যশোর
যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
যশোরে মমতাজ খাতুন (২৪) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মমতাজ খাতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের শিমুল হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয় বাজারে শিমুলের চায়ের দোকান রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
এলাকাবাসী জানান, ৮ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন মমতাজ ও শিমুল। তাদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গ্রামে অন্য নারীর প্রতি আগ্রহের বিষয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এদিকে, মমতাজ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
শিমুল হোসেন বলেন, ‘আমি বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে রাতের খাবার শেষে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে আমার মোবাইল ফোন ঘাটাঘাটি করেন মমতাজ খাতুন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি ঘুম থেকে জেগে মাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখে আমাকে ডেকে তোলে। পরে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর লাশ নিচে নামাই।’
ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার বলেন, ‘স্বজনদের দাবি- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাই ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশ মর্গে পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
যশোরে যমজ সন্তানকে ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
যশোরের কেশবপুরে সুলতানা ইয়াসমিন নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ১২ দিন বয়সী জমজ দুই সন্তানকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সাহাপাড়া এলাকার নতুন মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ২২ বছরের যুবককে পিটিয়ে হত্যা
এদিকে, বুধবার সকালে পুলিশ ডোবার পানি থেকে জমজ শিশু দুটির লাশ উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তাদের মা সুলতানা ইয়াসমিনকে আটক করে।
অভিযুক্ত সুলতানা ইয়াসমিন স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে নিয়ে পৌর শহরের সাহাপাড়ায় তার বাবা আব্দুল লতিফের বাড়িতে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল সুলতানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আবু বক্করের বিবাহ হয়। দুইজনই এর আগে বিবাহিত ছিলেন। সুলতানার প্রথম পক্ষের সংসারে অহনা ইয়াসমিন নামে একটি মেয়ে রয়েছে। আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সুলতানা বুঝতে পারেন তার স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত। এ কারণে তাদের মধ্যে কলহ লেগে ছিল। সুলতানা স্বামীকে সুপথে ফেরাতে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১০ নভেম্বর রাতে কেশবপুর শহরের মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে সুলতানা ইয়াসমিনের জমজ সন্তান হয়। এর মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।
পারিবারিক কলহের জেরে সুলতানা ইয়াসমিন গত ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত দেড়টার দিকে প্রথমে আরাফ নামে ছেলে সন্তানকে বাড়ির সামনের একটি ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করে।
পরে ঘরে ফিরে তাসনীম নামে মেয়ে সন্তানকেও ওই রাতেই একই ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর ঘরে ফিরে বাচ্চাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে ওই ডোবা থেকে জমজ বাচ্চা দুইটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
বুধবার সকালে সুলতানা ইয়াসমিনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা ইয়াসমিন তার জমজ বাচ্চা দুটিকে ডোবার পানিতে নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সুলতানা ইয়াসমিন স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজ সন্তানদের ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
যশোরের বেনাপোলে ২১ টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
সোমবার দিবাগত রাতে বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের একটি পুকুরের ঝোপ থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬ এর মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন- যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় গ্রামের একটি পুকুরের পশ্চিম পাশে ঝোপের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ককটেল মজুদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ, ট্রাক ও ভটভটিতে আগুন
তিনি আরও জানান, সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে একটি বালতি ভর্তি বিপুল পরিমাণ (২১ টি) ককটেল উদ্ধার করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- উদ্ধার ককটেলগুলো দিয়ে যে কোনো বড় ধরনের নাশকতা তৈরির উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে রাখা হয়। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উদ্ধার ককটেলগুলো যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
যশোরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন দেওয়ার সময় আটক ২
যশোরে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগের সময় দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বোতলভর্তি পেট্রোল, খালি বোতল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে যশোর সদর রাজারহাটে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: হরতালে চট্টগ্রামে ৩ বাসে আগুন
আটকৃতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর উত্তরপাড়ার জসিম মোল্লার ছেলে মাসুম বিল্লাহ (১৮) ও একই এলাকার ইনছান আলি মোল্লার ছেলে রাজু আহম্মেদ(২৬)।
এদিকে রবিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রেস বিফ্রিংএ মেজর সাকিব আরও জানান, মণিরামপুর সড়কে দুষ্কৃতিকারীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে, এমন খবরে তারা যশোর-মণিরামপুর সড়কে একাধিক স্পটে অভিযান চালান।
তাদের মধ্যে একটি টিম যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট মোড়ে গাজী হোটেলের পাশেই ছিল। আর এই হোটেলের পাশেই একটি পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং করা ছিল।
হঠাৎ করে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ থেকে ৭ জন যুবক এসে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে পণ্যবাহী ট্রাকে পেট্রল ঢালতে থাকে। এ সময় র্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাদের মধ্যে দুইজনকে আটক করে। বাকিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই ট্রাকের ড্রাইভার রাজিব খান জানান, তিনি ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেট্রো-ট ২০-৯৯২৮ নম্বরের ট্রাকটিতে সূতালি নিয়ে সাতক্ষীরার ভোমরা বর্ডারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে গাজী হোটেলের সামনে রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে তিনি হোটেলে ভাত খেতে গিয়েছিলেন। এমন সময় এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবি করে- হরতালকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী নাশকতা কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ট্রাকে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেন এ কর্মকাণ্ড ও এর নেপথ্যে কারা রয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ৩
যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ভারতীয় দুই নাগরিকের যাবজ্জীবন এবং চারজনকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম এবং নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজিবুর রহমান।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ভারতীয় নাগরিক ভারতের গোকর্ন গ্রামের মাঝের পাড়ার আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা এবং ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মণ্ডল।
২০ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শার্শার আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন ও ওরফে মেছের আলীর ছেলে এবং যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মণ্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেয় বিজিবি। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্য দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক এবং দুইজন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪টি সোনার বার এবং ফেলে যাওয়া দুইটি ব্যাগ থেকে ৪০০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে চারশ’ গ্রাম।
পরদিন শিকারপুর বিওপির বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকালে গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আদালত তার রায়ে মহিউদ্দিন তরফদার শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের এই যাবৎ সবচেয়ে বড় সোনা চালানের মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে, রায়ের খবরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনেরা রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম শান্তি বলেন, সরকার যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে, এতে বিচারকরা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করতে পারছে না। ফলে আসামিপক্ষ প্রকৃত রায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করব।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
যশোরে ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারীকে খুন, ২ যুবক আটক
যশোরে দোকান কর্মচারী ও দশম শ্রেণির ছাত্র রাজিম (১৭) হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার গভীর রাতে শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া ও গাড়িখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ পায়েল (১৯) ও একই এলাকার মোহাম্মদ রুস্তম গাজীর ছেলে শিমুল গাজী (২৫)।
আরও পড়ুন: যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় র্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, রাজিম পড়াশোনার পাশাপাশি যশোরের বড়বাজার চুড়িপট্টি এলাকায় একটি বিপণী বিতানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। বৃহম্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পায়েল-শিমুলসহ কয়েকজন তাকে দোকান থেকে ডেকে পাশের গলিতে পানের দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে সেখানে ছুরিকাঘাত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাজিমের বাবা যশোর কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে বারান্দি মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পায়েলকে এবং গাড়িখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিমুল গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে ইয়ামিন নামে তাদের এক বন্ধুকে রাজিম ও তার বন্ধুরা মিলে ছুরিকাঘাত করে। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রাজিমের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারদের শনিবার রাজিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হবে।
নিহত রাজিম শহরে ঝুমঝুমপুর এলাকার বাদল খানের ছেলে। তিনি যশোর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুনের অভিযোগ
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুনের অভিযোগ
যশোর শহরের চুড়িপট্টিতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক কাপড়ের দোকানের কিশোর কর্মচারী খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রফিকুল স্টোরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কাপড়ের দোকানের কিশোর কর্মচারী রাজিব (১৭) শহরতলীর ঝুমঝুমপুর এলাকার বাদল খানের ছেলে এবং চুড়িপট্টি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
চুড়িপট্টির ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন যুবক দোকান থেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হেমেন্ত পোদ্দার জানান, রাত সোয়া ৮টায় ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ হত্যাকারীদের চিহিৃত করতে পেরেছে। তাদের আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম কাজেম নিহত
বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে পলিটেকনিকের ছাত্র নিহত, আহত ২
চৌগাছায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
যশোরের চৌগাছায় পুকুরের পানিতে ডুবে রজনী খাতুন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের পলুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রজনী খাতুন ওই গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
রজনীর বাবা রেজাউল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টার দিকে তিনি স্ত্রীসহ নিজেদের বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরছিলেন। রজনী তাদের মাছধরা দেখছিল এবং সেগুলো সংগ্রহ করে পাত্রে রাখছিল। এর কোনো একসময় রজনী পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেয়ে তিনি তার স্ত্রী ও স্থানীয়দের সহায়তায় রজনীকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক রজনীকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
যশোরের ঝিকরগাছায় সকালে হাঁটতে বের হয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার সৈয়দপাড়া নামক এলাকার রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
নিহত শাহাজাহান আলী মোড়ল গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শেখ আনারুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান প্রতিদিনের মতো ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হন। সকালে তিনি সৈয়দপাড়া রেললাইনের উপর দিয়ে হেঁটে বাজারের দিকে আসছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে আশপাশের লোকজন রেললাইনের পাশে চেয়ারম্যানকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও স্থানীয়দের খবর দেয়।
তিনি আরও জানান, কোন ট্রেনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা কেউই বলতে পারছে না। আনুমানিকভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
যশোরের অভয়নগরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছন আরও দুইজন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতি দক্ষিণপাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জিয়াউর রহমান ফকির (৪২) একই এলাকার ওহাব ফকিরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতি দক্ষিণপাড়ার একটি চায়ের দোকানে ঢুকে ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা জিয়াউর রহমান ফকির নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
আরও পড়ুন: নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১২৮
ওসি জানান, পুলিশ ইতোমধ্যে এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে।
এদিকে, খবর পেয়ে যশোরের ডিবি পুলিশ, র্যাব, পিবিআইসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২