি বলেন, দেশের কৃষির উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ও ইফাদের সহযোগিতায় পার্টনার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরও বেশি অনুদান ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
পরে কৃষিমন্ত্রী জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ক্লদিয়া মুলারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকে ক্লদিয়া মুলার বাংলাদেশের কৃষি খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ‘১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ)’ এবং বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না: কৃষিমন্ত্রী
সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পিআইডির কনফারেন্স রুমে ব্রয়লার মুরগির মাংসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন,ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কিনা,এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রচারণায় দেখা যায় যে ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক,হেভি মেটাল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে; যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ফলে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি তার নজির আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড- ১৯ প্রাদুর্ভাবে। রোগটির প্রকোপের প্রথম দিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রয়লার মাংস খাওয়া অনেক কমে যায়।’
তিনি বলেন, দেশে ব্রয়লার মুরগি খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশে যে পরিমাণ খামার ও অবকাঠামো রয়েছে,তার পুরোপুরি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য,মানুষের কাছে মুরগির মাংস জনপ্রিয় করতে হবে।
তার মতে, এটি করতে পারলে একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠন সহজতর হবে।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির বাজার দ্রুত বিকশিত হবে, মুরগির মাংস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে, আমিষের চাহিদা পূরণে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংসে,হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিাইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক,ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে; যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারে প্রায় ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটাল এর পরিমাণ কম রয়েছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় গ্রামে নিজস্ব আঙ্গিনায় হাঁস মুরগি পালন করা হতো। এখন এটা শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের আমিষের একটা বড় চাহিদা মিটায় এ খাত। ফলে নিজ উদ্যোগে অনেকেই এখাতে এসেছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তবে কিছু ভুল ভ্রান্তিমুলক তথ্যের কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এজন্য আমরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোল্ট্রি খাত বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি পোল্ট্রি খাতকে আরও আধুনিক করা এবং এখাতের বিকাশকে সরকারি পৃষ্টপোষকতা দিতে। এ লক্ষ্যে পোল্ট্রি খাদ্য আমদানিতে শুল্কে রেয়াত দিতে এনবিআরকে অনুরোধ করেছি। পোল্ট্রি খাতকে সামনে নিয়ে একটি কল্যাণকর মঙ্গলকর অধ্যায় রচনার জন্য কাজ করছি জাতির জন্য।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে,হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক,ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে, যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারে প্রায় ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে এন্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটাল এর পরিমাণ কম রয়েছে।এসময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্তকর্তা ও প্রধান গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম, বিআরসির প্রাক্তন সদস্য পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম এবং গবেষণা টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী