নিবন্ধন
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
চলতি বছর প্রত্যেক হজযাত্রীর বিপরীতে প্রায় দুই লাখ টাকা ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবে কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় প্রতি হজযাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করার পর অনলাইনে ও অফলাইনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
ভাড়া বেশি থাকায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি।
আরও পড়ুন: হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার ও বুধবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে ভাড়া কমানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ভাড়া কমানোর সুপারিশ করা হয়।
অন্যদিকে হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৫৬৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন হজে নিবন্ধন করেন। নিবন্ধনের জন্য এখনও ২৫ হাজার ৪৮০টি কোটা খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের টাকা জমা দিতে হবে এবং ব্যাংকে নিবন্ধন করতে হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া ১৫ মার্চ দুপুর পর্যন্ত হজ্জের নিবন্ধন হয়েছে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৫৬৯ জন।
আরও পড়ুন: সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ নির্ধারণ
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান
তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন। কোটা অনুযায়ী এখনও বাকি আছে ২৫ হাজার ৪৮০ জন।
তিনি বলেন, হজের প্যাকেজ কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আদালতের নির্দেশনার কোনো আর্জির কপি আমরা পাইনি এখনও। পরবর্তীতে যদি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয় সেটা তখন জানাতে পারবো।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হজ প্যাকেজে ন্যূনতম খরচ ৬.৭২ লাখ টাকা: হাব
সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
নিবন্ধন অবৈধের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুতির ২ মাস সময় পেল জামায়াত
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে চূড়ান্তভাবে দুই মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রিটকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, ‘মামলাটি শুনানি করার জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদেরকে অনেকবার সময় দিয়েছেন। ওনারা গড়িমসি করে রেডি করছেন না। আজকে ফাইনাল আদেশ দিলো, যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সারসংক্ষেপ) শুনানির জন্য রেডি না করে তাহলে ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে।’
আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ জানান, মামলাটি শুনানির জন্য আজকে আপিল বিভাগের কার্যতালিকা ছিল। আদালত আগামী দুই মাসের সময় দিয়েছেন। এই দুই মাসের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর কোনো সময় দেবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে জামায়াতের ১২ নেতাকর্মী আটক
তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে। আশা করি জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে। আর দুই মাসের মধ্যে প্রস্তুত করতে পারবো। আমাদের প্রধান আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। এছাড়াও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও এহসান সিদ্দিক আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তারা এই মামলাটি পরিচালনা করবেন।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতকে দেয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত এ বিষয়ে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় জামায়াতকে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমোদন দিয়ে দেন।
তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করেন।
২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা হাইকোর্টের রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমান রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ‘নাশকতা চেষ্টার’ অভিযোগে জামায়াত শিবিরের ৩১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সাভারে জামায়াত নেতা, কর্মী আটক
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রবিবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াছিন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গেছে, আজকের আদেশের ফলে নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল বলে জানান নাজমুল হুদার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রায় দেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। সে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৪ জুন তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হুদা।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সব শর্ত পূরণ করলে ভিন্ন নামে নিবন্ধন পেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কেউ নিবন্ধন চাইলে তাদের নতুন দল হিসেবে আসতে হবে। সব শর্ত পূরণ করলেই তারা নিবন্ধন পাবে। এবং যদি তারা ব্যর্থ হয় তবে তারা এটি পাবে না।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও-এ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলমগীর বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। কারণ এর সনদ সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আরও পড়ুন: সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মারা গেছেন
তিনি বলেন, ‘এখন যদি কোনও নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং তাদের সনদ আমাদের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাদের মধ্যে কোনো যুদ্ধাপরাধী না থাকে এবং অন্য সব শর্ত পূরণ করে, তাহলে আপনি কাউকে জামায়াতের লোক হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবেন না।
তবে তিনি বলেন, এখন জামায়াতে ইসলামী হিসেবে কোনও দলের নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা ৩০ অক্টোবর শেষ হবে।
হাইকোর্ট ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে এবং ২০১৮ সালে ইসি নিবন্ধন বাতিল করে।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারের অপসারণ চায় টিআইবি
অধিকারের নিবন্ধন বিষয়ে আনা রিট খারিজ
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তি না করার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনটি আর না চালানোর কথা জানানোর পর বুধবার বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন নবায়নে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু এই আবেদেনে সাড়া না দিয়ে ফেলে রাখে এনজিওদের লাইসেন্স নবায়ন ও নিয়ন্ত্রকারী সংগঠনটি। পরে নিবন্ধন নবায়নে এনজিও ব্যুরোর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করে অধিকার। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৩ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন নবায়নের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চান।
এদিকে চলতি বছরের ৫ জুন এনজিও ব্যুরো অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করে। তবে অধিকার ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত ১৪ জুন হাইকোর্টের কাছে একটি সম্পূরক আবেদন করে। বুধবার এ রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে অধিকারের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া রিটটি না চালানোর কথা বলেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবরে একটি আবেদন করা হয়েছে। আর ৫ জুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৪ জুন করা সম্পূরক আবেদনটি উপস্থাপন করছি না। এরপর আদালত রিটটি খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দেন। একইসঙ্গে উপস্থাপন না করার দিক বিবেচনায় ১৪ জুনের সম্পূরক আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছি। সেখানে সিদ্ধান্ত পেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী মাইনুল হাসান বলেন, নিবন্ধন নবায়নের বিষয়ে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে অধিকারের এখন কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। তবে তারা সরকারের কাছে এ নিবন্ধন নবায়নের জন্য আপিল করেছে। সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি।
পড়ুন: ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সহজ ডটকমের রিট
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ৪ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
নিবন্ধন ছাড়াও করোনা টিকার প্রথম ডোজ মিলবে স্থায়ী কেন্দ্রে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তিনদিনব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনেও যারা প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারেননি, তাদেরকে চলমান টিকা কর্মসূচির স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় এনেছি। তারপরও কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, তারা আমাদের স্থায়ী কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারবেন। এটা রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও নিতে পারবেন, যদি রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে তিনি কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
শাসসুল হক বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকা বিশেষ করে সাভার, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এসব জায়গায় শিল্প কারখানা বেশি এবং অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন। তাদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে এই কার্যক্রম তারা আরেকটু বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই সুযোগ তাদের দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ দিলো যুক্তরাজ্য
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একটা বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি। যেটা ২৬ মার্চ এটা নির্ধারিত দিন ছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা বিশেষভাবেই এটার দিকে নজর দেই, ক্যাম্পেইন এবং ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা প্রথম ডোজের টিকা দিতে পেরেছি দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে এবং বুস্টার দেয়া হয়েছে ১০ লাখ মানুষকে। এই কয়েকদিনে আমরা তিন কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি বিভিন্ন ডোজে।
আরও পড়ুন: ১ মার্চ থেকে টিকা সনদ না পেলে ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রিকশাচালকদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে: মেয়র তাপস
প্রকৃত রিকশাচালকদের নিবন্ধনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার বিকেলে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের দ্বাদশ বোর্ড সভায় ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই ঘোষণা দেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা রিকশাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনেছি। এখন আইন অনুযায়ী আমরা রিকশাচালকদের অনুমতি বা নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরম্ভ করব। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে যেহেতু রিকশা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেজন্য আমাদেরকে নতুন করে সফটওয়্যার করতে হয়েছে। তারপর নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করতে হয়েছে। সেজন্য কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু এখন এই কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই কার্যক্রম শেষ করে আমরা প্রকৃত রিকশাচালকদের নিবন্ধনের আওতায় আনব।’
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর খননকাজ পুনরায় শুরু হবে: মেয়র তাপস
অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। কিন্তু আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের মাত্র দু'জন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ঢাকা শহরের কোনদিকে যাবে? তারপরও তারা বলিষ্ঠভাবে অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে চলেছে। কিন্তু আমাদের আরও অনেক বিষয় দেখতে হয়। বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম থেকে শুরু করে অবৈধ উচ্ছেদও তাদের করতে হয়।’
কাউন্সিলরদের চলমান খাল পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে আমাদের খাল পরিষ্কার কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। যে যে এলাকায় খাল পরিষ্কার কার্যক্রম চলছে, আপনারা অবশ্যই এই কার্যক্রম তদারকি করবেন এবং আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সঠিকভাবে, সুষ্ঠুভাবে এবং পরিপূর্ণভবে যেন খালগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এছাড়াও আমরা আগামী মাস থেকে নর্দমাগুলো পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করব। সে কার্যক্রমেও আপনারা গতবারের চেয়ে অধিক পরিমাণে তদারকি করবেন। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে এ দু'টো কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা -- অতি ভারী বৃষ্টি হলে, বৃষ্টির পানি এক ঘন্টার মধ্যে নিষ্কাশন করা। এ দু'টো কাজ আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।’
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কিউলেক্স মশা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সব সংস্থাকে নিয়ে উন্নত ঢাকা গড়বো: মেয়র তাপস
বোর্ড সভার শুরুতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ইতোমধ্যে গঠিত পাঁচটি স্থায়ী কমিটির জন্য নগর ভবনে বরাদ্দকৃত পাঁচটি কক্ষের চাবি হস্তান্তর করেন। ডিএসসিসি মেয়র স্থায়ী কমিটির সভাপতিবৃন্দের নিকট এসব চাবি হস্তান্তর করেন।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
মন্ত্রিপরিষদের একটি নির্দেশনা অনুসারে, সমস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত হতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা জারি করেছে যে আগামী দুই মাসের মধ্যে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সিকিউরিটি মানি জমা দিতে হবে ।
এছাড়া বৈঠকে ই-কমার্স কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
আগামী বছর থেকে নিউজ পোর্টাল চালু করতে আগেই নিবন্ধন নিতে হবে
আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করতে আগেই নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব, আমরা আলোচনা করেছি আগামী বছর থেকে কোন অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃঙ্খলা আসবে।’
আরও পড়ুন: অনুমোদন পেলো আরও ৮৫ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত এটা (চালুর পর নিবন্ধন দেয়া) রেখেছি এজন্য যে, অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন প্র্রক্রিয়া চালু করেছি অনেক পরে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইপি টিভি সারা পৃথিবীর বাস্তবতা, এটি নিউ মিডিয়া। এটিকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি, এটি হতে পারে না। এজন্য আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেগুলো সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চায়, তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি যখন কোন অনুষ্ঠান বা সংবাদ সম্মেলন হবে এক ঝলকে যেন কোনটা টিভি আর কোনটা আইপি টিভি এটা যেন বুঝা যায়। ওখানেও একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে। একই ধরণের বুম (মাইক্রোফোন) যাতে ব্যবহার করতে না পারে। সেখানে যেন অ্যাট লিস্ট আইপি টিভি লেখা থাকে।’
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোন আইপি টিভি খবর প্রকাশ করতে পারবে না জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে আইপি টিভি খবর প্রচার করে আমরা খুব সহসা সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বাস্তব সম্মত নয় জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সেখানেও একটা শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি। (প্রচার সংখ্যা) অন্তত বাস্তবতার কাছাকাছি আনতে হবে। এই রকম অবাস্তব ও ভৌতিক প্রচার সংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে থাকবে, সেটি হয় না। কিছু পত্রিকা আছে হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়, যেদিন ক্রোড়পত্র পায় সেদিন বের হয়। এসব পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার, তিনিই প্রকাশক। ওনার একটা ব্রিফকেস আছে, পত্রিকাও ব্রিফিকেস বন্দি। ব্রিফকেসে করে সেই পত্রিকার অফিসে অফিসে বিলি করে বেড়ায়। এগুলো আসলে পত্রিকা নয়, আমরা সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২১০টির ব্যাপারে সব ডিসিদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এগুলো বের হয় না সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয় না। আরও ২০০-এর বেশি আছে এই রকমের পত্রিকা। সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে, ধীরে ধীরে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে, এটি সংসদে পাস হলে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এমনকি অনলাইন মিডিয়ার সংবাদিকরাও আইনগত সুরক্ষা পাবে। এখন যে কথায় কথায় ছাঁটাই, বিনা নোটিশে ছাঁটাই, তুমি কালকে থেকে আসিও না- এগুলোর বলার সুযোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
মন্ত্রী বলেন , ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান) যখন পাঠাবে তখনই সেগুলোর সম্প্রচার শুরু হবে । ’
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড নেই এমন বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সংলাপ সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরদের দু-বছর আগে থেকে তাগাদা দিয়েছি, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলোকে ক্লিন ফিড চালাতে হবে। তাগাদা দেয়ার পর বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। মাস দেড়েক আগে সবার সঙ্গে বসেছিলাম, সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড কার্যকর হবে। এটি ছিল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।’